• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
সুন্দরবনে মধু আহরণে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মনিরুজ্জামান বাচ্চু গাজী (৪৫) নামে এক মৌয়াল নিহত হয়েছেন। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের নটাবেকী এলাকায় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। শনিবার (২০ এপ্রিল) বনবিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। নিহত বাচ্চু গাজী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেম গাজীর ছেলে। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা নুর আলম জানান, গত ২ এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে বাচ্চু গাজী সহকর্মী মৌয়ালদের সঙ্গে সুন্দরবনের গহীনে মধু আহরণ করতে যায়। শনিবার সকালে বাঘের আক্রমণে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে বনবিভাগের একটি দল মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। 
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৬

সুন্দরবনে আজ থেকে মধু আহরণ শুরু
আজ থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণ মৌসুম শুরু হয়েছে। এই মধু আহরণ মৌসুম চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত। বন বিভাগ থেকে পাস-পারমিট নিয়ে নৌকায় করে দল বেঁধে মধু আহরণ করতে বনে যাচ্ছেন মৌয়ালরা। এবার বৃষ্টির কারণে সুন্দরবনের গাছে পর্যাপ্ত ফুল ফোটায় চলতি আহরণ মৌসুমে মধু সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা সুন্দরবন বিভাগের। এ বছর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার কুইন্টাল। আর মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০০ কুইন্টাল। এর মধ্যে শরণখোলা রেঞ্জে ৬০০ কুইন্টাল মধু, ২০০ কুইন্টাল মোম ও চাঁদপাই রেঞ্জে ৪০০ কুইন্টাল মধু, ১০০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।  গত বছর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে মধু আহরিত হয় ৮৬৩ কুইন্টাল ও মোম আহরিত হয় ২৫৮.৯৬ কুইন্টাল।  শরণখোলা ও চাঁদপাই থেকে এবার তিন হাজারের অধিক মৌয়াল সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহম্মদ নূরুল করিম জানান, একেকজন মৌয়ালকে ১৪ দিনের জন্য পাস দেওয়া হয়। বনে প্রবেশ করার পর মধু আহরণের জন্য ৯টি নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে মৌয়ালদের। 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৮

ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌয়ালরা, মিলবে ১০ কোটি টাকার মধু
রাজবাড়ী জেলায় বিভিন্ন কৃষি মাঠে সরিষা ফুলের মাঠে বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে তারা রাজবাড়ীর বিভিন্ন স্থানে মৌমাছির বাক্সসহ অবস্থান নিয়েছেন।  তারা সরিষা খেতের আইলে শতশত কৃত্রিম মৌবাক্স স্থাপন করেছে। মৌয়ালরা মৌমাছি আকর্ষণের জন্য রানি মৌমাছি প্রতিটি বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আর তাতেই প্রতিদিন হাজার হাজার মৌমাছি ফুলে ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করে ওইসব কৃত্রিম মৌবাক্সে জমা করছে। চলতি মৌসুমে এ অঞ্চল থেকে ১০ কোটি টাকার মধু সংগ্রহ হবে বলে আশা করছেন মৌয়ালরা। জানা গেছে, পদ্মা বিধৌত রাজবাড়ী সদর, গোয়ালন্দ, পাংশা, কালুখালি ও বালিয়াকান্দি উপজেলায় গত দুই দশক ধরে রবি মৌসুমে সরিষা ফুল থেকে কোটি কোটি টাকার মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে।  এবার জেলার বিভিন্ন মাঠে প্রায় শতাধিক চাষি মধু সংগ্রহের জন্য রাজবাড়ীর সরিষা খেতের পাশে প্রায় ২ হাজার মৌবাক্স বসিয়েছেন। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রাজবাড়ীর ৫ উপজেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার চাষ হয়েছে। এরই মধ্যে রাজবাড়ীর ফসলের মাঠ সরিষার ফুলে ভরে উঠেছে। আর সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য মাসখানেক আগে থেকেই চাষিরা সরিষা মাঠের বিভিন্ন সুবিধাজনক স্থানে অস্থায়ী আবাস গড়েছেন। খেতের আইলজুড়ে মৌবাক্স বসিয়েছেন। রাজবাড়ী সদরের উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. সুমন মিয়া ও ইলিয়াস হোসেন জানান, চলতি বছর রাজবাড়ীতে বিপুল পরিমাণ জমিতে বিভিন্ন উন্নত জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। ফলে প্রচুর মধু উৎপাদন করছেন মৌয়ালরা। এলাকার অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকরাও সরিষার মধু সংগ্রহের কাজ করছেন। আর তাতে কৃষি বিভাগ সার্বিক সহায়তা করছে, পরামর্শ দিচ্ছেন চাষিদের। রাজবাড়ী মৌচাষি সমিতির সভাপতি সূর্যনগরের সজল মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে এ জেলা থেকে ১ হাজার টনের বেশি মধু উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকা। তিনি জানান, তার মোট ৫০টি মৌবাক্স রয়েছে। যা থেকে তিনি প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৪ মণ মধু সংগ্রহ করতে পারেন। সাতক্ষীরা থেকে মধু সংগ্রহ করতে আসা মেহেদী হাসান জানান, তার ১৫০টি মৌবাক্স রয়েছে। যা থেকে প্রতি সপ্তাহে মধু উৎপাদন হচ্ছে ৫ থেকে ৬ মণ। এবার মধুর দাম বেশি। ফলে চাষিরা লাভবান হবেন। স্বল্প সময়ে অল্প পরিশ্রমে মধু চাষে অধিক লাভ দেখে মেহেদীর মতো রাজবাড়ী সদরের মুলঘর ইউনিয়নে অনেকে বিভিন্ন মাঠে সরিষা খেতে মৌসুমী মৌবাক্স বসিয়েছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জনি খান জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে চলতি মৌসুমে রাজবাড়ী জেলায় থেকে বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ১ হাজার টন মধু সংগৃহীত হবে। যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।  তিনি জানান, কৃষি বিভাগও মধু সংগ্রহে বাক্স প্রদান করেছে।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০৬

সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হিলির মৌ চাষিরা
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌ চাষিরা। সরিষা ক্ষেতে বক্স বসিয়ে মৌমাছি থেকে মধু সংগ্রহ করছেন তারা। প্রতিটি মৌ বক্স থেকে সপ্তাহে তিন থেকে চার কেজি করে মধু আহরণ হচ্ছে। এদিকে মৌ চাষিরা বলছেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে আশানুরুপ মধু আহরণ করতে পারছেন না। তবে আগামীতে আরও বড় পরিসরে কৃষকদের নিয়ে মধু চাষের আশা করছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।  দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত থেকে ৩ কিলোমিটার পূর্বে ছাতনি গ্রামে ১০৩টি বক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছেন সাকিল আহম্মেদ ও তার সহযোগিরা। সীমান্তবর্তী হাকিমপুর উপজেলার মাঠগুলো এখন যেন হলুদের গালিচা। সরকারি সহযোগিতায় এ উপজেলায় বেড়েছে সরিষার দ্বিগুণ চাষ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সরিষা বেশি আবাদ হয়েছে। যতদূর চোখ যায়, শুধু হলুদ আর হলুদ। এ যেন প্রকৃতির এক অপরূপ নিদর্শন। মৌমাছিরা মৌ মৌ গন্ধে ছুটে বেড়াচ্ছে। হলুদ ফুলের ঘ্রাণে পাখিরা যেমন উড়ে, তেমনি মৌমাছিরাও ব্যস্ত ফুলের মধু আহরণে। মধু সংগ্রহ করা দেখতে এবং মধু কিনতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয়রা।  হিলির জালালপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান, মানিক মিয়া ও আসমা বেগম বলেন, আমরা খাঁটি মধু নিতে এখানে এসেছি। এখানকার মধু অনেক ভালো মানের। প্রতি বছর সাকিল আহমেদ নামে এক যুবক সরিষা ফুল থেকে মৌমাছির দ্বারা মধু সংগ্রহ করে থাকেন। তার এই কার্যক্রম আমাদের অনেক ভালো লাগে। আমরা আগামীতে নিজেরাই এই রকম ভাবে মধু সংগ্রহ করতে চাইছি। হিলির মৌ-চাষী সাকিল আহমেদ বলেন, উপজেলার ছাতনী এলাকায় সরিষা ক্ষেতের পাশে ১৬ শতক জমির উপর মধু সংগ্রহের জন্য ১০৩টি বক্স বসানো হয়েছে। ১০৩টি বক্স থেকে ৪ থেকে সাড়ে ৫ মন মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া কিছুটা খারাপ হওয়ার কারণে মধু কম সংগ্রহ হয়েছে।  হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, হাকিমপুর উপজেলায় এবার সরিষার আবাদ দ্বিগুণ হয়েছে। সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৯ শত ৫৫ হেক্টর জমি। আর আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৩৫ হেক্টর জমি। যা ক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮০ হেক্টর জমিতে বেশি। এবার এলাকায় মৌ বক্সের মাধ্যমে মধু সংগ্রহের জন্য ১০৩টি মৌবাক্স স্থাপন করা হয়েছে। 
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৪

শীতকালে মধু পানে মিলবে যেসব উপকারিতা
মধু এক বিচিত্র প্রাকৃতিক উপাদান। ফুলের মধ্যে থাকা মধু মূলত সংগ্রহ করে মৌমাছির দল। নিজেদের প্রয়োজনে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছির দল জড়ো করে মৌচাকে। তবে ফুল থেকে আনা একেবারে তরল টাটকা মধুর সঙ্গে মিশে যায় তাদের শরীর নির্গত কিছু যৌগ, উৎসেচক। তারপর সেই মৌচাক ভেঙে নিয়ে মধু সংগ্রহ করা হয়।সারাদেশে সুন্দরবনের মধুর অনেক চাহিদা রয়েছে। খাঁটি, প্রাকৃতিক মধুর অনেক গুণ। নিয়মিত মধু খেলে শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন হতে পারে।  দেখে নিন এক নজরে- চিনির বিকল্প হিসেবে দারুন কাজ করতে পারে মধু। ফলে স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস। যা কোষের ক্ষতি রোধ করতে সক্ষম, ফলে শরীরের উপকারি বন্ধু ব্লা যায় মধুকে। গলা ব্যথা, ছোটখাটো সংক্রমণ, ক্ষত সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রয়েছে মধুতে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। মধু খুব দ্রুত শক্তি জোগাতে পারে। বলবর্ধক হিসেবে মধু দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত।  হজমকারক হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে মধুর। শুধু তাই নয় বদহজম বা কোষ্ঠবদ্ধতার মতো সমস্যার সমাধানেও কার্যকর এই প্রাকৃতিক উপাদান। ভালো ঘুমের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে মধু। রাতে ঘুমোনোর আগে এক চামচ মধু খেলে ভালো ঘুম হয়। মধুতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন। এছাড়াও একাধিক খণিজ পদার্থও পাওয়া যায় এতে। প্রাণীজ এবং উদ্ভিজ্জ উপাদানের মিলনে এর মধ্যে নানা ধরনের উৎসেচকও মিশে থাকে। তাই সার্বিক ভাবেই স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে মধুর একটা গুরুত্ব থেকেই যায়। শুধু খেয়ে নয়, মধু ত্বকের জন্যও উপকারি। তাই ত্বক চর্চার ক্ষেত্রেও মধুর ব্যবহার ব্যাপক প্রচলিত।  হঠাৎ করে তাপমাত্রার অস্থিতিশীলতার কারণে শীতের শুরুতে অনেকেরই গলা বসে যায়, গলাব্যথা হয়। দিনে দুবার বিভিন্ন মসলা (আদা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ) পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খেলে গলাব্যথা সেরে যায়। শীতকালে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। নিয়মিত রং চায়ের সঙ্গে কিংবা কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। শীতে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ হয়ে যায়। এই শুষ্ক ত্বককে মসৃণ টান টান রাখতে চাইলে অ্যালোভেরার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়