• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দুর্নীতির দায় নিয়ে ভিয়েতনাম প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ
মাত্র এক বছর দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগ করেছেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুং। নিজ প্রদেশে একটি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।  তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ভিয়েতনামের জাতীয় পরিষদের একটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি বুধবার (২০ মার্চ) প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুংয়ের পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে বলেছে, থুং ‘লঙ্ঘন ও ত্রুটির’ জন্য দোষী এবং কেন্দ্রীয় কমিটিতে তার পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে। পদত্যাগের বিস্তারিত কারণ প্রকাশ্যে আনা হয়নি।  ভিয়েতনাম বড় রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেলে ৫৩ বছর বয়সী ভো ভ্যান থুংয়ের নাটকীয় পতন ঘটে। তার পূর্বসূরিও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। সে সময় বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা জালিয়াতি দুর্নীতির চেষ্টা করেছিলেন। দলের বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সি (ভিএনএ) বলেছে, থুং অনির্দিষ্ট ‘নিয়ম’ লঙ্ঘন করেছেন এবং রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে একটি সঠিক উদাহরণ স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ‘কমরেড ভো ভ্যান থুংয়ের লঙ্ঘন এবং ত্রুটিগুলো খারাপ জনমত সৃষ্টি করেছে, যা পার্টি, রাষ্ট্র ও ব্যক্তিগতভাবে নিজের সুনামকে প্রভাবিত করেছে। পার্টি, রাষ্ট্র ও জনগণের প্রতি (তিনি) তার দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন, তিনি তার অর্পিত পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।’ ভিয়েতনামের জন্য বিরল পদক্ষেপে প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান ফুক পদত্যাগ করার পর গত বছরের ২ মার্চ থুং প্রেসিডেন্ট হন। দেশটিতে স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলো দীর্ঘদিন ধরে সতর্কতার সঙ্গে সাজানো হয়েছে।  ফুকের আগে কেবল অন্য একজন কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি পদত্যাগ করেছিলেন এবং তা ছিল স্বাস্থ্যগত কারণে।  
২১ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৫

স্ত্রীকে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করলেন যে প্রধানমন্ত্রী
স্ত্রীকে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করলেন নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্রিস ভ্যান অ্যাগট। তার স্ত্রী ইগুইনকে সঙ্গে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের মৃত্যু হয়। তাদের উভয়েরই বয়স ছিল ৯৩ বছর। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের। দ্য গার্ডিয়ান বলছে, অ্যাগট ও ইগুইনের এই স্বেচ্ছামৃত্যু নেদারল্যান্ডসে দম্পতি বা যুগলদের স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, তারই উদাহরণ। দ্রিস ভ্যানের প্রতিষ্ঠিত একটি অধিকার সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটির পরিচালক জেরার্ড জোনকম্যান সংবাদমাধ্যম এনওএসকে বলেছেন, গত সপ্তাহে তারা হাতে হাত রেখে দুনিয়া ত্যাগ করেছেন। জেরার্ড জোনকম্যান জানান, ২০১৯ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন দ্রিস ভ্যান। তিনি স্ত্রীকে রেখে আগে চলে যেতে চাইছিলেন না। পরবর্তী সময়ে  একসঙ্গে মৃত্যুবরণ করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যানুযায়ী, দ্রিস ভ্যান ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটিক আপিল পার্টির নেতা ছিলেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে ছিলেন ক্যাথলিক খ্রিস্টান। তবে তিনি সবসময় নিজের মতো করেই চলেছেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে নেদারল্যান্ডসে কোনো দম্পতিকে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে মৃত্যুবরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরের বছরেই ৩২ জন যুগল এমনভাবে মৃত্যুবরণ করেন। আর ২০২৩ সালে দেশটিতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৮টি যুগল। নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা সাহায্য নিয়ে আত্মহত্যার অনুমতি রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ছয়টি শর্ত রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম শর্ত হলো- আগ্রহী ব্যক্তিদের অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে কিংবা নিরাময় হবে না এমন কোনো কঠিন রোগে আক্রান্ত থাকতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি যাচাই-বাছাইয়ের পর পারিবারিক চিকিৎসকের সহযোগিতায় আগ্রহী ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের অনুমতি দেওয়া হয়।  
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৬

ঘোড়াঘাটে ভ্যান ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ২
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে অটোভ্যান ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ কিশোর নিহত হয়েছেন। তারা দুজন স্থানীয় একটি গ্যারেজে কাজ করতেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার পালশা ইউনিয়নের ডুগডুগিহাট-রাণীগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন চৌড়িয়া গ্রামের ভিখারী দাসের ছেলে বিনয় চন্দ্র দাস (১৬) এবং একই গ্রামের তাইজুল ইসলামের ছেলে জিতু মিয়া (১৫)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত ২ যুবক মোটরসাইকেল চালিয়ে ডুগডুগিহাট বাজার থেকে রাণীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময় যাত্রীবাহী ব্যাটারি চালিত একটি অটোভ্যান রাণীগঞ্জ বাজার থেকে ডুগডুগিহাটের দিকে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোটরসাইকেলে থাকা বিনয় চন্দ্র। অপরদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় জিতু মিয়াকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনিও মারা যান। ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আহসান হাবিব বলেন, সন্ধ্যার পরে গুরুতর আহত অবস্থায় জিতু নামে এক কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুজন আরোহী নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়