• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিএনপিকে ভোটাররা বর্জন করেছে : নোয়াখালীতে কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভোটারদের উপস্থিতি প্রমাণ করে বিএনপি এবং তাদের মনগড়া আন্দোলনে পরাজিত হয়েছে। আজকে তাদের ভোট বর্জন—এটাই প্রমাণ করছে ভোটাররা তাদেরকে বর্জন করেছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়ন প্রি-একাডেমিতে ভোট দিয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।   বিএনপিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, ভোটারদের ভোট বর্জন করতে অনুরোধ করেছে তারা। কিন্তু আজ নির্বাচনের যে স্বতঃফূর্ত পরিবেশ। যারা ভোট বর্জন করতে আহ্বান করেছিল, ভোটাররা তাদেরই বর্জন করেছে। কাদের বলেন, ভোটের পরিবেশ একেবারে শান্তিপূর্ণ। ভোটে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি, ভোটারদের স্বতঃফূর্ত সমর্থন প্রমাণ করে, যারা ভোট বর্জন করে নাশকতার আশ্রয় নিয়েছে তারা আবারও পরাজিত হলো।  মন্ত্রী আরও বলেন, গণতন্ত্রের স্থান হচ্ছে নির্বাচন। সেখানে প্রতিযোগিতা হচ্ছে নির্বাচনের সার্থকতা। যারা বলছে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না; তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। বাধা দিয়ে নির্বাচন ঠেকানো যায় না। এটা আবারও বাংলাদেশে প্রমাণিত।     ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে, বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৮

ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন কি না কমনওয়েলথের প্রশ্ন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন কি না তা জানতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন রেখেছে কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদল।  শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে কমনওয়েলথের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসে ইসি। নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান এতে সভাপতিত্ব করেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, কমনওয়েলথের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। তাদের জানার কিছু বিষয় ছিল, তা আমরা জানিয়েছি। ভোটের প্রক্রিয়া ও চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চেয়েছে তারা। ভোটারদের অংশগ্রহণে চ্যালেঞ্জ আছে কি না জানতে চেয়েছে কমনওয়েলথ। তখন আমরা বলেছি ভোটাররা যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে মোতায়েন আছে। আমাদের উত্তরে আশ্বস্ত হয়েছেন কমনওয়েলথ সদস্যরা। বৈঠকে কমনওয়েলথের পক্ষে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন জামাইকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচই অরিত্রি ব্রুস গোল্ডিং, ক্যামেরুনের সাবেক চেয়ারম্যান ইলেকশন কমিশনার ড. সামিউল আজিউ ফনকাম, নাইজেরিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট ন্যাশনাল ইলেকট্রোরাল কমিশন প্রোফেসর আত্তাহিরু মোহাম্মদ জেগে, কলোম্বো বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক ও আন্তর্জাতিক লয়ের প্রোফেসর ওয়ালিগমা ভিদানা আরচেঙ্গা ডেনিস, গভর্নেন্স অ্যান্ড পিচ ডাইরেক্টোরেটের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিসার্চ অফিসার সার্থক রায়, কমনওয়েলথের গভর্নেন্স অ্যান্ড পিস ডাইরেক্টোরেটের ইলেকটোরাল সাপোর্ট উপদেষ্টা এবং প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুস।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৮

ময়মনসিংহে ১১ আসনে ৭২ প্রার্থী / নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছে তরুণ ভোটাররা  
আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ জেলার ১১ আসনে ১৬টি রাজনৈতিক দলের ৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনা বেশকিছু দল নির্বাচনে না আসায় ভোটের হাওয়ায় প্রবল উত্তাপ না থাকলেও বিভিন্ন প্রতীকের পোস্টারে ছেয়ে গেছে জেলার সড়ক থেকে অলিগলি। সেই সঙ্গে বাংলা হিন্দি গানের মন ভোলানো ছন্দময় শব্দ কথা আর প্যারোডিতে দিনরাত চলছে প্রার্থীদের বিরামহীন প্রচার-প্রচারণা। তবে এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ে মূল ফ্যাক্টর হবে জেলার ১১টি আসনের ৭ লাখ ১১ হাজার ৮৯৫ জন নতুন ভোটার। এই নতুন ভোটারদের গোপন ব্যালটই প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের ভাগ্য নির্ধারণে মূল চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করবে বলেও মনে করছেন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।      জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, জেলার ১১টি সংসদীয় আসনে এবার ভোটার বেড়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ৮৯৫ জন। এই ভোটারদের প্রায় সবাই বয়সে তরুণ ও নবীন। ফলে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেই তারা জীবনে প্রথমবার গোপন ব্যালটে ভোট দেবে। এ নিয়ে নবীনদের মধ্যে রয়েছে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা। তবে বিগত কয়েকটি নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা ও ভোট বিরোধী অপপ্রচার ঠেকিয়ে নতুন ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করাকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে অভিজ্ঞ মহল। তাদের ভাষ্য, বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ভোট কেন্দ্রে না যেতে উৎসাহিত করছে ভোটারদের। লিফলেট বিতরণসহ করছেন প্রচার প্রচারণা। সেই সঙ্গে রয়েছে স্বতন্ত্র ও নৌকার প্রার্থীদের সহিংস কর্মকাণ্ডের ভীতি। এই অবস্থায় নবীন ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারাই হবে নির্বাচনের বড় সফলতা। এসব নিয়ে কথা হয় ময়মনসিংহ জেলার বেশকিছু নতুন ভোটারের সঙ্গে। তাদের মধ্যে নগরীর ঐহিত্যবাহী আনন্দ মোহন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. তানভীর হাসান বলেন, ছোট বেলায় সবার মধ্যে ভোট উৎসব দেখেছি, এখন তা নেই। তবে আমি এবার নতুন ভোটার হয়েছি, নির্বাচনের দিন কেন্দ্রের পরিবেশ ভালো থাকলে আমি ভোট দিতে যাব, তা না হলে কোন ধরনের ঝামেলায় জড়িয়ে ভোট দিতে চাই না। জেলার গৌরীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমান আকাশ বলেন, এবারের নির্বাচনে অনেক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নেই। যতদূর বুঝতে পারছি তা হল এই নির্বাচনটা মূলত আওয়ামী লীগের নেতারাই স্বতন্ত্র ও নৌকার ব্যানারে বিভক্ত হয়ে প্রার্থী হয়েছে। ফলে আমি এবারের নির্বাচনে জীবনের প্রথম ভোটার হলেও ভোটে আমার আগ্রহ নেই।  ভিন্নমত পোষণ করে ময়মনসিংহ নগরীর সানকিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আরিফুল হক বলেন, এবার আমি প্রথম ভোটার হয়েছি। তাই আমি আমার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি। আমি মনে করি এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ আমার মত প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ন উৎসবমূখর ভোটের পরিবেশ গুরুত্বপূর্ন।    এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাজরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সম্পাদক ও কবি আলী ইউসুফ বলেন, নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য সকলের অংশগ্রহণে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছিল অপরিহার্য, তবে এবার তা হয়নি। তাছাড়া বিগত দুই বা তিনটি নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটি বেদনার রেশ রয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন ভোটারদের কেন্দ্রে নেওয়ায় এখন বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এবারের নির্বাচনে নতুন ভোটাররা উপেক্ষিত। তাদের জন্য প্রার্থীদের কোন আশার বাণী নেই এবং তাদের কেন্দ্রে নেওয়ার জন্যও প্রার্থীদের দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ দেখছি না।  ভিন্ন মত পোষণ করে বাম রাজনীতিক ও মানবাধিকার সংগঠক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ভোট নিয়ে নবীণ বা প্রবীন সব বয়সি মানুষের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। কারণ আমারা প্রবীনরাই দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছি। তবে আমি আশা করব প্রবীনদের এই ভুলগুলো সংশোধন করতেই নবীনরা এবার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে প্রয়োগ করবে। এতে কোথায় বাধাগ্রস্ত হলে সেখান থেকেই তরুণদের প্রতিবাদ গড়ে তোলা উচিত। তবেই বদলে যাবে বাংলাদেশ। আশা করছি তরুণ ভোটাররা এবার তা করবে।  তবে বিএনপি বা সমমনা দলগুলো নির্বাচনে না আসায় নতুন ভোটারদের ভোট দানে কোন প্রভাব পড়বে না বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। তাদের ভাষ্য- নতুন প্রজন্ম আগুন সন্ত্রাস বা নৈরাজ্য দেখতে চায় না। তারা বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে জীবনের প্রথম ভোট যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে প্রয়োগ করবে বলে বিশ্বাস করি। তাছাড়া ১৪ দল তথা আওয়ামী লীগের ইশতেহারেও নতুন ভোটারদের কথা চিন্তা করে কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে এবারের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের উপস্থিতিতে প্রধান টার্গেট জীবনে প্রথম ভোটার হওয়া তরুণরা।  ময়মনসিংহ জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রমতে, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত এই জেলার ১১টি সংসদীয় আসনে ভোটার সংখ্যা ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২২ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ২২ লাখ ৭ হাজার ৬৫১ জন। সেই সঙ্গে এবার হিজড়া সম্প্রদায়ের নতুন ভোটার হয়েছে ১৭ জন। এর আগে ২০১৮ সালে অর্থাৎ বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৭ লাখ ৫১ হাজার ৮৩২ জন। এ হিসেবে এবার নতুন ভোটার বেড়েছে ৭ লাখ ১১ হাজার ৮৯৫ জন।  তবে ২০২৩ সালের ২০ জুলাইয়ের পর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার আগ মূহর্ত পর্যন্ত এই হিসেবে কম বা বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই সময়ের পরে কেউ মারা গেলে কিংবা নতু ভোটার অন্তর্ভুক্ত হলে ভোটারের সংখ্যা পরিবর্তিত হতে পারে। নির্বাচন কার্যালয় সূত্র আরও জানায়, জেলার ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৭ জন ভোটারের মধ্যে ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলা) আসনের দুটি উপজেলায় বর্তমানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫২ হাজার ২২৬ জন। এর মধ্যে হালুয়াঘাট উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৭৮ হাজার ৭৩৮ জন এবং ধোবাউড়া উপজেলায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮৮ জন। এতে গতবারের চেয়ে নতুন ভোটার বেড়েছে ৭৪ হাজার ৯৩০ জন। ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলা) আসনে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯১০ জন। এর মধ্যে ফুলপুর উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯০৬ জন এবং তারাকান্দায় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪ জন। এই আসনে নতুন ভোটার হয়েছে ৮৮ হাজার ২০৭ জন।  ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৬ হাজার ২৬৪ জন। এর আগে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯৫ জন। এই হিসেবে এবার নতুন ভোটার বেড়েছে ৭১ হাজার ৬৬৯ জন।  তবে জেলায় সবচেয়ে বেশি ভোটার ময়মনসিংহ-৪ আসনে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে মোট ভোটার ৬ লাখ ৫২ হাজার ৯০৭ জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৮ জন এবং সদর উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ১৬ হাজার ১৬৯ জন। সেই সঙ্গে এই আসনে এবার ১৩ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারসহ মোট ভোটার বেড়েছে ৯৫ হাজার ৮৭৬ জন।  ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৬ জন। এবার ভোটার বেড়েছে ৫৬ হাজার ৯৪১ জন। ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়ীয়া) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৫ হাজার ২৬ জন। এবার বেড়েছে ৫৯ হাজার ২৮৬ জন। ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে ভোটার সংথ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৬ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৫৭ হাজার ৮২৮ জন। ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে ভোটার ৩ লাখ ২০ হাজার ৯৬৬ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৪৯ হাজার ৭৭০ জন। ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৮০২ জন। নতুন ভোটার ৫৯ হাজার ৬৯৭ জন। ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে ভোটার ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৫০ জন। নতুন ভোটার বেড়েছে ৫৭ হাজার ১০৫ জন। এছাড়া ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭৪ জন। তবে এই আসনে এবার নতুন ভোটার রয়েছে ৪০ হাজার ৫৯৬ জন।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়