• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ, নেই ভোগান্তি
আজও ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ রয়েছে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে। তবে যানজটের ভোগান্তি নেই এই মহাসড়কে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভোর থেকে মহাসড়কে এ চিত্র দেখা যায়। যানবাহনের চাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী। তিনি জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে সড়কপথে কর্মস্থলে ফিরছেন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। মহাসড়কের হাটিকুমরুল ও কড্ডা এলাকায় যানবাহনের জন্য ভিড় বেড়েছে ঢাকামুখী কর্মজীবী মানুষের।  তিনি আরও জানান, গণপরিবহনের পাশাপাশি ট্রাক-পিকআপ ভ্যান ও ব্যক্তিগত যানবাহনে যাত্রী পরিবহনের প্রবণতা রোধে মহাসড়কে কাজ করছে পুলিশ।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫১

দৌলতদিয়ায় কর্মস্থলগামী মানুষের চাপ, নেই ভোগান্তি
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ।  দৌলতদিয়া ঘাটে সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই থেমে থেমে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে ঘাটে কোনো দুর্ভোগ ও যানজট নেই। ফেরি পারের অপেক্ষায় ভোগান্তিও নেই। ফলে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোর ফেরি পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বাড়লেও কোনও প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই সবাই পার হতে পারছেন। পর্যাপ্ত ফেরি ও লঞ্চ থাকায় ঘাটে কোনও যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। মানুষ দুর্ভোগ ছাড়াই কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাপও কিছুটা বাড়ছে।’ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোমবার সকাল থেকে ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী বাসের চাপ তেমন না থাকলেও ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়া লঞ্চেও পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছেন কর্মস্থলমুখীরা। যা ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে। এ দিকে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৬টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট পদ্মা নদী পার হয়েছে ৩ হাজার ৯৪৪টি যানবাহন।  এর মধ্যে বাস-মিনিবাস রয়েছে ৫২১টি, পণ্যবাহী ট্রাক ২৯২টি, ছোট ও মাঝারি গাড়ি এক হাজার ৬১৭টি ও মোটরসাইকেল এক হাজার ৫১৪টি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ১৮ ফেরি চলাচল করছে। এ ছাড়াও ২০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৪

যাত্রাবাড়ীতে দীর্ঘ যানজট, চরম ভোগান্তি
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র একদিন বাকি। বড় ছুটিকে উপলক্ষ্য করে রাজধানী ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। সবার চোখে-মুখে আপনজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আনন্দ। কিন্তু প্রতিবছরই এই আনন্দের আড়ালে মিশে থাকে ঘরে ফেরার পথে চরম ভোগান্তির গল্প। সেই চিত্র আবার ফিরেছে রাজধানীর বুকে। যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে ঘরমুখো মানুষদেরকে। পথে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।   ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ ও বহির্মুখ যাত্রাবাড়ী। পাঁচদিক থেকে পাঁচটি সড়ক মিলেছে এই এক মোড়ে। ঢাকা থেকে নরসিংদী হয়ে সিলেট বিভাগে, নারায়ণগঞ্জ হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে এবং পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণবঙ্গে যেতে হলে ব্যবহার করতে হয় এ মোড়। অর্থাৎ রাজধানীর জীবননির্ভর দেশের বড় একটা অংশের যাতায়াত করতে হয় এ অংশ দিয়ে। ফলে চাপও বেশি। রমজানের শেষ পর্যায়ে এসে এ চাপ বেড়েছে আরও কয়েক গুণ। যে কয়টি সড়ক যাত্রাবাড়ীর এ মোড়টিতে মিলেছে, তার সবগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। গতকাল বিকেল থেকে যানজট শুরু হলেও মূলত মঙ্গলবার সকালে এসে প্রকট আকার ধারণ করেছে তা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, যানবাহনের দীর্ঘ সারি চলে গেছে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, কাজলা থেকে শনির আখড়া, রায়েরবাগ ছাড়িয়ে মাতুয়াইল মেডিকেল পর্যন্ত। অন্যদিকে বাসাবো, কমলাপুর থেকে যানজট শুরু হয়ে যাত্রাবাড়ী মোড় পর্যন্ত ঠেকেছে। আবার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সড়কেও আছে যানজট। যাত্রাবাড়ী থেকে এপারে ঢাকার মধ্যে যানজট থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গাড়ি প্রবেশেও ব্যাঘাত ঘটছে। এজন্য মহাসড়কের ওই অংশেও যানজট সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে শনির আখড়া বা রায়েরবাগ এলাকা থেকে গুলিস্তানে চলাচল করা লোকাল গাড়ির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। পথে পথে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। এ ছাড়া গুলিস্তানসহ রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য শত শত মানুষকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মানুষের এ দুর্ভোগের সুযোগে ভাড়া কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। ২০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। শনির আখড়ার দনিয়া কলেজের সামনে সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেশ কয়েকজন লোক। গুলিস্তান যাবেন তারা। জাকির হোসেন নামে তাদের মধ্য থেকে একজন বলেন, এত যানজট, অথচ গুলিস্তানের গাড়ি পচ্ছি না। দু-একটা গাড়ি আসছে তা-ও সিটিং। ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে। কথা হয় গুলিস্তান-রায়েরবাগ রুটে চলাচলকারী শ্রাবণ পরিবহনের একজন কর্মীর সঙ্গে। তিনি জানান, ঈদের কারণে লোকাল গাড়িগুলো দূরের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে গেছে, তাই গাড়ি কম। এদিকে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে ঢাকা ছাড়তে পোস্তগোলা সড়কেও দেখা গেছে ভোগান্তির চিত্র। সড়কের জট ছড়িয়ে পড়েছে ফ্লাইওভারেও। পোস্তগোলা সড়কে যেতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে দেখা গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বুধবার বা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। 
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৪

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজ সকাল থেকেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঈদে ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানবাহনের বাড়তি চাপে থেমে থেমে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।  এতে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা থেকে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কে, জিরানী বাজার এলাকা ও চন্দ্রা থেকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী বাজার এলাকা পর্যন্ত ও চন্দ্রা থেকে যমুনা সেতুগামী গোড়াই পর্যন্ত গাড়ির সারি লক্ষ্য করা যায়।  এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক বাস যাত্রী বলেন, গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত বাসে আসতে গিয়েই খুব কষ্ট হয়েছে। ৩০ মিনিটের রাস্তা আসতেই সময় লেগেছে ২ ঘণ্টার ওপর। দীর্ঘ সময় বাসে বসে থাকতেও বিরক্ত লাগছে। তবুও শত কষ্ট সহ্য করে বাড়ি যেতে পারলেই খুশি।  সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার দুপুরের পর থেকে গাজীপুর, কালিয়াকৈর, সাভার, আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের বেশিরভাগ শিল্প-প্রতিষ্ঠান সকাল থেকেই ছুটি হয়ে যাওয়ায় চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রীর তুলনায় পরিবহন না থাকায় চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে খাড়াজোড়া প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেকে আবার খোলা ট্রাকে করে বাড়ির পথে রওনা করেছেন। যদিও কোনো কোনো মোড়ের যানজট প্রায় কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হলেও যাত্রী ওঠা-নামা শেষে আবার মুহূর্তেই যানজট মিলিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব বলেন, চন্দ্রায় যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয় তার জন্য পুলিশ কাজ করছে। মহাসড়কের ওপর কোনো গাড়িকে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়াও বিকল হয়ে যাওয়া গাড়ি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে রেকার তৈরি রাখা হয়েছে। যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ি রেকারের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া যায়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত এই পথে গাজীপুর অংশে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩১

ট্রেনে ঈদযাত্রায় কোনো ভোগান্তি নেই : রেলমন্ত্রী
এবার ট্রেনে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‌‘হার পাওয়ার প্রকল্পের’ প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। রেলমন্ত্রী বলেন, এবার ঈদের আগে আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি, আমাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে এর চেয়ে ভালো ব্যবস্থা হতে পারে না। এবার টিকিট কালোবাজারি নেই। টিকিট নিয়ে যাত্রীদের কোনো অভিযোগও নেই। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ট্রেনে চলাচল করতে পারছেন। তবে ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে পারলে ভাল হতো। অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী সদর, বালিয়াকান্দি ও পাংশা উপজেলার ৭৫ জন নারী উদ্যোগতাকে ‘হার পাওয়ার প্রকল্পের’ আওতায়  ল্যাপটপ দেওয়া হয়। এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ (পিপিএম), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৫

‘ব্যবস্থাপনার ত্রুটি সারালে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমবে’
ঈদযাত্রার শেষ দিনগুলোতে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। এতো মানুষের চাপ মোকাবিলা করা কঠিন। তবে ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটিগুলো দূর করা গেলে ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে। এজন্য ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর সক্রিয় থাকতে হবে। ঈদের আগে পরে যেন কোনোভাবেই মহাসড়কে থ্রি হুইলার বা অযান্ত্রিক যানবাহন উঠতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন সেতু বা এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজাগুলোতে যেন ভোগান্তি না হয় তার কৌশল ঠিক করতে হবে। প্রয়োজনে ঈদের দু’একদিন আগে থেকে টোল ফ্রি করে দিতে হবে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে আরটিভির বিশেষ আয়োজন ‘ঈদে ঘরে ফেরা’ অনুষ্ঠানে আলোচকরা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দ আশিক রহমান। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, গণপরিবহন ও দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান এবং বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদের আগে-পরে লম্বা ছুটি থাকার কারণে এবার অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি মানুষ বাড়ি যাবে। ফলে ঈদের আগে ছুটি বাড়াতে বলেছিলাম, কিন্তু সরকার সেটি করেনি। তাই মানুষ ঈদের আগে মাত্র একদিন ছুটি পাচ্ছে। রাজধানী থেকে সড়ক, রেল ও লঞ্চসহ চারটি পথে একদিনে ২০ লাখের মতো মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারে। অতিরিক্ত যাত্রীপরিবহন করা হলে হয়তো সর্বোচ্চ ত্রিশ লাখ হবে। কিন্তু আমরা আশঙ্কা করছি আগামী ১০ এপ্রিল একসঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ লাখ লোক একসঙ্গে রাস্তায় নামবে। এদিকে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, বাস-ট্রাকের ছাদে কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। কিন্তু এতো লোক যখন রাস্তায় নামবে তখন কোনো ঘোষণাই কাজে আসবে না। এর অনিবার্যে পরিস্থিতি হিসেবে আমরা শতশত প্রাণহানি এবং ঈদযাত্রার পথে পথে ভোগান্তির আশঙ্কা করছি। তিনি বলেন, এ ছাড়া সড়ক পরিবহনের নেতারা, হাইওয়ে পুলিশ এবং বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু আমরা দেখছি, প্রকাশ্যে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় যদি বন্ধ না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষকে বাসের ছাদে, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে, কাভার্ড ভ্যানে চড়ে বাড়ি যেতে হবে। এতে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ঈদে প্রতিবছর অনেক মানুষ ঢাকার বাহিরে যায়। স্বাভাবিক কারণেই সবচেয়ে বড় চাপটা এসে পড়ে সড়কে। কারণ রেলে সবাইকে পরিবহন করতে পারবে না আবার সবাই বিমানে যেতেও পারবে না। আর নৌ পরিবহনকেও আমরা সম্পূর্ণ কাজে লাগাতে পারিনি। তাই মূল চাপটা সড়কে পড়ে আর বিভিন্ন জায়গায় যানজট সৃষ্টি হয়। শুধু কাঁচপুর থেকে সোনারগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তায় দেখবেন কিরকম ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হয়। ইন্দোনেশিয়ায় ৯ কোটি মানুষ ঈদে বাড়ি যায়। একসময় তাদেরও সমস্যা হতো। কিন্তু তারা বেশকিছু কাজ করেছে। পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া, দরিদ্র মানুষকে ফ্রিতে পরিবহন করে। এমনকি নৌবাহিনী জাহাজ দিয়ে সহযোগিতা করে। বিআরটিএ বা বিআরটিসি এমনটি করতে পারে কি না? আমাদের সেক্টর করপোরেশনগুলোর বাসগুলো পড়ে থাকে। আমরা সেগুলো নামাতে পারি কি না। এই বাসগুলোর কন্ডিশন ভালো এবং চালকারও দক্ষ। এ ছাড়া প্রত্যেকবার বলা হয় সেতু, ফ্লাইওভার ও সড়ক টোল ফ্রি রাখতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন রাখা যায় না? তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রার জন্য আমাদের একটা বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জটা নিয়েই আমাদের ঈদের সময়টা পার করতে হয়। তবে শেষসময়ে না এসে ঈদযাত্রা নিয়ে আমাদের অনেক আগে থেকেই চিন্তা করতে হবে। আমাদের রেলকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। আরও দ্রুতগতি সম্পন্ন রেল আনতে হবে।সড়কের আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। গণপরিবহন ও দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ঈদে আমাদের চাহিদার তুলনায় জোগান (পরিবহন) কম। আমরা হিসেব করে দেখেছি প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ বা ৩৫ শতাংশ মানুষের ঈদযাত্রার জন্য কোনো বিকল্পই থাকবে না। তারা বিভিন্নভাবে, ট্রেনের-বাসের ছাদে করে যেতে বাধ্য হবে। এসব মানুষের যাতায়াতের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা কী হবে, সেটি ভেবে দেখা দরকার।  আমাদের সরকারি-বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পরিবহন পুলে যেসব বাস রয়েছে, সেগুলো নিয়মিত মেরামত করা হয় এবং চালকরাও দক্ষ। এসব বাস নিয়ে যদি আমরা জোগান দেই এবং ঢাকা থেকে আনফিট গাড়িগুলো বের হতে না দিই, তাহলে সড়কে প্রতিবছর আমরা যে রক্তক্ষরণ ও যানজট দেখি তা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, প্রতিবছরই ঈদের আগে বলা হয়, লক্কড়-ঝক্কড় আনফিট গাড়ি মহাসড়কে নামতে দেওয়া হবে না। অথচ আনফিট গাড়িগুলো যে রাস্তায় নামানোর জন্য ঘষামাজা করে প্রস্তুত করা হচ্ছে সেখানে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া বলা হচ্ছে রুট পারমিটবিহীন গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। অথচ ইতোমধ্যে রুট পারমিটিবিহীন গাড়ি ঢাকা শহরে ঢুকে গেছে। তার মানে আমরা নীতি নিচ্ছি, কিন্তু পরবর্তী ব্যবস্থাপনাটা ঠিকভাবে করছি না। অন্যবার যে আমরা সরাসরি অবকাঠামোর উপর দোষ চাপাই এবার সেই সুযোগ নাই। কারণ আমাদের অনেকগুলো চারলেনের সড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে, ব্রিজ-কালভার্ট, সেতু হয়েছে। আমাদের নীতি ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কঠোর ও তৎপর হতে হবে। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে বের হওয়ার জন্য আমাদের ১১টি পথ রয়েছে। সেখান থেকে কয়েকটি পথ প্রধান। এগুলো হলো- গাবতলি, আব্দুল্লাহপুর এবং সায়েদাবাদ হয়ে পোস্তগোলা ব্রিজ ও সিলেট-চট্টগ্রামের দিকে। এসব জায়গায় আমরা ডিএমপির পক্ষ থেকে আমাদের চেষ্টা থাকবে যেন, সহজভাবে কোনো জ্যাম ছাড়াই গাড়িগুলো ঢাকা থেকে বের হতে পারে। এর জন্য অতীতের সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করে আমরা কিছু সমাধান বের করার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন জায়গায় কাজ চলছে। সবকিছু মাথায় রেখেই আমরা আমাদের পরিকল্পনা সাজিয়েছি যেন সব গাড়িকে আমরা সহজে ঢাকা থেকে বের হতে দিতে পারি। এ ছাড়া দুর্ঘটনা কমাতে লাইসেন্সবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি যেন চলতে না পারে সেই প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে। পাশাপাশি কেউ যেন অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাতে না পারে, সেজন্য স্পিডমিটার নিয়ে হাইওয়ে পুলিশ মাঠে থাকবে। আমরা সবাই আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় এবং সচেতন রয়েছি। অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, রেলপথে যাত্রা নিরাপদ করতে ইতোমধ্যে আমরা সব রুট পর্যবেক্ষণ করে যেখানেই সংস্কারের প্রয়োজন ছিল করেছি। আমাদের প্রতিটি ট্রেন যাত্রা শুরু করার দুই ঘণ্টা আগে ওই রুটের সিকিউরিটি চেক হবে। ট্রেন দুর্ঘটনা বা লাইনচ্যুত এড়ানোর জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ছাড়া কেউ যেন ট্রেনের ছাদে না উঠে সেজন্য আমরা মাইকিং করছি। যেসব স্টেশনে এক্সেস কন্ট্রোল নেই, সেসব জায়গায় আমরা বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি। যাত্রীরা ছাদে উঠলে যখন ওভারলোড হয়ে যায় তখন ট্রেনের শক এভজরবারগুলো ভেঙে যায় তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা কখনই চাই না কেউ ট্রেনের ছাদে উঠুক। তিনি বলেন, আমরা দশদিন আগে টিকিট বিক্রি করছি এ কারণেই যেন তাদের যাত্রা নির্বিঘ্ন হয়। ট্রেনের টিকিট না পেলেও যেন অন্য মাধ্যমে যেন বাড়ি যেতে পারে। কিন্তু যারা ঈদের একদিন আগে ছুটি পায়, সে তো ট্রেনের ছাদে চড়ার চেষ্টা করবেই। সে জন্য আমরা যাত্রীদের সচেতন করতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, এ বছর আমাদের প্রস্তুতি অনেক ভালো। আমরা সারাদেশের মহাসড়কের ১৫৫টি যানজট স্পট চিহ্নিত করেছি। এসব স্পটে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। তার সঙ্গে পুলিশও থাকবে। পাশাপাশি জেলা সেচ্ছাসেবকসহ পরিবহনের লোকজনও মাঠে থাকবে। এভাবেই কিন্তু গতবারও আমরা কাজ করে সফল হয়েছি। গতবারের অভিজ্ঞতার আলোকে আশা করি এবারও আমরা সফল হবো, মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে। এজন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই। তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সাল থেকে আমরা ১১টি সেতুতে ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালু রেখেছি। ১০ শতাংশ ডিসকাউন্টও দিচ্ছি। তবে অনেকেই এটির সুবিধা নিচ্ছে না। আমাদের পরিকল্পনা এ বছর থেকেই মানুষকে ইটিসির সুবিধা নিতে বাধ্য করব। ইটিসি ছাড়া কোনো গাড়ি সেতু পার হতে পারবে না।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২৯

হজযাত্রীদের টিকিট ভোগান্তি নিয়ে বিমানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
ফ্লাইটের টিকিট নিয়ে হজযাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর রমনার পুলিশ কনভেনশন হলে আটাবের মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। বিদেশগামী যাত্রীদের টিকিটিং খাতে অসাধু পন্থা প্রতিরোধে আইন মেনে ব্যবসার জন্য আটাব সদস্যদের প্রতি আহ্বানও জানান ফারুক খান। এ ছাড়া টিকিটিং খাতে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেসব অসাধু ব্যবসায়ী গ্রাহকদের ভোগান্তির সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। অন্যথায় জনগণ ভোগান্তিতে পড়লে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ার করেন মন্ত্রী। আটাব নেতাদের তুলে ধরা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন বিমান মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আটাবের সভাপতি আব্দুস সালাম আরিফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৮

তুচ্ছ ঘটনায় সৈয়দপুরে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ, চরম ভোগান্তি
নিজেরা অপরাধ করে উল্টো ট্রাফিক পুলিশের ওপর দোষ চাপিয়ে জনগণকে জিম্মি বানিয়ে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছেন মোটর শ্রমিকরা। মিথ্যে অপবাদ ছড়িয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে ৩ ঘণ্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দুঃসহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়।  এমন ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে আড়াআড়িভাবে সড়কে বাস রেখে এ অবরোধ করে নীলফামারী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা। এতে সৈয়দপুর থেকে রংপুর, দিনাজপুর মহাসড়কসহ পার্বতীপুর, নীলফামারী, ডোমার, ডিমলা পথে বাস, ট্রাক, কার, মাইক্রো, মোটর সাইকেল, রিকশা, অটোসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।  জানা যায়, মেহেদী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি মিনিবাস রংপুর থেকে সৈয়দপুরে আসার পথে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে পুলিশ থামার সংকেত দেয়। কিন্তু চালক বুলবুল সেখানে গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত এগিয়ে আসে। এতে পুলিশ গাড়িটি আটকাতে মোটর সাইকেল নিয়ে পিছু করে। তা টের পেয়ে কিছু দূর এসে গাড়ির চালক বাস থামিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে কাগজপত্র চাইলে সুপার ভাইজার ও হেলপার তা দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদেরসহ গাড়িটি থানায় নিয়ে যায় এবং ড্রাইভারকে কাগজসহ এসে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে।  অথচ চালক বুলবুল পালিয়ে সৈয়দপুরে এসে জানায় হাইওয়ে পুলিশ অকারণে তার গাড়ি আটক করেছে এবং সুপার ভাইজার ও হেলপারকে মারধর করেছে। এতে উপস্থিত সকল মোটর শ্রমিকের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা তাৎক্ষণিক বাস টার্মিনালের তিন দিকের সড়কে মিনিবাস এলোমেলো ভাবে রেখে অবরোধের সৃষ্টি করে। ফলে মুহূর্তে চারপাশে প্রায় ২ শতাধিক যান আটকে পড়ে।  এতে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে হেটে টার্মিনাল এলাকা পার হয়। কাছের যাত্রীরা অপরপ্রান্তে এসে অটোরিকশা ও সিএনজি নিয়ে গন্তব্যে রওনা দেয়। কিন্তু দূরের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যেতে বের হওয়া প্রার্থীরা। তাছাড়া স্থানীয় লোকজনও চলাচলে সমস্যায় পড়েন। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সও আটকে পড়ে অবর্ণনীয় দুর্দশায় নিপতিত হয় রোগীসহ স্বজনরা।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২১:১৭

সাভারে তীব্র গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তি
গ্যাস নিয়ে দুশ্চিন্তা যেন কাটছেই না সাভারবাসীর। আবাসিক ও শিল্প গ্রাহক সবাই গ্যাস সংকটে পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। সারা বছর গ্যাস সংকট থাকলেও গত ১৪ দিনে তা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে শিল্প কারখানার উৎপাদনে ও ব্যক্তি জীবনে।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) সাভার ও আশুলিয়া ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এ বিষয়ে কথা হয় ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের গাজীরচট এলাকার বাসিন্দা এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে অনেক মানুষকে রান্না না করে বিভিন্ন হোটেল থেকে খাবার সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কেউ কেউ রান্নার জন্য বিকল্প হিসেবে রাইসকুকার, ইন্ডাকশন ও স্টোভ ব্যবহার করছেন। সাভার পৌরসভার সোবাহানবাগ এলাকার বাসিন্দা আহমেদ ফয়সাল বলেন, সারাদিনই বাসা-বাড়িতে গ্যাস থাকে না। সন্ধ্যার পর লাইনে কিছুটা গ্যাস পাওয়া যায় তবে তাতে রান্না সেরে রাখতে কষ্ট হয়। এ দিকে সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ১৫০০ এর মতো ছোটবড় শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার জেনারেটর বা বয়লার চালানোর জন্য ১৫ পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চিতে গ্যাসের চাপের ইউনিট) চাপের গ্যাস প্রয়োজন কিন্তু বর্তমানে তা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। কারখানা মালিকরা বলছেন, এ চাপ সংকটের কারণে বিকল্প পদ্ধতিতে চলছে কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম। এতে তাদের পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সাভারের আল মুসলিম গ্রুপের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আবু রায়হান জানান, প্রায় মাসখানেক ধরে আমাদের গ্যাস সংকট পোহাতে হচ্ছে। এতে করে আমাদের কারখানায় উৎপাদন চালিয়ে যেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।  এ ছাড়াও সিএনজি স্টেশনগুলোতেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত গ্যাস। দিনের বেলায় লাইনে গ্যাসের চাপ (প্রেসার) না থাকায় সারাদিনের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাত ১১টার পর থেকে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে ভিড় করছেন চালকরা। এ ব্যাপারে সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. খাদেম উদ্দিন বলেন, শীতের এ সময় গ্যাসের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। চাহিদা অনুপাতে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় এ সংকট তৈরি হয়েছে।  তবে দ্রুতই সংকট কেটে যাবে বলেও জানান তিনি। 
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৮

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাস্তায় অতিরিক্ত বাস ও অন্য যানবাহনের কারণে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে কাঁচপুর ব্রিজ থেকে শুরু করে দাউদকান্দি, কুমিল্লা, ইলিয়টগঞ্জ রুটে ভয়াবহ যানজট দেখা যায়। রাস্তায় নেই কোনো ট্রাফিক পুলিশ। আরও পড়ুন : বাংলাদেশের ভোট নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের সতর্কতা   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তিন দিনের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের চাপ ও অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চালকরা। এ ছাড়া নির্বাচনের কারণে ট্রাক-লরি চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় আজ ট্রাক লরির চাপ বেশি। এদিকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আরও পড়ুন : কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে আগুন   ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, একদিকে নির্বাচন অন্যদিকে হরতাল। এ ছাড়া দুইদিন বন্ধ থাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ ও অতিরিক্ত যানবাহনের পাশাপাশি প্রাইভেট যানবাহনের কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।    
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়