ভোক্তা অধিদপ্তর ও এসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও এসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স এন্ড ইম্পোর্টার্স অব বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সমঝোতা স্বারকটি স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান এবং এসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স এন্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক আশরাফুল আম্বিয়া।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিমার্ক এইচবি লিমিটেড ও হারলানের পরিচালক চিত্রনায়ক শাকিব খান।
অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, বিদেশি কসমেটিকসের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের তথ্য থাকে না এবং আমদানিকারক কর্তৃক এমআরপি (সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য) প্রদান করা হয় না। এছাড়াও কসমেটিকস পণ্যে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যা ভোক্তার ত্বকের ক্ষতি করছে।
তিনি বলেন, অধিদপ্তর ভোক্তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও সুরক্ষা প্রদান করে। এ ক্ষেত্রে দেশীয়ভাবে প্রসাধনী প্রস্তুতকরণ ও বাজারজাতকরণের উদ্যোগ আমরা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। কেন না এর মাধ্যমে দেশের বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে।
এসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স এন্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, মানসম্মত প্রসাধনী প্রস্তুতকরণ ও বাজারজাতকরণে দেশীয় উদ্যোক্তাদের এসোসিয়েশন অনুপ্রাণিত করবে।
চিত্রনায়ক শাকিব খান বলেন, মানুষ ভালোবেসে প্রসাধনী ক্রয় করে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য ভালোবাসার এ পণ্য যেন ত্বকের ক্যানসারের মতো বিভিন্ন রোগ না নিয়ে আসে। এ সমঝোতার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার কার্যক্রমের সূচনা হলো।
আলোচনায় ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালিত অভিযানে কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরা হয়। এসময় কসমেটিকস পণ্যের মোড়কে আমদানিকারকের তথ্য এবং সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উপাদান, পরিমাণ, ব্যবহারবিধি, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকা, প্রাইসগান মেশিনের সাহায্যে খুচরা বিক্রেতা নিজেই সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য প্রদান করা, আমদানিকারক কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য কেটে অধিক মূল্য লেখা, বিদেশি পণ্য নকল করে দেশের অভ্যন্তরে তৈরি করে বিদেশি পণ্য হিসেবে বিক্রয় করা হয়, নকল কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে সঠিক মানদণ্ড না থাকা এবং বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ ও অনুমোদনহীন ক্রিমসহ অন্যান্য কসমেটিকস বিক্রয় বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৩