• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
১২৫ প্রতিষ্ঠানকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করল ভোক্তা অধিদপ্তর
ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ১২৫ প্রতিষ্ঠানকে ১১ লাখ পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ভোক্তা অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরসহ দেশের সকল বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে তরমুজ, গরম মশলা এবং ঈদের পোশাকের বাজারের ওপর তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতে সাতটি টিম এবং অন্যান্য বিভাগীয় শহরসহ দেশের মোট ৪৯টি জেলায় একযোগে এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১১ লাখ পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার রক্ষায় অধিদপ্তরের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:৩২

তরমুজ বিক্রিতে ভোক্তা অধিদপ্তরের নির্দেশনা
তরমুজ পিস হিসেবে কিনে তা কেজি দরে বিক্রি না করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন। এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, তরমুজ বিক্রেতারা যেভাবে কিনবেন সেভাবে বিক্রি করতে হবে। কেউ যদি পিস হিসেবে কিনতে চায়, তাহলে কেজি দরে বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। তবে কোনো ব্যবসায়ী যদি তরমুজ কেজি হিসেবে কেনেন, তাহলে তিনি কেজি হিসেবে বিক্রি করবেন। কিন্তু এর সপক্ষে ওই ব্যবসায়ীকে অবশ্যই ভাউচার রাখতে হবে। যদি পাকা ভাউচার না থাকে, তাহলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে । তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী যদি তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি করেন, তখন যেন ভোক্তারা তা প্রত্যাহার করেন এবং আমাদের ভোক্তা অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করেন। তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেই বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ভোক্তা অধিদপ্তর। প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে এনে বাজারে কেজি হিসেবে বিক্রি করার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরে কারওয়ান বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। অভিযানে দেখা গেছে, ১১ কেজি ওজনের তরমুজ ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় কেনা। আর তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ কেজি হিসেবে ৭০০ টাকায়।
২১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৭

১০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করে ভোক্তা অধিকারের সম্মাননা পেলেন এরশাদ
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের নিয়ামতপুরের ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী এরশাদ উদ্দিন গত চার বছর থেকে প্রতি রমজানে ১০ টাকা লিটার গরুর দুধ বিক্রি করায় ভোক্তা অধিকারের সম্মাননা পেয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।  জানা গেছে, গত চার বছর আগে এরশাদ উদ্দিন নিজ এলাকায় জে সি অ্যাগ্রো ফার্ম নামে একটি খামার গড়ে তোলেন। তার খামারে বর্তমানে ২৫টি গরু দুধ দিচ্ছে। প্রতিদিন খামার থেকে ৭০-৭৫ কেজি দুধ উৎপাদিত হচ্ছে। গত চার বছর থেকে প্রতি রমজান মাসে সাধারণ মানুষের পুষ্টি চাহিদার কথা মাথায় রেখে নামমাত্র মূল্য ১০ টাকা কেজি ধরে দুধ বিক্রি করে আসছেন তিনি। রমজানের প্রথম দিন থেকেই প্রতিদিন বেলা ১১টায় খামার থেকে উৎপাদিত দুধ বিক্রি করা হয়। যেখানে নিজ এলাকা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিম্ন আয়ের মানুষজন দুধ নিতে আসেন। সাধারণত বাজারে প্রতি লিটার দুধ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। যে কেউ তার খামার থেকে মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ১ লিটার দুধ কিনতে পারবেন। এরশাদ উদ্দিন বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত বেস্ট প্র্যাকটিসের জন্য আমাকে সম্মাননা দেওয়ায় আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে আমার দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসার গল্প। আমি খুব দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছি। আমি মুসলিম আমাকে মরতে হবে। কোনো স্বীকৃতি বা সম্মাননার প্রত্যাশায় আমি এই উদ্যোগ নিইনি। আমি সবসময় চেষ্টা করি গরিব অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য। ভালো কাজ করার জন্য যদি রাষ্ট্র বা সমাজ থেকে স্বীকৃতি পাওয়া যায় তাহলে সেটি আরও ভালো কাজ করার আগ্রহ বেড়ে যাবে। আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গা থেকে যদি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করি, তাহলে দেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেত পারব। তিনি বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আমাকে বেস্ট প্র্যাকটিস সম্মাননা প্রদান করেছে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভোক্তা অধিকারের সকলের প্রতি। এই সম্মাননা আমাকে পরবর্তী দিনে আরও ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতি, তারা আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের কাজগুলো দেশের মানুষের সামনের তুলে ধরেছেন। আমি আরও মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে আমার তৃপ্তি লাগে।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এরশাদ উদ্দিন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর রৌহা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেসি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫

ঈশ্বরদীতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৬ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
পাবনার ঈশ্বরদীতে তরমুজ, খেজুর ও ফলের দাম বেশি রাখার দায়ে ছয় প্রতিষ্ঠানকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন স্থানের কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন ফলের দোকানে দিনব্যাপী বাজার তদারকির অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালিত হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঈশ্বরদীর নতুনহাট গ্রীণ সিটি এলাকায় তরমুজের দাম বেশি রাখায় সততা ফল ভাণ্ডারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ঈশ্বরদী কাঁচা বাজার ও ফলের দোকানে পণ্যের বিক্রয় মূল্য প্রদর্শিত না থাকা, খেজুরে ওজন কম থাকায় আলমাছ ফল ভাণ্ডারকে দুহাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া রিপন স্টোরকে পাঁচ হাজার, উজ্জল সবজি দোকানিকে দুহাজার, সুমন স্টোরকে পাঁচ হাজার, ভাই ভাই সুইটস্কে পাঁচ হাজার এবং শফিক স্টোরকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি গণমাধ্যমকে বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ফলের চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে ঈশ্বরদী বাজার ও নতুনহাট গ্রীণ সিটি এলাকার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী। তারা চড়া দামে খেজুর, তরমুজ ও সব্জি বিক্রয় শুরু করেছে। এরকম ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান চলমান থাকবে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৩

টাকা ফিরে পেতে অপেক্ষা বাড়ছে ইভ্যালি গ্রাহকদের
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে লগ্নিকৃত টাকা ফিরে পেতে অপেক্ষা বাড়ছে গ্রাহকদের। কারণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটির টাকা ফেরত কার্যক্রম।   চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারী মোঃ রাসেলের টাকা ফেরত কার্যক্রম শুরুর ঘোষণায় আশা ফিরে পেয়েছিলেন হাজারো গ্রাহক। প্রথম দফায় ১৫০ জন গ্রাহক নিজেদের টাকা ফেরতও পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দ্বিতীয় দফায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচাক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামানের উপস্থিতে ফেরত দেওয়া হয়েছে ১০০ জন গ্রাহকের পাওনা। এরপরই আসে দুঃসংবাদটি।    ভোক্তা অধিকারের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে আয়োজিত পাওনা টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মহাপরিচাক জানিয়ে দেন, আজকেই হয়তো শেষবারের মতো ইভ্যালির অভিযোগ নিষ্পত্তি কিংবা টাকা ফেরত দেয়ার কার্যক্রম হচ্ছে। ইভ্যালির সব মামলা নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত হয়তো গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার এই কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলও। ভোক্তা অধিকারের ডিজি বলেন, গণমাধ্যমের নেতিবাচক খবর প্রকাশের জন্য রাসেলকে অনুষ্ঠানে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। যাদের অভিযোগ ২০ হাজার টাকার ভেতরে ধারাবাহিকভাবে তেমন ১০০ জনের টাকা আজ ফেরত দিচ্ছে ইভ্যালি।   এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত কার্যক্রম শুরুর সময় মোহাম্মদ রাসেল জানিয়েছিলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে যারা অভিযোগ করেছেন, তারাও টাকা ফেরত পাবেন এবং যারা করেনি তারাও টাকা পাবে। কিন্তু ইভ্যালি থেকে অর্ডার করে পণ্য না পেয়ে যারা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন এমন গ্রাহকরাই দ্বিতীয়বারেরর মতো টাকা ফেরত পেয়েছেন মঙ্গলবার। অধিদপ্তরে প্রায় ৭ হাজার ৫০০টি অভিযোগ রয়েছে এখনও।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫১

ভেজাল ওষুধ বিক্রির চেয়ে মাদকের কারবার ভালো : ভোক্তা অধিকার
মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছে দেশের একটি অসাধু চক্র। ভেজাল পণ্যের রমরমা কারবার থেকে বাদ যাচ্ছে না স্বাস্থ্য সেবার উপকরণও। নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ, ভুয়া চিকিৎসা সরঞ্জাম বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে ভরে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসি ও দোকানে। এমন সব নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রিকে মানুষ হত্যার মতো অপরাধ উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ভেজাল ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিক্রির চেয়ে মাদকের কারবার ভালো। একইসঙ্গে হুশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেছেন, যারা নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রি করছেন, তাদের লাইসেন্স অচিরেই বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হবে। এদেশে ডায়াবেটিস রোগী বাড়ছেই। আক্রান্ত রোগীদের জন্য সবচেয়ে জরুরি নিয়মিত ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করানো। ভোগান্তি এড়াতে অনেকে বিভিন্ন কোম্পানির ‘কুইক স্ট্রিপ’ কিনে ঘরে বসেই ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করেন। এর ওপর ভরসা করেই চিকিৎসা, খাদ্যগ্রহণসহ দৈনন্দিন জীবনযাপন করেন। অথচ প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির নকল হচ্ছে দেদার। নকল ডায়াবেটিকস স্ট্রিপসে সয়লাব বাজার। ফলে হাসপাতাল-ক্লিনিকে হরহামেশাই ডায়াবেটিকসের মাত্রা পরীক্ষার ভুলভাল রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে রোগীরা। এমন ঘটনা ৬ ফেব্রুয়ারি হাতেনাতে ধরেন ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।  যে স্ট্রিপগুলো বাজারে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার মধ্যে অন্যতম ‘আকু-চেক অ্যাকটিভ স্ট্রিপ’। অথচ এ স্ট্রিপটি চোরাইপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। এরপর রাজধানীর নয়াপল্টন, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন এলাকার প্রেস থেকে ব্যাচ নম্বর, বার কোডসহ মোড়ক তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে সেগুলো। আবার, বিদেশ থেকে অনুমোদন ছাড়া ডায়াবেটিস স্ট্রিপ দেশে এনে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নকল মোড়কে বাজারে ছাড়ছে ফার্মা সল্যুশনস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটির পাশাপাশি অন্যরাও এমন কাজ করছে কি না, তার অনুসন্ধান চলছে।  এরই ধারাবাহিকতায় নকল ডায়াবেটিকস স্ট্রিপ বিক্রয় প্রতিরোধে আমদানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে ভোক্তা অধিদপ্তর। রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও অংশ নেয়।  সভায় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচলক ডায়াবেটিস মাপার নকল স্ট্রিপ বাজারজাত করার কারসাজির ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ডায়াবেটিসের নকল স্ট্রিপ বিক্রি নিয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে আমাদের একটি টিম তদন্ত শুরু করে। এতে দেখা যায় যে, ফার্মা সলিউশন নামের ওষুধ বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এ স্ট্রিপ আমদানি করে বিক্রি করছে। আকু চেক অ্যাকটিভ নামের স্ট্রিপের মোড়কে ‘মেইড ইন জার্মানি’ লেখা। এটার উৎপাদক নাকি জার্মানির প্রতিষ্ঠান রোস।  সফিকুজ্জামান বলেন, সন্দেহ হবার পর লাজ-ফার্মা থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। লাজ-ফার্মাকে ডেকে আনা হয়। তারা জানায়, এটার আমদানিকারক ফার্মা সলিউশন। ঢাকায় ফার্মা সলিউশনের ৪-৫টা ডিপো রয়েছে। তেজকুনিপাড়ার ডিপোতে অভিযান চালানো হলো। কিন্তু তারা মুখে কুলুপ এটে বসলো।  আকু চেক স্ট্রিপ নিয়ে জার্মানির রোস কোম্পানির সঙ্গেও ভোক্তা অধিকারের যোগাযোগ হয়। প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে, তারা এ ব্যাচধারী কোনো স্ট্রিপ উৎপাদনই করেন না। তাহলে দেশের বাজারে এগুলো কোথা থেকে এলো, গায়েবিভাবে এলো কি না, এমন প্রশ্ন রাখেন ভোক্তার অধিকারের ডিজি।  তিনি বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে যেটা বেরিয়ে এলো, তা হলো এগুলো তারা লাগেজ পার্টির মাধ্যমে দেশে এনেছে। ভারত থেকে নকল এসব স্ট্রিপ কাপড়ের লাগেজের মধ্যে করে আসে। তারা শুধু স্ট্রিপ কৌটায় করে নিয়ে আসে। পরে নয়াপল্টনের প্রিন্ট ওয়ান নামের প্রেসে সব কারসাজি করা হয়। ফার্মাসি খাতে কারসাজি চরম হতাশাজনক উল্লেখ করে সফিকুজ্জামান বলেন, জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। আপনি জাল টাকা উৎপাদন করে যতটা না ক্ষতি করতে পারবেন, তার চেয়ে নকল ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে বেশি ক্ষতি হবে। এর চেয়ে খারাপ কাজ আর কিছু হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রি মানুষ হত্যার মতো অপরাধ। নকল মেডিকেল সামগ্রী বা ওষুধ বিক্রির চেয়ে মাদকের ব্যবসা করা ভালো। চাল-ডালের দাম বাড়ানোর থেকেও অনেক ভয়াবহ অপরাধ এটি। ডায়াবেটিস স্ট্রিপের ভুল রিপোর্টের ফলে ভুল চিকিৎসা পেয়ে মানুষ যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ফার্মা সলিউশনের প্রধান নির্বাহী পল্লব চক্রবর্তী ও প্রিন্ট ওয়ানের সত্ত্বাধিকারী লুৎফর রহমান। তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করেন এবং ক্ষমাও চান। পল্লব চক্রবর্তী নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপের প্যাকেটের বিষয়ে দায় স্বীকার করেন। তবে এ ঘটনায় তার প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মীকে দায়ী করেন। বিভিন্ন যুক্তিও দেন।   লুৎফর রহমান বলেন, ফার্মা সলিউশনকে আমরা বিশ্বাস করে কাজ নিয়েছিলাম। তাদের লেনদেন প্রক্রিয়াও ভালো। আমরা বিশ্বাস করে তাদের কাজ নিয়েছি। দুই ধাপে ১০-১২ হাজার টাকার প্রিন্টিংয়ের বিল পেয়েছি। এরপরও আমাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। তবে আমরা দায় এড়াতে পারি না।  মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী। তিনি বলেন, এলসি জটিলতার কারণে নকল স্ট্রিপ দেশে আসছে। কিন্তু সেটি রোগীর জন্য ভোগান্তি, যা এফবিসিসিআই সমর্থন করে না। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দায় এফবিসিসিআই নেবে না।  সভায় সবাই নকল স্ট্রিপ আমদানি, তৈরি ও বিক্রি প্রতিরোধের ওপর জোর দেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির দাবি করেন উপস্থিত সবাই। তারা বলেন, বিদেশ থেকে লাগেজের মাধ্যমে যে পণ্যগুলো ঢুকছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে এই বিষয়ে আরও মনোযোগী হতে হবে। মূল কাজটা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২১

‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার’
সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় এফডিসিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ে এক ছায়া সংসদে এ কথা জানান তিনি। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। রমজান মাসের চাহিদা বিবেচনায় এরই মধ্যে কয়েকটি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। তবে ভোক্তাপর্যায়ে এর সুফল পেতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানো হচ্ছে। বাজার মনিটরিংয়ের বিরুদ্ধে কোনো প্রভাবশালী মহলের চাপ নেই। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাসমূহ সমন্বিতভাবে কাজ করছে। বাণিজ্য কূটনীতিকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বাংলাদেশ কোনোভাবেই শ্রীলঙ্কা বা ভেনিজুয়েলা হবে না। তিনি আরও বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তরের যুদ্ধ চলবে। বর্তমানে বিশ্বে ৩৮তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। মানুষের কষ্ট লাগবে সরকার বাজার ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই মধ্যে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হয়েছে, যা পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে পর্যবেক্ষণ করবে। কেউই রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী নয়। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আমাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ কীভাবে যে জীবন ধারণ করছে সেটা কল্পনা করা যায় না। সাধারণ মানুষের সঞ্চয় তলানিতে নেমে দাঁড়িয়েছে। ধার-কর্জ করে চলছে। মানুষ কষ্টে আছে। মধ্যবিত্তরা দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে নীরব যন্ত্রণায় ভুগছে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা এখন কম লাভে সন্তুষ্টি পাচ্ছেন না। ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা ও অতিলোভ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। অসাধু ব্যবসায়ীদের কঠোর হাতে রুখতে হবে। দ্রব্যমূল্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আয় বাড়লে এবং কর্মসংস্থান তৈরি হলে ভোক্তাদের কষ্ট কম হয়। কিন্তু সবকিছুর দাম বাড়লেও মধ্যবিত্তের উপার্জন বাড়েনি। নতুন কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে বাজার সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্যকে উসকে দিচ্ছে।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৬

কম দামে মাংস বিক্রি করায় ক্ষোভে মামুনকে খুন করেন খোকন
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ভোক্তা অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি শুরু করায় খোকন ও মামুনের মধ্যে সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্ব। এর জের ধরে গত ২০ জানুয়ারি খোকন ছুরি দিয়ে মামুনকে কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান মামুন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত খোকনকে গতকাল রোববার মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ২০ জানুয়ারি দুপুরে রাজশাহীর বাঘা থানার আড়ানী বাজারে ন্যায্যমূল্যে গরু মাংস বিক্রি করায় একজন মাংস ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে অন্য এক মাংস ব্যবসায়ী। পরে স্থানীয় জনগণ তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে রাজশাহীর বাঘা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় র‌্যাব-৫ ও ৮ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমান খোকনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত খোকন রাজশাহী বাঘার মৃত খোদা বক্সের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন হত্যাকাণ্ডে নিজের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছেন তিনি। কমান্ডার মঈন আরও বলেন, ভুক্তভোগী মামুন খোকনের নিকটআত্মীয়। তারা আড়ানী বাজারে একসঙ্গে গরু মাংস বিক্রি করতেন। সম্প্রতি ভোক্তা অধিদপ্তর, মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্মিলিত বৈঠক করে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে আলাদাভাবে মাংস বিক্রির ব্যবসা আলাদা করে মামুন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। নির্ধারিত ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি শুরুর পর তার দোকানে ক্রেতা বেড়ে যায়। অন্যদিকে বেশি দামে মাংস বিক্রির কারণে খোকনের দোকানে কমে যায় বিক্রি। তিনি বলেন, নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করা নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি খোকন ও মামুনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে খোকন মাংস কাটার ছুরি দিয়ে মামুনকে প্রকাশ্যে পেটে ও বুকের ডান পাশে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যান। খোকন পালিয়ে প্রথমে রাজশাহীর তাহিরপুরে তার এক আত্মীয় বাড়িতে অবস্থান করেন। পরে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় তার পূর্বপরিচিত এক বন্ধুর মাধ্যমে সেখানে ড্রেজার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে থাকেন। তিনি আরও বলেন, খোকন মাংস ব্যবসার পাশাপাশি মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। খোকনের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় মাদক মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে চারটি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় জেলও খেটেছেন তিনি।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৩

অবৈধভাবে ধান মজুত করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
জয়পুরহাটে অবৈধভাবে ধান মজুত করার অপরাধে লোকমান আলী নামে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার শুক্তাহার এলাকায় র‌্যাবের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   তিনি জানান, র‌্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাদ্য দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে একটি  গোডাউনে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোডাউনে প্রায় সাড়ে ৩শ’  মেট্রিকটন ধান মজুদ অবস্থায় পাওয়া গেছে। ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ না থাকায় এবং অবৈধভাবে ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে গোডাউনে ধান মজুদ রাখার দায়ে ব্যবসায়ী লোকমান আলীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে গোডাউনে মজুদকৃত ধান খোলাবাজারে বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়। এ সময় জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. শেখ সাদিক ও সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৯

ভোক্তা অধিদপ্তর ও এসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর 
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও এসোসিয়েশন অব  স্কিনকেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স এন্ড ইম্পোর্টার্স অব বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সমঝোতা স্বারকটি স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান এবং এসোসিয়েশন অব  স্কিনকেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স এন্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক আশরাফুল আম্বিয়া। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিমার্ক এইচবি লিমিটেড ও হারলানের পরিচালক চিত্রনায়ক শাকিব খান।   অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, বিদেশি কসমেটিকসের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের তথ্য থাকে না এবং আমদানিকারক কর্তৃক এমআরপি (সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য) প্রদান করা হয় না। এছাড়াও কসমেটিকস পণ্যে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যা ভোক্তার ত্বকের ক্ষতি করছে। তিনি বলেন, অধিদপ্তর ভোক্তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও সুরক্ষা প্রদান করে। এ ক্ষেত্রে দেশীয়ভাবে প্রসাধনী প্রস্তুতকরণ ও বাজারজাতকরণের উদ্যোগ আমরা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। কেন না এর মাধ্যমে দেশের বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। এসোসিয়েশন অব  স্কিনকেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচার্স এন্ড ইমপোর্টার্স অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, মানসম্মত প্রসাধনী প্রস্তুতকরণ ও বাজারজাতকরণে দেশীয় উদ্যোক্তাদের এসোসিয়েশন অনুপ্রাণিত করবে।  চিত্রনায়ক শাকিব খান বলেন, মানুষ ভালোবেসে প্রসাধনী ক্রয় করে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য ভালোবাসার এ পণ্য যেন ত্বকের ক্যানসারের মতো বিভিন্ন রোগ না নিয়ে আসে। এ সমঝোতার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার কার্যক্রমের সূচনা হলো। আলোচনায় ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালিত অভিযানে কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরা হয়। এসময় কসমেটিকস পণ্যের মোড়কে আমদানিকারকের তথ্য এবং সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উপাদান, পরিমাণ, ব্যবহারবিধি, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকা, প্রাইসগান মেশিনের সাহায্যে খুচরা বিক্রেতা নিজেই সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য প্রদান করা, আমদানিকারক কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য কেটে অধিক মূল্য লেখা, বিদেশি পণ্য নকল করে দেশের অভ্যন্তরে তৈরি করে বিদেশি পণ্য হিসেবে বিক্রয় করা হয়, নকল কসমেটিকস পণ্যের ক্ষেত্রে সঠিক মানদণ্ড না থাকা এবং বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ ও অনুমোদনহীন ক্রিমসহ অন্যান্য কসমেটিকস বিক্রয় বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।  
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়