• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ
বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় প্রায় ২ হাজার ৭৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও যুক্তরাজ্যে তিনি ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে গড়ে তুলেছেন রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে লন্ডনের উত্তর-পশ্চিম এলাকায় একটি প্রপার্টি ১১ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে একদমই কাছে অবস্থিত ওই প্রোপার্টিটি যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের সবথেকে ধনী এলাকায় অবস্থিত। এই প্রপার্টির মালিক বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বর্তমানে ওই প্রোপার্টির দাম ১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি।  বাংলাদেশে যে মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে, এর অধীনে কোনো নাগরিক, বাসিন্দা ও সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি দেশের বাইরে পাঠাতে পারেন না। এ ছাড়াও নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ ও অনুমোদন ছাড়া কোনো করপোরেশনও বিদেশে অর্থ স্থানান্তর করতে পারে না। ২০১৬ সাল থেকে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি প্রোপার্টির রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। এসব প্রোপার্টির মধ্যে রয়েছে লন্ডনের একদম কেন্দ্রে থাকা বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টও। ইংল্যান্ডের সবথেকে বড় বাংলাদেশি কমিউনিটির বাস এই টাওয়ার হ্যামলেটসেই। লিভারপুলে কিছু ছাত্রাবাসও রয়েছে তার। গত ডিসেম্বরে প্রাক-নির্বাচনী ঘোষণায় সাইফুজ্জামান তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫৮ দশমিক তিন মিলিয়ন টাকা (দুই দশমিক চার মিলিয়ন ডলার) এবং তার স্ত্রী রুখমিলা জামানের মোট সম্পদের পরিমাণ নয় লাখ ৯৩ হাজার ডলার বলে জানান। তিনি বাংলাদেশে সম্পদের ঘোষণাপত্রে তার যুক্তরাজ্যের সম্পদের পরিমাণ দেখাননি। মন্ত্রী হিসেবে ২০২২-২৩ সালে তার বেতন প্রায় ১০ হাজার পাউন্ড হিসাবে দেখানো হয়। যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর প্রায় আড়াইশ প্রপার্টির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে ব্লুমবার্গ। যখন এই প্রপার্টিগুলো কেনা হয়, তখন যুক্তরাজ্যজুড়ে তীব্র আবাসন সংকট চলছিল এবং এর ৯০ ভাগই ছিল সদ্য তৈরি নতুন বাড়ি। এই লেনদেনগুলি এমন একটি সময়ের মধ্যে ঘটেছিল যখন বৃটিশ সরকার বিদেশি সম্পত্তির মালিকানাকে আরও স্বচ্ছ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হকের সঙ্গে কথা বলছে ব্লুমবার্গ। মেজবাউল হক সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য না করে বলেন, ‌‘বাংলাদেশে বসবাসরত অবস্থায় একজন ব্যক্তির বিদেশে সম্পদ অর্জনের কোনো বিধান নেই। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, আমরা ব্যক্তিদের এ ধরনের কিছু করার অনুমতি দিই না।’ ব্লুমবার্গ তাদের প্রতিবেদনে উল্লিখিত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, যাদের মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর জন্য সম্পত্তি কেনার সঙ্গে জড়িত আর্থিক সেবা ও আইনি প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে। যে সংস্থাগুলো এর জবাব দিয়েছে তারা জানায়, এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। তবে বাণিজ্যিক গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিস্তারিত মন্তব্য দেয়নি তারা। বাংলাদেশের বাইরে তার সম্পত্তির মালিকানা বা তার সম্পদের ঘোষণা নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে ব্লুমবার্গ কোনো সাড়া পায়নি। তবে, ২০১৪ সালে ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমি খালি হাতে এসেছি এবং আমি খালি হাতে চলে যাব।’ পরে ২০১৯ সালে তিনি ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪০

কোনো দালাল আর থাকবে না : ভূমিমন্ত্রী
ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আর কোনো দালাল থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন নতুন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। একইসঙ্গে সব সরকারি খাস জমি রাষ্ট্রের দখলে নিয়ে আসা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেন, ‘কোন দালাল আর থাকবে না। যার কাছে কাজ, সরাসরি তার কাছে গিয়ে কাজ করে নিয়ে আসবে। আমরা দ্রুতই একটা নির্দেশ দেব, কেউ কাজ নিয়ে গেলে এটা হবে না, ও নেই, এ নেই- এসব বললে হবে না। কোনো সমস্যা থাকলে তাকে সুনির্দষ্টভাবে বলে দিতে হবে। কোনো কাগজ প্রয়োজন হলে তাকে লিখে দেবে।'    স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কেবল ঢাকায় বসে না থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে বেড়াবেন জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, সরকারি খাস জমি নিয়ে আসতে চাই রাষ্ট্রের দখলে। দখলদার যতো প্রভাবশালীই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিতে গড়ে তুলতে চাই পেপার লেস স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা, যাতে দফতরে গিয়ে ধরনা দিতে না হয় সাধারণ মানুষকে।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়