• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিতে হাইওয়ে পুলিশ ভূমিকা রাখছে’
হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা অব্যাহতভাবে মাদক ও মানবপাচার রোধসহ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকল্পে নিরলসভাবে নিয়োজিত আছেন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখছেন বলে জানিয়েছন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ‘সেবা সপ্তাহ ২০২৪’ পালন করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে হাইওয়ে পুলিশের সব সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান সরকারপ্রধান। একইসঙ্গে পরিবহনের সুরক্ষা নিশ্চিত করে দেশের রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল আত্মত্যাগ ও বীরত্বের স্বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে অকুতোভয় বীর পুলিশ সদস্যরা গড়ে তুলেছিল প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্ম উৎসর্গকারী দেশপ্রেমিক বীর পুলিশ সদস্যদেরকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম একজন নারী পুলিশ অফিসারকে জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে। সে সময় পুলিশের বাজেট বৃদ্ধি করা হয়, ঝুঁকি ভাতা প্রদান শুরু হয়, দ্বিগুণ রেশন প্রদান এবং পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়। জনবান্ধব পুলিশ প্রতিষ্ঠায় প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে ২০০০ সালে পুলিশ স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে গত ১৫ বছরে পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নতুন পদ সৃজন করে জনবল নিয়োগ করেছে। তাছাড়া, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, ট্যুরিস্ট, নৌ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, এন্টি টেররিজম ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটসহ বেশ কয়েকটি রেঞ্জ ও মেট্রোপলিটন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশ পুলিশকে একটি অত্যাধুনিক ও পেশাদার বাহিনীতে রূপান্তরিত করা হয়েছে।  তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবায় ৯৯৯ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক চালু ও বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, হাইওয়ে পুলিশকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে ৫০টি হাইওয়ে আউটপোস্ট নির্মাণ, আধুনিক যন্ত্রপাতি, যানবাহন ও জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সার্বক্ষণিক নজরদারি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড হতে চট্টগ্রাম সিটিগেইট পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার এলাকায় অত্যাধুনিক ডাটা সেন্টার ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সহকারে সিসিটিভি মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে মহাসড়কে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি হ্রাস পাবে ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও বৈদেশিক পণ্য রপ্তানি পরিবহনের সুরক্ষা নিশ্চিত করে দেশের রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী সততা, নিষ্ঠা ও মানবিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশকে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশিত ‘জনগণের পুলিশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।  এ সময় সরকারপ্রধান হাইওয়ে পুলিশ ‘সেবা সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৪

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আনসার সদস্যদের ভূমিকা পালনের আহ্বান
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ-২০২৪ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে এ বাহিনীর সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ বাহিনীর সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে আনসার সদস্যরা নিজেদের অস্ত্রাগারে রক্ষিত ৪০ হাজার থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ১২ জন বীর আনসার সদস্য মুজিবনগরের আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে, যা এ বাহিনীকে করেছে গৌরবান্বিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সাফল্যের অন্যতম অংশীদার। জনসম্পৃক্ত সুশৃঙ্খল এ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবার পরিকল্পনা, জনস্বাস্থ্য, দুর্যোগ মোকাবিলা, পরিবেশ রক্ষা, বৃক্ষরোপণ, নারী ও শিশুপাচার রোধ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অনবদ্য অবদান রাখছে। নারীর ক্ষমতায়ন, জনকল্যাণ ও উন্নত জাতি গঠনে প্রায় ৬১ লাখ সদস্যের এ বাহিনীর বহুমুখী উন্নয়নমূলক কর্মতৎপরতা সত্যিই প্রশংসনীয়। এছাড়াও খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এ বাহিনীর সদস্যরা অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এ বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাহিনীর সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক প্রবর্তন, পারিবারিক রেশন প্রদান, সাধারণ আনসারের রেশন সামগ্রীর পরিমাণ বৃদ্ধি, সাহসিকতা ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় পদক প্রবর্তন, কর্মকর্তাদের জন্য বিভিন্ন গ্রেডে নতুন পদ সৃজন, টিআইদের পদোন্নতি এবং কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যাটালিয়ন সদস্যদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও একটি বিশেষায়িত গার্ড ব্যাটালিয়নসহ নতুন আনসার ব্যাটালিয়ন গঠন, ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের স্থায়ীকরণের মেয়াদ হ্রাস এবং আনসার ব্যাটালিয়নের তিনটি পদবির বেতন গ্রেডের ধাপ উন্নীত করা হয়েছে। বাহিনীর অবকাঠামোসহ সর্বক্ষেত্রে আধুনিকায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে রেঞ্জ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ভবন নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো প্রয়োজনে এ বাহিনীর সদস্যরা আত্মনিবেদিত ও সদা তৎপর। ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে দায়িত্ব পালনকারী এ বাহিনীর সব সদস্যকে আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি’। শেখ হাসিনা বলেন, একক বাহিনী হিসেবে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫ লাখ ১৭ হাজার ১৪৩ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য নির্বাচনে মোতায়েন করা হয়েছিল। বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের শুরুতে মৃত্যুঝুঁকি উপেক্ষা করে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ, শ্রমিক সংকটকালে কৃষকের ফসল ঘরে তোলা, ত্রাণ বিতরণ এবং হাসপাতালে আগত রোগীদের সহায়তা প্রদান সহ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে নিবন্ধন কার্যক্রমে সহযোগিতা ও কোভিড-১৯ বিশেষায়িত হাসপাতালে দায়িত্ব পালনে এ বাহিনীর সদস্যদের সাহসী উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশ প্রেম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বাহিনীর সুনাম, ঐতিহ্য ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে দেশ ও জাতির শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে আরও অবদান রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন। সূত্র : বাসস  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৭

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী রাশিয়া
বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে ভূমিকা রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে এ আগ্রহের কথা জানান দেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্টিটস্কি।  আজ বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দ্বি-পাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও গম রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।  সাক্ষাৎকালে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। রাশিয়াকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা আছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী রাশিয়া।  এসময় দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় খাদ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি। বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশের জন্য রুশ রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।  বৈঠকে রাশিয়া থেকে গম আমদানির ব্যাপারেও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গম মূলত রাশিয়া থেকেই কেনা হয়। রাশিয়ায় অধিকাংশ গম উৎপন্ন হয় মূলত জুন-জুলাইয়ের দিকে। সেক্ষেত্রে আগামী অর্থবছরেই কিনতে হবে। তবে প্রস্তুতি শুরু হবে এপ্রিলে। তবে চাইলে এখনই চাহিদামতো আমাদানি করা যাবে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়