• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভুলের চোরাবালিতে বিএনপি : কাদের
লাগাতারভাবে ভুল নীতি ও ভুল কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে নিমজ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক বিবৃতে তিনি এই মন্তব্য করেন। কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি চরমভাবে দুর্দশাগ্রস্ত। ভুল রাজনীতির কারণে তাদের নেতাকর্মীরা হতাশাগ্রস্ত। ব্যর্থ বিএনপির উদ্ভ্রান্ত নেতাকর্মীরা জনগণের মাঝে হতাশার বীজ বপনের অপচেষ্টা করছে। তাদের সামনে কোনো স্বপ্ন নেই। তাই বিএনপির নেতারা ইতিবাচক কোনো কিছু দেখতে পায় না। বরং নেতিবাচক রাজনীতির মাধ্যমে দেশ ও জনগণের ক্ষতি সাধনে সর্বদা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে।   তিনি বলেন, বিএনপি এদেশের গণতন্ত্রের শত্রু ও আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত একটি সন্ত্রাসী দল। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, রাজনীতির মঞ্চে বিএনপির অবস্থান গণতন্ত্রের বিপরীত মেরুতে। সামরিক স্বৈরাচারের হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি গায়ে গণতন্ত্রের আলখেল্লা জড়ালেও ভেতরে অগণতান্ত্রিক প্রেতাত্মাকে ধারণ করে। তাই সাংবিধানিক ও নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। অগণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিভূ বিএনপি সর্বদাই গণতান্ত্রিক ও স্থিতিশীল পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তারা নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল।  তিনি বলেন, বিএনপির নীতি, আদর্শ ও কর্মপন্থা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থি। বিএনপি তাদের মজ্জাগত সন্ত্রাসকে রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে আড়াল করার অপচেষ্টা করে। কিন্তু তাদের স্বরূপ আজ জাতির কাছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত।  ওবায়দুল কাদের বলেন, কানাডার ফেডারেল আদালত কর্তৃক বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত হয়েছে। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী। বিবৃতিতে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৪

১৬৯ শিশুর ভর্তি বাতিল  / মাউশি-ভিকারুননিসার ভুলের বলি কোমলমতিরা
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১ম শ্রেণিতে অনিয়মে ভর্তি হওয়া ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে শুন্য আসনে ৭ দিনের মধ্যে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ছাত্রী ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুইদিন আগে হাইকোর্ট এই রায় দেন। উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশনা মেনে ১৬৯ শিশুর ভর্তি বাতিল করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে অনেক অভিভাবক তার সন্তানের ভর্তি বাতিলের নোটিশ পেয়েছেন। দুই মাস ক্লাস করার পর সন্তানের ভর্তি বাতিলের এমন খবরে মাথায় যেন বাজ পড়েছে তাদের। অভিভাবকদের দাবি, তারা কোনো ধরনের ছলচাতুরির আশ্রয় নেননি। অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমেও সন্তানকে ভর্তি করাননি। মাউশি ও ভিকারুননিসার ভুলে কেন তাদের শিশুসন্তানদের ভবিষ্যৎ এভাবে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের এই প্রশ্নের জবাব নেই ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষ ও মাউশি কর্মকর্তাদের কাছেও। তারা বলছেন, ত্রুটি হয়েছিল, নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছিল। অন্য দুজন অভিভাবক রিট করেছিলেন। উচ্চ আদালত সেটার সুরাহা করেছেন। তারা এখন আদালতের নির্দেশনা মানতে বাধ্য। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ২৩ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি স্কুলের ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করে। নীতিমালার ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স কমপক্ষে ৬ বছরের বেশি হতে হবে। সেই হিসাবে সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি। তবে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ, সর্বোচ্চ বয়সসীমা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। এরপর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভিকারুননিসা। প্রতিষ্ঠানটি প্রথম শ্রেণির জন্য ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জন্ম নেওয়া শিশুরা যোগ্য বিবেচিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে। পরে ২৮ নভেম্বর ঘটা করে রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারির আয়োজন করে মাউশি। লটারির মাধ্যমে আবেদনকারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঠিক করে দেওয়া হয়। এরপর যে শিক্ষার্থী যে প্রতিষ্ঠান পেয়েছে, তারা সেখানে নির্ধারিত দিনে কাগজপত্র নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হয়। তখন ভিকারুননিসা জানতে পারে মাউশি থেকে লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে জন্ম নেওয়া শিশুদের নামও রয়েছে। বিষয়টি মাউশিকে অবগত করে চিঠি দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। মাউশির পরামর্শে গত ২ ডিসেম্বর গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, সব সদস্য, শিক্ষক ও ভর্তি কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করে ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ। সেখানে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণ করা যেসব শিশু লটারিতে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে ২০১৫ সালের ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্ম নেওয়া ১৫৯ জন ছাত্রী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পায়। তবে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া পাঁচজনকে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচনা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন। এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক–২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী আদালতে হাজির হন। তিনি ভুল হয়েছে উল্লেখ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন আদালতে। তারপর মাউশি থেকে ভিকারুননিসাকে চিঠি দিয়ে ভর্তি বাতিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ভর্তি বাতিলের ফলে শূন্য হওয়া আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে আগামী সাতদিনের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুইদিন আগে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক বেলাল হোসাইন বলেন, ‘বর্তমানে আমি মাধ্যমিকে নেই। কলেজ বিভাগে দায়িত্বে আছি। তবে আমার সময়েই এটা ঘটেছে, তা সত্য। নীতিমালা অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সীরা প্রথম শ্রেণির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া শিশুর ভর্তির সুযোগ ছিল। কিন্তু ভিকারুননিসা ভুল করে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া শিশুদের যোগ্য বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেটা আমরা পরে সংশোধনও করেছি চিঠি দিয়ে।’ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জন্ম নেওয়া শিশুদের ভর্তি গভর্নিং বডি ও ভর্তি কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে হয়েছে। মাউশির পরামর্শে আমরা এটা (গভর্নিং বডির সভা) করেছিলাম। উচ্চ আদালত যেহেতু এ নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, এখন মন্তব্য করাটা আইনের লঙ্ঘন।  এদিকে ভর্তি বাতিলের খবরে শিশুরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। তারা কিছুতেই সন্তানের ভর্তি বাতিল মানতে পারছেন না। দুই মাস ক্লাস করার পর এখন সন্তানদের অন্য কোথাও ভর্তি করানোর চিন্তাও করতে পারছেন না বাবা-মা। মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের ভর্তি বাতিল না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে আইনি লড়াইয়েও নেমেছেন অভিভাবকরা। তবে, মাউশির উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) ও ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলছেন, ‘কার দোষ, কার ভুল এগুলো জিজ্ঞেস করে তো আর লাভ নেই। উচ্চ আদালত এটার বিহিত করে দিয়েছেন। এ নিয়ে কথা বাড়াতে চাই না। ভবিষ্যতে বিষয়টি (সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বয়স) নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রাখা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।’
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৪

অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন নিপুণ
চলচ্চিত্র শিল্পীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কার্যাবলী, দাবি পূরণে ও তাদের কল্যাণে অবদান রাখার জন্য গঠিত হয়েছে বিএফডিসি কেন্দ্রিক সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। ইলিয়াস কাঞ্চন সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি ও নিপুণ আক্তার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও এই সংগঠনের দুই বছর মেয়াদি কমিটির মেয়াদ শেষের দিকে ও নির্বাচন আসন্ন। বর্তমান কমিটির তত্ত্বাবধানে বলতে গেলে শেষ আয়োজন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজন। শনিবার (২ মার্চ) ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার প্রিয়াংকা শুটিং হাউজে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে দ্বি-সাধারণ সভায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি। এই সভায় সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করেছে বর্তমান কমিটি। তাছাড়া এই কমিটি দায়িত্ব পালন করার সময়কালে নানারকম অনিচ্ছাকৃত ভুল-ক্রটির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। সভায় চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার বলেন, আমরা অনেক জটিল কাজের সমাধানের চেষ্টা করেছি এবং অনেক সফলতাও পেয়েছি। কাজ করতে করতে ভুল-ক্রটি হয়ে থাকে। সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থী। তবে সেগুলো উপেক্ষা করে সামনের দিনগুলোতে আরও কাজ করতে চাই। প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন তিনি। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন প্রসঙ্গে নিপুণ বলেন, আপাতত বার্ষিক বনভোজন ২০২৪ সবাই মিলে উপস্থিত হয়েছি। আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা যেন আমরা সবাই ভালো থাকতে পারি।   পিকনিকের আগে দ্বি-সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে ৯নং একটি বার্তায় জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণা দেন। সেখানে তিনি আরও জানান, কোনো সাংগঠনিক দুর্বলতা না পেয়ে জনাব জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনি সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করায় গত বছর এপ্রিলের দুই তারিখে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করা হয় বলে অবগত করেন বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দুটি প্যানেলে নির্বাচন হবে। একটি হলো মিশা-ডিপজল প্যানেল অন্যটি অমিত হাসান-নিপুন প্যানেল। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনটি এপ্রিলের ১৯ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৫

আমাকে সারাজীবন ভুলের খেসারত দিতে হবে : ড. ইউনূস
দশ সপ্তাহের ভুলের খেসারত আমাকে সারাজীবন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২ মার্চ) বিবিসি বাংলা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে। আর সেখানেই তিনি এ দাবি করেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার রাজনৈতিক দল ‘নাগরিক শক্তি’ গঠনের উদ্যোগ ভুল ছিল। তখন সেনা সমর্থিত সরকারের অনুরোধের পরও সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেননি তিনি। পরবর্তীতে সবার অনুরোধে রাজনৈতিক দল খোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। উদ্যোগটি শুরুর পর ১০ সপ্তাহের মধ্যেই সেখান থেকে সরে আসেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ।  ওয়ান ইলেভেনের পর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন অধ্যাপক ইউনূস। তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে একটা রাজনীতির চেষ্টা চলছিল। সেসময় ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি দল গঠনের আলোচনাও ছিল জোরালোভাবে। সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে সব প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দেন তিনি। নোবেলজয়ী বলেন, সেসময় সেনাবাহিনী তো আমার কাছেই আসলো। তারা আমাকে বললো, আপনি সরকার প্রধান হওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আমাকে বলেছিল, বাংলার মসনদ আপনার হাতে। আপনি এটাতে বসেন। আমি বলেছি, না আমি তো বসবো না। আমি তো রাজনীতি করি না। আমি তো রাজনীতির মানুষ না। বার বার আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হলো। কখনো ভয় দেখানো হলো, কখনো উৎসাহ দেয়া হলো যে, এটা মস্ত বড় সম্মানের বিষয়। আমি প্রতিবারই জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছি এ দায়িত্ব গ্রহণ করবো না। তবুও আসার কথা বললো। কিন্তু আমার অবস্থান পরিবর্তন করবো না বলেই জানিয়েছিলাম। এমন পরিস্থিতিতে নাগরিক শক্তি নামে একটি দল গঠনের উদ্যোগের কথা তিনি জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, আমাকে নানা রকম চাপের মধ্যে ফেলা হলো। তখন আমি সবাইকে চিঠি দিলাম, সবার মতামত নিতে থাকলাম। পক্ষে বিপক্ষে নানা মত আসলো। তখন দলের নাম কী হবে সেটা নিয়ে কৌতূহল ছিল। আমি একটা নাম দিলাম নাগরিক শক্তি। পরবর্তী একটা সময় বলে দিলাম না আমি আর এ রাজনীতিতে নাই। আমি রাজনীতি করতে চাই না। তবে রাজনৈতিক দল গঠনের সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সম্প্রতি শেষ হলো বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনের টানা চতুর্থবারের মতো জয় পেয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আসছেন বলেও নানা বক্তব্য শোনা যাচ্ছিল দেশের রাজনীতিতে। তবে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জানান, ওই সময় যা শোনা যাচ্ছিল সবই ছিল গুজব। এসবের কিছুই জানতেন না বলেও দাবি করেন। নির্বাচনের পর সরকার গঠন হলেও তিনি মনে করেন, দেশে এখনও গণতন্ত্র নিয়ে এক ধরনের সংকট রয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা এখন গণতন্ত্রহীন অবস্থায় আছি। আমি ভোট দেই নাই। অনেকেই ভোট দেয় নাই। আমি তো ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। অনেকে পারে নাই। ভোট যদি আমি না দেই। অংশগ্রহণ যদি না করতে পারি। তাহলে সেটা কোন গণতন্ত্র? এটা শুধু মুখে বললেই হবে না। আমি যদি ভোটটা দিতে পারতাম, তাহলে তো বলতে পারতাম এটাই ঠিক। আমাকে তো কাউকে পাস করার জন্য চয়েজ দেওয়া হয়নি। তাহলে এটা কীসের গণতন্ত্র? পদ্মসেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ তোলেন অধ্যাপক ইউনূস প্রভাবিত করার কারণেই আটকে গিয়েছিল অর্থায়ন। এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনুসের বলেন, আমার বাধা দেওয়ার তো কোনো কারণ নাই। দেশের মানুষের স্বপ্ন পদ্মাসেতু। এটা বাধা দেয়ার প্রশ্ন আসছে কেন? বিশ্বব্যাংক তো আমার প্রভাবিত করার জন্য অপেক্ষা করে নাই। তারা তো বলছে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি হয়েছে এমন কারণ দেখিয়ে তখন বিশ্বব্যাংক বিভিন্নজনকে প্রকল্প থেকে সরানোর কথা বলেছে। সরকার তাদের সরিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত একজনকে সরাতে রাজি হলো না সরকার। তখন পরিষ্কারভাবে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, না সরালে টাকা দেবে না। সরকার তখন রাজি হলো না। তারা টাকা বন্ধ করে দিল। তাহলে এখানে আমাকে কেন দোষ দেওয়া হচ্ছে? পদ্মাসেতুর বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ হয়নি। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। তাতে সাজা হয়েছে। জামিনে আছেন একটি মামলার সাজায়। এর প্রভাব ব্যক্তি জীবনেও পড়ছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। আমার স্ত্রী একজন ডিমেনশিয়া রোগী। সে আমাকে ছাড়া কাউকেই চিনতে পারে না। তার দেখাশোনার দায়িত্ব সব আমার। এ অবস্থায় জেলে থাকতে হলে স্ত্রীর কী অবস্থা দাড়াবে? ড. ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অর্থপাচারসহ শতাধিক মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এসব মামলার কারণে আমার অনেক সময় ব্যয় করতে হয় আইনি লড়াইয়ে। আমি কোনও প্ল্যান-গ্রোগ্রাম করতে পারছি না। আমার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবার জন্য এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছে। গ্রামীণের এসব প্রতিষ্ঠান থেকে তারা কোনও বেতন-ভাতা নেন না। অবৈতনিকভাবে কাজ করেন সেখানে। এসব প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে আমি গেলাম। আমার সংসার গেলো। আমার ছেলে মেয়ের ভবিষ্যত গেলো। আমাকে দেখলে লোকে ভয় পায়। আমি আসামি মানুষ। গ্রামীণ টেলিকম এবং গ্রামীণ কল্যাণসহ আটটি প্রতিষ্ঠান জবরদখলের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন আমরা এখানে আছি। তবে ভবিষ্যতে কী হবে আমরা জানি না। হঠাৎ করে একদল লোক আমাদের এখানে আসলো। চেঁচামেচি করে ঢুকলো। নিয়মকানুন কিছু মানলো না। সবাইকে হুকুম দিতে আরম্ভ করলো। ড. ইউনূস জানান, তারা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে চিঠি আনার দাবি করে চেয়ারম্যান থেকে সবকিছু পরিবর্তনের কথা বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভীতসন্ত্রস্ত করে দিয়েছিল। এর মাধ্যমে এক ধরনের ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করলেও তিনি জানিয়েছেন, ‘দখলে আসা ব্যক্তিদের’ আর এখন ওই প্রতিষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে না। এখন কি জবরদখল অবস্থার অবসান হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপাতত তেমন কিছু আমরা চোখে দেখতে পারছি না। ভেতরে থাকলেও থাকতে পারে। আমরা তো জানি না পরের দিন কি হবে।’ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একটি প্রতিষ্ঠান ও একজন ব্যক্তির মধ্যে বৈরি সম্পর্ক কেন হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বলেন, এটা অদ্ভূত একটা বিষয় না? কী গভীর সম্পর্ক হওয়ার কথা ছিল। এখন সেই প্রতিষ্ঠানের নাম নিয়ে জঙ্গিভাবে হামলা করতে আসছে। কেন এমন হচ্ছে? ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব ছাড়েন অধ্যাপক ইউনূস। এর এক যুগেরও বেশি সময় পরে গত ফেব্রুয়ারিতে সেই গ্রামীণ ব্যাংক দখলের চেষ্টা চালায় একটি পক্ষ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নোবেল পুরস্কার আসলো। সবার মনে এত আনন্দ। বহুদিন এটা ছিল দেশের মানুষের মধ্যে। স্মৃতিটা গভীরভাবে গেঁথে গেছে সবার মনে। নোবেল তো এমন একটা জিনিস না যে এটা আমি আবিষ্কার করেছি। পৃথিবীর মধ্যে গ্রহণযোগ্য একটা জিনিস। এ বৈরি সম্পর্ক কাটাতে কোনও উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল কিনা? এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, না আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয়নি। আমাদের দিক থেকে সম্পর্কে কোনও ছেদ পড়েনি। ক্ষুদ্র ঋণের ধারণার মাধ্যমে সারাবিশ্বে সাড়া ফেলে গ্রামীণ ব্যাংক। অধ্যাপক ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ ধারণার কারণে তিনি ও গ্রামীণ ব্যাংক শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতে ২০০৬ সালে। কিন্তু এরপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বক্তব্যে তাকে সুদখোর বলেছেন বলেও বিভিন্ন সময় খবর প্রচারিত হয়েছে। এ বক্তব্য নিয়েও সাক্ষাৎকারে কথা বলেন তিনি। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা রক্তচোষা। ঠিক আছে আমরা না হয় সেটা। যখন ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ শুরু করেছি, তখন লোকে বলতো রক্তচোষা। এখন তো এ ব্যবসা সবাই করছেন। সরকারও করছে। সরকার টাকা দিচ্ছে। নিয়ম নীতি করে দিচ্ছে। এখন কে কার রক্ত চুষছে? আমাকে বহুবার সুদখোর বলা হয়েছে। খুব কষ্ট লাগে। যে লোকটা দেশের জন্য নোবেল পুরস্কার এনে দিলো, তাকে নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী এমন হেলা করবেন, অপমান করবেন- এটা তো কারো ভালো লাগার কথা না। এতে দেশের মানুষেরও ভালো লাগার কথা না। তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, একটা কথা বারবার বললে মানুষের মনে গেঁথে যাবে তো। মানুষ মনে করবে লোকটা তো খারাপ। দেশের অনিষ্ট করছে। মানুষ তো আমার দিকে তাকালে বলবে লোকটা সুদখোর, ধর তাকে। আমারও জানতে ইচ্ছা করে কেন তারা এ কথাগুলো বলে। এটা মানুষকে হেয় করা ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য তো দেখি না। অন্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংক সুদের হারের পার্থক্য তুলে ধরেন ড. ইউনূস। তিনি প্রশ্ন রাখেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ৭৫ শতাংশ মালিকানা তো সদস্যদের। তো সুদ যদি খেয়ে থাকে গরিব মানুষই খাচ্ছে, নারীরা খাচ্ছে। মাঝখান থেকে আমি সুদখোর হয়ে গেলাম কেন? আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কেন সুদখোর বলা হচ্ছে? গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার হলো সর্বনিম্ম। সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব মাইক্রোক্রেডিট অথরিটির কাছে। যেটা সরকারেরই প্রতিষ্ঠান।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৩

‘আ.লীগ সরকারকে ভুলের খেসারত দিতে হবে’
আওয়ামী লীগ সরকার অনেক ভুল করেছে, এজন্য তাদেরকে খেসারত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লা‌বের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ছেই। আজকে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হয় চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য। এটা ভাবতে পারেন! আসলে কোনো কিছুর ওপরই তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। নির্বাচনেও তারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ডামি প্রার্থী দিয়ে গণ্ডগোল লাগিয়েছে। আসলে পতনকালে এমন ভুল হয়। এই সরকার অনেক ভুল করেছে। এজন্য তাদেরকে খেসারত দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা জনগণের সঙ্গে আছি এবং জনগণও আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। তবে কিছু সময়ের প্রশ্ন থাকে। তাদের পতন হতেই হবে। খুব দ্রুত আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে মুক্ত হব। যারা কারামুক্ত হয়েছেন তারা রক্তাক্ত বাঘ। তাদের পায়ে তো শিকল পরানো যাবে না। আন্দোলনও বন্ধ হবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে। সম্প্রতি নির্বাচনের নামে যে খেলা হলো তা আমরা কেউই চাইনি। দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ এই খেলায় যুক্ত হয়নি। যারা ক্ষমতায় আছে বলে দাবি করে, তারা জোর করে ক্ষমতায় আছে। তারা জনগণের সরকার নয়। নিজেদের স্বার্থ বিকিয়ে অন্যের সাহায্যে ক্ষমতায় আছে। সরকার যেসব দেশের সহায়তায় ক্ষমতায় আছে তাদের প্রত্যেককে অবৈধ সুবিধা দিয়েছে। জনগণ এটা মানবে না। আন্দোলন আরও বেগবান এবং সফল হবে ইনশাআল্লাহ। সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার যা ইচ্ছা তাই করতে পারে না। ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো ভোট হয়নি। ওই ভোট আওয়ামী লীগকে ভেঙে দিয়েছে। এমনকি সেদিন দেশবাসী প্রমাণ করেছে যে, তারা নিরঙ্কুশভাবে এই সরকারকে ঘৃণা করে। আর সরকার বলছে তারা নাকি বিএনপিকে নিয়ে নয়, দ্রব্যমূল্য নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু সেটাতেও কিছু করতে পারেনি। কারণ, আওয়ামী লীগের চাপার জোর বেশি। তিনি বলেন, কদিন পরই রোজা। এ সময়েও ৪টি অতি নিত্যপণ্যের দামও কমেনি। আজকে সরকার ভয়ে আছে। তাদেরকে কেউ সমর্থন দেয়নি। তবে আমাদের লড়াই চালু আছে। আমাদের ডাকে লাখো জনতা রাস্তায় নেমেছে। কারণ, আমরা জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ে লড়াই করছি।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৫

সিটি জরিপ ও আরএস রেকর্ডে ভুলের সুনামি : হাইকোর্ট
‘সিটি জরিপ ও আরএস রেকর্ডে ভুলের সুনামি হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার একটি রাস্তা প্রশস্ত করনের মামলার শুনানি চলাকালে এমন মন্তব্য করেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ। মামলাটির বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো আদেশ অবশ্য দেননি হাইকোর্ট। পরবর্তীতে মামলাটি ফের শুনানির জন্য আসবে। বুধবার হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, সিটি জরিপ ও আরএস রেকর্ড ভুলে ভরা। এখানে যে ভুল করা হয়েছে তাতে সুনামি হয়ে গেছে। এই ভুল সংশোধন করতে ৫০ বছর লেগে যাবে। তবে, সিএস রেকর্ড সঠিক। এই রেকর্ডে যদি রাস্তা থেকে থাকে তাহলে আপনাকে ভবন ভাঙ্গতে হবে।  ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন অনুযায়ী এই জরিপের কাজ পরিচালিত হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে বর্তমানে চলমান জরিপকে বিএস খতিয়ান বা সিটি বলা হয়। যা এখনো সারা দেশে চলমান। শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতে বিএস খতিয়ানকে সিটি জরিপ বলা হয়। এই সিটি জরিপের আরেক নাম ঢাকা মহানগর জরিপ।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৮

বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে : কাদের
‘বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার (৩ জনুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াত এখন লিফলেট বিতরণ করছে। কিন্তু তাদের নেতিবাচক কর্মসূচি, নাশকতা, অবরোধ জনগণ অগ্রাহ্য করেছে। তারা ব্যর্থতা ও ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। এখান থেকে তারা বেরোতে পারছে না।  তিনি বলেন, বিএনপি বলছে সহিংসতা করবে না। কিন্তু তারা তো বলে একটা, করে আরেকটা। খবর পাচ্ছি, তারা ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে। এসময় নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যেখানেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে সেখানেই নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বা তাদের কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববাসী আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে একটা ভালো নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে। যেখানে জনমত বিজয়ী হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়