• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দর্শনার্থীদের ভিড়
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দর্শনার্থীরা (ভ্রমনপিপাসু) বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে দর্শনার্থী ছিল চোখে পড়ার মতো। সীমান্তের জিরো পয়েন্ট যেন পার্কে পরিণত হয়েছে। ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। ঈদের দিন থেকেই আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। ঈদের আনন্দ একে অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আসেন তারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হিলিতে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকলেও হিলি জিরো পয়েন্টে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। হিলির এপারে বাংলাদেশ, ওপারে ভারত। মাঝখানে সীমানা কাঁটাতারের বেড়া। ঈদের খুশিতে ভারতে থাকা স্বজনদের এক নজর দেখতে এবং জিরো পয়েন্ট দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে হিলি সীমান্তে এসেছেন কয়েকশ মানুষ। এখানে সরাসরি কথা না বলতে পারলেও দূর থেকে স্বজনদের দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন তারা। আবার কেউ জিরো পয়েন্ট দেখতে এসেছেন। জয়পুরহাট থেকে আসা রকিবুল ইসলাম, রত্না ইসলাম, আলেয়া বেগমসহ কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, আমাদের এখানে আসার মূল কারণ হচ্ছে জিরো পয়েন্ট দেখা। আমরা শুধু শুনি যে, হিলি একটি বর্ডার এলাকা। এখানে দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে। এখান থেকে ভারত দেখা যায়, সেই জন্য আমরা এখানে এসেছি। কাছ থেকে সীমান্ত দেখে অনেক ভাল লাগলো। স্মৃতি হিসেবে মোবাইলের মাধ্যমে ছবি উঠিয়ে রাখলাম।  দিনাজপুর সদর থেকে আমিরুল ইসলাম, আজাহারুল, সম্পা বেগমসহ কয়েকজন বলেন, ভারতে আমাদের আত্মীয় আছে। পাসপোর্ট না থাকার কারণে আমরা ভারতে যেতে পারিনি। ঈদের আনন্দে ঘুরতে হিলি সীমান্তে এসেছি। ঘুরতে পারবো সেই সঙ্গে ভারতে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গেও দেখা করতে পারবো। যদিও তাদের সঙ্গে কাছ থেকে কথা বা দেখা হচ্ছে না, তারপরও দূর থেকে আমরা দেখতে পারছি এবং ইশারায় কথা বলতে পারছি। এটাই আমাদের অনেক ভালো লাগছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদস্যরা বলেন, আমরা এখানে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব পালন করছি। কেউ যেন চোরাইপথে কিছু না নিয়ে যেতে পারে এবং অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ না করতে পারে সেদিকে আমরা নজর রাখছি। দুই দেশের মানুষ ঈদ উপলক্ষে দুপাশে ভিড় করেন। কেউ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন, আবার কেউবা হিলির জিরো পয়েন্ট দেখতে আসেন। আমরা বিজিবির সতর্ক অবস্থানে সব সময় থাকি এবং বর্তমানেও আছি। 
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৮

চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
ঈদুল ফিতরের দিনে রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও দুপুর ১টায় চিড়িয়াখানা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর কলাবাগান থেকে বাবার সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসছে নওরীন ও তার তিন বছরের ভাই সহেল। তারা সিংহ, বাঘ, পাখি, বানর ও অজগরসহ বিভিন্ন পশু-পাখির খাঁচা পরিদর্শন করেছে। পশু-পাখিদের সাথে সন্তানদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তাদের বাবা। নওরীন জানায়, বাবাকে অনেক দিন ধরে বলছিলাম। তাই তিনি ঈদের দিনে আমাদের ঘুরতে এনেছেন। খুব কাছ থেকে পশু-পাখি দেখে আমরা খুব খুশি। নওরীনদের মত হাজার হাজার শিশু কিশোর বাবা-মায়ের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছে। শুধু ছোটরা নয়, চিড়িয়াখানায় আজ এসেছেন নব দম্পতিরাও। তারা চিড়িয়াখানার মুহূর্তটাকে ক্যামেরাবন্দিও করতে ভুলছেন না।  এবারের যেমন ভিড়, অন্য বছরগুলোতে এমন দর্শনার্থীর ভিড় জমেনি। চিড়িয়াখানার ভেতরে এখন শতশত মানুষ গিজগিজ করছে। যেখানে যাবেন দর্শনার্থী আর দর্শনার্থী। টিকিট চেক করে প্রবেশ করাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন তারা। চিড়িয়াখানা প্রবেশের শুরুতেই প্রধান গেটে শতশত মানুষ। তারা লাইন ধরে প্রতিটি কাউন্টারে টিকিট কাটছেন এবং প্রবেশ করছেন। টিকিট ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। দর্শনার্থীদের  এদিন চিড়িয়াখানায় এতটাই ভিড় যে অনেকে বাচ্চাকে হারিয়ে ফেলছেন। দুপুর দেড়টার দিকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ মাইকে ঘোষণা করেছিলেন, জিসান নামে এক ছোট্ট শিশুকে পাওয়া গেছে। তার বাবার নাম মান্নান ও মা নাজমা। সন্তানটি কারো হয়ে থাকলে আপনারা তথ্য কেন্দ্রে চলে আসুন।     
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৯

শেষ মুহূর্তে মার্কেট-শপিংমলে উপচেপড়া ভিড়
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে রাজধানীর ছোট-বড় মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা।  সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চাঁদনি চক মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, মৌচাক মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে নিউমার্কেটের মূল অংশের ভেতরে। সরেজমিনে দেখা যায়, অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে ঘুরে ক্রেতারা পছন্দের জামা-কাপড়, পাঞ্জাবি-পায়জামা, শার্ট-প্যান্ট, জুতা, শাড়ি, থ্রিপিস, বাচ্চাদের কাপড় কিনছেন। বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, নারীদের শাড়ি, থ্রিপিসসহ বিভিন্ন পোশাক, জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানগুলোতে। মিরপুর থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা আব্দুস সালাম বলেন, অফিস খোলা থাকার কারণে এতদিন কেনাকাটা করতে পারিনি। এখন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নিউমার্কেট এসেছি। পাঞ্জাবি আর শাড়ি কিনব। বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখছি। আগামী দুইদিন আরো বেশি ক্রেতার উপস্থিতি হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। নিউমার্কেট ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি ডা. দেওয়ার আমিনুল ইসলাম শাহিন বলেন, এবছর বিক্রি নিয়ে কেউ হতাশ নয়। কমবেশি সবারই ব্যবসা হয়েছে। আবার ঈদের পরেই পহেলা বৈশাখ। সেজন্য ছোটখাটো কিছু গহনাপত্রও মানুষজন কেনাকাটা করেছে। আশা করছি এখনো যে সময়টুকু রয়েছে আরো ভালো বিক্রি হবে। এদিকে ঈদ উপলক্ষে মধ্যবিত্তের শেষ ভরসা হয়ে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাতের দোকানগুলো। শখ ও সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব মিল ঘটাতেই নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ ফুটপাতের দোকানগুলো। পান্থপথের ফুটপাতের দোকানের বিক্রেতা জসিম বলেন, যাদের আয়-রোজগার কম তারাই মূলত ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটা করেন। আমরাও সীমিত লাভে পণ্য বিক্রি করি। কারণ আমরা চাই সবাই আনন্দের সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করুক। ঈদে বিক্রিও ভালো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৭

সদরঘাটে  দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের ভিড়
পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছে নগরবাসী। রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। রোববার (৭ এপ্রিল) সরেজমিনে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বরিশাল, ভোলা ও চাঁদপুর যাওয়া জন্য ঘাটে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বিলাসবহুল লঞ্চ। লঞ্চগুলোতে দুপুর থেকে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যাত্রীদের উঠানোর জন্য হাঁকডাক দিচ্ছেন লঞ্চ শ্রমিকরা। ঈদযাত্রা শুরুর পর রোববার যাত্রীর চাপ তুলনামূলক অনেক বেশি ছিল। লঞ্চ শ্রমিকরা জানান, পদ্মা সেতুর প্রভাব না থাকায় চাঁদপুর রুটে শিডিউল অনুযায়ী চলছে লঞ্চ। ভোলা অঞ্চলের লঞ্চে দুপুর থেকে ভিড় করেছে যাত্রীরা। সকাল থেকে ভোলার বিভিন্ন রুটে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। রাত ৯টা পর্যন্ত বাকি লঞ্চগুলো ছেড়ে যাবে। তারা আরও জানান, ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের ভিড় বেড়েছে। আগামী দুদিন যাত্রীর চাপ থাকবে। রিশালের লঞ্চ ৯টা থেকে ছাড়া শুরু করে। এরই মধ্যে ডেকের যাত্রীরা জায়গা নিয়েছেন। কেবিনও বিক্রি হচ্ছে। সারাবছর তো যাত্রী তেমন হয় না। ঈদ উপলক্ষে চারদিন যাত্রীর চাপ থাকবে। ঈদ উপলক্ষে ভাড়া আগের মতোই আছে। অনেকে ২০ রমজানে অগ্রিম টিকিট কেটেছেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদিকে লঞ্চযাত্রীদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যাত্রীদের সেবায় ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও র‌্যাব নিয়োজিত রয়েছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৫

শেষ সময়ের ঈদ কেনাকাটায় উপচেপড়া ভিড়
আর কয়েক দিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাইতো ফুটপাত থেকে অভিজাত বিপণী বিতান, সর্বত্রই চলছে শেষ সময়ের কেনাকাটা। মানুষ সাধ্যের মধ্যে প্রিয়জনের জন্য কিনছেন পোশাক, জুতা, কসমেটিকস, অলঙ্কারসহ প্রয়োজনীয় নানা জিনিসপত্র। রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, আড়ং ও যমুনা ফিউচার পার্কে ঘুরে দেখা গেছে, কেনাকাটার ধুম লেগেছে। সব শ্রেণিপেশার মানুষ পছন্দমতো কিনছেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। তবে রয়েছে বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগও। নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, প্যান্ট কিনবো বলে এসেছিলাম। কিন্তু যে দাম শেষ পর্যন্ত কিনতে পারবো কিনা, তার ঠিক নেই। কারণ, অন্য সময়ে যে প্যান্টের দাম থাকে ৫৫০ টাকা তা এখন চাইছে ২২০০ টাকা। এইটা কোন কথা বলেন? একই সুর কলাবাগান থেকে বসুন্ধরা সিটিতে আসা গৃহিনী ফারজানারও। তিনি আরও বলেন, দাম অন্যান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি। তাই সবার জন্য হয়তো কেনাকাটা করা হবে না। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিক্রেতাদের ভাষ্য, দাম খুব বেশি চাওয়া হচ্ছে না। সবকিছুরই দাম বেড়েছে, সেই সঙ্গে পোশাকেরও। এর বাইরে কিছু না। সরেজমিনে দেখা গেছে, ভিড় শুধু পোশাকের দোকানগুলোতেই না। রয়েছে জুতা, অলংকার ও কসমেটিকসের দোকানেও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাসজুড়ে ঈদের কেনাকাটা থাকলেও এখনই এই শেষ মুহুর্তে মূলত উপচে পড়া ভিড় হয় প্রতিবারই। এবারও তাই হয়েছে। সময়-দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে বেচাবিক্রি। আশারাখি, চাঁদ রাত পর্যন্ত এভাবেই জমজমাট বেচাকেনা চলবে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫০

গাবতলীতে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
আর কয়েক দিন বাদেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে তাই গত কয়েক দিন ধরেই রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজ গন্তব্যে ছুটছে মানুষ। সেই ধারা অব্যাহত আছে আজও। সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে বাড়িফেরা মানুষের ভিড়। রোববার (৭ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই বাস টার্মিনালে ভিড় জমাচ্ছেন যাত্রীরা। হাতে বাড়ি ফেরার টিকিট। কারও কোনো অভিযোগ নেই। গাড়িও ছেড়ে যাচ্ছে যথাসময়ে।  কাউন্টার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা জানা যায়, যাত্রীরা এসে সহজেই টিকিট কাটতে পারছেন, কোনো সমস্যা বা ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। তবে যাত্রীর পরিমাণ তখনই বেশি হবে, যখন সরকারি ছুটি শুরু হবে। এখন যারা বেসরকারি চাকরি করেন, তারাই ঢাকা ছাড়ছেন।  কথা হয় ঝিনাইদহগামী যাত্রী জামানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাস টার্মিনালে এসে টিকিট কেটেছি। এতে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। একটু পরেই বাস ছাড়বে, ব্যাগ নিয়ে আপাতত অপেক্ষায় আছি। কুষ্টিয়াগামী যাত্রী মিলন মাহমুদের মুখেও একই কথা। ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছেন। গাড়িও এসেছে যথাসময়ে। ভোগান্তিহীন এই ঈদযাত্রায় যদি কেউ যথাসময়ে এসে কাউন্টারে উপস্থিত না হন কিংবা যাত্রা না করেন, অথবা যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করতে চান, তার কোনো সুযোগই থাকছে না এবার, এমনটাই মন্তব্য কাউন্টার সংশ্লিষ্টদের।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৫

ঈদযাত্রার পঞ্চম দিন / কমলাপুরে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনযাত্রার পঞ্চম দিনে কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেশ বেড়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাগ-ট্রলি নিয়ে নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন ঘরমুখো মানুষ। ট্রেন এলেই দ্রুত ট্রেনে উঠে পড়ছেন তারা। তবে, কারও কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন। যাত্রীদের প্রত্যাশা, সব সময় রেলওয়ে এমন সার্ভিস থাকলে টিকিট বিহীন যাত্রী কমে যাবে। কারওয়ান বাজারের বাসিন্দা তোফায়েল তার স্ত্রীকে নিয়ে ভোরেই কমলাপুরে এসেছেন। বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনে লালমনিরহাট যাবেন তারা। তোফায়েল বলেন, আমার বন্ধু আগেই আগাম টিকিট কিনে দিয়েছিল। এবার যাত্রীদের জন্য কমলাপুরে বস্থাপনা ভালো। চাঁপাইনবাবগঞ্জের যাত্রী নোমান গাজী বলেন, আজকে যাত্রীদের চাপ বেশি। তারমধ্যে গরমও আছে। কিছুটা কষ্ট হলেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার আনন্দই আলাদা। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী কাফি জমাদার বলেন, উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের জন্য ট্রেনই একমাত্র ভরসা। খুব সহজে অনলাইন থেকে টিকিট পেয়েছি। আশা করি তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না। রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৪টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ ছাড়া ২৫ শতাংশ টিকিট ভ্রমণের দিন যাত্রা শুরুর আগ মুহূর্তে স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।  এছাড়া ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফেরার জন্য গত ৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে। আজ (রোববার) বিক্রি হচ্ছে ১৭ এপ্রিলের টিকিট। ১৮ এপ্রিলের টিকিট ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে ৯ এপ্রিল।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২০

গরুর মাংসের কেজি ৫৯৫ টাকা, ক্রেতাদের ভিড়
কুড়িগ্রামের উলিপুরের পাঁচপীর বাজারে গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রির খবরে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। শুধুমাত্র কমদামে গরুর মাংস কেনার জন্য দীর্ঘ লাইনে  দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককে। ক্রেতারা কিনতে পারছেন সর্বনিম্ন ১০০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ১ কেজি মাংস। জেলার উলিপুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর বাজারে এ স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করছে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন।   বাজার দর থেকে কেজিতে ১২৫ টাকা কমে বিক্রি করা হচ্ছে এসব মাংস। এমনকি ৩০ টাকাতেও কেনা যাচ্ছে গরুর মাংস। কমদামে মাংস কিনতে সাধারণ ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। শনিবার প্রথম দিনে মাত্র দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয় ৩০০ কেজিরও বেশি মাংস। আসন্ন ঈদের আগে কমদামে এ মাংস কিনতে পেয়ে এসব মানুষ অনেক খুশি।  মাংস কিনতে আসা আমজাদ মিয়া জানান, বাজারের চেয়ে প্রায় ১২৫ টাকা কম দামে গরুর মাংস কিনতে পারছি। ভালো গরু জবাই করেছে। ঈদ পর্যন্ত বিক্রি করা হবে। আজ কিনেছি পরে আরও কিনতে আসব।  যতিনের হাট এলাকা থেকে আসা সবুর আলী জানান, এখানে ৫৯৫ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে এটা শুনে মাংস কিনতে এসেছি। আসলে সব সময় কমদামে মাংস বিক্রি করা হলে আমাদের জন্য ভালো হতো। সংশ্লিষ্টরা জানান, ভালোলাগা থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাড়াতে তারা স্বেচ্ছা শ্রমে কাজ করছেন। হাটে গরু কেনা থেকে মাংস বিক্রি পর্যন্ত তারা বিনা পরিশ্রমে কাজ করছেন।  স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাত হোসেন জানান, রমজান মাস এলেই গরুর মাংসের চাহিদা বেড়ে যায়। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে করে সাধারণ মানুষজন গরুর মাংস কিনে খেতে পারেন না। তাই ঈদের আগে গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ আয়োজন করা হয়েছে। ঈদের আগ পর্যন্ত বাজারের পাশাপাশি গ্রামেও ৫৯৫ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০০

তীব্র গরমেও রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়
ঈদের আগে শেষ শুক্রবারে কেনাকাটা জমে উঠেছে রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে। ঢাকায় আজ দুপুরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ অনুভূত হয়েছে। এই তীব্র তাপপ্রবাহ মাথায় নিয়েও ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত দেখা গেছে নগরবাসীকে। আর ঈদ কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে মার্কেটে মার্কেটে বুথ বসিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বিপণিবিতানগুলো ঘুরে দেখা গেছে। নিউমার্কেট, বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক ও মৌচাক মার্কেটসহ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। জানা গেছে, এদিন সকাল থেকেই এসব মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তবে জুমার পর তা বহুগুণে বেড়েছে। আর বিকেল থেকে সন্ধ্যার পরপর এই চাপ আরও বাড়ে। ফলে বিপণিবিতানগুলোতে পা ফেলার জায়গা পাওয়া ছিল কঠিন। ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের সবাইকেই ঘামে ভিজতে হয়েছে। উচ্চবিত্ত মানুষেরা ভিড় করছে বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক ও বেইলি রোডে। অপরদিকে, দামে স্বস্তি পেতে মধ্যবিত্তরা ছুটছেন মৌচাক, নিউমার্কেটের মতো মার্কেটগুলোতে। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আর চার থেকে পাঁচ দিন বাকি। আজ ছিল ঈদের আগের সর্বশেষ সাপ্তাহিক ছুটি, ফলে কেনাবেচা কয়েক গুণে বেড়েছে। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে যেসব মানুষ ঢাকা ছাড়বেন তারা কেনাকাটা করছেন। ফলে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের অনেক চাপ দেখা যাচ্ছে। এখন থেকে নিয়মিত এমনই থাকবে। একদম চাঁদ রাত পর্যন্ত লোকজন কেনাকাটা করবে। নিউমার্কেটে আসা ক্রেতা আঞ্জুমা খাতুন বলেন, তীব্র গরমে কষ্ট হচ্ছে, তবু কী কী করার আছে। মার্কেটে তো আসতে হবেই। বাচ্চাসহ সবার জন্য কেনাকাট লাগে। আরেক ক্রেতা শিমুল শাহারিয়ার বলেন, আমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি, ছুটি পেতে আরও দুই-তিন দিন। আজ শুক্রবার ছিল, তাই স্ত্রীকে নিয়ে আসলাম। দাম মোটামুটি আছে। কিন্তু গরম অনেক বেশি। বাধ্য হয়েই আসা। আর তো সময় বেশি নাই। কাপড় কিনতে আসা রাসেল খন্দকার বলেন, ঈদের আগে কেনাকাটা করা বেশ ঝামেলার। তবুও আসতে হয়েছে। আজ ছুটির দিন, এজন্য এসেছি। নিউমার্কেটের দোকানগুলোতে ক্রেতা সমাগমের পাশাপাশি রাস্তায় ফুটপাতে থাকা দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। মার্কেটের তুলনায় ফুটপাতের দোকানে জিনিসপত্রের দাম কম থাকায় এখানে অনেকেই কেনাকাটা সারছেন।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৪

কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড়
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রেনে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার জন্য এদিন ভোর থেকেই যাত্রীরা ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় করতে থাকেন। গত ২৫ মার্চ যারা ৪ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তারাই স্টেশনে ভিড় করছেন।  এদিন সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ১৫টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের।  রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা পোহাতে হয়নি। এবার কোনো ঝামেলা ছাড়াই ঈদে বাড়ি যাচ্ছি। সবমিলিয়ে ভালো লাগছে। আরেক যাত্রী রিয়াজ আহমেদ বলেন, টিকিট পেতে বা স্টেশনে কোনো ঝামেলা নেই। খুব একটা ভিড়ও নেই। নির্ধারিত সময়েই ট্রেন ছাড়ছে। এদিকে প্ল্যাটফর্মে যেন কোনো টিকিটবিহীন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্লাটফর্মের প্রবেশ মুখে ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারা (টিটিই) অবস্থান করছেন। তারা যাত্রীদের টিকিটের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) মিলিয়ে দেখছেন। যাদের টিকিট নেই, তারা কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার টিকিট সংগ্রহ করছেন। এ ছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য প্লাটফর্মের প্রবেশ মুখে ‍র‌্যাব, পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কন্ট্রোল রুম রয়েছে। এদিকে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে মানুষের ঢাকায় ফেরার জন্য ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে রেলওয়ে। বুধবার (৩ মার্চ) ১৩ এপ্রিলের আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়। রেলওয়ের সূচি অনুযায়ী, ১৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৪ এপ্রিল; ১৫ এপ্রিলের টিকিট ৫ এপ্রিল; ১৬ এপ্রিলের টিকিট ৬ এপ্রিল; ১৭ এপ্রিলের টিকিট ৭ এপ্রিল; ১৮ এপ্রিলের টিকিট ৮ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৯ এপ্রিল।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়