• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রমজানে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি কমাবেন যেভাবে
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ভিটামিন ডি’র প্রধান কাজ শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ করা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে সহজ আর দ্রুত কাজ করে সূর্যস্নান। নিয়মিত বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে ১৫ মিনিট সূর্যস্নান করা গেলে শরীরের ৭০ ভাগ ভিটামিন ডি’র চাহিদাই পূরণ হয়ে যায়।  শরীরে যদি ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থাকে তাহলে আস্তে আস্তে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। যাকে অস্টিওপরোসিস রোগও বলা হয়। পবিত্র মাহে রমজান মাস চলছে, এ মাসে সেহরির পর লম্বা সময় পর্যন্ত ঘুমাতে পছন্দ করেন অনেকেই। ফলে শরীরে সকালের রোদ না লাগায় ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থেকে যায়। পাশাপাশি এ সময় সারাদিনের খাবার ও পানীয় গ্রহণ বন্ধ থাকায়, খাদ্যাভাসও পরিবর্তন হয়।  চলুন জেনে নেওয়া যাক রমজানে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণের উপায়গুলো- ১. ভিটামিন-ডি গ্রহণ: আপনার শরীরে যদি সূর্যের আলো লাগানো সম্ভব না হয় বা ডিম খেতে না পারেন তাহলে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। ভিটামিন ডি সম্পূরকগুলো বিভিন্নভাবে পাওয়া যায়, যেমন ভিটামিন ডি-২ এবং ডি-৩ ট্যাবলেট বা পাউডার। এগুলো মুখে খেলে শীতকালে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা বাড়বে। তবে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ২. শরীরে রোদ লাগানো: খুব পুরাতন মনে হলেও পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি গ্রহণের সর্বোত্তম উপায় শরীরে সূর্যের আলো লাগানো। যাকে "সানশাইন ভিটামিন" হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। ভিটামিন-ডি সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসার পর ত্বকে সংশ্লেষিত হয়। সুতরাং, রোদে বের হওয়া ভিটামিন-ডি এর মাত্রা বাড়ানোর সবচেয়ে প্রাকৃতিক এবং কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি। যখন ত্বক সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসে, তখন এটি ভিটামিন-ডি৩ সংশ্লেষিত করে। ১০ থেক ৩০ মিনিট রোদে কাটালে আপনার দেহে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি অনেকটায় কমে যাবে। ৩. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ: ভিটামিন ডি বাড়ানোর অন্যতম ভালো উপায় হলো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ। ভিটামিন ডি’র চমৎকার প্রাকৃতিক উৎস হলো- স্যামন, ম্যাকেরেল ও টুনার মতো চর্বিযুক্ত মাছ। এছাড়াও ফোর্টিফাইড দুধ, কমলালেবুর রস এবং দইয়ের মতো শক্তিশালী খাবারও আপনার দেহে ভিটামিন ডি’র চাহিদা পূরণ করতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় মাছের তেল, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়ালে তা শরীরের ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণ করে। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের মতে, ভিটামিন ডি-এর সেরা খাদ্য উৎস হলো স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিনসহ তৈলাক্ত মাছ। অন্যান্য উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিমের কুসুম, লাল মাংস ও কলিজা। নিয়মিত ডিমের কুসুম খেলে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি কমে যাবে। ডিম সিদ্ধ বা অন্য যে কোনো উপায়ে খেলেও তা ভিটামিন-ডি বাড়াতে সাহায্য করবে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
২০ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৮

স্মৃতিশক্তি বাড়াবে ছোট্ট এই ফলের তৈরি দুধ! 
দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয়। বড় থেকে ছোট সবার জন্যই এ পানীয়টি অনেক উপকারী। হাড় মজবুত থেকে স্মৃতিশক্তি, সব জায়গায় প্রাধান্য রয়েছে দুধের। শিশুদের খাবারের তালিকায় এটি না রাখলে বহু পুষ্টিগুণ বাদ থেকে যায়। তবে শুধু গরুর দুধই নয়। পুষ্টিকর হতে পারে ফলের দুধও। শুনতে অবাক লাগলেও এমন একটি ফল রয়েছে যার দুধ খেলে বহু রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখা যাবে। শুধু তাই নয় শিশুদের সঠিক পুষ্টি জোগাবে এই অসাধারণ ফলের দুধ। স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধি বাড়াতে এর কোনও তুলনাই নেই।  এই দুধ ওমেগা -৩ফ্যাটি অ্যাসিড-যুক্ত, পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন ই এবং খনিজ। ভিটামিন ই একটি অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। যার কারণে বৃদ্ধ বয়সেও ত্বক তরুণ থাকে। একই সঙ্গে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজ হাড় ও দাঁত সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই ফল।  জেনে নিন কীভাবে এই বিশেষ দুধ তৈরি করবেন- এই দুধ যে ফল দিয়ে তৈরি হয়েছে তা হলো আখরোট। এটি একটি অত্যন্ত উপকারী ফল। এই ফল মস্তিষ্কের পুষ্টি জোগাতে অত্যন্ত সাহায্য করে। এ ছাড়াও বেশ কিছু উপকারী গুণ রয়েছে এই ফলের। আখরোটের দুধ তৈরি করতে আখরোট সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার ভিজানো আমন্ড ব্লেন্ডারে ভালো করে পিষে নিতে হবে। আমন্ড পিষে নেওয়ার পরে, প্রয়োজন মতো এতে এক থেকে দুই কাপ পানি যোগ করতে হবে। এবার এটি আবার ২ মিনিটের জন্য মিশ্রিত করতে হবে। ব্যাস তৈরি হয়ে যাবে আমন্ডের দুধ। এবার এই দুধ ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে। 
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৭

সুস্থ থাকতে যেভাবে খাবেন সবেদা-শাঁকালু
শীতের বাজার সবসময় বাহারি শাক-সবজি আর ফলে সুসজ্জিত হয়ে থাকে। যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই রঙিন। গাজর, বিট, বিনস, ব্রকোলি, টমেটো, ক্যাপসিকাম, শিম এসব যেমন একদিকে থাকে তেমনই অন্যদিকে থাকে কমলা, লেবু, আপেল, পেয়ারা, আঙুর, ডালিম-সহ একাধিক ফল। শীত মানেই ফল আর ফুলের মেলা। কমলা ছাড়াও শীতকালে আরও যে সব ফল বাজার মাতিয়ে রাখে তা হলো শাঁকালু, সবেদা। দেশি এই ফল খেতে যেমন ভালো তেমনই পুষ্টিগুণও অনেক।  মাটির নীচে হওয়া সাদা এই ফলটি খেতে ভালবাসেন অনেকেই। অনেকের আবার মনে ভয় থাকে বেশি খেলে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার। তবে সব মৌসুমের ফলই খাওয়া উচিত। জেনে নিন সবেদা-শাঁকালুর উপকারিতা- >> শাঁকালুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অদ্রবণীয় ফাইবার। যা হজমে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গ্যাস, অম্বলও হয় না। যাদের আইবিএস বা পেটের অন্যান্য কোনও সমস্যা রয়েছে তার জন্যেও খুব উপকারী হলো শাঁকালু। শাঁকালুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে সেই সঙ্গে হজম করতেও সাহায্য করে। যে কারণে শীতের দিনে যদি শুধুমাত্র ফল ডায়েট করেন তাহলে শাঁখালু অবশ্যই খাবেন নিয়ম করে। এতে তাড়াতাড়ি ফ্যাট কমবে। অল্পেই পেট ভরে যাবে। >> সবেদার মধ্যেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতে এই ফল পাওয়া যায় সবচাইতে বেশি। প্রাকৃতিক ভাবেই সবেদার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফ্রুকটোজ। এছাড়াও এই ফলের মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ই, সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যা চুল আর ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষাতেও খুব ভাল কাজ করে। এসব বাদ দিলেও সবেদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খুব ভাল উৎস। এছাড়াও সবেদা সহজপাচ্য। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ফসফরাসের খুব ভাল উৎস হল এই সবেদা। যে কারণে অন্য যে কোনও ফল খাওয়া হোক বা নাই হোক সবেদা, শাঁকালু অবশ্যই খাবেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়