• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ফেনীতে আল্লাহর ৯৯ নাম সম্বলিত ভাস্কর্য উদ্বোধন
ফেনী পৌরসভার নান্দনিক সৌন্দর্যের মধ্যে আরও একটি সংযোজন হলো আল্লাহ তা’আলার ৯৯টি নাম সম্বলিত ইসলামিক ভাস্কর্য।  রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের মিজান রোড়ের মাথায় (সোনালী ব্যাংকের সামনে) ইসলামিক ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। এ সময় চত্বরটির নাম করণ করা হয় শান্তি চত্বর। এমন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করে স্থানীয় সংসদ সদস্য বলেন, মিজান ময়দানে জেলার সব বড় বড় প্রোগ্রাম হয়। এখানে ঈদের জামাতসহ আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন হয়। সে ময়দানের সম্মুখে আল্লাহর নাম সম্বলিত এ শান্তি চত্বর নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।  তিনি বলেন, আমরা ধর্মপ্রাণ মুসলমান আমাদের জন্য এসব আবেগের। এমন ভাস্কর্য পৃথিবীর কোথাও নেই। এই প্রথম ফেনীতে এটি স্থাপন হয়েছে। ফেনীর মানুষ শান্তিতে বিশ্বাসী আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। এ সময় পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, ফেনী পৌরসভার অর্থায়নে ইসলামিক ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। মুসলিম দেশ হিসেবে ইসলামের বিভিন্ন নিদর্শন, আল্লাহ ও রাসূলের নাম মানুষের সামনে উপস্থাপন করা মুসলমান হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকে এই ভাস্কার্যটি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করি। এগুলো দেখে মানুষ যাতে আল্লাহ ও রাসূলের এবং ধর্মের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। এ ছাড়াও ফেনী পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ইসলামিক ভাস্কর্যের মাধ্যমে শহরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্দেশে কাজ করছি। আশা করছি, শহরের আরও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ইসলামিক নিদর্শন স্থাপনের মাধ্যমে মুসলিম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি এখান থেকে আরও বেশি উন্মোচিত হবে। এ ছাড়াও ভাস্কর্যটি ওপরে চারটি এলইডি জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল, বিভিন্ন ইসলামিক প্রোগ্রাম ও সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম প্রচার করা হবে বলে জানান তিনি। পৌরসূত্রে জানা যায়, ২ মাসে এর কাজ সমাপ্তি করেন নিউ স্মার্ট জেনারেল সার্ভিস নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই ভাস্কার্যটিতে ৭ হাজার এলইডি লাইট রয়েছে। এ সময় ফেনী আলিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, প্যানেল মেয়র জয়নাল আবেদিন লিটন হাজারী, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুর রহমান, ১২নং কাউন্সিলর হারুন মজুমদার, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কহিনুর আলম, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খালেদ খান, ফেনী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি সাইফুল্লাহ, কোর্ট মসজিদের খতিব মাওলানা মীর হোসেন, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মাদরাসা শিক্ষকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৭

‘২০২৪ সালেই সরকারের পতন হবে’
নির্বাচন বর্জন করে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষা এবং রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংগঠনটি নির্বাচন বর্জনের এই কর্মসূচি পালন করে। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বক্তব্য দেওয়ার পর মিছিল নিয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, এই সরকার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় শাসনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। দেশের সব বিরোধী দল ও জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ আধুনিক বাকশাল কায়েম করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলে ভারতের স্বার্থ বাস্তবায়ন করছে। ৭ তারিখের নির্বাচন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের নির্বাচন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে ৩ হাজারের অধিক বিচারবহির্ভূত হত্যা, ৭ শতের অধিক গুম, ৫০ লাখেরও বেশি মানুষকে মামলা করে পুরো বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। আমরা ছাত্র অধিকার পরিষদ জীবন দিয়ে হলেও দেশ ও জনগণের জন্য দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব। ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার এই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। এই সরকার বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসের একমাত্র নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মিথ্যা মামলায় আদালতে বিচারিক হয়রানি করে সাজা দিয়েছে, আমরা তার প্রতি সংহতি জানাই।  তিনি আরও বলেন, এই সরকার ছাত্রলীগকে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দখলদারিত্ব কায়েম করেছে। এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর এই ছাত্রলীগকে বাংলাদেশের মানুষ মীর জাফরের মতো ঘৃণাভরে স্মরণ করবে। জনগণ এই বাকশালী সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ২০২৪ সালেই সরকারের পতন হবে, ইনশাআল্লাহ। বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সাব্বির হোসাইন, নাহিদ উদ্দিন তারেক, নেওয়াজ খান বাপ্পি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, জোবায়রুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন অর্থ সম্পাদক প্রিয়ম আহমেদ, প্রচার সম্পাদক মো. আবু রায়হান সোহান, বিজ্ঞান সম্পাদক আখতারুজ্জামান সম্রাট, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আসাদ বিন রনি, উত্তরের সভাপতি আবির ইসলাম সবুজ, তিতুমীর কলেজ সভাপতি আফতাব মাহমুদ, ঢাকা কলেজ সভাপতি কামাল হোসেন সুমন সাধারণ সম্পাদক নজরুল করিম সোহাগসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়