• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ভালোবাসার দিনে ‘টাইম জোন লিভিং রুম সেশন’র যাত্রা শুরু
উন্মুক্ত মঞ্চে কিংবা সাজানো কোন সেটে নয়, বসার ঘরে বসে গান শোনার অনুভূতি নিয়ে এলো ‘টাইম জোন লিভিং রুম সেশন’। টাইম জোন এর পৃষ্ঠপোষকতায় রবীন্দ্রনাথের গানে ভালোবাসার দিনে যাত্রা শুরু হল এ সংগীত উদ্যোগের। পাভেল আরিনের সংগীত পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরায়ত প্রেমের গান ‘ভালোবেসে সখী’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কনা। ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ‘টাইম জোন লিভিং রুম সেশন’-এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয় গানটি। এর আগে গত ০২ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের অন্যতম আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান টাইমস স্কয়ারের একটি বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে মিউজিক্যাল প্ল্যাটফর্মটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। টাইমস স্কয়ারের বিলবোর্ডে এই প্রকল্পটির টিজার প্রকাশ করা হয় যেখানে দেখা যায় ৯ বাংলাদেশি শিল্পীকে যারা হলেন; ইমরান মাহমুদুল, ঐশী, কণা, মাশা ইসলাম, জাহিদ নিরব, মুজিব পরদেশি, ইনিমা রশ্নি, কাজল দেওয়ান ও সংগীত পরিচালক পাভেল আরিন। এই আইকনিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের শিল্পীদের মুখ দেখে ইতিমধ্যেই ইন্ডাস্ট্রি এবং সংগীত প্রেমীদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই আয়োজনের সহযোগি ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের আওতাধীন ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ড ঘড়ির অথরাইজড রিটেইল চেইনশপ ব্র্যান্ড ‘টাইম জোন’। পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং রিফাত আহমেদ। তিনি জানান, ‘লিভিং রুম সেশন’ মূলত ট্যালেন্টেড সংগীত পরিচালক পাভেল আরিনের ব্রেইন চাইল্ড। বাংলা গান ও সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে বাংলদেশের মিউজিককে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যেই আমরা ‘টাইম জোন’ এই উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি। এই উদ্যোগের সাথে থাকতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। ‘টাইম জোন লিভিং রুম সেশন’ এর পরবর্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে রিফাত আহমেদ বলেন, এই সিজনের গানগুলোর প্রোডাকশন সম্পন্ন হওয়ার পরে এসে আমরা সম্পৃক্ত হয়েছি, এটি আমাদের মাত্র শুরু, আশা করছি পরবর্তি সিজনগুলোতে একদম গ্রাউন্ড লেভেল থেকে আমরা একসাথে কাজ করবো এবং আরও বড় পরিসরে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্নতা গুরুত্ব দিয়ে ‘টাইম জোন লিভিং রুম সেশন’ কে নিয়ে আসা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলা গানের উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি নিজের মিউজিক ক্যারিয়ারের জন্য এই সঙ্গীত আয়োজনকে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক মনে করছেন পাভেল। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ছয় বছর বয়স থেকে মিউজিকের সাথে আছি। প্রায় দুই দশক ধরে জড়িয়ে আছি জনপ্রিয় ব্যান্ড চিরকুটের সাথে। সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছি অসংখ্য জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিউজিক প্লাটফর্ম ও কনসার্টের ভেতরকার মানুষ হিসেবে দেশি ও বিদেশি গুণী শিল্পীদের সাথে  নিবিড় ভাবে কাজ করার সৌভাগ্য  হয়েছে। সবসময় দেশের সংগীতকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে, নতুন কিছু শিখতে চেষ্টা করেছি। এখন সময় এসেছে নিজের ভাবনা গুলো মানুষের সামনে নিয়ে আসার।  আশা করি সবাই উপভোগ করবেন এই মিউজিক্যাল প্রজেক্টটি।’ প্রথম সিজনে নয়টি গানের মধ্যে আটটি রিমিক্স ও একটি মৌলিক গান রয়েছে বলে জানান পাভেল। ‘টাইম জোন লিভিং রুম সেশন’-অডিও প্রোডাকশান করেছে বাটার কমিউনিকেশন। গানগুলোর ভিডিও নির্মাণ করেছেন মারুফ রায়হান। পরিবেশনায় থাকছে মাশরুম এন্টারটেইনমেন্ট। নিয়মিত বিরতিতেই নতুন নতুন চমক নিয়ে প্রথম সিজনের গানগুলো প্রকাশিত হতে থাকবে। ‘‘টাইম জোন লিভিং রুম সেশন’’ ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল এবং স্পটিফাই সহ বিভিন্ন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম -এর মাধ্যমে সঙ্গীতপ্রেমীরা এই গানগুলো উপভোগ করতে পারবেন। বাংলা গানের প্রতি পাভেল আরিন আর টাইম জোনের এই ভালোবাসা ছুঁয়ে যাক কোটি শ্রোতার হৃদয়। কনা’র কণ্ঠে ‘টাইম জোন লিভিং রুম সেশন’-এর প্রথম গান রবীন্দ্রনাথের ‘ভালোবেসে সখী’। ঘুরে আসতে পারেন নিচের লিংকে https://www.youtube.com/watch?v=lYP041BsOkk ।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:২০

৪ তারকা দম্পতির ভালোবাসার ঘর
শোবিজে ঘর ভাঙা নতুন কিছু নয়। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বনিবনা না হলেই ডিভোর্সের পথে হাঁটেন তারকারা। সংসার টিকানোর চেয়ে ভাঙনের সংখ্যাটাই বেশি। তবে এর মাঝে ব্যতিক্রমও দেখা গেছে। এমন বেশ কয়েকজন তারকা আছেন, যারা দীর্ঘ সময় ধরে একজন জীবনসঙ্গীকে আকড়ে ধরেই বেঁচে আছেন। একসঙ্গে পথ চলছেন আজও।   শুধু তাই নয়, যুগ যুগ ধরে একই ছাদের নিচে কাটছে তাদের দিন। এমন উদাহরণ সৃষ্টি করা চারজন খ্যাতিমান শিল্পীকে নিয়ে আজকে ভালোবাসা দিবসের আয়োজন— রামেন্দু মজুমদার-ফেরদৌসী মজুমদার দুজনের মধ্যে বোঝাপড়াটাই দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাটানোর মূল বিষয় বলে মনে করেন খ্যাতিমান অভিনেতা, নাট্যনির্দেশক রামেন্দু মজুমদার। তিনি বলেন, পরস্পরের ওপর বিশ্বাস রাখা, শ্রদ্ধা রাখা, নির্ভরতা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এককভাবে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। তাহলেই জীবন ও সুন্দর হবে।   তিনি আরও বলেন, ভালোবাসা না থাকলে এতটা পথ একসঙ্গে পাড়ি দেওয়া সম্ভব নয়। ভালোবাসার আলাদা শক্তি আছে। বড় একটা শক্তি আছে। ভালোবাসা আছে বলেই তো সবকিছু এত সুন্দর। তবে তার মানে এই নয় যে, সবসময় বলতেই হবে আমি তোমাকে ভালোবাসি। কাজের মধ্যে দিয়েই তার প্রমাণ হয়ে যায়। আচরণের মধ্যে দিয়ে সেটা বোঝা যায়।  রামেন্দু মজুমদার বলেন, বহু বছর ধরে আমি আর ফেরদৌসী একসঙ্গে অনেক ভালো আছি। কোনো খেদ নেই, অতৃপ্তি নেই। জীবন নিয়ে, সংসার নিয়ে আমরা দুজনেই তৃপ্ত। অনেক সংগ্রাম করেছি। আনন্দের মধ্যে দিয়েই সংগ্রামটা করেছি দুজনে। ভালোবাসার মধ্যে দিয়েই সংগ্রাম করেছি। আমাদের জীবনে অনেক বাধা এসেছিল। সবকিছুকে পেরিয়ে এভাবেই ভালোবাসার মধ্য দিয়ে আমরা আজও একসঙ্গে আছি।  আবুল হায়াত-শিরিন হায়াত জনপ্রিয় অভিনেতা আবুল হায়াতের কাছে বিশ্বাস, সম্মান, ভালোবাসা, বোঝাপড়া—এই চারটি বিষয় সম্পর্ককে অনেক সুন্দর করে তোলে। তিনি বলেন, প্রথমত দুজন দুজনকে বিশ্বাস করতে হবে। বিশ্বাসের গভীরতা যত বেশি হবে, সংসার জীবন ততটাই শক্ত হবে। পাশাপাশি পরস্পরকে সম্মানও করতে হবে। সম্মান করলেই সংসারে বেশি সুখ আসে।  অভিনেতা আরও বলেন, ভালোবাসা ছাড়া একসঙ্গে দীর্ঘদিন কাটানো সম্ভব না। দুজন দুজনকে ভালোবেসেই বহুদূর পাড়ি দেওয়া সম্ভব। সেই সঙ্গে দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া থাকতে হবে। সেই বিশ্বাস আর ভালোবাসার মাধ্যমেই দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে আছি।  রফিকুল আলম-আবিদা সুলতানা প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম। বলেন, ভালোবাসার সত্যিকারের কোনো সংজ্ঞা হয় না। পৃথিবীতে শুধু আমরা নয়, কোটি কোটি মানুষ সংসার করছে। আমরা শোবিজে কাজ করি বলে মানুষ খোঁজখবর রাখছে।  তিনি বলেন, আমি মনে করি— সংসার ও ভালোবাসা আলাদা জিনিস। দুটো ভিন্ন। সংসারে আমরা আছি সংসারের প্রয়োজনে। সংসার চেয়েছি বলেই সংসার হচ্ছে। কারোটা টেকে, কারোটা টেকে না। সংসারটা আবার ভালোবাসার মতোই। ভালোবাসা শুধু দেওয়ার পাশাপাশি ভালোবাসা নিতেও হয়। ভালোবাসা হলো দেওয়া-নেওয়া। এক তরফা হলে হবে না। ভালোবাসা যখন দুজনের দিক থেকে হবে, তখনই সংসারজীবন সুন্দর হবে। পথ চলাটা সহজ হবে।    আজিজুল হাকিম-জিনাত হাকিম অভিনেতা আজিজুল হাকিম বলেন, পৃথিবীতে ভালোবাসার চেয়ে বড় শক্তি আর নেই। ভালোবাসা দিয়েই সবকিছু জয় করা সম্ভব। ভালোবাসা দিয়ে সবকিছু পাওয়া সম্ভব। আমিও আমার স্ত্রীকে ভালোবাসি, সন্তানদের ভালোবাসি, আপনজনদের ভালোবাসি। জীবনের প্রয়োজনেই ভালোবাসা দরকার। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্যও ভালোবাসা আর বিশ্বাস থাকা প্রয়োজন।   তিনি আরও বলেন, ভালোবেসে জীবন শুরু করেছিলাম। আজও ভালোবাসা আছে। বিশ্বাস আছে। শ্রদ্ধাবোধও আছে। সংসারজীবনে এগুলো দরকার। ভালোবাসার মতোই বিশ্বাস জিনিসটাও খুব জরুরি। বিশ্বাসহীনতার কারণেই যত সমস্যা। কাজেই এটার গুরুত্ব অনেক। আজিজুল হাকিম বলেন, মানুষ দীর্ঘকাল একই ছাদের নিচে কাটিয়ে দিতে পারবে, যদি বিশ্বাসটা বেশি থাকে। তার সঙ্গে যোগ হবে ভালোবাসা। তারপর আসবে অন্যকিছু। আমরা দুজন দুজনকে যথেষ্ট সম্মান করি। ভালোবাসি। বিশ্বাসও করি। এটা করতেই হবে একসঙ্গে চলতে গেলে। সত্য যেমন সুন্দর, ভালোবাসাও সুন্দর। ভালোবেসেই পাড়ি দেওয়া যায় একটা জনম। ভালোবেসেই কাটিয়ে দেওয়া যায় একই ছাদের নিচে।   
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০২

হনুফাদের ভালোবাসার গল্পটা অন্যরকম! 
  ৩৫ বছরের এক মা। নাম হনুফা। গাজীপুরের টঙ্গীতে অন্যের বাসায় কাজ করা হনুফার স্বামী শারীরিক প্রতিবন্ধী। দিবস ছাড়াই মানুষের সহজাত যে ভালোবাসা, তাতেই হনুফার কোলজুড়ে এলো এক ফুটফুটে সন্তান। অভাবের সংসারেও ভালোবাসা নামে। আবার সেই অভাবের কাছেই কখনও কখনও হার মেনে যায় ভালোবাসা। পৃথিবীর কোনো ভালোবাসাকেই স্বার্থহীন ভালোবাসা বলা না গেলেও, সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা ভিন্ন ব্যাকরণে তৈরি। সেই ভালোবাসাও অভাবের অপঘাতে পরাজিত হওয়ার বয়ান তৈরি করে, যখন হনুফা আর সংসার চালাতে না পেরে ৪৭ দিন বয়সী সন্তানটিকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়!   এমন অনেক হনুফার বিসর্জিত ভালোবাসার পৃথিবীতে বারবার ফিরে আসে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।’ দিবস আসে, দিবস যায়। সব হয়, তবু উদযাপনের আড়ম্বরে আর আয়োজনের ঝলকানিতে শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় না ওই ভালোবাসাটাই! ভালোবাসা আসলে কী? ‘সখি, ভালোবাসা কারে কয়’ বলে রবীন্দ্রনাথ সেই কবেই ভালোবাসাকে বিমূর্ত (Abstract) বলে রায় দিয়ে গেছেন! সেটি না দিলেও চলতো। কারণ, ভালোবাসা বিমূর্তই; প্রকৃতির সবচেয়ে সহজাত, সবচেয়ে প্রাণের বিষয়টি হলো ভালোবাসা। এ বোধ হয় একমাত্র ভালোবাসাই যা কাউকে শিখিয়ে দিতে হয় না, কাউকে বলে দিতে হয় না এই হলো ভালোবাসা! এ হলো ফুলের সৌন্দর্যের মতো; নিজের থেকেই ছড়িয়ে পড়ে তার সৌরভ। ঝর্ণার পানির মতো; আপন পথেই বয়ে যায় অবিরাম! সূত্র নেই, নিয়ম নেই, ব্যাকরণ নেই। এসব নেই বলেই ভালোবাসার নেই কোনো সংজ্ঞাও। ভালো সবকিছুই ভালোবাসা।  কিন্তু আমরা এমন নিবীর মানবিক ভালোবাসাকে বাক্সবন্দী করে ফেলেছি ভোগ আর উদযাপনের আড়ম্বরে। সত্যিকারের ভালোবাসার মাটির উপরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি কংক্রিটের কৃত্রিম অট্টালিকা। ভালোবাসার বিশাল পরিধিকে সংকীর্ণ করে গড়ে তুলেছি ভোগের চাকচিক্যময় সাম্রাজ্য। ভোগের লালসায় নিঃশ্বেষ হয়ে গেছে অনুভূতির শেষ বিন্দুও। লাগামহীন পুঁজির বিনিয়োগে ‘পণ্য’ করে ফেলেছি ভালোবাসাকে।  এই মানুষের, এই সময়ের সত্যিকারের পরিচয় কী? উপাসক! আমরা ক্রমান্বয়ে উপাসক হয়ে উঠছি। আমাদের রক্তে, মাংসে, মজ্জায় শুধু উপাসনা। পণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের প্রভূ। এই বাংলাদেশের এক একজন মানুষ এক একজন পণ্য-উপাসক। পুঁজি, প্রযুক্তি, প্রচারমাধ্যম সব একাট্টা হয়ে আমাদের শিরায় শিরায়, আমাদের মননে আর মগজে অবিরাম বয়ান করে চলেছে, আরো চাও, আরো চাও। আমাদের জীবন শেষ হয়, চাওয়া শেষ হয় না। আমরা তো চেয়েছিলাম মুক্তি। শুধু একটি মানচিত্র আর পতাকা চাইনি। আমরা তো চেয়েছিলাম স্বাধীনতা। শুধু লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে বিশ্বরেকর্ড করতে চাইনি। আমরা তো চেয়েছিলাম ভালোবাসা। নরম, কোমল, দখিনা হাওয়ার মতো স্নিগ্ধ নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। পণ্যের মোড়কে ভোগসর্বস্ব ভালোবাসা নয়। আমরা প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম। আমাদেরকে বানানো হয়েছে ভোক্তা।  বিশ্বাস করুন, ভালোবাসা দিবসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নেই। ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয়’, ভালোবাসা দিবসের প্রেম সেই প্রেম নয়। এই প্রেম বোঝে পুঁজি আর ভোগ। নাহলে ভালোবাসার মতো এমন কোমল মানবীয় বিষয়ের উদযাপনে দিবসের প্রয়োজন হবে কেন? এটি পুঁজিবাদের সৃষ্টি এবং দিন শেষে পুঁজির কাছেই এর আত্মসমর্পণ। যত দিবস, তত উদযাপন। উদযাপনের নানা রঙিন আয়োজনে পুঁজির বিনিয়োগ। পণ্য উৎপাদন। অতঃপর সেই পণ্যই হয় আমাদের উদ্দিষ্ট। আস্তে আস্তে আমরা হয়ে পড়ি পণ্যের উপাসক। অবিরাম ভোক্তা। ভোগের এই দুষ্টচক্রে ভালোবাসা তো হারায়ই; সবচেয়ে বেশি হারায় মানবিক বোধ। তার রেশ রয়ে যায় জীবনের সর্বত্র। গড়ে ওঠে বৈষম্যের অমানবীয় এক সমাজ।  মাস্টারকার্ডের ‘কনজ্যুমার পারচেজিং প্রায়োরিটিজ’ শীর্ষক এক জরিপে দেখা যায়, কয়েকবছর আগের ভালোবাসা দিবসে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষেরা নিজেদের ভালোবাসার মানুষকে উপহার দিতে প্রত্যেকে গড়ে ৬৮০ টাকা (৭১ ডলার) করে ব্যয় করছে।  জরিপে ১৮টি দেশের নয় হাজার ১২৩ জন ব্যক্তি অংশ নেয়, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৬৪ বছর। এই ৬৮০ টাকার (কোথাও কোথাও টাকার পরিমাণ আরো অনেক বেশি) বিনিয়োগই হলো পুঁজিবাদের মূলমন্ত্র! ভালোবাসা দিবস না থাকলে এই খরচটি হতো না। তাই এটি একটি অহেতুক খরচ। অপ্রয়োজনের খরচ। পুঁজিবাদকে টিকিয়ে রাখার এই হলো তরিকা। প্রয়োজনের চাহিদা পূরণের ক্ষমতা অর্জনের পর পণ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য দরকার অপ্রয়োজনের ‘চাহিদা’ সৃষ্টি। ৬৮০ টাকার উপহার তাই আর ভালোবাসার প্রকাশ নয়; প্রকারন্তরে পুঁজিরই প্রসার। এই পুঁজির হাতেই বর্তমান বিশ্ব নিজেকে সঁপে দিয়েছে। ভোগের বাইরে পৃথিবীর আর কোনো বাস্তবতা নেই।  অথচ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, প্রতিরাতে বিশ্বের ৮০ কোটিও বেশি লোক ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যায়। আমাদের বাংলাদেশেও কত মানুষ এখনো দু’বেলা পেট ভরে খেতে পারে না। অভাবের তাড়না সইতে না পেরে আত্মহত্যার মতো নির্মম ঘটনাও ঘটছে এই বঙ্গদেশে।  ফরিদপুরের নগরকান্দায় অর্থকষ্ট সইতে না পেরে পঙ্গু কৃষক শেখ সহিদ আত্মহত্যা করেছে গলায় ফাঁস দিয়ে (দৈনিক যায়যায়দিন, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭)। ঋণের কিস্তির টাকা দিতে না পারায় লালমনিরহাটের আদিতমারিতে আত্মহত্যা করেছে খোরশেদ আলম নামের এক কৃষক (যুগান্তর, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭)। এমন আরো অনেক উদাহরণের মাঝেও থেমে নেই আমাদের ভোগ বিলাস। বৈষম্যের পাহাড় রচনা করে চলেছি প্রতিনিয়ত। ঢাকার কোনো কোনো পাঁচতারকা হোটেলে এক কাচ চায়ের দাম দুইশো টাকার বেশি। অথচ যাদের শ্রমে আর ঘামে চা উৎপাদিত হয়, সেই চা বাগানের একজন শ্রমিকের প্রতিদিনের মজুরি ৫০ টাকা বাড়াতে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ধর্মঘট করতে হয়! এই ঢাকার শহরে কতো পরিবার আছে যাদের প্রতিদিনের সকালের নাস্তা যায় পাঁচতারকা হোটেল থেকে! অথচ ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার বিলকিস বেগমের কাছে জীবন কত নিষ্ঠুর! অভাবের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মাত্র পাঁচ শত টাকার বিনিময়ে দেড় বছরের শিশু সন্তানকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন এই গর্ভধারিণী মা (যুগান্তর, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭)।  কুড়িগ্রামের রেবি খাতুন তার ২২ দিনের সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন। সন্তান বিক্রির টাকা দিয়ে কোনোমতে তুলেছেন একটি ঘর। সাভারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে টাকা দিতে না পারায় দুই রোগীকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপতালে আটকে রাখা হয়। এদের একজন মানিকগঞ্জের রাজবানু আবার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী (প্রথম আলো, ২০ নভেম্বর ২০১৫)!   মুক্তিযোদ্ধাদেরই বা কী অবস্থা! ঠাকুরগাঁওয়ের মুক্তিযোদ্ধা আজিজুলের হকের দিন কাটে রিকশার প্যাডেল ঘুরিয়ে (সকালের খবর, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬)। এমন আরো অনেক উদাহরণে ভরপুর আমাদের এই বাংলাদেশ। যাদের ত্যাগে ও রক্তে এই বাংলাদেশ, সেখানে আজ আদ্যপান্ত ভোগের চাষাবাদ। আমাদের আর কতো হলে আমরা বলব, আর দরকার নেই! পুঁজিবাদের চাতালে নিজেদেরকে ‘পণ্য’ করবার এমন উৎসব কবে বন্ধ হবে? একদিনের ভালোবাসার উদযাপন-খরচ দিয়ে কতো মানুষের চোখের পানি মুছে দেওয়া যায়! চোখের পানি মুছে দেওয়ার ভালোবাসাই তো সত্যিকারের ভালোবাসা। চোখের পানিকে ‘পণ্য’ করতে নেই, ‘পণ্য’ করতে নেই ভালোবাসাকেও।  তথাকথিত এই ভালোবাসা উৎসবকে উপলক্ষ্য করে চারদিকে হুলস্থুল আয়োজন। সংবাদপত্রগুলো ছাপছে বিশেষ ফিচার-খবর, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রচার করছে পাঁচ-সাত দিনব্যাপী ‘বর্ণিল’ অনুষ্ঠানমালা।  বহুজাতিক কোম্পানিগুলো খুলে বসেছে নানা ইভেন্ট। কেউ কেউ মঞ্চস্থ করছে ‘কাছে আসার সাহসী গল্প!’ কাছে আসায় কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু যে ‘কাছে আসা’কে এখানে উপজীব্য করা হয়েছে, প্রশ্ন তা নিয়েই। সত্যিকার অর্থে এই ‘কাছে আসা’ হলো প্রবৃত্তি, সহজাত, এর জন্য ‘সাহসের’ প্রয়োজন নেই। সমাজ, সংস্কৃতি ও নৈতিক মূল্যবোধকে ধারণ করে যে ‘কাছে আসা’ সংঘটিত হয়, তার মধ্যে সাহসের কিছু নেই; একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তিগত প্রক্রিয়া। বরং ‘কাছে আসার’ সেই গল্পগুলোই হতে পারে সাহসী যেখানে বিরুদ্ধ পরিবেশে কারো কাছে গিয়ে নি:স্বার্থ বলা যায় ‘আমি আপনার জন্য কী করতে পারি।’ একটি পথশিশুর কাছে গিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে জানতে চাওয়া ‘তুমি দুপুরে খেয়েছ কিনা‘-ই হলো সত্যিকারের ‘কাছে আসা।’ রাস্তা পার হতে না পারা বৃদ্ধকে হাত ধরে পার করিয়ে দেওয়া হলো সত্যিকারের ‘কাছে আসা।’  ঋণের কিস্তির টাকা দিতে না পেরে আত্মহত্যা করা খোরশেদ আলমকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা হতে পারত ‘কাছে আসার সাহসী গল্প।’ অভাবের যন্ত্রণা বিলকিস বেগমের কাছ থেকে দেড় বছরের শিশুকে দূরে নিয়ে গেছে। ভালোবাসা দিবস উদযাপনের যাবতীয় খরচ দিয়ে এরকম অসংখ্য বিলসিক বেগমের অভাব দূর করা যেত। শিশু ফিরে আসত মায়ের কাছে। রচিত হত সত্যিকারের ‘কাছে আসার সাহসী গল্প।’ আধুনিক স্বার্থপর জীবনযাপনের ‘প্রাইভেসি’ রক্ষার নামে বৃদ্ধ বাবা মা’কে বৃদ্ধাশ্রমে না পাঠিয়ে নিজের কাছে রাখার মাধ্যমে ‘কাছে আসার যে গল্প’ নির্মিত হতে পারত, তা-ই হত ভালোবাসার স্বার্থক অনুবাদ। এমন গল্পই আজ বেশি প্রয়োজন। এই ভালোবাসাই মানবিক ভালোবাসা। কাছে আসার সাহসী গল্পগুলো এমনই হোক!   লেখক: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কলাম লেখক 
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১১

ভালোবাসার ফাল্গুনে সাজসজ্জা
পাতা ঝরার দিন শেষ। বসন্তকে বরণ করতে প্রকৃতি সাজতে শুরু করেছে নতুন সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে। প্রকৃতির মতো মানুষের মনে দোলা দেয় ফাগুন। ভালোবাসা আর বসন্তের ছোঁয়ায় একাকার মনের কোণ নিজেকেও রাঙাতে চায় নতুন রূপে। বসন্তদিনে কবি-মন যেমন উদ্বেল, তেমনি পহেলা ফাল্গুনকে বরণ করে নিতে বাঙালিও সাজে বাসন্তী সাজে। নারীরা খোঁপায় জারবেরা, গোলাপ বা গাঁদা গুঁজে হলুদ, লাল বা বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে দল বেঁধে ভিড় জমায় শহরের প্রাণকেন্দ্রগুলোতে। তাদের সঙ্গে মিলিত হয় পরিবারের পুরুষ বা শিশু সদস্যটি। প্রেমিক, বন্ধু, পরিবার-পরিজন নিয়ে চলে আড্ডা। গান-কবিতায় নেচে ওঠে পুরো শহর। চলুন জেনে নিন উৎসবের দিনটিতে সাজগোজ নিয়ে কিছু ধারণা- পোশাক: বাঙালি নারীর কাছে উৎসব মানেই শাড়ি, আর ছেলেদের হলো পাঞ্জাবি। বেশ কয়েক বছর ধরে পহেলা ফাল্গুনের দিনটিতে পোশাকে হলুদ বা বাসন্তী রংকেই প্রাধান্য দেওয়া হতো। তবে এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সবুজ, মেজেন্টা, গোলাপি, সাদা, চাপা সাদা, পেস্ট, নীল ইত্যাদি হালকা রং। বসন্তের সঙ্গে যখন ভালোবাসার দিনটি মিলে গেছে তাই পোশাকের রঙ্গে ভিন্নতা নিয়ে আসতেই পারেন। আর বাঙালির প্রাণের এই উৎসবের দিনে শাড়ি ছাড়াও আপনার পছন্দ মতন যে কোনটিতেই হয়ে উঠতে পারেন অপরূপা। ফাল্গুনের পরিচ্ছদ: পোশাকতো গেল, এবার আসা যাক পরিচ্ছদে। পোশাকে-পরিচ্ছদে মিল রাখতে শাড়ির সঙ্গে চাই হাত ভর্তি রিনিঝিনি রেশমি কাঁচের চুড়ি। কপালে ভোর বেলার লাল সূর্যের মতো লাল রঙা টিপ আর খোপায় গাঁদার ফুল। গোলাপ, গাঁদার সঙ্গে জারবেরাও এখন শোভা পায় কানের পাশেই। খোপা না করলে, খোলা চুলে বা এক বেনুনীতে খারাপ লাগবে নাহ। চাইলে ফুলের বেণিতেও সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার প্রিয় চুলকে।  ফুলের বেণি- লম্বা চুল বাঁধতে যেমন লাগে দীর্ঘ সময়, তেমনি প্রয়োজন ধৈর্য। তাই, চুল লম্বা হলে আর উৎসবের দিন কোনো ধরনের ঝুটঝামেলায় যেতে না চাইলে সামনের দিকে সুবিধামতো সিঁথি করে পেছনে সহজে একটি বেণি করে নিন। শাড়ি হলুদ বলে যে শুধু হলুদ ফুলই মানাবে, বিষয়টি কিন্তু মোটেও সে রকম নয়। লম্বা বেণিতে একে একে নানা আকার ও রঙের ফুল, যেমন ছোট-বড় চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, তারাফুল ইত্যাদি লাগিয়ে নিতে পারেন। শাড়ি কিংবা সালোয়ার–কামিজ, সবকিছুর সঙ্গেই বেশ মানিয়ে যাবে চুলের এ সাজ।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৬

ভালোবাসার নতুন গান নিয়ে সিডোনিক্স
দুয়ারে কড়া নাড়ছে ভালোবাসার দিন, আর গানের সাথে ভালোবাসার রয়েছে মধুর সম্পর্ক।  ভালোবাসার এই মৌসুমে গানপ্রেমীদের জন্য সুখবর নিয়ে এলেন নবীন সঙ্গীতশিল্পী সিডোনিক্স। ভালোবাসা দিবস সামনে রেখে দর্শকদের জন্য তিনি উপহার নিয়ে এসেছেন ‘ক্যারামেল আইস’ শীর্ষক একটি গান।  শিল্পীর নিজের লেখা গানটি গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে শোনা যাচ্ছে তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। সিডোনিক্স আশা করছেন গানটি এবারের ভালোবাসা দিবসে শ্রোতাদের ভালো লাগবে। সঙ্গীতশিল্পী সিডোনিক্স গত বছর ‘এ’ লেভেল শেষ করেছেন এবং ভাবছেন জীবনের পরবর্তী অধ্যায়গুলো কীভাবে সাজাবেন। ঠিক তখনই মনোযোগী হলেন শৈশবে বোনা স্বপ্নপূরণে, মনোনিবেশ করলেন গানের ভুবনে। তবে বিষয়টি হুট করেই শুরু হয়েছে এমনটা নয়! তিনি স্কুল জীবন থেকেই গান চর্চা শুরু করেন। বিভিন্ন ঘরানার গানে আগ্রহী হন, কিন্তু তাকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করে মূলধারার পপ মিউজিক।   এরপরই নিবিড়ভাবে অনুসরণ করা শুরু করেন মার্কিন এবং ব্রিটিশ পপ চার্ট। মিউজিকের সাথে নিজেকে আরও জড়িয়ে নিতে শুরু করেন গিটার শেখা। একদিন তার মেন্টরের পরামর্শে তিনি একটি অ্যানিভার্সারি কনসার্টে পারফর্ম করেন এবং নিজেকে ভিন্নভাবে খুঁজে পান। যা ছিল তার জীবনের প্রথম স্টেজ পারফরম্যান্স। এ বছরের শুরুতে সিডোনিক্সের প্রথম গান ‘ফিলিং ল’ রিলিজ হওয়ার পর শ্রোতা-দর্শকদের ব্যাপক সাড়া তাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করে।সেই অনুপ্রেরণা নিয়ে লিখেছেন দ্বিতীয় গান।  এতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন প্রেম এবং আবেগ প্রকাশের একমাত্র উপায় হলো চোখের সৌন্দর্য।  যার চোখ কথা বলে; তার মনও কথা বলে। সিডোনিক্স মনের কথাগুলো প্রকাশ করতে চেয়েছেন ‘ক্যারামেল আইস’ গানটিতে।  সুরকার পাভেল আরিনের সুরে গানের কথাগুলো হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত।  গানটির ভিডিও তৈরি করেছেন সোহান রহমান। সিডোনিক্সের ভালোবার গান দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৬

হ্যাপি রোজ ডে: কোন রঙের গোলাপ দিচ্ছেন প্রিয়জনকে?
ভালোবাসার সপ্তাহটি রোজ ডে অর্থাৎ গোলাপ দিবসের মাধ্যমে শুরু হয়। সারা বছর ঘুরে এই একটি দিনই রোজ ডে হিসেবে পালিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। আর তারই সঙ্গে আজ থেকে শুরু হয়ে গেলো ভালোবাসার সপ্তাহ। গোলাপ দিবস উদযাপন করার কারণ হলো, গোলাপকে ভালোবাসার একটি চিহ্ন হিসেবে ধরা হয়। গোলাপ দিবসে কেবল প্রেমিক-প্রমিকারাই তাদের সঙ্গীকে ফুল দেন না, যে কেউ তার প্রিয় মানুষটাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। গোলাপ হলো ভালোবাসার ফুল। এই ফুল হৃদয়ের আবেগকে প্রিয়জনের কাছে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে। তাই উপহার হিসেবে গোলাপের চাহিদা সবার উপরে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়