• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারত-বাংলাদেশ অর্থনীতিতে গতি আনবে মায়া-সুলতানগঞ্জ নৌ-রুট : প্রণয় ভার্মা
মায়া-সুলতানগঞ্জ নৌ-রুট ভারত-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্কে নতুন গতি আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সুলতাগঞ্জ বন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এদিন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নদী যোগাযোগ রুট চালু করতে সুলতানগঞ্জ (বাংলাদেশ) থেকে মায়া (ভারত) পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী জাহাজের যাত্রার সূচনা করেন তারা। এসময় নতুন নৌ রুটটিকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সংযোগের অংশ এবং তাদের সম্পর্কের সাম্প্রতিক রূপান্তরের দৃশ্যমান প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। একইসঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রকৃত সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বহুমুখী যোগাযোগের উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, মায়া-সুলতানগঞ্জ নদীপথ পুনরায় চালুর পদক্ষেপটি কেবল সীমান্তের দুই পাশের স্থানীয় অর্থনীতিকেই উপকৃত করবে না, জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে এবং উপআঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংহতি জোরদার করবে। প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, ভারত আজ এশিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য। উন্নত যোগাযোগ সংযোগ এবং ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্যের মতো নতুন পদক্ষেপ ভারতে বাংলাদেশি রপ্তানিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।  ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (সিইপিএ) কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার জানান, এর জন্য শিগগিরই আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গোদাগাড়ী সুলতানগঞ্জ বন্দর উদ্বোধনের পর বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ থেকে ভারতের মায়া ঘাটের উদ্দেশে একটি পণ্যবাহী জাহাজ ছেড়ে যায়। ইন্দো-বাংলাদেশ প্রটোকল রুট (আইবিপি) রুট ৫ ও ৬ এ ভারতের মায়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ বন্দরের মধ্যে পরীক্ষামূলক পাঁচটি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের প্রথমটি এটি। এই আইবিপি রুটের মাধ্যমে কার্গো চলাচলের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, যা উভয় দেশের অভ্যন্তরীণ জলপথের ইকোসিস্টেমকে নতুন গতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।  অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান (লিটন), রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য জনাব ওমর ফারুক চৌধুরী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জনাব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এবং সিনিয়র নৌ পরিবহন সচিব জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ এবং বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও এতে উপস্থিত ছিলেন।    
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৬

টাঙ্গাইল শাড়ি / ভারত-বাংলাদেশ সমঝোতা না হলে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা
টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশে একটি বহুল পরিচিত পণ্য। সম্প্রতি টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরুর পর তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশও টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এখন একই পণ্যকে দুটি দেশ নিজেদের জিআই পণ্য দাবি করায় বিষয়টি সমাধানে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গত ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তার আগে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এতে টাঙ্গাইল শাড়িকে ধরা হয় নদীয়া ও পূর্ববর্ধমানের পণ্য হিসেবে। তবে সামাজিক যোগােযোগমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিতর্ক শুরু হয়। ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা শুরুর দু’দিনের মধ্যে পোস্ট সরিয়ে নেয় ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। প্রায় ২৫০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইল শাড়ি বোনা হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ি, দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ও কালিহাতীর বল্লা এলাকায়। এই পেশার সঙ্গে জেলাটির প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ যুক্ত রয়েছেন। তাঁত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সময়মতো বাংলাদেশ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের আবেদন না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বিতর্কের পর বাংলাদেশে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি ওঠে। এ নিয়ে মানববন্ধনও হয়েছে। এরই মধ্যে গত ৬ ফেব্রুয়ারি দে‌শের প্রাচীন ঐতিহ্য টাঙ্গাইল তাঁত শাড়ির জিআই স্বত্ব পেতে আবেদন করে জেলা প্রশাসন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এ আবেদন ক‌রেন জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম। আবেদনটি পাওয়ার পর ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে শিল্প মন্ত্রণালয়। তবে এখন বিশ্বব্যাপী টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি না পেলে বাংলাদেশ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। সেজন্য বাংলাদেশকে দাবি নিষ্পত্তিতে আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যস্থতায় যেতে হবে বলেও মনে করছেন তারা। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান বলেন, ভারত টাঙ্গাইলের শাড়ির গেজেট করেছে, আমরাও করেছি। আমাদের অধিকার স্বীকৃত। তাই দুই দেশের সরকার পর্যায়ে দর-কষাকষির মাধ্যমে সমঝোতায় যেতে হবে। সেটি না হলে আমাদের আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যস্থতা ছাড়া এ ধরনের বিরোধ নিষ্পত্তি হয় না। এদিকে বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনে ওয়ার্ল্ড ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের দারস্থ হবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, যদি বিরোধ বা স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, তখন ওয়ার্ল্ড ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:১৪

পর্যটনের উন্নয়নে আকাশপথে নতুন গন্তব্য চায় ভারত-বাংলাদেশ
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলোকে আকাশপথে যুক্ত করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে দুটি দেশ। পর্যটক বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পর্যটন মেলা আয়োজনেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রীর কার্যালয়ে হওয়া সৌজন্য সাক্ষাতে এ বিষয়ে মত দেন তারা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা এসব বিষয়ে আগ্রহের কথা ‍তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে পর্যটন মেলা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফারুক খান বলেন, পর্যটনশিল্পে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা কীভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায়, বিশেষ করে ভারত থেকে আরও বেশি পর্যটক কীভাবে বাংলাদেশ আসতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য দুই দেশের মধ্যে ভিসা সহজ করার বিষয়েও কথা হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন ও পর্যটনশিল্পে সহযোগিতার বৃদ্ধির ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলো বিবেচনা করব। এ ছাড়াও দুই দেশের মধ্যকার আকাশপথে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। নতুন বিমান কেনা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে আমাদের। বিমানবন্দরে প্রবাসী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কাউন্টার স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা জানান, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে এভিয়েশন এবং পর্যটন খাতের সহযোগিতা দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে। এটি দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই সহযোগিতা কীভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায় ও প্রাতিষ্ঠানিকরণ করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করব। হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে ভারত ৩৬ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ভবিষ্যতেও এটি চলমান থাকবে। বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে অনেক ভারতীয় বিনিয়োগকারী বিনিয়োগে আগ্রহী। আমরা তাদের উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদান করছি। গত বছর ১৬ লাখ বাংলাদেশিকে ভারতীয় ভিসা ইস্যু করা হয়েছে জানিয়ে প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, দিন দিন এটির সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশিদের সময়মতো ভিসা দিতে আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছি। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতে অন অ্যারাইভাল ভিসার বিষয়টি ভবিষ্যতে আলোচনা করা হবে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়