• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বাংলাদেশের জন্য পেঁয়াজ কিনছে ভারত
বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল) বেসরকারি খাত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিল্প সূত্র। প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে। দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর এই প্রথম ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেওয়া হলো। ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে অনুরোধ করা দেশগুলোতে ৬৪,৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। এই ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে ১ হাজার ৬৫০ টন। জানা গেছে, গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে পেঁয়াজ কেনাও শুরু করেছে সরকার। শিগগিরই বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পাঠানো হবে এই পেঁয়াজ। রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার সময় কাল এখনও জারি থাকায় সরকারি উদ্যোগেই এসব পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে। কয়েক দিন আগে অবশ্য এই দর ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল। মহারাষ্ট্রের একজন পাইকারি ব্যবসায়ী দেশটির সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসকে খোদ জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের এত দাম, কিন্তু ভারতের কৃষক কিংবা ব্যবসায়ীদের তাতে কোনো লাভ হচ্ছে না। তবে বাংলাদেশে রপ্তানিতে পেঁয়াজের দাম কত হবে তা এখনও নিশ্চিত করেনি এনসিইএল।
১৫ ঘণ্টা আগে

এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে যুদ্ধজাহাজ ও বিমান পাঠিয়েছিল ভারত
ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে। দস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগে এমভি আব্দুল্লাহ থেকে সাহায্য চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদন গ্রহণ করে সাহায্যের জন্য নজরদারি বিমান পাঠায় ভারতীয় নৌবাহিনী। কিন্তু এমভি আব্দুল্লাহ থেকে কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি তাদের। শুক্রবার (১৫ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনীর এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১২ মার্চ এমভি আব্দুল্লাহ নামের জাহাজটি থেকে সাহায্যের আবেদন পেয়ে জাহাজটির কাছে প্রথমে তাদের একটি নজরদারি বিমান গিয়েছিল। কিন্তু বিমানটি এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি। এরপর ১৪ মার্চ ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ছিনতাই হওয়া জাহাজটিকে অবরুদ্ধ করে। ওই সময় নাবিকদের অবস্থান ও পরিস্থিতি নিরূপণ করে যুদ্ধজাহাজটি। কিন্তু দস্যুদের কিছু করতে না পারায় ছিনতাই হওয়া জাহাজটির পিছু নেয় ভারতীয় নৌ সেনারা। সোমালিয়ার জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত বাংলাদেশি জাহাজটির কাছাকাছি অবস্থান করে ভারতের যুদ্ধজাহাজটি। এদিকে জিম্মি করার তৃতীয় দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে আসে দস্যুরা। প্রথমে সোমালিয়ার গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে জিম্মি জাহাজটি নোঙর করেছিল দস্যুরা। এরপর সন্ধ্যার দিকে উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখে। শুক্রবার জাহাজটি আবারও নোঙর তুলে কাছাকাছি আরেক এলাকায় নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, দস্যুরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৫২

জাহাজ অপহরণের ভিডিও দেখে যা জানাল ‘অ্যামব্রে’
ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ ‌‘এমভি আবদুল্লাহ’ অপহরণের আগে জলদস্যুরা কীভাবে জাহাজে উঠেছিল তার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করেছে সমুদ্রপথে নিরাপত্তা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘অ্যামব্রে’।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) হোসাইন তারেক নামে এক ব্যক্তি ভিডিওটি প্রকাশ করেন। এরপর ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে অ্যামব্রে জানায়, সে সময় সাগর ছিল শান্ত। জাহাজ চলছিল। পাশেই একটি ছোট বোট এগোচ্ছিল। সেটি থেকে সশস্ত্র ব্যক্তি বেয়ে জাহাজে ওঠে। জাহাজে তখন কোনো সশস্ত্র প্রহরী দৃশ্যমান ছিল না। এর আগে, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। সে সময়ে জাহাজটি সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৭০০ মাইল দূরে ছিল। জাহাজে থাকা ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু বর্তমানে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি। জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার গারাকাদ উপকূলে দস্যুদের আস্তানায় নোঙর করা হয়েছে। জিম্মি নাবিকদের সেহরি এবং ইফতারের সুযোগ দিচ্ছে দস্যুরা। সূত্র: স্প্ল্যাশ 
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৬

যে চার কারণে জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ
ভারত মহাসাগর থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জলদস্যুরা। জাহাজটি বর্তমানে সোমালীয় উপকূলের একটি বন্দরে নোঙর করেছে বলে জানা গেছে। ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে যাচ্ছিল। কিন্তু হামরিয়াহ বন্দরে যাওয়ার পথেই গত মঙ্গলবার সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি, জিম্মি করা হয় ২৩ নাবিকসহ পুরো জাহাজটি। জাহাজটি ভারত মহাসাগরের যে পথ পাড়ি দিচ্ছিল তা ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ কিংবা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ কোনোটিই ছিল না, এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। কারও কারও মতে, পরিকল্পিতভাবেই ছিনতাই করা হয়েছে জাহাজটিকে।  তবে চার কারণে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। এমনটি মনে করেন, মেরিটাইম বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দস্যুতারোধে চিহ্নিত এলাকায় আন্তর্জাতিক বাহিনীর টহল ছিল না। কম গতিতে চলছিল জাহাজটি। জাহাজের ড্রাফট (জাহাজের নিচের যে অংশ ডুবে থাকে) বেশি ছিল। ঘাটতি ছিল কাঠামোগত নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও।  মেরিটাইম বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, জলদস্যুরা নরমালি তা ট্র্যাকিং করে। যারা এগুলোর সঙ্গে জড়িত তারা জাহাজের রুট সম্পর্কে জানে এবং জাহাজকে মনিটর করে সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ করে। বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী বলেন, সচরাচর কম ড্রাফট আর দ্রুতগতির জাহাজ আক্রমণ করে না দস্যুরা। কিন্তু, এমভি আবদুল্লাহ ছিল বেশি ড্রাফট আর কম গতির জাহাজ। সেইসঙ্গে ছিল না বাড়তি নিরাপত্তা। ফলে জাহাজটিতে সহজেই উঠে পড়ে জলদস্যুরা।  মেরিটাইম বিশেষজ্ঞরা বলেন, জলদস্যুদের ঠেকাতে এক সময় আন্তর্জাতিক বাহিনীগুলো বেশ সক্রিয় ছিল ভারত মহাসাগরে। কিন্তু, লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের তৎপরতার কারণে এখন সবার মনোযোগ সেদিকে। ফলে, টহল শিথিল হয়ে পড়ায় ভারত মহাসাগরে আবার বেপরোয়া সোমালীয় দস্যুরা।  গেল তিনমাসে ১৪টি জাহাজ ছিনতাই করে দস্যুরা। যা ছয়বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার বলে মনে করেন নৌবাণিজ্য দপ্তরের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৯

জিম্মি জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারের চেষ্টা, গুলি বিনিময়
ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজ ও ২৩ নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে অন্য একটি জাহাজ। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে। পরে বাংলাদেশি জিম্মি নাবিকদের হত্যার শঙ্কায় পিছিয়ে যায় ওই জাহাজটি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরের দিকে এ তথ্য জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জিম্মি নাবিক। তিনি বলেন, বুধবার দিনগত রাতে নেভির একটি জাহাজ আমাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু জলদস্যুরা আমাদের হস্তান্তর করেনি। উদ্ধারে আসা জাহাজটি বাইরে থেকে ফায়ার করেছে। তখন জলদস্যুরা বলছে, বাংলাদেশি নাবিকরা জিম্মি আছে। যদি জাহাজ থেকে হামলা হয়, তাহলে নাবিকদের মেরে ফেলবে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর উদ্ধারে আসা জাহাজ ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে থেকে আমাদের অনুসরণ করছে। আমাদের ক্যাপ্টেনকে তারা জানিয়েছে, তারা আমাদের ফলো করছে। তবে উদ্ধারে আসা জাহাজটি সোমালিয়ার কি না তা নিশ্চিত করতে পারেননি ওই জিম্মি নাবিক। তবে ধারণা করা হচ্ছে, জাহাজটি আরব আমিরাত বা অন্যকোনো আরব দেশের হবে। এর আগে, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে। দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। পরে বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৪

জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে লাগতে পারে যতদিন
ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ও ২৩ নাবিককে সব প্রক্রিয়া শেষ করে উদ্ধার করতে প্রায় এক থেকে চারমাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সাবেক মেরিনার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জিয়াউল হক নিজের এক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে এ বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষ করে নাবিকদের ছাড়া পেতে এক থেকে চারমাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কেননা, মুক্তিপণ দাবির পর তা নিয়ে দর-কষাকষিসহ নানা প্রক্রিয়া রয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে এই কবির গ্রুপেরই জাহাজ জাহান মণি মুক্তি পেতে লেগেছিল ১০০ দিন।  তিনি আরও বলেন, সাধারণত নিজেদের সমুদ্রসীমায় ছোট ছোট স্পিডবোটে ব্যবহার করে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জলদস্যুরা। তবে আব্দুল্লাহর ক্ষেত্রে ঘটেছে ব্যতিক্রম। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এসে ছিনতাই করে এই জাহাজটিকে।  বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফির্সাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, নানা প্রক্রিয়া শেষ করে সব নাবিকসহ জাহাজটিকে মুক্ত করতে বেশ সময় লাগতে পারে। এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি সমঝোতাই মুক্তির মূল উপায়। সাবেক মেরিনারদের মতে, মুক্তিপণ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখলে কোনো নাবিকেরই ক্ষতি করে না জলদস্যুরা। তাই, এমভি আবদুল্লাহর ক্ষেত্রেও যেহেতু মালিক প্রতিষ্ঠান সব কিছু করতে আগ্রহী, তাই ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তারা।  এর আগে, ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে। জানা গেছে, নাবিকদের ছাড়তে ‘৫০ লাখ’ মার্কিন ডলার চেয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি নাবিকদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জাহাজটি প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীকে পাঠানো সর্বশেষ এক অডিও বার্তায় বলেন, আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। টাকা না দিলে তারা একে একে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও। দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। পরে বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৪

জলদস্যুদের কাছে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে
ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ার জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।  তারা হলেন- জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিনি ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিসিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক, আইনুল হক, মোহাম্ম শ্মসুদ্দিন, মো . আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. নুর উদ্দিন ও মো. সালেহ আহমদ। এদিকে জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল থেকে নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে এর আগে নাবিকদের কয়েকজন তাদের পরিবারের কাছে একাধিক খুদে বার্তা পাঠান। সেখানে তারা বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের জাহাজে অ্যাটাক করেছে। অলরেডি আমরা অ্যারেস্টেড। আমাদের এক জায়গায় বন্দি করে রাখছে। দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এটি। এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, নাবিকরা নিরাপদে আছেন। সব ধরনের প্রোটোকল অনুসরণ করে নাবিকদের উদ্ধারে কাজ করছি। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মার্চে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় বাংলাদেশি ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৪

ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা অস্ত্রের কারিগরসহ আটক ৬
রাজধানীতে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগে কারিগর মোখলেছুর রহমান সাগরসহ (৪২) ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার (১১ মার্চ) বাড্ডা এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব জানায়, চক্রটির দলনেতা সাগর প্রতিমাশিল্পী হিসেবে দীর্ঘদিন ভারতে ছিলেন। সেখানেই অস্ত্র বানানোর হাতেখড়ি ও দক্ষতা হয় তার। এরপর দেশে ফিরে অস্ত্রের কারবার গড়ে তোলেন সাগর। গ্রেপ্তাররা হলেন- মোখলেছুর রহমান সাগর (৪২), তানভির আহম্মেদ (৩২), অনিক হাসান (২৮),  আবু ইউসুফ সৈকত (২৮), রাজু হোসেন (৩৮) এবং আমির হোসেন (৪০)। তাদের কাছ থেকে চারটি পিস্তল, চার রাউন্ড কার্তুজ, পিস্তলের কাঠের সাতটি ফর্মা, ১০টি ফায়ারিং মেকানিজম, চারটি ট্রিগার এবং পিস্তলের দুটি হ্যান্ডগ্রিপসহ অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এম জে সোহেল বলেন, অবৈধ অস্ত্র তৈরি ও অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্রটির ‘মূলহোতা’ মোখলেছুর রহমান সাগর। তিনি ভারতের কলকাতা ও শিলিগুড়িতে প্রায় ১২ বছর ধরে প্রতিমাশিল্পী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। তিনি বলেন, ভারতে অবস্থানকালে সুকুমার নামে এক অস্ত্র তৈরির কারিগরের সঙ্গে সাগরের পরিচয় হয়। তার কাছ থেকেই সাগর অস্ত্র তৈরির দক্ষতা অর্জন করেন। পরে দেশে এসে অল্প দিনে কোটিপতি হওয়ার আশায় অস্ত্র তৈরি করে সরবরাহের পরিকল্পনা করেন। তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সাগরের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটটি সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী এবং নাশকতাকারীদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে আসছিল।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫০

‘শিগগিরই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে’
শিগগিরিই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রোববার (১০ মার্চ) মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে বাজার পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিগগিরিই ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ বাড়াবে। সারাদেশে টিসিবির ১ কোটি মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার মাধ্যমে বাজারে চাপ কমবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাধারণ মানুষকে যৌক্তিক দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য কাজ করছে সরকার। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দায়িত্বভার নিয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ে বাজার ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে একাধিক মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। রমজানের শুরুতে পণ্যের চাপ বেশি। ভোক্তা অধিদপ্তরের বিশেষ দল বাজার তদারকিতে কাজ করবে। সরকারের সব উদ্যোগের সুবিধা যেনো সাধারণ মানুষ পায়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান দেশের প্রতিটি বাজার কমিটিকে বাজার মনিটরিং করার আহ্বান রেখে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এটিএন বাংলার নির্বাহী পরিচালক হাসানুল কিরণ, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টু, বাজার কমিটির সভাপতি বাবুল, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খানসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
১১ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৬

অস্ট্রেলিয়াকে হটিয়ে তিন ফরম্যাটেই শীর্ষে ভারত
অস্ট্রেলিয়াকে হটিয়ে ফের আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছে ভারত। এতে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই এখন শীর্ষস্থানে টিম ইন্ডিয়া।  শনিবার (৯ মার্চ) শেষ হওয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে ম্যান ইন ব্লুরা। এতেই শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে রোহিত শর্মার দল। ইংলিশদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে র‌্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয়স্থানে ছিল ভারত। হার দিয়ে সিরিজ শুরু করলেও শেষ চার ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের স্বাদ পায় টিম ইন্ডিয়া। চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল ভারত। একই সময়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে ভারতকে সরিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার অজিদের সরিয়ে ফের শীর্ষে উঠলো ভারত। এদিকে ক্রাইস্টচার্চে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার চলমান টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচের ফল কোনো প্রভাব ফেলবে না র‌্যাঙ্কিংয়ে। ১২২ রেটিং নিয়ে শীর্ষেই থাকবে কোহলি-রোহিতরা। অন্যদিকে ১১৭ রেটিং নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া ১১১ রেটিং নিয়ে তৃতীয়স্থানে ভারতের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়া ইংল্যান্ড। উল্লেখ্য, ১২১ রেটিং নিয়ে ওয়ানডে এবং ২৬৬ রেটিং নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষে ভারত। এ ছাড়া ওয়ানডেতে ১১৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া এবং টি-টোয়েন্টিতে ২৫৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড। 
১০ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়