• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ভাই হত্যার অভিযোগে ট্রান্সকমের সিইও’র বিরুদ্ধে বোনের মামলা
নিজের ভাইকে হত্যার অভিযোগে এবার ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তারই ছোট বোন শাযরেহ হক।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে গুলশান থানায় মামলাটি করেন তিনি।  মামলায় সিমিন রহমানের ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেনসহ আরও ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।  মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া (৬০), মো. কামরুল হাসান (৬১), সেলিনা সুলতানা (৪৫), কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন (৫০), ডা. মুরাদ (৫০), ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম (৫৫), মো. জাহিদ হোসেন (৫৫), রফিক (৫৫) ও মিরাজুল (৪০)। বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, শাযরেহ হকের অভিযোগ তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমান অসুস্থ ছিলেন না। আসামিরা চক্রান্ত করে তাকে হত্যা করেছেন। এর আগে, কোম্পানির সম্পত্তি ও শেয়ার-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ফেব্রুয়ারিতে বড় বোন, মা এবং ট্রান্সকমের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন শাযরেহ হক। পরে ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:২১

জমি নিয়ে বিরোধ, বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন
দীর্ঘদিনের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের মারধরে ছোট ভাই কহেল উদ্দিন (৬০) নিহত হয়েছেন। সোমবার (১১ মার্চ) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।  নিহত কহেল উদ্দিন মুন্সী মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের মধুরচর গ্রামের মৃত ইন্তাজ উদ্দিন মুন্সীর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, নিহত কহেল মুন্সী ও তার বড় ভাই ইসলাম মুন্সীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত রোববার দুপুরে কহেল মুন্সী ও তার প্রবাসফেরত ছেলে শাহানুর বসতবাড়ির সীমানা পরিষ্কার করতে যান। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে বড় ভাই ইসলাম মুন্সী (৬৫), তার ছেলে হৃদয় (২৪), স্ত্রী কুলসুম (৫৫), মেয়ে রোজিনা (২৮) ও নাতনি কণক (১৮) লাঠিসোঁটা নিয়ে কহেল মুন্সী ও তার ছেলে শাহানুরকে মারধর করে। সেই সঙ্গে অসুস্থ স্ত্রী সাফিয়া খাতুনকেও প্রহার করেন তারা। এতে কহেল মুন্সীসহ তার পরিবারের তিনজনই মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা আরও জানান, আহতদের মধ্যে কহেল মুন্সী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। অপর আহতরা এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। নিহত কহেল মুন্সীর মেয়ে রওশন আরা বলেন, দিন-দুপুরে আমাদের পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিংগাইর থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৭

বড় ভাইয়ের পিস্তলের গুলিতে ছোট ভাই খুন
পটুয়াখালীর বাউফলে বড় ভাই মো. সজিব হোসেনের (২১) অবৈধ পিস্তলের গুলিতে প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সাব্বির হোসেন (১৬) মারা গেছেন।  সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে মো. সজিব হোসেনকে আটক করে পুলিশ। সাব্বির হোসেন উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের সূর্যমনি গ্রামের বাবুল সরদারের ছেলে।  আর আটককৃত মো. সজিব হোসেন বাউফল নবারুণ সার্ভে ইনস্টিটিউটের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় সজিব হোসেন একটি পুরোনো পিস্তল নিয়ে নড়াচড়া করতে গিয়ে ট্রিগারে চাপ লেগে গুলি বের হয়। সেই গুলি তার প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সাব্বিরের কপালের বাম পাশে চোখের ওপরে গিয়ে লাগে। এরপর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরজাহান জানান, সাব্বিরকে আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়। তখন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সাব্বিরের পরিবার জানায়, রোববার বিকেলের দিকে সাব্বিরকে নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসাপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে রাত ১টার দিকে সাব্বির মারা যান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম। তিনি জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাব্বিরের বড় ভাই সজিবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সাব্বিরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩০

সিনেমাটি দেখে মনে হয়েছে অপুর ছোট ভাই জয় : অমিত হাসান
ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়ক ও খলনায়ক দুই জায়গাতেই যিনি সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছেন তিনি অমিত হাসান। ১৯৮৬ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অমিত হাসানের সম্পৃক্ততা।১৯৯০ সালের ৫ জানুয়ারি ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রের পর্দায় তার অভিষেক ঘটে। তবে একক নায়ক হিসেবে অমিত হাসানের অভিষেক ঘটে মনোয়ার খোকন পরিচালিত ‘জ্যোতি’ ছবির মাধ্যমে। এরপর অমিত হাসান শেষ ঠিকানা, উজান ভাটি, তুমি শুধু তুমি, বিদ্রোহী প্রেমিক, জিদ্দী, ভালোবাসার ঘরসহ অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেন।  তিনি আরও বলেন, আমরা যেভাবে মূলধারার সিনেমা করে আসছি, সেভাবে সিনেমা বানাতে হবে। এখন কী বলব, রোশানের প্রথম সিনেমা ‘রক্ত’। জাজের দারুণ একটা ছবি। কলকাতার সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায়। পরীমনি ছিল। কী ছিল না সিনেমায়? কিন্তু সিনেমাটি চলল না। আবার বাপ্পী জাজের সিনেমা করছে। বাইরেও সিনেমা করছে। কেউ কি বলতে পারবে বাপ্পীর ওই সিনেমাটি লাইমলাইটে গেছে? ইমন, নিরবের কোন সিনেমা আছে, যেটা দিয়ে কাঁপায়া দিয়েছে। কেউ বলতে পারবে তাদের সিনেমা হেভি ব্যবসাসফল হয়েছে। ইদানীং অপু বিশ্বাস জয়কে নিয়ে সিনেমা করছে। তাদের জুটি কি দর্শক গ্রহণ করেছে? আমার দৃষ্টিতে পর্দায় দর্শক তাদের পছন্দ করেন না। কারণ, জয় অপুর চেয়ে অনেক ছোট। তাদের সিনেমাটি দেখে মনে হয়েছে অপুর ছোট ভাই জয়। প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, শাহীন সুমন পরিচালিত ‘ভালোবাসার রং’ ছবিতে তিনি প্রথম নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেন। বর্তমানে একই ধরনের চরিত্রে তাকে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে ‘যন্ত্রণা’, ‘কিশোরী’ ‘বিট্রে’  ‘অপারেশন জ্যাকপট’  সহ বেশ কিছু সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এদিকে শোনা যাচ্ছে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন।   
০৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:১২

বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে যে কাণ্ড করলেন ৫ ভাই
বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন বর। আবার বিয়ে শেষে স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়িতে চলেও গেলেন। এই হেলিকপ্টার বরযাত্রী এবং আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে উৎসুক জনগণই ছিল বেশি। ঘটনাটি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ২টায় কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের এগারো বাড়ির মাঠে অবতরণ করে একটি হেলিকপ্টার। এখান থেকে এই হেলিকপ্টারে বর সেজে বাবা-মাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে নামেন বর মোরছালিন হাওলাদার (২৫)।  মোরছালিন হাওলাদার কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের ছোট ছেলে। প্রবাসী মোরছালিনের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী কালাম শেখের মেয়ে ফারিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। এই বিয়েতে ফারিয়া খাতুনের বাবা ব্যবসায়ী কালাম শেখ আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় হাজার খানেক অতিথিকে দাওয়াত করেছিলেন। মাংস, পোলাও, মাছ, ফিন্নি, দই, মিষ্টিসহ ছিল খাবারের নানা আয়োজন।  বর মোরছালিন হাওলাদারের বড় ভাই আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা ৫ ভাই মালয়েশিয়া থাকি। এই ৫ ভাইয়ের মধ্যে মোরছালিন সবার ছোট। বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল তাদের ছোট ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসবে। তাই আমরা ৫ ভাই মিলে এই হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছি। বর মোরছালিন হাওলাদার বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা ৫ ভাই মিলে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ ঘণ্টার জন্য একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করেছি। এই হেলিকপ্টারে আমার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে আমি কনের বাড়িতে এসেছি। এ জন্য আমার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুশি। কনের বাবা কালাম শেখ বলেন, একই এলাকায় আমি আমার মেয়ে ফারিয়া খাতুনকে বিয়ে দিয়েছি। আমার জামাই তার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে আমাদের এখানে আসে। এই হেলিকপ্টার ওঠা-নামা দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেছিল। আমি আমার মেয়ে-জামাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৪

ঘুমন্ত ছোট ভাইকে হত্যা করলো বড় ভাই
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত ছোট ভাইকে জবাই করে হত্যা করেছে বড় ভাই মেহেদী হাসান। মেহেদী হাসান মানসিক রোগী ছিলেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কুঠিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত ছোট ভাই আওকত হোসেন ওই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য খগেন্দ্রনাথ রায়। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বছরখানেক ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন মেহেদী হাসান। তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। মানসিক সমস্যার কারণে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতেন। মায়ের অনুরোধে ছোট ভাই আওকত হোসেন জুয়েল বড় ভাইয়ের সঙ্গে ঘুমাতেন। মঙ্গলবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছোট ভাইকে জবাই করে এবং মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে নিহতের বুকের ওপর বসে থাকেন বড় ভাই। পরে বিষ পান করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান। সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট ভাইয়ের নিথর দেহ দেখতে পান পরিবারের অন্য সদস্যরা। তাদের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।  এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য বিষয়টি কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যান।  এ সময় অভিযুক্ত বড় ভাইকে আটক করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৩

পেটের দাগ দেখে ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করলেন ভাই
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় মারা গেছেন কে এম মিনহাজ উদ্দিন (২৬)। পেটে অস্ত্রোপচারের দাগ থেকে বড় ভাই আমিনুল ইসলাম তার মরদেহ শনাক্ত করেন। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মিনহাজের মরদেহ ভাই আমিনুলকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। রমনা থানার উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমান গণমাধ্যম বলেন, আগুনের ঘটনায় দগ্ধ মিনহাজের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মিনহাজের ভাই ঘড়ি ও পেটের অস্ত্রোপচারের দাগ দেখে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। তবে আরেকটি পরিবার লাশ দাবি করায় মিনহাজের মরদেহ ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মিনহাজের ছোটবেলায় পেটে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তার সামনের কয়েকটি দাঁত উঁচু ছিল। হাতে ছিল তারই দেওয়া একটি ঘড়ি। তিনি আরও বলেন, অস্ত্রোপচারের দাগ, দাঁত ও হাতঘড়ি দেখে ভাইকে শনাক্ত করেন আমিনুল। তবে আরেকজন দাবি করায় মরদেহ বুঝে পেতে তাদের সময় লেগেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে 'গ্রিন কোজি কটেজ' নামে ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন আরও কয়েকজন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

মৃত্যুর আগে ফোনে মায়ের সঙ্গে কালেমা পড়েন রকি
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ক্যাশিয়ার কামরুল হাবিব রকি। মৃত্যুর আগে তিনি তার মায়ের সঙ্গে ফোনে কালেমা পড়েন বলে জানা গেছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে তার মরদেহ যশোরের নিজ বাড়িতে পৌঁছার পর সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানাজা শেষে দুপুরে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভবনে আগুন লাগার পর প্রথমে মামা জাহিদ হোসেনকে ফোন করেন রকি। ফোনে তিনি তার মামাকে বলেন, ‘মামা, রেস্টুরেন্টে আগুন লেগেছে। কেউ বের হতে পারছে না। আমাকে বাঁচাও, দম নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’ পরে মায়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন রকি। এসময় মৃত্যু আসন্ন আশঙ্কায় মায়ের পরামর্শে কালেমা পড়েন যশোরের এই যুবক। পরে আগুনে তার মৃত্যু হয়। নিহত রকির মামা জাহিদ হোসেন বলেন, রাতে আমি রকিকে ভিডিও কল দিয়েছিলাম। কিন্তু তখন সে ফোন রিসিভ করেনি। কিছু সময় পর সে আমাকে কল দিয়ে, বাঁচার আকুতি জানায়। আমি সাথে সাথে কুষ্টিয়া থেকে রওয়ানা দেই ঢাকায়। আহত রকিকে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কালেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রকির শরীরে আগুনে পোড়ার কোনো চিহ্ন নেই। অক্সিজেন সংকটে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। নিহত রকির মা রিপা খাতুন বলেন, রাতে ওর মামার কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি রকির ফোনে কল করি। ও আমাকে বলে, মা আমি হয়তো আর বাঁচব না। এরপর আমি ওকে কালেমা পড়তে বললে আমার সঙ্গে কালেমা পড়ে।
০১ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৪

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চান শাকিব খান
বেইলি রোডের একটি ছয়তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। এর মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে এবং পরিবারের কাছে ৩৮টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নাড়া দিয়েছে দেশবাসীকে। শোকাহত ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানও। সামাজিক মাধ্যমে এক শোকবার্তা দিয়েছেন তিনি। নিজের ফেসবুকে এ তারকা লিখেছেন, গতরাতে বেইলি রোডে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আগে সেখানে বেশিরভাগ মানুষ হয়ত গিয়েছিলেন তাদের প্রিয়জন নিয়ে আনন্দময় কিছু সময় ভাগাভাগি করতে। কেউ কেউ গিয়েছিলেন শপিং বা পরিবার পরিজন নিয়ে ফ্রি টাইমে খাওয়া-দাওয়া করতে। কিন্তু এক নিমিষেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড থামিয়ে দিয়েছে এতোগুলো জ্বলজ্যান্ত জীবন। স্বজন হারিয়ে অনেকের ভবিষ্যৎ জীবনে নেমে এসেছে ঘোর অমানিশা! অনেকের তিলে তিলে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শেষ হয়ে গেছে। শাকিব খান আরও লিখেছেন, কিছুদিন পরপর অগ্নিকাণ্ডের এতো এতো তরতাজা প্রাণ অকালে চলে যাওয়া এবং ক্ষয়ক্ষতি কোনোভাবে কাম্য নয়। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। আর জীবেনের ঝুঁকি নিয়ে যারা সবসময় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা মোকাবিলা করে সাধারণ মানুষের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন, সেইসব ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের জানাই স্যালুট! নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিনি লিখেছেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করছি। হাসপাতালে যারা সংকাটাপন্ন অবস্থায় আছেন, তারা যেন দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন সেই কামনা করছি। মহান সৃষ্টিকর্তা শোক সন্তপ্ত পরিবারের সকলকে এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার শক্তি দান করুন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডে ছয়তলা ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে এবং রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনাস্থলকে ‘ক্রাইম সিন’ ঘোষণা দিয়ে ভবনটির সামনে হলুদ ফিতা আটকে দেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। ভবনটিতে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ছাড়াও, স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, ইলিন, খানাস ও পিৎজা ইন আছে বলে জানা গেছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৬

বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রেস্টুরেন্টটিতে আগুন লাগে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন। তিনি বলেন, রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার সংবাদ আসে। সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আমাদের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, ভবনটির পাঁচতলা পর্যন্ত সব ফ্লোরে আগুন দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ভেতরে অনেক লোক আটকা পড়েছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০০:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়