• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মারা গেছেন মিমকে সোনার ব্রেসলেট উপহার দেওয়া সেই ভক্ত
গেল বছর মুক্তি পায় বিদ্যা সিনহা মিম ও সিয়াম অভিনীত সিনেমা ‘অন্তর্জাল’। এটি নির্মাণ করেছিলেন দীপংকর দীপন। মুক্তির পর দারুণ সাড়া ফেলে সিনেমাটি। তবে এই সিনেমা মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহে মিমের সঙ্গে ঘটে যায় এক অভাবনীয় ঘটনা। সিনেমাটি হলে দেখতে এসে মিমকে সোনার ব্রেসলেট উপহার দেন তার ভক্ত চিকিৎসক নাজিয়া যাবিন।     সেই ঘটনার বছর না গড়াতেই জানা গেল না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন মিমের সেই ভক্ত। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের মৃত্যুর খবরটি জানান অভিনেত্রী নিজেই। এদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে নাজিয়ার সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে আবেগঘন পোস্ট দেন মিম।   পাঠকদের সুবিধার জন্য মিমের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—   ‘আজ (বুধবার) আমি এমন এক মানুষের ব্যাপারে কথা বলছি যাকে আমি চিনেছি খুব অল্প সময়ের জন্য। কিন্তু এই অল্প সময়ে উনি আমার খুব কাছের একজন হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে আরও ভালো করে জানার আগেই তিনি চলে গেলেন আমাদের সবাইকে ছেড়ে। ডক্টর নাজিয়া আমার এত বছরের ক্যারিয়ারে যদি সত্যিকারের স্পেশাল একজন ভক্ত পেয়ে থাকি, তবে সেটা ছিলেন উনি। আমার এই পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া সকল সিনেমার ফার্স্ট শো তিনি দেখতেন!  গত বছর ‘অন্তর্জাল’ যখন মুক্তি পায় তিনি তখন জানতে পরেন আমি ওইদিন আসব। আমার অপেক্ষায় উনি সারাদিন ওখানে বসে ছিলেন। যাওয়ার পর আমাকে দেখেই তিনি এত খুশি হয়েছিলেন। আমাকে তখনই একটা ব্রেসলেট দেন। আমি নিজেই খুব অবাক হই যে আমাকেও কেউ কখনও না জেনে না দেখে এতটা পছন্দ করতে পারে। আমি আজকেও তার দেওয়া সেই ব্রেসলেট পরেছিলাম।  আজ কী মনে করে যেন আপুর প্রোফাইলে গিয়ে দেখি আপুর কাছের মানুষ লিখছেন আপু আর নেই। প্রথমে আসলেই মানতে পারিনি। আপুকে অনেকবার ফোন করলাম এই আশায় যে তিনি ধরে বলবেন সব ঠিক আছে আর আমি ভুল দেখছি। আমার ভুল ভেঙেছে এবং ওটাই সত্যি যেটা মেনে নিতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আপু আর নেই আমাদের মাঝে। জীবনটা আসলেই অনেক অনিশ্চিত। কাল রাত থেকে মন খুব খারাপ। নাজিয়ার সঙ্গে আমার খুব অল্প সময়ের পরিচয়, কিন্তু যেইটুকু সময় তাকে জেনেছি সেই সময়টুকু খুব সুন্দর কেটেছে। আপুর জন্য সবাই দোয়া করবেন।’ প্রসঙ্গত, বারডেম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন নাজিয়া যাবিন। চলতি রমজানেই ইফতারের আগে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। 
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪০

‘শাবনূরের ভক্ত হিসেবে এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর’
নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। ক্যারিয়ারে যিনি অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তার অভিনয়ে যেন আজও বুঁদ হয়ে রয়েছেন সিনেমাপ্রেমীরা। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেই নতুন চলচ্চিত্রে কাজ করার ঘোষণা দেন শাবনূর।  জানা গেছে, ‘মাতাল হাওয়া’ ও ‘রঙ্গনা’ নামের দুটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে ‘রঙ্গনা’র পোস্টারও। তবে সেই পোস্টার নিয়ে ভক্তদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে নেটদুনিয়ায়। কারণ শাবনূরের অধিকাংশ ভক্তই পছন্দ করেননি পোস্টারটি। আর এটা নিয়ে অনেকেই করছেন সমালোচনা। এবার বিষয়টি মুখ খুলেছেন শাবনূরের ক্যারিয়ারে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেওয়া সিনেমার নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। শুধু তাই নয়, নন্দিত এই অভিনেত্রীকে পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।  মানিক বলেন, গত কয়েক দিনে একটি পোস্টারকে ( ‘রঙ্গনা’ সিনেমার পোস্টার) কেন্দ্র করে, সবার প্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনুরকে যেভাবে ট্রল করা হয়েছে, সেটা মনে হয় তার এতো বছরের অভিনয় জীবনে কোনোদিন করা হয়নি। আমি নিজে একজন শাবনূরভক্ত হিসেবে এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। খোদ নায়িকার ভক্তরা একে বয়কটের ডাক দিয়েছে। নির্মাতা আরও বলেন, এই ট্রলের যুগে, আবার যদি শাবনূরের সিনেমা করতেই হয়, তাহলে খুব বুঝে শুনে করা উচিত। বর্তমান সময়ের অনেক মেধাবী নির্মাতারা তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। রায়হান রাফী, নিয়ামুল মুক্ত, এন এস বুলবুল বিশ্বাস— ইতোমধ্যে শাবনূরের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।  আবার কেউ কেউ শাবনূরকে নিয়ে কাজ করার কথা নিজে বলেছেন আমাকে। তাই আমার মনে হয়, নিজেকে আরও ফিট করে আরও সময় নিয়ে এসব পরিচালকদের সঙ্গে রাজকীয়ভাবে কাজে ফেরা উচিত শাবনূরের।   মানিকের ভাষ্যমতে, এই সময় এসে এক্সপেরিমেন্টের কোনো সুযোগ নেই। মনে রাখতে হবে— এটা ১৯২৪ না, এটা ২০২৪। বিখ্যাত সব পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনিকার, ডিওপির প্রচেষ্টার সঙ্গে শক্তিশালী অভিনয় দক্ষতার মিশেলে গড়ে উঠেছে শাবনূরের আজকের সার্বজনীন ইমেজ। কিছু লোকের অদক্ষতা, ভাইরাল হওয়ার প্রচেষ্টা আর শাবনূরের নিজের খামখেয়ালির জন্য, এই ইমেজ, এই জনপ্রিয়তা ধ্বংস হোক, আমিসহ শাবনূর অগণিত ভক্ত কিউই কোনোদিনও সেটা চায় না। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে মানিকের ‘দুই নয়নের আলো’ সিনেমায় অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন শাবনূর। এই সিনেমায় ফেরদৌস আহমেদ এবং শাকিল খানের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। শুধু তাই নয়, এতে গান গেয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ও মনির খানও।  
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়