• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কেজিতে ৪০ টাকা বাড়ল ব্রয়লার মুরগির দাম
ঈদ সামনে রেখে আরেক দফা বেড়েছে ব্রয়লারসহ সব ধরনের মুরগির দাম। এর মধ্যে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।   শুক্রবার (৫ এপ্রিল) কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। অথচ, গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ২০০ থেকে ২০৫ টাকায়। পাশাপাশি দাম বেড়েছে অন্যান্য জাতের মুরগিরও। সপ্তাহান্তে সোনালি মুরগি ৩৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৪০ টাকা এবং সাদা লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে, স্থিতিশীল আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বর্তমানে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।   ঈদে চাহিদা তেমন না থাকায় স্থিতিশীল আছে সবজির বাজার। রাজধানীর বাজারগুলোতে বর্তমানে প্রতি কেজি কচুরমুখির ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, ক্ষীরা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকায় এবং সজনে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  এছাড়া পিস হিসেবে লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও ব্রোকলি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ আর আলু। শুক্রবার দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ৬০ টাকা এবং আলু ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৪৬

যেসব জায়গায় পাওয়া যাবে ১০ টাকায় ডিম, ২০০ টাকায় ব্রয়লার
পবিত্র রমজান ও ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বাজারে ন্যায্য মূল্যে ডিম ও মুরগি বিক্রি করবে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এ কার্যক্রমে প্রতি ডজন ডিম ১২০ টাকায় কেনা যাবে। এ ছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা এবং ড্রেসিং করা ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হবে বলে জানা গেছে। বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিউজ্জামান এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। বিপিএ জানিয়েছে, রাজধানীর ২০টি পয়েন্টে ট্রাকসেলে ডিম ও মুরগি ন্যায্য মূল্যে বিক্রি কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের প্রভাব কমিয়ে স্মার্ট পোল্ট্রি শিল্প গড়ার অংশ হিসেবে ভোক্তাদের কাছে সরাসরি ন্যায্য মূল্যে ডিম ও মুরগি বিক্রি করা হবে। এজন্য খামারিদের কাছ থেকে ডিম ও মুরগি সংগ্রহ করে আগামী বুধবার থেকে কারওয়ান বাজারে এবং পরবর্তীতে ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান/বাজার সমূহে খুচরা পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকসেলের মাধ্যমে এ বিক্রি কার্যক্রম চলমান থাকবে। বিক্রির স্থান/বাজার:  কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজার, শান্তিনগর বাজর, মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার, কৃষি মার্কেট, শ্যামলী, গুলশান নতুন বাজার, সেগুনবাগিচা, সচিবালয়, উত্তর বাড্ডা বাজার, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, ঝিগাতলা শংকর বাস স্ট্যান্ড, মতিঝিল, মিরপুর, শান্তিনগর বাজার, নিউ মার্কেট, রামপুরা বাজার, কামরাঙ্গীরচর, শনির আখরা বাজার।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৪:০০

রমজানের আগেই বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম
পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখেই বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত বছরের রমজানে ব্রয়লার মুরগির দাম আড়াইশ’ টাকা ছাড়িয়েছিল। বর্তমানে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ২১০ টাকা করে। গত বছরের তুলনায় দাম এখনও কিছুটা কম রয়েছে। তবে গত এক সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতিকেজিতে  ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। গত রমজানের আগে দাম বেশি বেড়ে যাওয়ায় মুরগি উৎপাদনকারী বড় চার প্রতিষ্ঠানকে ডেকে মূল্য নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এরপর বাজারে মুরগির দাম কমেছিল। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, গতবারের মতো এবারও যাতে রোজা ও শবে বরাতের আগে বাজারে অস্থিরতা তৈরি না হয়, সে জন্য কর্তৃপক্ষের তদারক করা প্রয়োজন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ফার্মের মুরগির উৎপাদন হয়েছিল ৩১ কোটি ৯৭ লাখ। সরকারের হিসাবে গত ১০ অর্থবছরে মুরগির উৎপাদন ক্রমেই বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়ার আগপর্যন্ত দেশের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম মোটামুটি ১৫০ টাকার মধ্যে ছিল। এরপর থেকে মুরগির বাজার ওঠানামার মধ্যে আছে। কখনও খামারিরা লোকসান করছেন, আবার কখনও ক্রেতাদের বেশি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে। দেড় মাস আগেও কমবেশি ৭০ টাকায় প্রতিটি ব্রয়লারের বাচ্চা বিক্রি হয়েছে। ব্রয়লারের বাচ্চার দাম সাধারণত ৩০ টাকার মতো থাকে। নতুন করে দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা খামারে বাচ্চা তোলা কমিয়ে দিয়েছেন। আর এ কারণেই এখন বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। এর ফলে বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দাম।  খামারি শাহিন আলম বলেন, বর্তমানে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা। দুই হাজার পিস বাচ্চা কিনতে চাইলে এক হাজার পাওয়া যাচ্ছে। আর বাচ্চাগুলো কোম্পানিগুলোর নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকাও পড়ছে কখনও কখনও। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে মুরগি। এ বিষয়ে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, হঠাৎ করেই মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মাংস ও ডিমের দাম বাড়লেই সাধারণ মানুষ কথা বলে। বাজারে দাম নিয়ে হইচই হয়। তবে যখন ৩০ টাকার মুরগির বাচ্চা ৮০ টাকায় বিক্রি করা হয় তখন কেউ কথা বলে না। কারণ অনেকেই বিষয়টি জানেন না। তিনি বলেন, কম দামে ডিম ও মুরগির মাংস খেতে সবারই ইচ্ছে থাকে। কিন্তু খামারির খরচ যে বাড়ল, তা দেখার কেউ নেই। মুরগি-ডিমের বাজারে অস্থিরতা কমাতে হলে মুরগির খাদ্য ও বাচ্চার দাম স্থিতিশীল রাখা দরকার।  
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়