• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গুজরাটের বিপক্ষে দিল্লির ব্যাট টু ব্যাক জয়
চলতি আইপিএলের প্রথম দেখায় গুজরাটকে আসরের সব থেকে কম ৮৯ রানে অলআউট করেছিল দিল্লি। সেই ম্যাচে ছয় উইকেটের দুর্দান্ত জয় পায় পান্থের দল। দ্বিতীয় দেখায় ঘরের মাঠে গুজরাটকে ৪ রানে হারিয়ে ব্যাক টু ব্যাট জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। বুধবার (২৪ এপ্রিল) আগে ব্যাট করতে নেমে গুজরাটকে ২২৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলতে পারে গুজরাট। এতে ৪ রানের জয় পায় দিল্লি। এতে গুজরাটকে পিছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে দিল্লি। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় গুজরাট। ৫ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার শুভমান গিল। এরপর সাই সুদর্শনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ঋদ্ধিমান শাহা। ২৫ বলে ৩৯ রান করে ঋদ্ধিমান আউট হলেও ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই সুদর্শন। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি আজমতুল্লাহ ওমারজাই। ২ বলে ১ রান করে আউট হন এই আফগান অলরাউন্ডার। ৩৯ বলে ৬৫ রান করে সুদর্শন আউট হলে চাপে পড়ে গুজরাট। ৫ বলে ৮ রান করে শাহরুখ খান এবং ৫ বলে ৪ রান করে রাহুল তাওয়াতিয়া আউট হলে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন ডেভিড মিলার। ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ১৮তম ওভারে দ্বিতীয় বলে মুকেশ কুমারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন ডেভিড মিলার। ২৩ বলে ৫৫ রান করে এই বাঁহাতি ব্যাটার আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় গুজরাট। ৬ বলে ১৩ রান করে আউট হন কিশোর। শেষ দিকে ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললেও হার এড়াতে পারেনি গুজরাট। নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলতে পারে গুজরাট। এতে ৪ রানের জয় পায় দিল্লি। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন রাসিখ সালাম। এ ছাড়াও কুলদ্বীপ যাদব দুটি, এনরিখ নরকিয়া, মুকেশ কুমার ও অক্ষর প্যাটেল একটি করে উইকেট নেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দিল্লির দুই ওপেনার পৃথ্বী শাহ এবং জ্যাক ফ্রেজার। তবে ইনিংস বড় করেতে পারেননি দুজনের কেউই। ১৪ বলে ২৩ রান করে ফ্রেজার আউট হলে ৭ বলে ১১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন পৃথ্বী। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শাই হোপ। ৬ বলে ৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। এরপর দিল্লি শিবিরের হাল ধরেন অক্ষর প্যাটেল এবং ঋষভ পান্থ। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে দিল্লি। ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন অক্ষর প্যাটেল। এরপর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৩ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। অপর প্রান্তে ব্যাট চালাতে থাকে পান্থও। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন দিল্লি অধিনায়ক। এরপর ব্যাটিংয়ে এসে তাণ্ডব শুরু করে ক্রিস্টান স্টাবস। ১৯তম ওভারে ২১ রান তোলে এই প্রোটিয়া ব্যাটার। শেষ ওভারে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে রান তুলতে থাকেন পান্থ। স্টাবসের ৭ বলে ২৬ রান এবং পান্থের ৪৩ বলে ৮৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ২২৪ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি। 
২৩ ঘণ্টা আগে

সিলেটে পাওয়া যাবে আইসিসি অনুমোদিত বাংলা ব্যাট
বাংলাদেশের ক্রিকেটে উন্নতমানের ব্যাটের জন্য এতদিন নির্ভর করতে হতো পাকিস্তানি ও ভারতীয় ব্যাট কোম্পানির ওপর। সেটা কাটাতে এগিয়ে এসেছে ‘এমকেএস’।  ইমরুল কায়েস, মেহেদী মিরাজ ও ব্যাট ডক্টরখ্যাত শাহীন আহমেদ গড়ে তুলেছেন এই ‘এমকেএস’। বাংলাদেশে প্রথম ব্যাট কোম্পানি হিসেবে এটাকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পর সিলেটেও পথচলা শুরু করেছে ‘এমকেএস’; যা সিলেটবাসীকে আশা জাগাচ্ছে উন্নতমানের ব্যাট প্রাপ্তির। শাহীন আহমদের মন্তব্য, ভারত-পাকিস্তান তৈরি করতে পারলে আমরা কেন পারব না। বেসিক কিছু জিনিস গুগলে সার্চ করার পর দেখলাম, কাঠটা আসে ইংল্যান্ড থেকে। ভারত-পাকিস্তানও সেখান থেকেই কাঠ নিয়ে আসে। তিনি যোগ করেন, এরপর বিষয়টি নিয়ে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে আলাপ হয়। তিনি আমাকে এ নিয়ে আশ্বস্ত করেন। ইংল্যান্ড থেকে কাঠ এনে তৈরি করা হচ্ছে এ ব্যাট। শুধু ব্যাট নয়, এমকেএসে পাওয়া যাবে সব ধরনের ক্রীড়াসামগ্রীও। পুণ্যভূমি সিলেটে টেপ-টেনিস ব্যাটের চাহিদাও প্রচুর।   ইমরুল কায়েসের ভাষ্য, আমার কাছে কোনো ভিন্নতা মনে হয়নি। তারা যেখান থেকে নিয়ে আসে, আমরাও একই জায়গা থেকেই নিয়ে আসি। শুধু ম্যানুফ্যাকচারিং তাদের দেশে হয়। আর এই ম্যানুফেকচারিং আমাদের দেশে হবে। একই প্রক্রিয়ায়, সব কিছু একই রকম। আমার মনে হয়, মানের দিক দিয়ে এটা কোনো অংশে কম না। সিলেটে দেশি ব্র্যান্ডের ব্যাটের যাত্রা শুরুর সাক্ষী হন স্থানীয় বিশিষ্টজনরা। এমন উদ্যোগে বেশ উৎফুল্ল তারা। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর মন্তব্য, আমি মনে করি এমকেএস একদিন বিশ্বে জায়গা করে নেবে। আগামীতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের উপযোগী বিশেষায়িত ব্যাট তৈরির পরিকল্পনাও জানান, ‘এমকেএস’র কর্ণধাররা।  
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩১

ব্যাট হাতে টানা ব্যর্থতার মাশুল গুনলো লিটন
ক্যারিয়ারের সব থেকে খারাপ সময় হয়তো পার করছেন লিটন কুমার দাস। ব্যাট হাতে টানা ব্যর্থতার কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মাঝ পথে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। টেস্ট দলে জায়গা পেলেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি লিটন। তার মাশুলও গুণতে হয়েছে এই টাইগার ওপেনারকে। মাঠের ক্রিকেটে বাজে পারফরম্যান্সের দরুন এবার র‌্যাঙ্কিংয়েও বড় অবনতি হয়েছে তার।  বুধবার (২৭ মার্চ) টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সাত ধাপ নিচে নেমেছে লিটন। এখন যৌথভাবে তিনি ২৪তম স্থানে আছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শুরুটা ভালো করেছিলেন মিডল অর্ডারে নামা এই ব্যাটার। তবে ২৫ রানে তার সেই ইনিংস থামে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ফেরেন গোল্ডেন ডাক নিয়ে। প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেটে এগিয়ে এসে ৩০ গজ বৃত্তের ভেতরেই ক্যাচ দেন লিটন।  এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও, ফলে তারও অবনতি হয়েছে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ রান করা বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান ৯ ধাপ পিছিয়ে এখন ৫৩ নম্বরে।  তবে টেস্ট ব্যাটারদের তালিকায় এগিয়েছেন মুমিনুল হক। লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৩২৮ রানে হারের ম্যাচে একমাত্র রান পেয়েছিলেন মুমিনুল। চারে নেমে তিনি ৮৭ রান করেন। ফলে ৯ ধাপ এগিয়ে তিনি উঠে গেছেন ৫০ নম্বরে। অন্যদিকে টেস্ট বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়ে টাইগার পেসার খালেদ আহমেদের। ওই ম্যাচে মোট ৪ উইকেট নিয়ে বোলারদের তালিকায় তিনি ৯ ধাপ এগিয়েছেন। ফলে টেস্ট বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে খালেদ এখন ৮৯তম স্থানে।  ম্যাচে তেমন প্রভাব রাখতে না পারা তাইজুল ইসলাম পিছিয়েছেন দুই ধাপ। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি নিয়েছিলেন ৩ উইকেট, যা নিয়ে বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে তার অবস্থান এখন পঞ্চদশ। তবে এটাই টেস্টে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থান। তবে ব্যাটারদের শীর্ষ র‍্যাঙ্কিংয়ে কারও অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। যথাক্রমে আগে থেকেই শীর্ষ তিনের মধ্যে আছেন নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন, ইংল্যান্ডের জো রুট ও পাকিস্তানের বাবর আজম। আর বোলারদের মধ্যে এক নম্বরে আছেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন, দুইয়ে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজলউড ও ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ। দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা আছেন তিন নম্বরে। 
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

তিনে ব্যাট করলেন তামিম, জানা গেল আসল কারণ
বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তামিম ইকবালকে ওপেনিংয়ে ব্যাট না কারার প্রস্তাব দিয়েছিল বিসিবি। প্রস্তাব না-মানায় বিশ্বকাপ দল থেকেই বাদ পড়েন দেশসেরা এই ওপেনার ব্যাটার। তবে চলমান ডিপিএলে তিন নম্বরে ব্যাট করে চমক দিয়েছেন তিনি।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সাভারের বিকেএসপির চার নাম্বার মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে মাঠে নামে তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। তবে নির্ধারিত সময়ে মাঠে উপস্থিত না-হওয়ায় টসের সময়ও উপস্থিত হতে পারেননি তামিম। টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় প্রাইম ব্যাংক। ব্যাটিংয়ে ওপেনিংয়েও দেখা মিললো না তামিমের। ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন শাহাদাত হোসেন দীপু এবং পারভেজ হোসেন ইমন। তাই ধারণা করা হচ্ছিল, তামিম হয়তো খেলছেন না এই ম্যাচ।  তবে কিছুক্ষণ পরই জানা যায় আসল কারণ। ঢাকা থেকে সাভারে যাওয়ার পথে জ্যামে আটকে গিয়েছিলেন তামিম। যে কারণে মাঠে আসতে বিলম্ব হয় তার। শেষমেশ তামিম যতক্ষণে মাঠে পৌঁছান ততক্ষণে ইনিংসের ২০ ওভারের বেশি সময় পেরিয়ে যায়। তবে প্রাইম ব্যাংক অধিনায়কের জন্য স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, দুই উদ্বোধনী ব্যাটার তখনো ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হওয়া এই দুই ব্যাটারের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ২৪৬ রান। ১০ চার ও ৪ ছক্কার মারে ১১১ বলে ১১৯ রান করেছেন দিপু। এ ছাড়া পারভেজ ইমন করেন ১২৯ বলে ১৫১ রান। তার দেড়শ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চার ও ৮ ছক্কার মারে। দিপুর বিদায়ের পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ৪১ তম ওভারে সালাউদ্দিন শাকিলের বলে মিডঅফে রাহির হাতে ধরা পড়েন। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১৬ রান। তামিম ফিরলেও এরই মধ্যে দুই ওপেনারের সেঞ্চুরির সুবাদে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮০ রানের পাহাড় গড়েছে তারা।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৯

ব্যাট ছাড়াই ইমরান শিবিরের অবিশ্বাস্য ইনিংস, নেপথ্যের রহস্য
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ঘোষিত ২৬৪ আসনের ফলাফলে সবচেয়ে বেশি ১০১টি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই প্রার্থীদের ৯৩ জনই কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত। বিশ্লেষকদের ভাষ্য, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও পাকিস্তানের রাজনীতিতে পিটিআইয়ের শক্ত অবস্থান ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে, যা একটি নতুন মেরুকরণের সামনে দাঁড় করিয়েছে পাকিস্তানের রাজনীতিকে। অথচ এই নির্বাচন ঘিরে ইমরান খানের সামনে প্রতিবন্ধকতার শেষ ছিল না। পিটিআইয়ের ক্ষমতা খর্ব করতে সেনাবাহিনী তাদের প্রতিটি অস্ত্র ব্যবহার করেছে। পিটিআইয়ের দলীয় 'প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট' বাতিল করা হয়েছে। কারাবন্দী করা হয়েছে ইমরান খানসহ দলের অন্য অনেক নেতাকেও। মূলধারার গণমাধ্যমেও জায়গা ছিল না পিটিআইয়ের। নেতাদের ওপর ছিল আনুগত্য পরিবর্তন কিংবা রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার প্রবল চাপ। সবমিলিয়ে আক্ষরিক অর্থেই পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে পিটিআইকে মুছে ফেলার সব চেষ্টাই করা হয়েছে নির্বাচনের পুরো সময়জুড়ে। কিন্তু সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে ভোটের মাঠে অবিশ্বাস্য এক ইনিংসই উপহার দিলেন পাকিন্তানের বিশ্বকাপ জয়ী ক্যাপ্টেন ইমরান খান ও তার পিটিআই শিবির। স্বতন্ত্রভাবে লড়েই জনপ্রিয়তার জোরে হারিয়ে দিলেন সেনা সমর্থনপুষ্ট নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগকে। অন্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ইমরান শিবির এখন সরকার গঠন করতে পারবে কি না, নাকি কূটনৈতিক তৎপরতায় ক্ষমতার গদিতে বসবেন নওয়াজ, তা সময়ই বলে দেবে। তবে, চিরাচরিত সেনা দাপটকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ইমরানের পিটিআই যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা পাকিস্তানের দীর্ঘ রাজনীতির ইতিহাসে অভাবনীয়ই বলতে হবে।    বিশ্লেষকরা বলছেন, শত প্রতিকূলতার মাঝেও নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা যে সাফল্য অর্জন করেছেন তার সবচেয়ে বড় কারণ, পাকিস্তানের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু এখনো কম-বেশি কার্যকর আছে। সে কারণেই নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখলেও তা খুব একটা কাজে আসেনি। এর বাইরে দেশটির বিচার বিভাগ নিজস্ব অবস্থান ধরে রেখে অন্তত গত দুই দশকে বিভিন্ন ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাছাড়া এই নির্বাচন কোনো দলীয় সরকারের অধীনে হয়নি। ফলে সামরিক বাহিনীসহ ক্রীড়ানক অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো চাপ দিয়ে ভোটের মাঠ সবটা দখল করার সুযোগ পেয়েছে বলে মনে হয় না। পক্ষান্তরে সেনা সমর্থনপুষ্ট নওয়াজ শরীফকে প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের ভোটের ক্ষমতা দেখিয়েছে পাকিস্তানের জনগণ। অনেকটা একই ঘটনা ঘটেছে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির ক্ষেত্রেও। বিশ্লেষকদের মতে, প্রচলিত সুবিধাবাদী রাজনীতিতে যে গোষ্ঠীগুলো আছে তার বিরুদ্ধে ইমরানের অবস্থানকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতা। এর মধ্য দিয়ে অন্য গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের অনাস্থাও স্পষ্ট হয়েছে একইসঙ্গে। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্ম ব্যাপকভাবে এই ভোটে অংশ নিয়েছে; যাদের সমর্থন ছিল ইমরানের প্রতি। অনেকের মতে, পাকিস্তানে যে নির্বাচনটা হয়ে গেল, তা ছিল জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচন। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচন ছিল না। জনগণ এখানে দুটো বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছে। পাকিস্তানে সামরিক রাজনীতির বিরুদ্ধে যে অনাস্থা, সেটার একটা প্রায়োগিক প্রতিফলন ঘটেছে এই নির্বাচনের ভেতর দিয়ে। দ্বিতীয়ত, ইমরান খানের যে জাদুকরী নেতৃত্বগুণ আছে বিরোধী দল হিসেবে কিংবা সরকারি দল হিসেবে- সেটাকে সম্মান করে পাকিস্তানের সমাজ। তাই বলা যায় এই নির্বাচনের ভেতর দিয়ে পাকিস্তানের সমাজে, পাকিস্তানের রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিস্তর পরিবর্তন এসেছে। রাজনীতিতে আসার পর থেকে ইমরানের সামনে সবসময় সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য ছিল। সেটা হলো সামরিকতন্ত্র থেকে দেশের অর্থনীতিকে বের করে নিয়ে আসা এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতার ক্ষেত্রে পাশ্চাত্য নির্ভরতা কমানো। সেইসঙ্গে আরেকটা বিষয় এসেছে। সেটা হলো ইমরান খান নিজে অভিজাত শ্রেণীর প্রতিনিধি হয়েও সাধারণের কাতারে নিজেকে নামিয়ে আনতে পেরেছেন। যেটা নওয়াজ শরীফ কিংবা বিলাওয়াল ভুট্টোর পক্ষে সম্ভব হয়নি। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী কিংবা অভিজাতরা বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও তা আদতে কার্যকর হয়নি। এছাড়া পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম অনেক বেশি প্রগতিশীল এবং বাস্তববাদী। তাদের আকুণ্ঠ সমর্থন ইমরান পেয়েছেন।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৬

১১ ঘণ্টা ব্যাট করে রিফাতের ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড
ট্রিপল সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়েছেন বিকেএসপির ওপেনার রিফাত বেগ। শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন ১৬ বছর বয়সী রিফাত। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে এটিই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি। রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে এমন ইতিহাস গড়তে ৬৫০ মিনিট মানে প্রায় ১১ ঘণ্টা (১০ ঘণ্টা ৫০ মিনিট) উইকেটে ছিলেন বিকেএসপির এই ওপেনার।  ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ২৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৮৩ বলে ৩২০ রানের অপরাজিত এই ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। আসরের দ্বিতীয় সেমিতে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় ঢাকা মেট্রো। বিকেএসপির হয়ে অধিনায়ক তাফসির আরাফাত তাসিব চারটি এবং ফারহান শাহরিয়ার ৩ উইকেট শিকার করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে বিকেএসপি। প্রথম ইনিংসে ৫৪৯ রান তুলে দলটি। রিফাতের ট্রিপল সেঞ্চুরির পাশাপাশি আরেক ওপেনার ফাহিম মুনতাসির ৫৭ এবং টপ-অর্ডারের ইয়াসিন আরাফাতের ৪৫ রানের সুবাদে এই সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা। ঢাকা মেট্রোর হয়ে ৫ উইকেট নেন লেগ স্পিনার আবু সুফিয়ান শাওন। প্রথম ইনিংসে ৪০৬ রানে পিছিয়ে ফের ব্যাট করছে ঢাকা মেট্রো। দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত বিনা উইকেটে ৮১ রান তুলেছে তারা। তাই এখনও ৩২৪ রানে এগিয়ে বিকেএসপি।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৭

সাকিবকে ব্যাট উপহার দিলেন মিরাজ
প্রথম ব্যাট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘এমকেএস স্পোর্টস’। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইমরুল কায়েস। এমকেএস স্পোর্টস ইতোমধ্যে দেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার ছাড়াও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে ব্যাট স্পন্সর করেছে। নিজেদের প্রচারণার জন্য দেশের সেরা ক্রিকেটারদের ব্যাট উপহার দিয়েছেন মিরাজ-ইমরুলরা। তবে বাদ ছিল দেশের ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান। এবার সেই কাজও সেরে ফেলেছেন এমকেএস স্পোর্টস।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সিলেটে একই সঙ্গে অনুশীলন করেছেন মিরাজের ফরচুন বরিশাল ও সাকিবের রংপুর রাইডার্স। এ সময় সাকিবের হাতে নিজ প্রতিষ্ঠানের ব্যাট তুলে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। চলতি মাসের শুরুতে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আট ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা করেন এবং সেখানে তাদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে মিরাজ। সেখানে ইমরুল কায়েস না আসলেও মিরাজের ফোন থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে যুবাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।  তার আগে গত ১২ ডিসেম্বর প্রথম বাংলাদেশি ব্যাট তৈরির ব্র্যান্ড হিসেবে আইসিসির স্বীকৃতি পেয়েছে ইমরুল কায়েস ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্র্যান্ড এমকেএস স্পোর্টস ব্যাট। ইমরুল-মিরাজ ছাড়াও তাদের সঙ্গে আছেন রাজশাহীর ব্যাটের ডাক্তার খ্যাত আফতাব শাহীন। তিনজনের নামের অদ্যাক্ষর দিয়ে তৈরি হয়েছে এমকেএস স্পোর্টস ।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৪

মিরপুরে আগে ব্যাট করে জয় পায়নি কোনো দল
মিরপুরে বিপিএলের দশম আসেরর উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও দুর্দান্ত ঢাকা। ঢাকাতে প্রথম পর্বে আট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে মিরপুরের রহস্যময় উইকেটে আগে ব্যাট করে জয় পায়নি কোনো দল। ইতোমধ্যে ঢাকা পর্বের প্রথম অংশ শেষ করে এই টুর্নামেন্ট গড়িয়েছে সিলেটে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেটে শুরু হবে বিপিএলের পরবর্তী লড়াই। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি দল সিলেট পর্ব শেষ করে আবারও ঢাকায় ফিরবে।  ঢাকা পর্বে টানা দুই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে খুলনা টাইগার্স। দুই ম্যাচেই পরে ব্যাট করেছে দলটি। সবশেষ ফরচুন বরিশালের দেওয়া ১৮৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বিজয়ের দল। অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্সের কপাল পুড়েছে একই কারণে। টানা দুই ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামাটাই যেনো কাল হয়েছে সিলেটের জন্য। দুই ম্যাচেই হারতে হয়েছে গতবারের রানার্স আপদের। এ ছাড়াও এবারের বিপিএলে মিরপুরের উইকেটে সকালে রান কম উঠতে দেখা গেছে। যেখানে একই উইকেটে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রানের গতিও বেড়েছে। রাতের ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নামা দল কয়েকটি দল বড় স্কোর গড়লেও জিততে পারেনি। তবে সিলেটে এর ব্যতিক্রম ঘটতে পারে। সেখানকার মাঠ ও কন্ডিশন কিছুটা হলেও ভিন্ন হবে। সে পর্যন্ত কেবল সময়ের অপেক্ষা।  আগামী শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেটে প্রথম দিনে খুলনা টাইগার্স-রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ দিয়ে খেলা শুরু হবে। রাতের ম্যাচে লড়াই করবে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। গত আসরের এই দুই ফাইনালিস্টের লড়াই দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশের ভক্তরা। 
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৪

‘ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে মুখিয়ে আছেন স্মিথ’
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগামীকাল মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচ দিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথমবার টেস্টে ওপেন করতে নামবেন স্টিভেন স্মিথ। ওপেন করতে আর তর সইছে না ডানহাতি এই ব্যাটারের।    পাকিস্তান সিরিজে ডেভিড ওয়ার্নার অবসরের পর ওপেনিংয়ে উসমান খাজার সঙ্গীকে হবে তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সেখানে নিজের নাম প্রস্তাব করেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্টও তার নাম বিবেচনায় নিয়ে নেয় দ্রুতই। নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য বেশ উৎসাহের সঙ্গেই মুখিয়ে আছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন অজি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। তিনি বলেন, গত দুই দিনে যা দেখলাম, আগে কখনও তাকে এতোটা আনন্দে ও প্রাণবন্ত থাকতে দেখিনি। ওপেনার হিসেবে মাঠে নামতে তার তর সইছে।  ‘আবার নতুন বলের কথাই ভাবা যাক, যেখানে হয়তো আরও রান করার উপায় থাকবে। তবে এটাই তাকে রোমাঞ্চিত করছে।’  স্মিথকে ওপেনার হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে বলে জানালেন কামিন্স। তিনি বলেন, যে কি না খেলাটির সবকিছু অর্জন করেছে, এমন একজনকে নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য রোমাঞ্চিত হতে দেখলে তা আপনাকে বিবেচনায় রাখতেই হয়। কিছু টেস্ট খেলিয়ে দেখাটা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।  তিনি আরও বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এই সিদ্ধান্তটি অনেকটাই পার্মানেন্ট। আমি মনে করি, সে যেখানেই ব্যাট করুক না কেন ভালো করবে। সত্যি বলতে সে ঠিক ততটাই ভালো খেলোয়াড়।  এর আগে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওপেনিং ব্যাট করতে দেখা যায় স্মিথকে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৩

আট যুব ক্রিকেটারকে ব্যাট স্পন্সর করল মিরাজ-ইমরুলের এমকেএস স্পোর্টস
একদিন আগেই যুব বিশ্বকাপ দলের ক্রিকেটারদের ব্যাট উপহার দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল খান। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আট ক্রিকেটারকে ব্যাট স্পন্সর করল মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইমরুল কায়েসের যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা এমকেএস স্পোর্টস। শনিবার (৬ জানুয়ারি) অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আট ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা করেন এবং সেখানে তাদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে মিরাজ। সেখানে ইমরুল কায়েস না আসলেও মিরাজের ফোন থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে যুবাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ইমরুল বলেন, তোমাদের জন্য আমার দোয়া থাকবে সব সময়। ইনশাল্লাহ এবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরবে তোমরা। এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিরাজ বলেন, দেখেন আমি যখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলি, তখন কোনো স্পন্সরশিপ পায়নি। তাই তাদের (যুবাদের) স্পন্সর দিতে পেরে আমি খুব খুশি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য দেশি ক্রিকেটারদের প্রোমোট করা এবং তাদেরকে উন্নত মানের ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান করা। ‘তাই আমরা শুরুতেই স্পন্সরশিপে গিয়েছি। যুবাদের সঙ্গে সাইন হয়েছে। নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গেও আমাদের কথা চলছে। এ ছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে শুরু করে যেসব ভালো ক্রিকেটার আছে তাদের কেউ আমরা স্পন্সর দিব। সামনে বিপিএল আসছে, অনেকের সঙ্গে আমরা কথা বলছি’। তিনি বলেন, আপনারা জানেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংলিশ উইলো যুক্ত ব্যাট ছাড়া খেলা যায় না। তাই আমরা বিদেশ থেকে উইলো এনে দেশেই ব্যাট প্রস্তুত করব। তিনি আরও বলেন, আমরা আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বড় অনুষ্ঠান করে এটার (এমকেএস স্পোর্টস) উদ্বোধন করব। সেখানে পাপন ভাই (বিসিবি সভাপতি) প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর প্রথম বাংলাদেশি ব্যাট তৈরির ব্র্যান্ড হিসেবে আইসিসির স্বীকৃতি পেয়েছে ইমরুল কায়েস ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্র্যান্ড এমকেএস স্পোর্টস ব্যাট। ইমরুল-মিরাজ ছাড়াও তাদের সঙ্গে আছেন রাজশাহীর ব্যাটের ডাক্তার খ্যাত আফতাব শাহীন। তিনজনের নামের অদ্যাক্ষর দিয়ে তৈরি হয়েছে এমকেএস স্পোর্টস ।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়