• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত জাহাজের গতিরোধ ভারতীয় নৌবাহিনীর
ভারত মহাসাগরের সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের ব্যবহৃত মাল্টিজ-পতাকাবাহী বাল্ক কার্গো জাহাজ রুয়েনকে রুখে দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। বর্তমানে এই জাহাজে থাকা সোমালি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ এবং সেখানে কোনো জিম্মি থাকলে তাদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাইয়ে জলদস্যুরা এ জাহাজটি ব্যবহার করেছিল।    শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভারতীয় নৌবাহিনী সোমালি জলদস্যুদের দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত কার্গো জাহাজ রুয়েনকে বাধা দিয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর সোমালি জলদস্যুরা কার্গো জাহাজটি ছিনতাই করে। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৫ মার্চ) নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ মাল্টিজ পতাকাবাহী বাল্ক কার্গো জাহাজটিকে বাধা দেয়। জলদস্যুদের দখলে থাকা জাহাজটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজে গুলি চালায়। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় নৌবাহিনী জাহাজে থাকা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বলেছে এবং জাহাজটিতে আটকে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে যোগ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী বৃহস্পতিবার জানায়, সোমালি জলদস্যুরা গত ডিসেম্বরে মাল্টিজ জাহাজ রুয়েন দখল করে। তারা এ সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী একটি কার্গো জাহাজ দখলে এটি ব্যবহার করে থাকতে পারে। ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে বলছে, এমভি আবদুল্লাহকে যখন ছিনতাই করা হয়, তখন রুয়েন মাত্র ২৯৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল এবং পূর্বদিকেই যাচ্ছিল। মেরিটাইম সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা এ সংস্থাগুলোর শঙ্কা, মাল্টিজ জাহাজ রুয়েনকে জলদস্যুরা ছিনতাইয়ের কাজে মাদার ভ্যাসেল হিসেবে ব্যবহার করছে। যদিও একজন বাদে ওই জাহাজের ১৬ নাবিক এখনো জিম্মি আছেন। গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। দস্যুদের কাছে জিম্মি হয় ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করে। পরে সেটি আরও এগিয়ে উপকূলের ৭ মাইলের মধ্যে অবস্থান নেয়। কিন্তু শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ জাহাজটি আরারও চলতে শুরু করে। সর্বশেষ ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে সোমালিয়ার গারাকাড থেকে গোদবজিরান উপকূলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগের অবস্থান থেকে এটি প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে। বর্তমানে জাহাজটি উপকূল থেকে মাত্র ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৪

ঘাটাইলে স্বাধীনতাযুদ্ধে ব্যবহৃত মর্টার শেল উদ্ধার
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহার করা পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে।  রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ঘাটাইল থানার বাউন্ডারি দেয়াল সংলগ্ন স্থান থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা খুঁটি পোঁতার জন্য খনন কাজ করার সময় অবিস্ফোরিত শেলটি খনন যন্ত্রের সঙ্গে উঠে আসে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার পরিদর্শক তদন্ত সজল খান।  পুলিশ ও খনন কাজে নিয়োজিত বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা জানায়, ঘাটাইল থানার বাউন্ডারি দেয়াল সংলগ্ন স্থানে সকাল ১০ টার দিকে বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতার জন্য খনন কাজ করছিলেন পল্লী বিদ্যুতের কয়েকজন কর্মী। এ সময় খনন যন্ত্রের সঙ্গে লোহা সাদৃশ্য একটি বস্তু উঠে আসে। খনন যন্ত্রটি নাড়াচাড়া করলে বস্তুটি পুনরায় মাটির গর্তে পড়ে যায়। দেখতে অস্বাভাবিক এবং শেলের মতো হওয়ায় ঘটনাটি দ্রুত তারা পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে রাখে। পরে বিষয়টি ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাস এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন পুলিশ। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম অবিস্ফোরিত শেলটি পর্যবেক্ষণ করে জানান এটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর ব্যবহার করা শেল। ঘাটাইল থানার পরিদর্শক তদন্ত সজল খান বলেন, অবিস্ফোরিত শেলটি থানায় রাখা আছে। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাদের ভাষ্য, শেলটি আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সম্ভবত এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহার করা পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর শেল।  তিনি আরও বলেন, শেলটি নিষ্ক্রিয় না সক্রিয় তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য সেনাবাহিনীকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। 
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়