• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা-ছিনতাই, কিশোর গ্যাংকে ধরতে মরিয়া পুলিশ
টাঙ্গাইল গোপালপুরে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালিয়ে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের পর এলাকা থেকে পালিয়েছে মুশফিক, সিয়াম সাকিন ও জয় ঘোষ নামের তিন কিশোর গ্যাং সদস্য। ঘটনার পরদিন থানায় তাদের নামে মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ঢেউটিন ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের ওপর এই হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক তৈয়ব বলেন, আসামিদের ধরতে সব রকম চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। বেশ কয়েক বার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পরই তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আজ হোক বা কাল শাস্তি তাদের পেতেই হবে। অপরাধীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। থানার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ অভিযোগকারীর ছেলে দিদার হোসেনের সঙ্গে অভিযুক্ত মুশফিকের খেলাধুলা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। সে সময় স্থানীয় কাউন্সিলর মইনুদ্দিন বাবু বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। তারপরও ওই সময় বাদীর ছেলেকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় মুশফিক। এর জেরে গতকাল শুক্রবার আ. রশিদের ছেলে মুশফিকের নেতৃত্বে কিছু কিশোর গ্যাং সদস্য বাদীর স্বামী জালাল উদ্দিনের ওপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হঠাৎ করে হামলা চালায়। এ সময় ভুক্তভোগীর কাছে থাকা ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার পর ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত মুশফিক। ঘটনার পরদিন চার জনের নাম উল্লেখ্য করে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোছা. ফিরোজা বেগম। তিনি বলেন, ঘটনার ছয় দিন পার হতে চলেছে এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। আমার একটাই চাওয়া অপরাধীদের আটক করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা।   বর্তমানে জালাল উদ্দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
৬ মিনিট আগে

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, ২ লাখ টাকা ছিনতাই
টাঙ্গাইল গোপালপুরে এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালিয়ে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জেরে ওই ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালায় তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানাধীন কোনাবাড়ি ৩নং ওয়ার্ড সাকিনস্থ ডাকবাংলোর সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ছেলের ওপর প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা।  আহত হাজী মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন টাঙ্গাইল গোপালপুরে ঢেউটিন ব্যবসা মেসার্স সততা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী। থানার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ অভিযোগকারীর ছেলে দিদার হোসেনের সঙ্গে অভিযুক্ত মুশফিকের খেলাধুলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় স্থানীয় কাউন্সিলর মইনুদ্দিন বাবু বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। তারপরও ওই সময় বাদীর ছেলেকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় মুশফিক। এর জেরে গতকাল শুক্রবার আ. রশিদের ছেলে মুশফিকের নেতৃত্বে কিছু কিশোর গ্যাং সদস্য বাদীর স্বামী জালাল উদ্দিনের ওপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হঠাৎ করে হামলা চালায়। এ সময় ভুক্তভোগীর কাছে থাকা ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার পর ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত মুশফিক। বর্তমানে জালাল উদ্দিন গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। ডাক্তার জানিয়েছেন, দুই থেকে তিনদিন তার চিকিৎসা লাগতে পারে। বিষয়টি নিয়ে গোপালপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি বেলায়াত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীর ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটা মামলা করা হয়েছে। ওসি স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, রাতের মধ্যেই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। যদি কোনো কারণে সঠিক বিচার না হয় পরবর্তীতে সমিতির সবাই বসে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো। মামলার বাদী মোছা. ফিরোজা বেগম বলেন, দেড় মাস আগে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার ছেলে সঙ্গে মুশফিকের (বিবাদী) খেলাধুলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় কাউন্সিলর মইনুদ্দিন বাবু তখনই ঘটনার মীমাংসা করে দেন। সেই শত্রুতার জেরে ছেলের প্রতিশোধ নিতে আমার স্বামীর ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। হামলার একপর্যায়ে আমার স্বামীর হাতে থাকা শপিং ব্যাগের মধ্যে ওনার বন্ধু মো. মোশারফের গরু বিক্রির টাকাসহ মোট ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। প্রশাসনের কাছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।  আহত ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন বলেন, গতকাল বিকেলে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ কয়েকজন ছেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আমার কাছে থাকা ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে নেয়। হামলার সময় ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক বিচার চাই। এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক তৈয়ব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৫

হাতিয়ায় হেলমেট বাহিনীর তাণ্ডব, ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর
সবার মাথায় হেলমেট, হাতে দেশীয় অস্ত্র। ৩০-৪০ জনের একটি দল। মোটরসাইকেলযোগে বাজারে এসে থামেন। গভীর রাত, কিছু বুঝে উঠার আগেই একটি নির্মাণাধীন ভবন ভেঙে চুরমার করে দেন। বড় বড় হ্যামার ও হাতুড়ির আঘাতে মুহূর্তে ভেঙে মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নির্মাণ করা ভবনটি। হাতুড়ি ও হ্যামার দিয়ে ভবন ভাঙার আওয়াজে সবাই ঘুম থেকে জেগে উঠেন।  বাজারের পাশে বসবাস করেন দোকানের মালিক। ভবন ভাঙচুরের আওয়াজ শুনে সবার মত ছুটে  আসেন দোকানের মালিক ও পরিবারের সদস্যরা। এ সময় পিটিয়ে আহত করা হয় পরিবারের তিন নারী সদস্যকে। পরে আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালী হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের সেন্টার বাজারে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ভাঙচুর করা ভবনের মালিক সেন্টার বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী হাজী আলী আহাম্মদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এর আগে রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। হাজী আলী আহাম্মদ জানান, এরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী। সবার সঙ্গে অস্ত্র ছিল। আমি ও আমার ছেলেরা আওয়াজ শুনে এগিয়ে এলেও অস্ত্রের মুখে দাঁড়াতে পারিনি। কিন্তু সন্ত্রাসীরা আমার ছেলের বউ ও আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে। ঘটনার সময় জাহাজমারা পুলিশকে বারবার কল করেও কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ আসে। এর আগে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় তার ভাই ইসমাইলসহ বাজার কমিটির দায়িত্বশীল অনেকে জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।  স্থানীয়রা জানান, হাজী আলী আহাম্মদের সঙ্গে তার ভাইদের জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। একাধিকবার তাদের মালিকানা নিয়ে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হয়। নতুন এ ভবন ভাঙচুরের ঘটনা পূর্বের বিরোধের কারণে ঘটেছে বলে অনেকে ধারণা করছেন। রোববার রাতে বাজার পাহারার দায়িত্বে থাকা জাহের উদ্দিন জানান, ৩০-৪০ জনের একটি দল। সবাই হেলমেট  ও মুখোশ পরা ছিল। কেউ ভয়ে তাদের সামনে আসতে সাহস পায়নি। দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল তাদের কাছে। সম্পূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা পর্যন্ত তারা বাজারে অবস্থান করেন। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ আসেন। এ ব্যাপারে জাহাজমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দেবাশীষ সরকার বলেন, আমরা ঘটনাটি শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে যায়। এর আগে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১২:০৫

শ্রীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু
গাজীপুরের শ্রীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় দুলাল হোসেন (৫০) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত দুলাল হোসেন দিনাজপুর জেলার মোড়ালিপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে।  তিনি মাওনা চৌরাস্তায় খোলাবাজারে সবজি বিক্রি করতেন।  দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুব মোর্শেদ। ছোট বোন আনোয়ারা বেগম জানান, তার ভাই দুলাল হোসেন মাওনা চৌরাস্তায় সবজির ব্যবসা করে খুব কষ্টে সংসার চালাতেন। সকালে আমি ভাইয়ের জন্য একটি বৈদ্যুতিক পাখা, এক বস্তা চাল ও ডাল কিনে খবর দেই বাসায় এসে বাজারগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার বাসায় আসার পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী দ্রুতগতির একটি কাভার্ডভ্যান তাকে চাপা দিলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, মহাসড়ক পার হতে গিয়ে কাভার্ডভ্যান চাপায় সবজি ব্যবসায়ী দুলাল হোসেনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক কাভার্ডভ্যান আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮

‘আমদানি করা পণ্য কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি’
আমদানি করা পণ্য কয়েকজন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, তাদের হাত থেকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে না পারলে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে না। শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।  ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশে সব কিছুতেই হরিলুট লেগেছে। যেখানে হাত দেবেন, হাত পুড়ে যাবে। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জনজীবন দুর্বিষহ অবস্থা। সাধারণ মানুষের আহাজাড়িতে বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ সরকার। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দক্ষ এবং দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আমদানি ও সুনির্দিষ্ট দামে বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সর্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও সারা দেশে ন্যায্যমূল্যের দোকান দিতে হবে।  ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, চলমান একদলীয় শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন করা ছাড়া এসব লুটেরাদের পরাস্ত করা যাবে না। এ জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দরকার।  এ সময় দেশের পাচার করা টাকা ফেরত আনা ও খেলাপি ঋণ আদায়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ইউনুছ আহমাদ।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২২:১৫

সুন্দরগঞ্জে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আব্দুল আউয়াল (২৩) নামে এক ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের মাঠের হাট শ্মশান-সংলগ্ন চৌকিদারের ঘাট এলাকার ধানখেত থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়  আব্দুল আউয়াল সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বর্মতত গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে। তিনি মোবাইল ব্যাংকিং ও ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করতেন। পুলিশ ও স্বজনরা জানান, আব্দুল আউয়াল বুধবার সন্ধ্যায় ইফতার করে বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশ্যে বের হন। রাতে তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। রাত থেকেই পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর ইউনিয়নের মাঠের হাট শ্মশান-সংলগ্ন চৌকিদারের ঘাট এলাকার একটি ধানখেতে আব্দুল আউয়ালের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আউয়ালের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।  সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ডের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপর হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২০

রমজানে এক টাকা লাভে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ ব্যবসায়ীর
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ব্যবসায়ী শাহ আলম রমজান মাস এলেই প্রয়োজনীয় ইফতারসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী ১ টাকে লাভে বিক্রি করেন। এ মাসে দরিদ্রসহ সব মানুষের জন্য এটি তার বিশেষ আয়োজন। সোমবার (৫ মার্চ) সরেজমিনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মো. শাহ আলম স্টোরে গিয়ে দেখা যায়, ক্রয় মূল্যের চাইতে ১ টাকা লাভে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করছেন তিনি। দেখা গেছে, প্রতিকেজি ছোলা ৯৯টাকা, খেসারি ১০৯ টাকা, চিড়া ৫৬ টাকা, চিনি ১৩৯ টাকা, বেসন ৮১ টাকা, মুড়ি ৬৩ টাকা, খেজুর একটি প্রতিকেজি ২৫৮টাকা এবং অপরটি প্রতিকেজি ২৫৮টাকা, ভোজ্য তেল (সয়াবিন) প্রতি লিটার ১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন শাহ আলম।  পণ্য ক্রয় করতে আসা হাববুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের রমজান থেকে এই উদ্যোগ নিয়েছেন শাহ আলম। এলাকার প্রায় সব মানুষই তার কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করেন।  পৌর এলাকার সাদ্দাম হোসেন বলেন, আলম ভাইয়ের ১ টাকা লাভে বিক্রির বিষয়টি সবদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গরিব লোকজন তার দোকানে চলে আসে। আমরা সবাই এখন উপকৃত হচ্ছি।  বুয়েট পড়ুয়া হাসান মাহমুদ বলেন, তার এ উদ্যোগ বিরল। আরব দেশের কথা শুনেছি মুনাফা ছাড়া রমজানে পণ্য বিক্রি করেন। মো. শাহ আলম ভাইয়ের উদ্যোগ দেশের সব মানুষের কাছে উদাহরণ। সাধারণ মানুষের কষ্ট লাগবে মুনাফা কমিয়ে বড় ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসা উচিত। ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মানুষের কথা ভেবেই এমন উদ্যোগ নিয়েছি। অল্প লাভ হলেও বেশি বিক্রিতে আল্লাহ ভালো রাখছেন। এটি করতে গিয়ে গত বছর অনেক বিক্রি হয়েছে এবং এই বছরও মানুষ পণ্য সামগ্রী ক্রয় করে উপকৃত হচ্ছেন। আশাকরি যারা শহর ও গ্রামে বড় ব্যবসায়ী আছেন, তারাও যেন রমজান উপলক্ষে ১ টাকা লাভে পণ্য বিক্রি করেন। তাহলে মানুষ রমজানে মনের মতো পণ্য কিনে খেতে পারবেন।  
১০ মার্চ ২০২৪, ২০:২৬

পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্টে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় পুকুরের পানি সেচ করে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মো. আব্দুল বারেক (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আব্দুল বারেক স্থানীয় হরিপুর গ্রামের মরহুম শমশের আলীর ছেলে। তারাকান্দা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ওয়াজেদ আলী এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কামারিয়া গ্রামের মিরাশ উদ্দিন তার পুকুরের মাছ বিক্রি করেন আব্দুল বারেকের কাছে। এ কারণে ব্যবসায়ী আব্দুল বারেক মাছ ধরতে পুকুরের পানি সেচ দিতে বৈদ্যুতিক মটর সংযোগ দেয়। সকালে ওই মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০২

ব্যবসায়ীর দুই পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
মাদারীপুরে প্রকাশ্যে বালু ব্যবসায়ী হোসেন সরদারের দুই পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী সাইফুল সরদারসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার খোয়াজপুর-টেকেরহাট এলাকার মৃত আজিবর সরদারের ছেলে সাইফুল সরদার (২৬), আতাবুর সরদার (২৮) ও অলিল সরদার (৩০), কালকিনি উপজেলার দাদপুর গ্রামের সেকান্দার সরদারের ছেলে মানিক সরদার (২৫), সদর উপজেলার মহিষেরচর গ্রামের আব্দুস সালাম হাওলাদারের ছেলে রাশেদ হাওলাদার (২৬), চর খোয়াজপুর গ্রামের মান্নান সরদারের ছেলে তুরণ সরদার (৩৬) ও একই গ্রামের মৃত সালাম সরদারের ছেলে আপেল সরদার (১৯)। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার খোয়াজপুর-টেকেরহাট বাজারে দোকান ঘরের ভীতর থেকে প্রতিপক্ষ সাইফুল সরদারের নেতৃত্বে হোসেন সরদারকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয়। এ ঘটনার ভিডিও মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি হোসেন সরদারের স্ত্রী সিউলী বেগম বাদী হয়ে সরদ থানায় ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, হোসেন সরদারের ওপরে হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার পর থেকে সিসিফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তার চলছে। এখন পর্যন্ত এ মামলায় প্রধান আসামিসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০৪

স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর ব্যবসায়ীর আত্মহত্যার চেষ্টা
নীলফামারীতে স্ত্রী ও দুই মেয়ে সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আশিকুল মোল্লা বাবু নামে এক ব্যবসায়ী।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার দাড়োয়ানী বন্দরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আশিকুল মোল্লা বাবুর স্ত্রী তহুরা বেগম (৩০), তার বড় মেয়ে তানিয়া আক্তার (১১) ও ছোট মেয়ে জারিন আক্তার (৬)। আশিকুল মোল্লা বাবুর ছোট ভাই জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, সকালে গলাকাটা অবস্থায় হাঁটতে দেখে সবাই তাকে (আশিকুল মোল্লা বাবু) উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ভাই ব্যবসায় আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়ে মানসিকভাবে একটু ভেঙে পড়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে এ কারণে এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন। নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে কাজ করছি। ওই ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়