• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সুনামগঞ্জে চলছে মাংস ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি 
সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রিতে অপরাগতা জানিয়ে সুনামগঞ্জে দ্বিতীয়বারের মতো চলছে মাংস ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি।  রোববার (৩১ মার্চ) অনির্দিষ্টকালের জন্য গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করছেন সুনামগঞ্জ শহর ও শহরতলীর ব্যবসায়ীরা। টানা দুই দিন ধরে মাংস বিক্রি বন্ধ থাকায় রমজানে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বাজারে গরুর দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত মূল্য মাংস বিক্রি করে শ্রমিক ব্যয়, দোকান খরচ, পরিবহনসহ যাবতীয় খরচ মিটিয়ে মুনাফা পাচ্ছেন না তারা। তাই নির্ধারিত মূল্য বৃদ্ধি না করা হলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জে মাংস বিক্রি বন্ধ রাখতে অনড় বাজারের ব্যবসায়ীরা।  মাংস বাজার সমবায় সমিতির সভাপতি রাশেদ আলী বলেন, দ্বিতীয় দিনের মতো আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই দামে মাংস বিক্রি করলে আমাদের লস হচ্ছে। লস দিয়ে মাংস বিক্রি সম্ভব না। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে ৫০ টাকা বৃদ্ধির দাবি করেছি আমরা কিন্তু তিনি মানেননি। তাই মানুষের কষ্ট হলেও আমাদের করার কিছু নাই। এদিকে বাজারের আকস্মিকভাবে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ থাকায় পোল্ট্রি মুরগি সহ সবধরনের মাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা সিরাজুল ইসলাম পলাশ নামের এক ভোক্তা বলেন, মাংস ব্যবসায়িরা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো দাম বাড়াতে চান। তারা সরকারের মূল্য মানেননা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একযুগে মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষ সমস্যা রয়েছে। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়িরা মাছ মাংসের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। মানুষ কোথায় যাবে? এই সমস্যার একটি সমাধান প্রয়োজন। অপরদিকে মাংস ব্যবসায়িদের দাবি অযৌক্তিক জানিয়ে নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৮

‘অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষেরা কষ্ট পায়’
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে, যারা রমজানে মাসে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষেরা কষ্ট পায়। শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাত সানীর উদ্যোগে দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা শুধু জেলা ও পৌর এলাকায় নয়, তারা ইউনিয়ন পর্যায়েও নিজেদের সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন সবাইকে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিজের সাধ্যমতো অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের লক্ষ্যে। আমাদের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগ। আমাদের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের যে অবদান, কোনো গোষ্ঠী কিংবা গুটি কয়েকজনের অপরাধের জন্য একটি সংগঠনের ঐতিহ্য একসাথে ধুলোয় মিশে যেতে পারে না। কাজেই তাদের যেসব ভালো কাজ আছে সেটাকেও স্বীকৃতি দিতে হবে, ভুলত্রুটি থাকলে সংশোধনের সুযোগ এবং অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সস্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মাসুদা নুর, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আরাফাত সানিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৬

সুনামগঞ্জে অনির্দিষ্টকাল মাংস ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি 
সরকার নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে না পারায় সুনামগঞ্জের অনির্দিষ্টকালের জন্য গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে মাংস বাজার সমবায় সমিতি। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে সুনামগঞ্জ শহর ও শহরতলীর সকল কসাইখানায় গরু মাংস বিক্রি বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করেন মাংস ব্যবসায়িরা। ব্যবসায়িরা জানান, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বাজারে গরুর দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত মূল্য মাংস বিক্রি করে শ্রমিক ব্যায়, দোকান খরচ, পরিবহনসহ যাবতীয় খরচ মিটিয়ব মুনাফা পাচ্ছেননা তারা। তাই নির্ধারিত মূল্য বৃদ্ধি না করা হলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  মাংস বাজার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান বলেন, সরকার প্রতিকেজি মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি করার জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। বাজারে গরুর দাম বেশি। এই দামে মাংস বিক্রি করলে আমাদের মুনাফা থাকে না গরু প্রতি ৫-১০ হাজার ঘাটতি পড়ে। এভাবে ব্যবসা করা যায় না। কেজি প্রতি ৫০ টাকা বাড়ানো না হলে আমারা কেউই মাংস বিক্রি করবো না।  এদিকে মাংস ব্যবসায়িদের এমন কর্মবিরতি পালনে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। অনেকে মাংসবাজারে এসে মাংস না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন। ব্যবসায়িদের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। শহরের আরফিন নগরের বেনু মিয়া বলেন, আমি বাজারে মাংস কেনার জন্যে আসছিলাম। এসে দেখি হঠাৎ মাংস বিক্রি বন্ধ। বাসায় মেহমান আসবে। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। পোল্ট্রি মোরগ কেনা ছাড়া উপায় নাই। অপরদিকে মাংস ব্যবসায়িদের দাবির বিষয়টি দ্রুতই নিষ্পত্তি করে বাজার স্বাভাবিক করার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী   
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯:২০

‌‘রমজানে রাজধানীর সড়কে ব্যবসায়ীদের বসতে দেওয়া হবে না’
রমজানে রাজধানীর সড়কে কোনো ব্যবসায়ী যাতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে না পারেন, সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। মুনিবুর রহমান বলেন, রমজান মাসে কোনো ব্যবসায়ী সড়কে যাতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে না পারেন, সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রমজানে বিকেল সাড়ে ৩টায় অফিস ছুটি হয়। কিন্তু দেখা যায়, ইফতারের আগপর্যন্ত অধিকাংশ যানবাহন তড়িঘড়ি করে গন্তব্যস্থলে রওনা হয়। এতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইন্টারসেকশনে অযাচিত যানজট তৈরি হয়। তাই অফিস ছুটির সময়, অর্থাৎ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বা এর কাছাকাছি সময় বাসার উদ্দেশে রওনার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটের সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং করা হয়, যা সড়কের প্রশস্ততা কমিয়ে দেয়। যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করে। রমজানের শুরু থেকে ট্রাফিক বিভাগ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সড়কের পাশে অযাচিত পার্কিং না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় ঢাকা শহরের ছোট-বড় সড়কে মেরামতের কাজ চলে। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রমজান মাসে এসব সড়ক চলাচল উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, পাশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে যানবাহন অযাচিতভাবে ডিএমপি এলাকায় প্রবেশ করে যানজট তৈরি করে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের এ বিষয়ে কড়াভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিএমপি এলাকায় ভারী যানবাহন প্রবেশের নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। অনেক সময় এই সময়সীমা না মেনে চালকেরা চলার চেষ্টা করেন, যা যানজটের সৃষ্টি করে। নির্ধারিত সময়সীমার বিষয়টি মেনে চলতে হবে।
২১ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৩

মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কীভাবে থামাবেন?
গরুর মাংস, দেশি পেয়াজ, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। মনিটরিংয়ে গেলে সেই দামে বিক্রির দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন, সেই মূল্যের পণ্য কিনতে পারছেন না তারা। এবিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, অভিযান চালিয়ে চলে আসার পরে যদি ব্যবসায়ীরা আবারও দাম চড়িয়ে দেন সেক্ষেত্রে করণীয় ঠিক করতে পারছে না তারা। ফলে মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের নেওয়া নানাবিধ উদ্যোগের পরেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই বাজার। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারা এর ক্ষমতা বলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক কতিপয় নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উল্লেখিত দামে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো। অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে উৎপাদন খরচ ১৪৬ টাকা। তারা উৎপাদনকারী, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুনাফা যোগ করে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দর নির্ধারণ করে দিয়েছে ১৭৫ টাকা। যদিও ঢাকার চারটি বাজার এবং বিভাগীয় শহরের বাজার ঘুরে গতকাল কোথাও নির্ধারিত দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতে দেখা যায়নি।  বিক্রেতাদের নির্ধারিত দামের কথা বলা হলে তারা বলেন, সেই দামে বিক্রি করলে লাভ থাকে না। লাভ থাকে না নাকি বেশি লাভ থাকে না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মুরগি কেবল মুরগি না, সেটার সঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচ যুক্ত করে দাম নির্ধারণ করি আমরা। সরকারি সংস্থা বাজারে অভিযানে আসলে তারা কোন দামে বিক্রির কথা বলবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অবশ্যই তাদের ঠিক করে দেওয়া দামই উল্লেখ করা হবে। কিন্তু আমাদেরও পরিবার নিয়ে টিকে থাকতে হয়। ওই দামে বিক্রি করলে লাভ থাকে না। তিন থেকে চার বছর ধরে তরমুজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ঢাকা শহরে। যিনি তরমুজ ফলাচ্ছেন, সেই কৃষক তো কেজিতে বিক্রি করছেন না। তিনি বিক্রি করছেন শ হিসাবে (১০০ পিস হিসাবে)। সে কৃষক থেকে পিস হিসেবে ক্রয় করে কেন সেটা কেজিতে বিক্রি করতে হবে ভোক্তাদের কাছে? কারওয়ানবাজারের থেকে একটু এগিয়ে এসে বাজারগুলোতে বেল এর দাম হাঁকেন বিক্রেতারা ৩শ টাকা। সম্ভব হলে পাশের দোকানের চেয়ে দুই টাকা হলেও বেশি দামে কোন সবজি বিক্রি করতে পারলে দোকানী খুশি হন।  কেনো একটি পণ্যের দাম একই থাকবে না এবং সেই বাজার ব্যবস্থাপনায় করণীয় কী তা নিয়ে কথা হয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচএম শফিকুজ্জামান এর সঙ্গে। ব্যবসায়ীদের এই দ্বিচারিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কাজ করি। আমরা এটাও বুঝতে পারি, কোন কোন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আসার পরে আবারও একই অবস্থা হয়তো ফেরত আসে। মানুষ যদি এটুকু সততা না দেখাতে পারে তাহলে ব্যাপারটা কঠিন হয়ে যায়।’ এই মুনাফালোভীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কী হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আরও বেশি বেশি অভিযোগ করুন ভোক্তা অধিকারের জন্য। সার্বিক বাজার মনিটরিংয়ে যা যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে লোভী আরও বেশি লোভী হবে এবং ভুক্তভোগী হবে জনগণ।’
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:০২

রমজানে খাদ্য ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা
আসন্ন রমজানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে খাদ্য ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৯ মার্চ) এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা জারি করেছে সংস্থাটি। জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়- খোলা ও নোংরা পরিবেশে ইফতার সামগ্রী তৈরি ও পরিবেশন থেকে বিরত থাকুন। বাসি বা পচা খাদ্য উপকরণ দিয়ে ইফতার সামগ্রী তৈরি করবেন না। সকল প্রকার খাদ্য ও খাদ্য উপকরণ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ঢেকে রাখুন। ইফতার সামগ্রী যেমন পেঁয়াজু, চপ, বেগুনি, জিলাপি, বুন্দিয়া, ফিরনি ইত্যাদি তৈরিতে কেমিক্যাল রং বা কাপড়ের রং ব্যবহার করবেন না। সর্বদা ফুডগ্রেড রং ব্যবহার করুন। ইফতার সামগ্রী প্রস্তুতে পোড়া তেল ব্যবহার করবেন না। পোড়া তেলে ভাজা খাবার গ্রহণের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। খবরের কাগজ বা কালিযুক্ত কাগজের তৈরি মোড়ক ব্যবহার করবেন না। কালিতে ক্ষতিকর রং ও পিগমেন্ট থাকে, যা মানবদেহের ক্যান্সার ও কিডনি রোগসহ নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ইফতার সামগ্রী প্রস্তুত ও পরিবেশনে নিয়োজিত খাদ্যকর্মীরা আবশ্যিকভাবে গ্লাভস, মাস্ক ও হেড কাভার পরিধান করুন। সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির শেষে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ ও সংশ্লিষ্ট বিধি–বিধানসমূহ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৩

অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
অসাধু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৬ মার্চ) বেলা ১১টায় র‌্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন। সরকারপ্রধান বলেন, রমজানে র‌্যাবের নজরদারি বাড়াতে হবে। সংযমের এই মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অসংযমী হয়ে ওঠে। এই অসাধু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, ঈদ এলেই জাল টাকার সরবরাহ বেড়ে যায়। সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। যদিও অভিযান চলছে, তারপরও এদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। এ সময় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে র‌্যাব সাহসী ভূমিকা রেখেছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করায় মানুষের মনে শান্তি ফিরে এসেছে। র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের অধিকার সংরক্ষণে যারা কাজ করেছে তাদের ওপর কীভাবে স্যাংশন আসে? স্যাংশন কখনও এক তরফা হয় না, দরকার হলে আমরাও স্যাংশন দিতে পারি। র‌্যাব সবসময় নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই বাহিনী ২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর প্রায় তিন সপ্তাহ পর ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) রমনা বটমূলে নিরাপত্তা দিয়ে র‌্যাব তাদের কার্যক্রম শুরু করে। একই বছরের ২১ জুন পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু বাহিনীটি।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৬

ব্যবসায়ীদের যে বিষয়ে সতর্ক করলেন এফবিসিসিআই
অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই কথা বলবে না বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মাহবুবুল আলম। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মতিঝিলে এফবিসিসিআই বোর্ডরুমে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা চাই না রমজানে পুলিশ দিয়ে বাজার মনিটরিং করানো হোক। এটার জন্য বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনিটরিং করলেই হয়। তবে আপনারা এটা না করলে সরকারিভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে। এটা আমরা চাই না। তিনি বলেন, রমজানে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হবে। সাপ্লাই চেইনে ঘাটতি হলে আর্টিফিসিয়াল ক্রাইসিস তৈরি হবে। ব্যবসায়ীরা লাভ-লস দুটাই করে। তবে লাভটা যেন ন্যায্য হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, রমজান ইবাদতের মাস। আপনারা সারা বছরের মতো রমজানেও ব্যবসা করেন। তবে রমজান মাসে ‘ন্যায্য লাভ’ করেন। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সতর্ক আছেন। তাই সবাইকে সাবধান হতে হবে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মাহবুবুল আলম বলেন, পথে চাঁদাবাজির শিকার হলে আমাদের জানাবেন। আমরা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি আলাপ করব।  
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৪

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে ভোক্তাদের সতর্ক থাকতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী 
আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে প্রাপ্ত চেক উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পরেই চালের দাম বাড়িয়ে একটি চক্র খেলতে চেয়েছিল। তাদের সে খেলা আমরা শক্তভাবে দমন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রশাসনিকভাবে আমরা তাদের চক্রান্ত প্রতিহত করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, চালের বাজার এখন একটা স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।  তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের চেক অনেকেই পেয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সাহায্য পায় বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি সকলকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া এবং তার পাশে থাকার আহ্বান জানান। শেষে উপজেলার ৩৭জন উপকারভোগী প্রতিজনের হাতে একটি করে ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন।  উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনও আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান কাজীবুল ইসলাম ও মমতাজ বেগম, কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার তারিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমানসহ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ইউএনও’র কার্যালয়ে সেচ কমিটির সভায় যোগদান করেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৪

‘অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
রমজানে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীতে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি। সালমান এফ রহমান বলেন, দেশে এখন ডলারের সংকট নেই। রেটটা বেশি আছে, সেটা নিয়েও ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগগিরই সেটাও একটা জায়গায় দাঁড়াবে। তিনি বলেন, পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যে কাজটা করে, তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী সারাদেশের ডিসি-এসপিদের ঢাকায় ডাকবেন। কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে বিষয়ে তাদেরকে নির্দেশনা দেবেন। সালমান এফ রহমান বলেন, আল্লাহর রহমতে এই রমজান আমরা সুন্দরভাবেই শেষ করব। আশ করি কোনো সমস্যা হবে না।  তিনি বলেন, পণ্য মজুত করলেও রমজানে না ছাড়লে দোকানদারদের লোকসান হয়ে যাবে, পণ্য নষ্ট হয়ে যাবে। তাই তাদেরকে পণ্য বিক্রি করতেই হবে। তখন চাইলেও তারা বেশি দাম নিতে পারবে না।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়