• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহের মূল্য নির্ধারণ
আসন্ন বোরো মৌসুমের ধান ও চাল সংগ্রহের মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  রোববার (২১ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সভায় আসন্ন বোরো সংগ্রহ ২০২৪ মৌসুমে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, আতপ চাল ১ লাখ টন এবং ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৪ টাকা। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী  নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম প্রমুখ। ২০২৩ সালে ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল যথাক্রমে ধান ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা এবং গম ৩৫ টাকা।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩২

মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, দুশ্চিন্তায় বোরো ধান চাষিরা
মেহেরপুরসহ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার চাষিরা। অন্যদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন।  রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে ঝলমলে রোদে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। এর আগে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ অঞ্চলে।  চাষিরা জানান, রাত দিন ২৪ ঘণ্টা চালানো হচ্ছে সেচ-পাম্প। তবুও সেচের জোগান হচ্ছে না। দিনের বেলায় তীব্র খরতাপে জমিতে সেচ দেওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই তা শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে ধানের শীষ বের হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চিটা পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহের বিরূপ প্রভাব পড়েছে শ্রমজীবী আর কর্মজীবী মানুষের জীবনে।  গ্রামের চায়ের দোকানগুলোতে যেখানে মানুষ অবসর সময় আড্ডা দেয় সেখানের চিত্রও বদলে গেছে। সকাল ৯টার পর তেমন কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। শহরের সড়কগুলোর মতো গ্রামের রাস্তাঘাট হয়ে যাচ্ছে ফাঁকা। শ্রমজীবী আর কর্মজীবী মানুষ তীব্র রোদ আর গরমে কাজ করতেও পারছে না। ফলে তাদের আয়-রোজগারে একটা বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে।  গ্রামের অনেকেই জানান, এক সময় গাছ গাছালিতে ভরপুর ছিল গ্রামগুলো। বড় বড় গাছ উজাড় করার কারণে শহুরে পরিবেশ বিরাজ করছে। যতটুকু শীতল ছায়া রয়েছে তা তীব্র গরমকে প্রতিরোধ করতে পারছে না।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪২

শীত উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষক
কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে প্রচণ্ড ঠান্ডায় নাকাল অবস্থা জেলার মানুষের। বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষেরা। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায় গত একসপ্তাহ ধরে। শীত উপেক্ষা করে অনেকেই কর্মস্থলে ও বিভিন্ন কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার পর সূর্যের মুখ দেখা যায়। কিন্তু রোদের উত্তাপ তেমন না থাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে আসেনি। বিকেলের পর থেকে আবারও তাপমাত্রা কমতে থাকে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে এখানে বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দেখা যায়, দুপুরের পর পানিতে নেমে জমি তৈরি করছে অনেক কৃষক। গরম কাপড় মুড়ি দিয়ে জমিতে কেউ কেউ বীজতলার পরিচর্যা করছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় শ্রমিকরা দীর্ঘক্ষণ পানিতে অবস্থান করতে পারছে না। ফলে অতিরিক্ত ঠান্ডায় বিলম্বিত হচ্ছে বোরো রোপনের কাজ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এখানকার কৃষকরা।  জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ৫ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে তা ৬ হাজার দুইশত হেক্টর জমিতে বীজতলা লাগানো হয়েছে। কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাতে বীজতলা নষ্ট না হয়। সে অনুযায়ী শীতে কুয়াশা সরিয়ে নেয়া ও প্রয়োজনীয় পানি দেওয়া তারা অব্যাহত রেখেছেন। তারপরও যদি কিছুটা ক্ষতি হয় তা বোরো আবাদে সমস্যা হবে না। হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে শীতজনিত সর্দি-কাশিসহ ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগ। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৪৮ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর শ্বাসজনিত নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ১৩ শিশু।   এদিকে, মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলেও আবারও তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দীর্ঘ এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর জেলার সকল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। আর মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেয়া হয়েছে। এ কারণে জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহেও ক্লাস শুরু করে প্রতিষ্ঠানগুলো।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৩

কুড়িগ্রামে শীতে স্থবির জনজীবন, বোরো বীজতলা ক্ষতির আশঙ্কা
কুড়িগ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে পুরো জেলার মানুষের শীতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ঘন কুয়াশা কমে গেলেও হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রভাবে এ অঞ্চলের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। অনেকেই ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে এক সপ্তাহ পর একটু সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তা আবারও মেঘে ঢাকা পড়ে যায়। ফলে শীতে কাবু জনপদের মানুষজনের ভোগান্তি কমেনি। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবিরা পড়েছে এ অবস্থায় চরম বিপাকে। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা সকালে স্কুলে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। গরম কাপড় পরে গেলেও ঠান্ডা নিবারণ করতে পরছে না। এতে বছরের শুরুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগামী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন কমছে বলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অভিভাবকগণ জানিয়েছেন।  অন্যদিকে, ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী মানুষজন হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে। দখিনা বাতাসে নদী পাড়ের মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। ফলে শীতের মারাত্মক প্রকোপ থেকেই যাচ্ছে। আর এ জেলায় আরও শীতবস্ত্রসহ কম্বলের প্রয়োজন বলে শীতার্ত মানুষজনের প্রত্যাশা।  ধরলা নদীর জিগামারী ঘাট এলাকার কৃষক জলিল মিয়া জানান, একদিকে কুয়াশা আবার মেঘে ভরপুর আকাশ। নদী পাড়ের ঠান্ডা বাতাসে বোরোর বীজ নিয়ে সংকটে পড়েছি। 
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়