• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে ২ বোনের মৃত্যু
নাটোরের সিংড়ায় নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে মামাতো বোনসহ ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার লালোর ইউনিয়নের ঢাকঢোল ডাঙ্গাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিংড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম। নিহতরা হলো ফারিয়া আক্তার (৮) ও ফাতেমা আক্তার (৮)। তারা মামাত-ফুফাত বোন। জানা যায়, ফারিয়া সৌদি প্রবাসী ফারুক হোসেনের মেয়ে এবং ফাতেমা নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া হাট এলাকার রায়হান হোসেনের মেয়ে।  এ বিষয়ে ওসি আবুল কালাম বলেন, ঈদে উপলক্ষে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে ফাতেমা। সকালে মামাত বোন ফারিয়ার সঙ্গে খেলার এক ফাঁকে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় তারা। দীর্ঘ সময় তাদের না পেয়ে স্বজনরা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরে স্যান্ডেল ভাসতে দেখেন।  ওসি আবুল কালাম আরও বলেন, পরে স্থানীয়রা পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে ২ শিশুকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় স্বজন ও স্থানীয়দের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৭

ঋণের টাকা পরিশোধ করতে বোনের বাসায় লুট, বাধা দেয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম শিমুকে (৩৮) হাত-পা বেঁধে মুখে গামছা গুঁজে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় তার সহোদর ভাই ও এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর পিবিআই। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা এবং রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো নিহতের ভাই কাপাসিয়া উপজেলার কুলগঙ্গা গ্রামের সিরাজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে কামরুজ্জামান রুবেল (৩৬) এবং তার সহযোগী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার মামদাবাদী গ্রামের আস্কর আলীর ছেলে মিনাল ওরফে মিষ্টার (২১)। পুলিশ তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির ৫৭ হাজার টাকা উদ্ধার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গাজীপুর পিবিআই’র উপপরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরান জানান, হত্যার শিকার শাহনাজ বেগহম শিমুর ভাই কামরুজ্জামান রুবেল গাজীপুরের একটি আবাসিক হোটেলে চাকরি করতো। প্রায় ৫ মাস পূর্বে রুবেল চাকরি ছেড়ে দেয়ায় সে আর্থিক অভাবে পড়ে। এ সময় সে বিভিন্ন পরিচিতদের কাছ থেকে ধারদেনা করে ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়ে। ঋনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে সে তার বোনের বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা পয়সা চুরির সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনার দুইদিন আগে আসামী রুবেল তার সহযোগী মিনাল ওরফে মিষ্টারের সাথে তার বোনের বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন বিকেলে মিনাল ওরফে মিষ্টার জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আসলে রুবেল ও মিনাল একটি ব্যাগে একটি সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, গামছা, কেচি নিয়ে ট্রেনে শ্রীপুর আসে।  তারা শ্রীপুর বাস স্ট্যান্ড হতে অটোরিকশা ভাড়া করে বরমী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে চা সিগারেট খায়। কিছুক্ষণ পরে তারা সেখান থেকে অটোরিকশায় রাত ৮ টায় সিংহশ্রী ব্রিজে যায়। তারা সিংহশ্রী ব্রিজ থেকে পায়ে হেটে আসামী রুবেলের বোন প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ আক্তার সিমুর বাড়ির সামনে আখ (গেন্ডারী) খেতে লুকিয়ে থাকে। রাত ১২ টার পর আসামিরা শাহানাজ আক্তার সিমুর পাশের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ওপর দিয়ে বাসার ছাদে উঠে। পরে পিছনের রান্না ঘরের সিমেন্টের টিন খুলে রান্না ঘরে প্রবেশ করে। পরে রান্না ঘরের দরজা খুলে বাহিরে এসে ঘরের পেছনের খোলা জানালায় বাঁশের লাঠি দিয়ে ঘরের দরজার সিটকারী খুলে ঘরে প্রবেশ করে। আসামি রুবেল ও মিষ্টার এক সাথে শিমুর ঘরে প্রবেশ করে। শিমুল তাদের সারা শব্দ পেয়ে চিৎকার শুরু করলে আসামি মিষ্টার সুইচ গিয়ার দেখিয়ে ভয় দেখায় এবং বলে আমরা তোমার কোন ক্ষতি করব না, চিৎকার বন্ধ কর। তাদের কথা শুনে শিমুল চিৎকার বন্ধ না করলে মিস্টার গামছা দিয়ে শিমুলের মুখ চেপে ধরে। শিমুর ভাই আসামী রুবেল শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এ সময় শাহানাজ আক্তার সিমুর নখের আঁচড় লেগে আসামি রুবেলের বাম ও ডান হাতে জখম হয়।  শাহানাজ আক্তার সিমু তার ভাই রুবেলকে যেন চিনতে না পারে সেজন্য শাহানাজ আক্তার সিমুর চোখ ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে মিস্টার। আসামি রুবেল শাহানাজ আক্তার সিমুর আলমারি খোলার জন্য চাবি খুঁজতে থাকে। এসময় আসামী মিষ্টারের সাথে শাহানাজ আক্তার সিমুর ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে আসামি মিষ্টার শাহানাজ আক্তার সিমুর মুখে আঘাত করে তার বুকের ওপর বসে গলায় চেপে ধরে। শিমুর ভাই আসামি রুবেল টেবিলের ড্রয়ার থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, কানের ফুল ও নগদ তিন হাজার টাকা এবং শাহানাজ আক্তার সিমুর ব্যবহৃত মোবাইল সেট নিয়ে যায়। আসামি রুবেল ও মিষ্টার ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত ও পা পেছন দিয়ে বেঁধে বাড়ির পকেট গেইট দিয়ে বের হয়ে যায়। পরদিন সকালে আসামী রুবেল সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, মোবাইল সেট ভেঙ্গে জাজর ব্রিজের নীচে খালের পানিতে ফেলে দেয় এবং লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার ১ লাখ ৫০ টাকা বিক্রি করে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের পূর্ব ভিটিপাড়া গ্রামের স্বামীর বাড়িতে শাহনাজ বেগম শিমুকে হাত-পা বেঁধে মুখে গামছা গুঁজে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পুলিশ ওইদিন সকালে লাশ উদ্ধার করে। শিমুর স্বামী দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের পূর্ব ভিটিপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।  
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৮

ভাই হত্যার অভিযোগে ট্রান্সকমের সিইও’র বিরুদ্ধে বোনের মামলা
নিজের ভাইকে হত্যার অভিযোগে এবার ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তারই ছোট বোন শাযরেহ হক।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে গুলশান থানায় মামলাটি করেন তিনি।  মামলায় সিমিন রহমানের ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেনসহ আরও ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।  মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া (৬০), মো. কামরুল হাসান (৬১), সেলিনা সুলতানা (৪৫), কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন (৫০), ডা. মুরাদ (৫০), ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম (৫৫), মো. জাহিদ হোসেন (৫৫), রফিক (৫৫) ও মিরাজুল (৪০)। বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, শাযরেহ হকের অভিযোগ তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমান অসুস্থ ছিলেন না। আসামিরা চক্রান্ত করে তাকে হত্যা করেছেন। এর আগে, কোম্পানির সম্পত্তি ও শেয়ার-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ফেব্রুয়ারিতে বড় বোন, মা এবং ট্রান্সকমের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন শাযরেহ হক। পরে ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:২১

বেটিং অ্যাপকাণ্ডে সাকিবের বোনের নাম, যা বলছে বিসিবি
বেটিং অ্যাপের সঙ্গে জড়িয়ে বেশ কয়েকবারই বিতর্কের মুখে পড়েন সাকিব আল হাসান। এবার বেটিং সাইটের সঙ্গে তার বোন জান্নাতুল হাসানের নাম উঠে এসেছে। জানা গেছে, আলোচিত বেটিং অ্যাপকাণ্ডে ভারতজুড়ে তোলপাড় চলছে। ইতোমধ্যেই ভারতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অ্যাপটিতে বিনিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্তে বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাকিবের বোন জান্নাতুল হাসানের নামও এসেছে। এ প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের ভাষ্য, আজকে সকালেই খবরটি দেখলাম। এখনই আমরা এটি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। সাকিবের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কোনো কথা হয়নি। এদিকে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসের মন্তব্য, এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। অন্যদিকে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমরা ক্রিকেটার সাকিবের বোন বা এই সংক্রান্ত বেটিং অ্যাপ নিয়ে কাজ করছি না। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদের দাবি, তাদের কাছে এই ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই। এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের অনলাইন ও আজতাক’র প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। জানা গেছে, এই অ্যাপকাণ্ডের তদন্তে ইতোমধ্যে ব্যবসায়ী গিরিশ তালরেজা ও সুরুজ চোখানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইডির সূত্রে প্রতিবেদনে বলা হয়, 11wicket.com নামক বেটিং অ্যাপে সুরুজ চোখানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেন। তিনিই সাকিবের বোনের নাম প্রকাশ্যে এনেছেন। সুরুজের দাবি, সেই বিনিয়োগে টাইগার অলরাউন্ডারের বোন জান্নাতুল হাসানেরই বড় অংশীদারিত্ব ছিল। এর আগে, গত বছরে মহাদেব বেটিং অ্যাপে (অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম) বিপুল আর্থিক দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। সেই ঘটনায় উঠে আসে ভারতের অনেক রথী-মহারথীর নাম। এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানানোয় এক বছরের জন্য ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব। এরপর বেটিং কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে নানান আলোচনা-সমালোচনার পর সেখান থেকে সরে এসেছিলেন টাইগার পোস্টারবয়।
১০ মার্চ ২০২৪, ২০:০৪

আলোচিত বেটিং কাণ্ডে সাকিবের বোনের নাম!
ভারতজুড়ে আলোচিত বেটিং অ্যাপকাণ্ডে তোলপাড় চলছে। ইতোমধ্যেই ভারতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অ্যাপটিতে বিনিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এবার দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্তে বাংলাদেশি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বোন জান্নাতুল হাসানের নাম উঠে এসেছে।  ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের অনলাইন ও আজতাক'র প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। জানা গেছে, এই অ্যাপকাণ্ডের তদন্তে এরই মধ্যে ব্যবসায়ী গিরিশ তালরেজা ও সুরুজ চোখানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  ইডির সূত্রে প্রতিবেদনে বলা হয়, 11wicket.com নামক বেটিং অ্যাপে সুরুজ চোখানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেন। তিনিই সাকিবের বোনের নাম প্রকাশ্যে এনেছেন। সুরুজের দাবি, সেই বিনিয়োগে টাইগার অলরাউন্ডারের বোন জান্নাতুল হাসানেরই বড় অংশীদারিত্ব ছিল। এর আগে, গত বছরে মহাদেব বেটিং অ্যাপে (অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম) বিপুল আর্থিক দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। সেই ঘটনায় উঠে আসে ভারতের অনেক রথী-মহারথীর নাম। এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানানোয় এক বছরের জন্য ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব। এরপর বেটিং কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে নানান আলোচনা-সমালোচনার পর সেখান থেকে সরে এসেছিলেন টাইগার পোস্টারবয়।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৪:১২

সাংবাদিক বোনের সাক্ষাৎকারে যা বললেন জাকের 
অনেক অপেক্ষার পর জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন জাকের আলী অনিক। সুযোগ পেয়ে প্রথম ম্যাচেই চমক দেখিয়েছেন এই ক্রিকেটার। ৩৪ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে সবাইকে চমকে দিয়েছেন তিনি। তবে সব কিছু পিছনে ফেলে আলোচনায় এসেছে আরও একটি বিষয়। প্রথম ম্যাচের দিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন জাকেরের বোন শাকিলা ববি। তবে দর্শকসারিতে নয়, জাকেরের দুর্দন্ত ব্যাটিং প্রেস বক্সে বসে উপভোগ করেছেন তিনি। এক সময় হবিগঞ্জ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করা শাকিলা এখন একটি জাতীয় দৈনিকের স্থানীয় প্রতিনিধি।      ম্যাচ শেষে প্রেস কনফারেন্সে ভাইকে করেছিলেন প্রশ্নও। সংবাদ সম্মেলনের পরই জাকের-শাকিলার ভাই-বোনের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে গণমাধ্যম। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ দর্শকদের আগ্রহও ছিল অনেক। তাই এবার বোনকে ভাইয়ের সাক্ষাৎকার নেয়ার সুযোগ করে দিল বিসিবিও।   শুক্রবার (৮ মার্চ) বিসিবির মিডিয়া বিভাগের ব্যবস্থাপনায় জাকেরের সাক্ষাৎকার নেন শাকিলা। সাক্ষাৎকারে জাকের জানান, তার জাতীয় দলে আসার পেছনে শাকিলারও অবদান আছে। এসময় দুই ভাই-বোনের মধ্যে হালকা খুনসুটিও লক্ষ্য করা যায়।   জাতীয় দলে আসার পেছনে পরিবারের ভূমিকা কী ছিল, শাকিলার এমন প্রশ্নের উত্তরে জাকের বলেন, 'আসলে সবার ভূমিকা ছিল। বাবার ছিল, ভাইয়ের ছিল এবং আপনারও ছিল (হাসি)।  ‘আপনি অনেক কষ্ট করেছেন, আমাকে প্র্যাকটিসে নিয়ে গিয়েছেন। কারও ভূমিকা বাদ দেওয়ার মতো উপায় নেই। সবারই স্বপ্ন ছিল আমাকে এই জায়গায় দেখা। আমার দায়িত্ব এখন কিভাবে সামনের দিকে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমার মনে হয় কাজটা আরও বেড়েছে।'    নিজ এলাকার সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা নিয়ে জাকের বলেন, হবিগঞ্জের সবাই আমার জন্য দোয়া করতো। সবাই চাইতো আমি যেন জাতীয় দলে খেলতে পারি। যখনই বাড়ি যেতাম, সবাই বলতো তুই কবে খেলবি। আমি সবসময়ই বলতাম, যখন সময় হবে খেলব ইনশাআল্লাহ।  
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৩

বোনের মৃত্যুর একদিন পরেই মারা গেলেন অভিনেত্রী
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ভারতীয় অভিনেত্রী ডলি সোহি। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৮ মার্চ) মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৪৮। দীর্ঘদিন ধরেই জরায়ুর ক্যানসারে সঙ্গে লড়াই করছিলেন ডলি। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডলির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে একটি পোস্ট দেয় তার পরিবার।   ওই পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘আমাদের আদরের ডলি আজ অমৃতলোকে পাড়ি দিলো আমাদের ছেড়ে। ওর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আজ দুপুরেই ওর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।’   জানা গেছে, ডলির মৃত্যুর একদিন আগেই জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার বোন অমনদীপ সোহি। এর একদিন পার না হতেই চলে গেলেন তার বড় বোন ডলিও।  ভারতীয় সিরিয়াল ‘ঝনক’-এ কাজ শুরু করেছিলেন ডলি। কিন্তু ক্যানসার ধরা পড়ার পর মাঝপথেই ধারাবাহিকটির ছেড়ে দিতে হয় তাকে। কারণ, কেমোথেরাপির দেওয়ার পর এক টানা শুটিং করতে পারতেন না এই অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, ভারতের ছোট পর্দার পরিচিত মুখ ডলি সোহি। প্রায় দুই দশক ধরে একাধিক ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে এমিলি নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তার।     সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১৭

সাংবাদিক বোনের প্রশ্নের জবাবে যা বললেন জাকের
একসময় হবিগঞ্জ জেলা নারী দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তবে কালের বিবর্তনে তিনি এখন সংবাদকর্মী। বলছিলাম শাকিলা ববির কথা। তার আরেকটা পরিচয় ক্রিকেটার জাকের আলী অনিকের বোন তিনি। একটি জাতীয় দৈনিকের সিলেট প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন জাকেরের বোন ববি। জাতীয় দলের হয়ে জাকের যখন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচটা খেললেন, তখন পেশাদারিত্ব পালনে প্রেসবক্সে বসে ভাইয়ের খেলা উপভোগ করেছেন ববি।  লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৪ বলে ৬৮ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস খেলেন জাকের। তবে অল্পের জন্য দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি এই ব্যাটার। এই ম্যাচে ৩ রানের পরাজয় দেখেছে লাল-সবুজেরা।  এমন ইনিংসের পর টাইগারদের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন জাকের। সেখানে জাকেরকে সাংবাদিক বোনের প্রশ্নের উত্তরও দিতে হয়েছে। ভাইয়ের স্মরণীয় দিনে বোন ববি প্রশ্ন করলেন, ‘যেহেতু সিলেটের ছেলে আপনি, ঘরের মাঠে আপনি পারফর্ম করলেন; যারা দর্শক ছিল, সবাই আপনার নাম ধরে চিৎকার করছিল, কেমন উপভোগ করলেন?’ শুরুতে ‘আপু’ সম্বোধন করে জাকিরের জবাব, আমি সবসময় সিলেটের মাঠে খেলতে পছন্দ করি। আমার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকও এখানে। উইকেট খুব ভালো ছিল। সবকিছুই ঠিক ছিল, যদি ম্যাচটা জিততে পারতাম আরও ভালো লাগতো। এরপর আরেকজন সংবাদ কর্মীর প্রশ্নের জবাবে জাকের বলেন, অবশ্যই আপু হিসেবে এটা গর্বের ব্যাপার ভাই ভালো খেলছে। সব আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানি। আমি নিশ্চিত সে খুব ভালো অনুভব করছে। এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জাকেরের বোন। এ সময়ে তিনি জানান, বোন হিসেবে জাকেরকে নিয়ে গর্বিত তিনি। শাকিলার ভাষ্য, আপনাদের কাছে আমি জাকের আলী অনিকের বোন। আমার এলাকায় জাকের এখনও ববির ভাই। জাকের আলী অনিকের বোন হওয়া অনেক গর্বের। আমি হবিগঞ্জ জেলা দলের অধিনায়কত্ব করেছি; বেশ কয়েক বছর আমি ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে চারজনই ক্রিকেট খেলেছি এবং জেলা দলে খেলেছি।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৯

প্রেমিকের বোনের বাসায় প্রেমিকার আত্মহত্যা, অতঃপর...
ফেনীর মেডিল্যাব হাসপাতাল সংলগ্ন অ্যাডভোকেট অলি উল্ল্যাহ ভবনে প্রেমিকের বোনের বাসা থেকে ফাতেমা আক্তার আঁখি (১৮) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আঁখি শহরের নাজির রোড এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ও জুলেখা দম্পতির মেয়ে।  জানা গেছে, পোল্যান্ড প্রবাসী সালাউদ্দিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ফাতেমার। এরপর পোল্যান্ডে চলে যান সালাউদ্দিন। সম্প্রতি সালাউদ্দিনকে বিয়ের জন্য জোর করলে তিনি রাজি হচ্ছিলেন না।  সালাউদ্দিনের বোনের শ্বশুর আবুল কাশেম বলেন, রোববার দুপুরে বাসা থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয় এক মেয়ে ঘরের ভেতর একটি রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। পরে বাসায় গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওই মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখি। সালাউদ্দিনের বোন সাফিয়া আক্তার নাদিয়া বলেন, আমার ভাইয়ের সঙ্গে ওই মেয়ের সম্পর্কের কথা আজ প্রথম জানলাম তার পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে। দেশে এলে আমরা ভাইকে বিয়ে করাবো এমন তথ্য জেনেই সম্ভবত মেয়েটি এমন কাজ করেছে। ফাতেমার পরিবার জানিয়েছে, সালাউদ্দিনের সাথে ২০১৮ সালে ফাতেমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সালাউদ্দিনের মা মারা গেলে ফাতেমা তাদের বাসায় গিয়েছিল। তবে এই সম্পর্ক সালাউদ্দিনের ভাই বাপ্পি ও বোন নাদিয়া কখনও মেনে নিতে পারেনি। আজ কৌশলে ডেকে নিয়ে আঁখিকে তারা হত্যা করেছে।  ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ মামলা বা অভিযোগ করেনি। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:২১

শপিং শেষে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে ৩ বোনের মৃত্যু
‘রিয়ার মালয়েশিয়া যাওয়ার ফ্লাইট ছিল শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে। বিদেশ যাওয়ার আগের দিন রাতে বোনকে নিয়ে শপিং করতে যায় রিয়া। সেখানে শপিং শেষে রেস্টুরেন্টে গিয়ে আর ফেরেনি দুবোন। বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুনে মৃত্যু হয় আমার মায়েদের।’ শুক্রবার (১ মার্চ) গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এভাবেই বলছিলেন ফৌজিয়া আফরিন রিয়া ও সাদিয়া আফরিন আলিশার বাবা কোরবান আলী। দুমেয়েকে হারানো এই বাবা কান্নাজড়িতকণ্ঠে বলেন, ‘শপিং করতে যাওয়ার আগে আমার মেয়েরা বলেছিল, আন্টির সঙ্গে দেখা করে বাবা আমরা তাড়াতাড়ি ফিরবো।’ কোরবান আলী বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তারা এলাকায় এসেছিল। কয়েক দিন বাড়িতে থেকে চলে গেছে। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে আমিসহ মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। টিকিটও কেটেছিল। কিন্তু গত রাতেই মারা গেছে। নিমু তাদের খালাতো বোন। একই সঙ্গে গিয়ে আর ফেরেনি। আমার ঘর আনন্দে ভরে থাকতো। আজ আমার ঘর শূন্য।’ তথ্যসূত্র বলছে, বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুনে মারা যাওয়া ৪৬ জনের মধ্যে দুজন হলেন রিয়া ও আলিশা। তারা কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের চরবাড়িয়া এলাকার হাজী কোরবান আলীর মেয়ে। ফৌজিয়া আফরিন রিয়া মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। আর সাদিয়া আফরিন আলিশা ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। একই ঘটনায় মারা গেছেন তাদের খালাতো বোন নুসরাত জাহান নিমু। তিনি সদর উপজেলার হাতিগড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। তারা একই সঙ্গে শপিং করতে গিয়েছিলেন। ফাঁকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খেতে ঢোকেন। কান্না করতে করতে কোরবান আলী বলেন, যখন জীবিত মানুষ উদ্ধার শেষ হলো তখন আমার শরীর কাঁপছিল। আমি ঘামাচ্ছিলাম। বুকের ভেতর কেমন জানি হয়েছিল। আমার চোখে পানি আর বুক ভারী হয়ে আসছিল। রাত যখন ১০টার কাছাকাছি, তখন আমাদের মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হলো। যে মেয়েকে সন্ধ্যায় ভালোভাবে বিদায় দিয়েছি তার পোড়া লাশ দিয়েছে আমাকে। আমি আমার দুই স্বপ্নের লাশ দিয়ে বাড়ি এসেছি। বিকালে পুকুর পাশের কবরস্থানে রেখে আসবো আমার দুই স্বপ্ন। তিনি সরকারকে দায়ী করে বলেন, আমরা যারা ঢাকায় থাকি, সবসময় আতঙ্কে থাকি। কেউ নিরাপদ নই। একটা দুর্ঘটনা ঘটলে সবাই নড়েচড়ে বসে। আবার কদিন পরে আগের মতো হয়ে যায়। তারা কেউ তেমন পুড়ে মারা যায়নি। শ্বাসকষ্টে মারা গেছে। তারা বের হতে পারেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু ডিশ লাইনের ক্যাবল, ইন্টারনেট ক্যাবল আর বৈদ্যুতিক ক্যাবলের জন্য তাদের গাড়িও ঠিক জায়গায় স্থাপন করে পানি দিতে পারেনি। আর ফলাফল হলো লাশের পর মরদেহ।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়