• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে বৈশাখী উৎসব
নাচ, গান, আবৃত্তি আর বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে সপ্তাহব্যাপি বৈশাখী উৎসব। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উৎসবের ৬ষ্ঠ দিনের আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৈন্দ গ্রামের বজলুর রহমান পাঠাগারের সদস্যরা। পাভেল রহমানের নির্দেশনায় আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করে নুসরাত, নওরিন, তানহা, পিয়াল, ইফরান, অর্পণ, জয়া, জুলফা। এছাড়া সাহিত্য একাডেমির সদস্যরা নাচ ও গান পরিবেশন করেন, ছিল বিষয়ভিত্তিক আলোচনাও। বিকেলে শুরু হওয়া আয়োজন চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সচিব ড. মো. ইয়ামিন চৌধুরী, এড. আবু তাহের, সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু এবং নারীনেত্রী ফজিলাতুন্নাহার। স্বাগত বক্তব্য দেন পাভেল রহমান। সবশেষে গান পরিবেশন করে নাসিরনগরের বাউল জারু মিয়া ও অমিয় ঠাকুর সঙ্গীতাঙ্গনের শিল্পীরা। ১৯৮৩ সালে সাহিত্য একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৭ সাল থেকে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে সাহিত্য একাডেমি সাত দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসব পালন করে আসছে, যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া তথা এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান উৎসবে পরিণত হয়েছে। সাহিত্য একাডেমির সভাপতি জয়দুল হোসেন বলেন, গ্রাম বাংলার লোকজ-ঐতিহ্য, বিভিন্ন ধরনের লোকগান এবং লোকজ সংস্কৃতি প্রচার ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে বৈশাখী উৎসবের আন্তরিক প্রয়াসের পরিচয় মেলে। আমরা ৩৮ বছর ধরে এই উৎসব পালন করে আসছি। এই উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে। গত পহেলা বৈশাখ শুরু হয় সপ্তাহব্যাপি এ উৎসব, যা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংস্কৃতিকর্মীরা এ উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া লোকজ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। মেলা প্রঙ্গণে নানান ধরনের ২০টি লোকজ পণ্যের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে

গরমে স্নিগ্ধতা থাকুক বৈশাখী সাজে
নতুন প্রত্যাশা বুকে নিয়ে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়াটা বাঙালির কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাই ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার উৎসব পহেলা বৈশাখ। বিশেষ এই দিনে সবাই চায় নিজেকে লাগুক একটু পরিপাটি। এমনিতেই প্রচণ্ড গরম, তার উপর উৎসবপ্রেমীদের ভিড়। এমন আবহাওয়ায় স্বস্তিতে থাকতে চাইলে আরামদায়ক সাজপোশাকের কোনও বিকল্প নেই। উৎসব-পার্বণে রঙিন সাজপোশাক তো থাকবেই। সাদা-লাল তো থাকছেই, বিভিন্ন মোটিফের পোশাকে এখন যুক্ত হয়েছে কমলা, মেরুন বা গাঢ় কোনো রং। এদিনে বাঙালিয়ানা পোশাক রাখতে পছন্দ করেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে ওয়েস্টার্ন বা সেমি ওয়েস্টার্নসহ অন্যান্য পোশাকও পরতে দেখা যায়। এসব পোশাকের সঙ্গে রাখা যায় ছোট একটি লাল টিপ কিংবা লাল লিপস্টিক। এতেও প্রকাশ পাবে বৈশাখের আমেজ। গরম ও ঝড়-বৃষ্টির বিষয়টা মাথায় রেখে হালকা বেইজ মেকআপ করা যায়। হালকা বেইজ অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকে। চোখের সাজে থাকতে পারে ব্রাউন শেড ও আইলাইনার। শাড়ি পরলে গাঢ় টানা কাজল ও আইলাইনারেও সাজানো যায় নিজেকে। রিটাচ করে নিতে ফেস পাউডার বা কম্প্যাক্ট পাউডার রাখতে পারেন সঙ্গে। তবে সাজসজ্জায় কোথাও লালের আধিক্য যাতে না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। গাঢ় পোশাকের সঙ্গে ন্যুড লিপস্টিক সুন্দর ও মানানসই। রাখতে পারেন পিংক, মভ, মাঝারি শেডের কোনো পিংক (রোজ পিংক, স্যামন পিংক, ভিন্টেজ পিংক) বা পিচ শেড। আর ছেলেদের সাজের পুরোটা মূলত পোশাকেই হয়ে যায়! সুতি বা সিল্কের একটি সুন্দর রঙের পাঞ্জাবি বা ফতুয়ার সঙ্গে পায়জামা, ধুতি বা জিন্স পরতে পারেন। তবে সারাদিন রোদে থাকতে হবে বলে ত্বকের যত্নে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না। ত্বক যেন রোদে পুড়ে না যায় সেজন্য ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন। শাড়ির সঙ্গে খোলা চুলে ফুলের সাজের কোনো তুলনাই হয় না। কিন্তু অস্বস্তিকর গরমে চুল বেঁধে রাখা ছাড়াও যেন উপায় নেই। খোঁপায় গুঁজে নিতে পারেন রঙিন কোনো ফুল। নাহলে অন্তত হাতে জড়ানো থাকতে পারে ফুলের মালা। এতে অনেক বেশি সতেজ ও স্নিগ্ধ লাগে। সাদা রঙের ফুল যে কোনো পোশাকের সঙ্গেই মানানসই। লাল টিপের সঙ্গে লাল রঙ্গন, গোলাপ, জবা, গ্ল্যাডিওলাস, জারবেরা পরলেও ভালো লাগবে। সেই সঙ্গে চুলে করে নিতে পারেন খোপা, পনিটেইল, ফ্রেঞ্চরোল কিংবা ডোনাট বান। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা বাছাই করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু সারাদিন গরম থাকতে পারে, তাই পা যেন ঘেমে না যায় বাছাই করতে হবে তেমন জুতা। ছেলেরা এ সময় স্লিপার পরতে পারেন। তাহলে পা ঘেমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। এই দিনে বেশি হাঁটাহাঁটি হয় তাই মজবুত অল্প হিলের জুতা বা স্লিপার পরতে পারেন নারীরা। এদিন শাড়ির সঙ্গে মাটির গয়না বেছে নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন নারীরা। এছাড়াও কাঠ, রুপা, মুক্তা বা তামার মালাও পরতে পারেন। ভারী গয়না পরতে না চাইলে ফুলের মালা বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া মাদুলি ও হাঁসুলি বা অ্যান্টিকের গলার মালাও পরেন নারীরা। কাঁচের চুড়ির মতো অনেকে প্রাধান্য দেন অ্যান্টিকের চুড়িকেও। আর নানা রকম টপসের সঙ্গে তরুণীরা বেছে নেন কাঠ, বাঁশ, বেত ও নানা রকম বিডসের গয়না। তবে সবমিলিয়ে উৎসবের এই দিনে আপনার পছন্দটাই মুখ্য। অন্যদের থেকে একটু আলাদা হয়ে, স্বাচ্ছন্দ্যের সাজে উপভোগ করুন বছরের প্রথম এই দিনটি। 
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৫

বাজারে বৈশাখী হাওয়ায় বেড়েছে ইলিশ-পোলট্রি মুরগির দাম
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানী ঢাকা। ফলে অনেকটাই ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে রাজধানীর বাজারগুলো। একদিন পরই বাংলা নববর্ষ। ঈদ ও  নববর্ষ এই দুই উৎসব ঘিরে রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের চাহিদা ও দাম উভয়ই বেড়েছে। বর্তমানে ইলিশ ধরা পড়ছে কম; বাজারে এর সরবরাহ কমেছে। খুচরা বাজারেই ইলিশের দাম বাড়তি। এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও মিরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শাক-সবজির দাম। আর কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মুরগির দাম। জাটকা ও ১ কেজির কম ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। বড় ইলিশ নেই বললেই চলে।প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ইলিশ ১২০০-১৩০০ টাকা, আর ১০০০ হাজার টাকায় মিলছে ৫৫০-৬০০ গ্রাম  ইলিশ। ছোট চিংড়ি প্রতিকেজি ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিরপুরের ১১ নম্বর, ৬ নম্বর ও মুসলিম বাজারে কয়েকটি মাছের দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে। ইলিশ, চিংড়ি, রুইসহ অল্প কিছু মাছ বিক্রি হচ্ছে। সবজি ও মুরগির বাজারে ক্রেতা ছিল কম। ৬ নম্বর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে মানুষ শহরে না থাকায় শুক্রবারও বাজারে ক্রেতা নেই। যে কয়েকটি দোকান খোলা আছে  সেগুলোতেও তেমন পণ্য নেই। তারা দোকানে অলস সময় পার করছেন। চাঁদ রাতে ২৫০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হলেও ১ দিনের ব্যবধানে, কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে এর দাম। মুসলিম বাজারে এক বিক্রেতা  বলেন, আজকে মুরগি আসে নাই, অল্প কয়েকটা মুরগি আছে। রেট ২৬০ টাকা, পরিচিতদের কাছে ২৫০ টাকায় ও বিক্রি করছি। এছাড়া লাল লেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ২০-৩০ টাকা। প্রতিকেজি লাল লেয়ার ৩৮০ টাকা, আর সোনালী মুরগি ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির   মাংস ১১৫০-১২০০ টাকা ও প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০টাকায়। বাজারে  মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৪০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা,  শসা ৩০-৪০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, খিরাই ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, প্রতিকেজি আলু ৪০ টাকা। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য ৪০-৫০ টাকা ও প্রতি হালি লেবুর জন্য গুণতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।   দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায় ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, ঈদের কারণে সবজির ট্রাক আসেনি। ফলে আগের সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে। বাজারে দাম বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি  দেশি রসুন ১৫০ টাকায় ও আমদানিকৃত রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি   হচ্ছে। আর মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ বাজারেই নেই মাছ। ঈদের কারণে মাছ আসতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে যাও এসেছে, সেগুলোর দামও চড়া।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫২

ঈদ ও বৈশাখী ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কুয়াকাটা
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি ‘সাগরকন্যা’ কুয়াকাটা। আনন্দ উপভোগ করার জন্য আগত পর্যটকদের বরণে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। টানা লম্বা ছুটিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি পাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে ৬০ শতাংশ হোটেল মোটেল কক্ষ বুকিং হয়েছে বলে হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পৌর কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে দেখা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন সাজে সাজানো হচ্ছে আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, কেনাবেচার জন্য তৈরি রয়েছে রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, বার্মিজ আচার, কাঁকড়া ফ্রাই, পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ক্যামেরাম্যানসহ, চটপটি ফুচকার দোকান। কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, অটোরিকশা চালক, কুয়াকাটা থেকে সমুদ্রপথে বিভিন্ন দ্বীপ ও বনাঞ্চল ভ্রমণ করানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ট্যুরিস্ট বোট, স্পিডবোট এবং ওয়াটার বাইক। কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে মনোমুগ্ধকর ১৮ কিলোমিটার বেলাভূমি রয়েছে। পর্যটকরা এখানকার ট্যুরিজম পার্ক, জাতীয় উদ্যান (ইকোপার্ক), শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার ঘুরে দেখেন। এছাড়া কুয়াকাটার পশ্চিমে সমুদ্রপথে ফাতরার বন, সোনাকাটা ফকিরহাট (ইকোপার্ক), লাল কাঁকড়ার চর, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী ও ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরিফ বলেন, আমরা আশাবাদী পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় অনেক ট্যুরিস্টের আগমন হবে। আবার আগের মত প্রাণ ফিরে পাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, হাসি ফুটবে সকল ব্যবসায়ীদের মনে। ইতোমধ্যে হোটেল মোটেলগুলোতে ৬০ শতাংশের মত আগাম বুকিং হয়েছে। কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঈদ পরবর্তী সময়ে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে এমন ধারণা মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। চিকিৎসক দল, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদসরাও তৈরি রয়েছে। টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা সকল পর্যটকদের সেবা ও আইনি সহায়তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক আসবেন বিষয়টি মাথায় রেখে  নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা রয়েছে। সাদা পোশাকে আমাদের সদস্যরা টহলে থাকবেন। আশা করছি আমরা পর্যটকদের শতভাগ নিরাপত্তা দিতে পারব। কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার জানান, এবারের ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে অনেক বেশি পর্যটকরা আসবেন। তাই নিরাপত্তাসহ সবকিছু বিবেচনা করেই এবার ঈদের ছুটিতে আগত পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০২

জ্যামাইকাতে বৈশাখী উৎসবের আয়োজন
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যামাইকাতে বৈশাখী উৎসব ও বাংলা বর্ষবরণ ১৪৩১ আয়োজন করতে যাচ্ছে শোটাইম মিউজিক।  জ্যামাইকাতে অবস্থিত দ্য মেরি লুইস একাডেমিতে এই বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।  বৈশাখী উৎসবের এই আয়োজনে থাকছে— পান্তা ইলিশ, রকমারি শাড়ি কাপড়ের স্টল, রকমারি পিঠার স্টল, জুয়েলারি ষ্টল ও মন মাতানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।  উৎসবের প্রধান আকর্ষণ বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এবং প্রবাসী কণ্ঠশিল্পীদের গান পরিবেশন। আরও থাকছে মন মাতানো ফ্যাশান শো ও আকর্ষণীয় রাফেল ড্র। তবে উৎসবে কোনো প্রবেশ মূল্য নেই।  প্রসঙ্গত, দুপুর দুইটা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলবে এই বৈশাখী উৎসব। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার আরটিভি।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৫

একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন বৈশাখী
ফরিদপুরে একসঙ্গে চার পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মা।  শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে চার সন্তানের জন্ম দেন মা বৈশাখী রায় (২৩)। বৈশাখী রায় ফরিদপুর শহরের পশ্চিম আলীপুর মহল্লার বাসিন্দা মদন রায়ের মেয়ে ও রাজবাড়ীর রাজন বিশ্বাসের স্ত্রী। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ২০১৯ সালে বৈশাখীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় পাশের রাজবাড়ী শহরের ভাজনচালা মহল্লার বাসিন্দা ভোলানাথ বিশ্বাসের ছেলে রাজন বিশ্বাসের (২৬) সঙ্গে। রাজন বিশ্বাস পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী। রাজন-বৈশাখী দম্পতির এবারই প্রথম সন্তান হলো। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এনামুল হক বলেন, মা বেশ রুগ্ণ ছিলেন। গর্ভে চারটি শিশু ধারণ করার মত শক্তি তার ছিল না। গর্ভধারণের ২৮ সপ্তাহে আজ বাচ্চাগুলো জন্ম নিয়েছে। প্রতিটি বাচ্চার ওজন ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম। মায়ের শরীর ভালো থাকলেও দুটি শিশুর অবস্থা খারাপ। এজন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিশুদের বাবা রাজন বিশ্বাস জানান, একসঙ্গে চার সন্তানের বাবা হতে পেরে আমি আনন্দে আপ্লুত। তবে দুটি শিশুর চোখ এখনো ফোটেনি। এটা একটি চিন্তার বিষয়। এজন্য তাদেরকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলছে। যদি চারজন বাচ্চাকে নিয়ে সুস্থভাবে বাড়িতে ফিরে আসতে পারি সেটা আমার জন্য হবে পরম সৌভাগ্যের বিষয়।  
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়