• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাঁদপুরে তিন উপজেলার ২৬ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, বাতিল ৪ 
চাঁদপুর সদর, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। আজ এই তিন উপজেলায় মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইতে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল এবং ২৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ছিলেন ৩০ জন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার বশির আহমেদ। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে জানানো হয়, কাগজপত্র ত্রুটি ও সঠিক তথ্য না থাকায় সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে রাকিব মাঝি, ভাইস চেয়ারম্যান পদে হারুনুর রশিদ হাওলাদার, হাজীগঞ্জ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া আক্তার ও শাহরাস্তি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী নুর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বৈধ প্রার্থীরা হলেন- চাঁদপুর সদরে চেয়ারম্যান পদে মিজানুর রহমান, মো. আইয়ুব আলী, মো. হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম দেওয়ান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবুল বারাকাত মো. রেজওয়ান ও মো. নুরুল হায়দার এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেবেকা সুলতানা ও শ্রিপা দাস। হাজীগঞ্জ উপজেলার বৈধ প্রার্থীরা হলেন- চেয়ারম্যান পদে মো. আবু সুফিয়ান মজুমদার, মো. জসিম ও মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে গোলাম ফারুক মুরাদ ও সুমন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মির্জা শিউলি পারভীন ও রুবি বেগম। শাহরাস্তি উপজেলার বৈধ প্রার্থীরা হলেন-চেয়ারম্যান পদে মো. ওমর ফারুক, মো.কামরুজ্জামান মিন্টু ও মোহাম্মদ মকবুল হোসেন পাটোয়ারী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তোফায়েল আহমেদ ইরান, মো. ইব্রাহীম খলিল, মো. ইমদাদুল হক, মো. ওমর ফারুক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কামরুন্নাহার, নাজমুন নাহার, হনুফা আক্তার ও হাছিনা আক্তার।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৮

প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোটে যাচাই-বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে ১ হাজর ৭৮৬ জন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল)  মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর তিনি এ তথ্য জানান।  অশোক কুমার দেবনাথ জানান, মোট ১ হাজার ৮৯০ জন প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৮৬ জন। প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপের নির্বাচনের জন্য কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।  
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৬

গর্ভপাত বৈধ করার সুপারিশ জার্মান কমিশনের
গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধ করার সুপারিশ করেছে জার্মান সরকারের নিয়োগ করা এক কমিশন৷ সিদ্ধান্তটি কার্যকর হলে তা জার্মানির জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করছে কমিশন৷ জার্মানিতে প্রচলিত আইনের ২১৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে দেশটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে গর্ভপাত একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত৷ যদিও গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের মধ্যে গর্ভপাত করা হলে আর গর্ভবতী নারীকে কাউন্সেলিং দেওয়া হলে তাকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়৷ এছাড়াও ধর্ষণের ক্ষেত্রে বা অন্তঃসত্ত্বা নারীর জীবন, শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে থাকলে গর্ভপাতের স্পষ্ট অনুমতি রয়েছে৷ কিন্তু বিদ্যমান আইনি কাঠামোটি প্রায় ৩০ বছরের পুরনো হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এটি সমালোচিত হয়ে আসছে৷ জার্মানির বর্তমান জোট সরকারের তিন শরিক দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস (এসপিডি), গ্রিনস এবং ফ্রি ডেমোক্র্যাটস (এফডিপি) গর্ভপাতের আইনটিকে আরও শিথিল করতে চাচ্ছে৷ সোমবার (১৫ এপ্রিল) কমিশন তাদের সুপারিশ পেশ করে গর্ভপাতের উপর পুরোনো সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ এস. পি. ডি-র রাজনীতিবিদ কাটইয়া মাজট মনে করেন, এই সুপারিশ নেওয়া হলে অনির্দিষ্ট সময়ের আগে গর্ভপাত আর ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে না৷ তিনি বলেন, আমি মনে করি গর্ভপাত সম্পর্কিত বিধিমালা ফৌজদারি আইনের অন্তর্গত নয়। কারণ আমার দৃষ্টিতে এটি নারীদের কলঙ্কিত করে৷ ক্যাথলিক চার্চের উদ্বেগ ধর্মীয় গোষ্ঠী ও সংগঠনগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে৷ বার্লিনের ক্যাথলিক আর্চবিশপ হেইনার কখ ক্যাথলিক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, তারা বিদ্যমান আইনটি বহাল রাখাতেই আগ্রহী৷ আর্চবিশপের মতে প্রচলিত আইনি কাঠামোটি মায়ের চাহিদা, উদ্বেগ এবং অনাগত সন্তানের সুরক্ষা সবগুলো বিষয়কেই গুরুত্ব দেয়৷ জার্মান ক্যাথলিকদের কেন্দ্রীয় কমিটি এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে৷ তারা মনে করেন এটি গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্রূণের সুরক্ষা নষ্ট করবে৷ অপরদিকে প্রো ফ্যামিলিয়া নামের একটি সংস্থা নতুন সুপারিশগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে৷ রক্ষণশীল দলগুলো যথারীতি এর বিরোধিতা করেছে৷ জার্মানির বৃহত্তম বিরোধী দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) নেতা ফ্রেডরিখ মেরজ সমালোচনা করে বলেছেন এই ধরনের সংস্কারের মাধ্যমে সরকার দেশে একটি বড় সামাজিক দ্বন্দ্ব চালু করতে যাচ্ছে৷ ডানপন্থী জনপ্রিয় দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)-ও এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে৷ অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক বাম দল সরকারকে সুপারিশগুলোকে একটি খসড়া আইনে পরিণত করে উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে৷ গর্ভপাতের ওপর বিজ্ঞাপনের নিষেধাজ্ঞা ইতিমধ্যেই প্রত্যাহার সরকার ইতিমধ্যে গর্ভপাত সম্পর্কিত অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা শুরু করেছে৷ প্রচলিত আইনের ২১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, গর্ভপাতের বিজ্ঞাপনের উপর নিষেধাজ্ঞাও ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে৷ সাইডওয়াক হ্যারাসমেন্ট নামে পরিচিত একটি নিষেধাজ্ঞা আইন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পথে রয়েছে৷
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪০

বৈধ পথে ইউরোপ প্রবেশে সুখবর 
দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পথে প্রবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আর এজন্য এবার কঠোর নীতি আরোপ করতে যাচ্ছে তারা। তবে, নতুন নীতিতে বৈধ পথে প্রবেশকারীদের জন্য আছে বড় সুখবর।  গত বুধবার (১০ এপ্রিল) অভিবাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয়-সংক্রান্ত নিয়ম কঠিন করার পক্ষে ভোট দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। দীর্ঘদিন আলোচনার পর জোটভুক্ত ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের ভোটের মাধ্যমে নতুন এই অভিবাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয়-সংক্রান্ত নীতি অনুমোদিত হয়েছে। নতুন এই নীতি অনুযায়ী, দ্রুততার সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রক্রিয়া শেষ করা হবে আগামীতে। নীতিতে আরও বলা হয়েছে, অবৈধ পথে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী প্রবেশ করে ইতালি, গ্রিস ও স্পেনে। অন্যান্য ইইউভুক্ত সদস্য রাষ্ট্র এই রাষ্ট্রগুলোকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করবে অথবা প্রবেশকারী অভিবাসীদের একটি অংশকে নিজেরা আশ্রয় দেবে।   নতুন নীতি অনুযায়ী, যেসব প্রবেশকারীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের সম্ভাবনা কম, মূল ইউরোপে প্রবেশের আগেই তাদের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। ১২ সপ্তাহের মধ্যে তাদের আবেদন নিষ্পত্তির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং যারা ব্যর্থ হবে, তাদের পরবর্তী ১২ সপ্তাহের মধ্যে জোর করে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সেইসঙ্গে যারা প্রবেশ করবে, এমন ছয় বছরের বেশি প্রত্যেকের বায়োমেট্রিক ডাটা সংরক্ষণ করা হবে। বলা হচ্ছে, নতুন এই নীতি পুরোপুরি কার্যকর হলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে বৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশ করা আগের চেয়ে যথেষ্ট সহজ হবে এবং একইসঙ্গে অবৈধ পথে প্রবেশ কঠিন হয়ে যাবে। এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার মো. শহীদুল হক বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই পুরো বিষয়টিকে অবৈধভাবে না যাওয়ার একটি প্রণোদনা হিসাবে দেখা যেতে পারে। এটি একটি ভালো ও বাস্তবধর্মী পন্থা। সবার জন্যই লাভজনক হবে এই নীতি।’ এদিকে ইউরোপসহ সব দেশে বৈধ পথে লোক পাঠাতে চায় বাংলাদেশ সরকারও। একইসঙ্গে অবৈধদের ফেরত নিয়ে আসতে চায় সরকার। এ বিবেচনায় ইউরোপের নীতির সঙ্গে বাংলাদেশের নীতির মিল আছে। ইউরোপ থেকে অবৈধদের ফেরত আনার জন্য ইইউ’র সঙ্গে ২০১৮ সালে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসিডিওর (এসওপি) সই করে বাংলাদেশ। ওই চুক্তিটি ভালো কাজ করছে এবং এর ফলে ইতোমধ্যে জার্মানি, ইতালি, গ্রিস ও রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি এটি বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ। ইউরোপের দেশগুলো অনেকের সঙ্গে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করছে। এখন তাদের অর্থনীতি চাঙা আছে। তাদের শ্রমিকের প্রয়োজন আছে। তাদের নিজস্ব শ্রমিকের সংখ্যা কমছে। সব মিলিয়ে তারা একটি বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশেরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’ উল্লেখ্য, গত বছর প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ অবৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। নিজেদের শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সরকার। তবে, পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটির কারণে ব্যাঘাত ঘটছে সেই প্রচেষ্টায়। 
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২১

‘টিভি চ্যানেলের ফিড গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে শুধু বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা’
সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে দেশি-বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত  সভা শেষে  প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এ বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একইসাথে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।   তিনি আরও বলেন, বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে এ সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে। যারা অবৈধ সেট টপ বক্সের মাধ্যমে অবৈধভাবে চ্যানেলগুলো দেখাচ্ছে, ক্লিনফিডের ব্যবস্থা না করে ইচ্ছেমতো বিজ্ঞাপনসহ চ্যানেল দেখাচ্ছে, তাদের কারণে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অবৈধ সেট টপ বক্স যেগুলো বাজারজাত করা হচ্ছে এবং আমদানি করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন অভিযান আরও জোরদার করবে। আমরা একটা কঠোর বার্তা দিতে চাই যেন কেউ কোনোভাবে সেট টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি না করে এবং সেটা বাজারজাত না করে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা স্বার্থে, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে আমরা এ অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছি। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একসাথে মিলে আমরা শক্ত অবস্থান গ্রহণ করছি। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৫

বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (৬ মার্চ) সৌদি আরবের জেদ্দার একটি হোটেলে সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ড. হাছান মাহমুদবলেন, সৌদিতে আমাদের দেশের প্রায় ৩০ লাখ মানুষ রয়েছেন। প্রত্যেক প্রবাসীই দেশের প্রতিনিধি, তাদের আচরণেই দেশ পরিচিত হয়। সবাই বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে দেশের অর্থনীতিতে সেটি বড় ভূমিকা রাখে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগে সৌদি আরবের সঙ্গে শুধু জনশক্তি রপ্তানির সম্পর্ক ছিল। এখন পেট্রোলিয়াম, কৃষি, পরিবেশ, অবকাঠামো নির্মাণ, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এমন নানা খাতে সহযোগিতাসহ সেই সম্পর্ককে বহুমাত্রিক করেছি। সভায় জেদ্দায় সদ্যসমাপ্ত ১৯তম ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক্সট্রাঅর্ডিনারি সেশনে যোগদানের পাশাপাশি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের ওপর আলোকপাত করেন হাছান মাহমুদ। টানা ৪র্থ বারের মতো সরকার গঠন করায় তারা দুজনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে পূর্ণ সহযোগিতা ও ফিলিস্তিনে সহিংসতা অবসানে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে বৈঠকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর, পেট্রোলিয়াম ক্রয়, শিল্প সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে জানান তিনি। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিয়াদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, জেদ্দায় নিযুক্ত কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ নাজমুল হক। এছাড়া সভায় অংশ নেন প্রবাসীদের মধ্যে ইসমাইল হোসাইন, ওয়াজিউল্লাহ মিয়া, হুমায়ুন কবির, কাজী আব্দুল্লাহ, মোশারফ হোসেন খান, কামরুল হাসান জুয়েল,শামীম চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন সরকার, আতাউর রহমান ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।
০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:৩৫

সৌদি প্রবাসীদেরকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে বৈধ পথে দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে সৌদি আরবের জেদ্দায় স্থানীয় একটি হোটেল সে দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনায় মন্ত্রী এ আহবান জানান। তিনি বলেন, সৌদিতে আমাদের দেশের প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ রয়েছেন। প্রত্যেক প্রবাসীই দেশের প্রতিনিধি এবং তাদের আচরণেই দেশ পরিচিত হয়। সবাই বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠালে দেশের অর্থনীতিতে সেটি বড় ভূমিকা রাখে।  সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুপ্রতিম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই সম্পর্ককে বহুমাত্রিক করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে শুধু সৌদি আরবে জনশক্তি রপ্তানির সম্পর্ক ছিলো। এখন পেট্রোলিয়াম, কৃষি, পরিবেশ, অবকাঠামো নির্মাণ, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এমন নানাখাতে সহযোগিতাসহ সেই সম্পর্ককে আমরা বহুমাত্রিক করেছি। সভায় জেদ্দায় সদ্য সমাপ্ত ১৯তম ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক্সট্রাঅর্ডিনারি সেশনে যোগদানের পাশাপাশি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের ওপর আলোকপাত করেন ড. হাছান। তিনি জানান, তারা উভয়েই টানা ৪র্থ বারের মতো সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে পূর্ণ সহযোগিতা ও ফিলিস্তিনে সহিংসতা অবসানে একযোগে কাজের প্রত্যয় জানিয়েছেন।  অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সাথে বৈঠকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফর, পেট্রোলিয়াম ক্রয়, শিল্প সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ জানান, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন। রিয়াদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, জেদ্দায় নিযুক্ত কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ নাজমুল হক এবং প্রবাসীদের মধ্যে ইসমাইল হোসাইন, ওয়াজিউল্লাহ মিয়া, মোশারফ হোসেন খান, হুমায়ুন কবির, কাজী আব্দুল্লাহ, কামরুল হাসান জুয়েল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুদ্দিন ভূঁইয়া, দেলোয়ার হোসেন সরকার, আতাউর রহমান ভূঁইয়া, শামীম চৌধুরী প্রমুখ অভ্যর্থনা সভায় অংশ নেন। 
০৬ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৪

সংরক্ষিত নারী আসনের সব প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনে জমা দেওয়া সব কয়টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান তালুকদার। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে যাচাই-বাচাই শেষে মনোনয়নপত্রগুলো বৈধ ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর ভোটের তারিখ ১৪ মার্চ। কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে এ সময়ের পরই ঘোষণা হবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নাম। এর আগে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান তালুকদারের কাছে দলের মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। সেই সময় ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। প্রার্থীদের মধ্যে একজন ১৪ দলীয় জোটের। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি আমরা। সেসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সরকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়