• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসেন তিনি। আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোয়া ১০টায় শিমুল হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। পরবর্তীতে এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে বলে জানা গেছে। চুক্তিগুলো হলো, দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা। এর বাইরে শ্রমশক্তি, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ারও কথা রয়েছে। এর আগে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বিমানবন্দরে অনুষ্ঠান শেষে কাতারের আমির তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করেন। আজ সকালে কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসেন কাতারের আমির। সূচি অনুযায়ী- দুপুরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করবেন। সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে করে আমিরের কাতারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনো আমির ঢাকা সফরে এলেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে অনুষ্ঠান শেষে কাতারের আমির তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অবস্থান করেন।
২১ ঘণ্টা আগে

রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ
মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য হুমকি হিসেবে একে অপরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে ইরান ও ইসরায়েল। পাশাপাশি দুটি দেশই একে অপরকে ‌‌‘চিরশত্রু’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। ইসরাইলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার পর রোববার (১৪ এপ্রিল) এ বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েল ও ইরানের রাষ্ট্রদূতরা তাদের স্ব স্ব দেশের অবস্থানের পক্ষে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। ইসরায়েলের দূত জিলাড আরডান ইরানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই হামলার মধ্য দিয়ে মুখোশ খুলে গেছে তাদের। ইরান হলো বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী তৎপরতার মদতদাতা। এই অঞ্চল ও বিশ্বকে অস্থিতিশীল করতে তাদের সত্যিকার চেহারা বেরিয়ে পড়েছে। তিনি নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে দ্রুতই সম্ভাব্য সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান। একইসঙ্গে তেহরানের বিরুদ্ধে পুনরায় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান জিলাড আরডান। অন্যদিকে বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি বলেন, ইরান আত্মরক্ষার সহজাত অধিকার চর্চা করছে। নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আত্মরক্ষায় সাড়া দেওয়া ছাড়া ইরানের সামনে আর কোনো উপায় ছিল না। তিনি বলেন, যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটুক ইরান তা চায় না, তবে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার দেশ সাড়া দেবেই। সাইদ ইরাভানি আরও বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধে জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস দুই পক্ষকেই সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ একটি পূর্ণমাত্রার ধ্বংসাত্মক সংঘাতের মুখোমুখি। এখনই সময় তাদের যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে থেকে ফিরিয়ে আনার। এ অঞ্চলের (মধ্যপ্রাচ্য) বা বিশ্বের কেউ আর যুদ্ধ চায় না। উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাত সদস্য মারা যায়। এর মধ্যে দুজন জেনারেলও ছিলেন। এর জবাবে গত শনিবার মধ্যরাতে ইসরায়েলে তিনশ’র বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সূত্র : এএফপি
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৮

বৈঠকে বসেছে চাঁদ দেখা কমিটি
পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখতে বৈঠকে বসছে ‘জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি’।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ বৈঠক শুর হয়। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এক মাস রমজানের রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। এক মাস রমজানের রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। আজ দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)। বাংলাদেশের আকাশে কোথাও চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৪

সালিশ বৈঠকে ২ পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
হবিগঞ্জে সালিশ বৈঠকে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার লোকড়া ইউনিয়নের বামকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  আহতদের সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। স্থানীরা জানান, লোকড়া ইউনিয়নের বামকান্দি গ্রামের ওয়াহিদুজ্জামান এবং রফিক মিয়ার মধ্যে বুধবার রাতে স্থানীয় একটি মোকামে ওরসে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য বৃহস্পতিবার সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে দুইপক্ষের লোকজন লঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে আব্দুল ছোবান (৬০) ঘটনাস্থলেই মারা যান। এতে উভয়পক্ষের আরও ২০ জন আহত হন। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওরসে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনও কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:০০

উঠান বৈঠকে ককটেল হামলা, কুসিক মেয়র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
জমে উঠেছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচন। প্রচার প্রচারণায় সরগরম নির্বাচনী মাঠ। এরই মধ্যে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মনিরুল হকের উঠান বৈঠকে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে মনিরুল হকের মালিকানাধীন হোটেলে ভাঙচুরের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।  সোমবার (৪ মার্চ) রাত ১০টায় প্রার্থীর নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হামলার জন্য বাস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের দায়ী করেছেন মনিরুল হক। প্রার্থী মনিরুল হক অভিযোগ করেন, সোমবার বাদ আসর কুমিল্লা নগরীর ৯নং ওয়ার্ড বাগিচাগাঁও এলাকায় ঘড়ি প্রতীকের পক্ষে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক শুরুর পূর্বে মানুষজন যখন এখানে জড়ো হন তখনই পার্শ্ববর্তী একটি ভবনের ছাদ থেকে ককটেল নিক্ষেপ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এ ছাড়াও একজন যুবক বোরকা পড়ে বৈঠকে হামলার চেষ্টা করে। মনিরুল হক সাক্কু অভিযোগ করেন, বাগিচাগাঁওয়ে উঠান বৈঠকে হামলার কিছুক্ষণ পরে নগরীর রেসকোর্স এলাকায় অবস্থিত তার মালিকানাধীন হোটেল রেডরুফ-ইন-এ হামলা চালানো হয়। এ সময় হোটেলে ভাঙচুরসহ হোটেলটির সুপারভাইজার কবির হোসেন, স্টাফ ফারুক, রুহুল আমিন ও নাসিরকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দলীয় সমর্থক বাস প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।  এছাড়াও গত শুক্রবার থেকে প্রতিদিনই তার উঠান বৈঠকে হামলা ও কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৭:০১

শেখ হাসিনা-জেলেনস্কির বৈঠকে যেসব বিষয় উঠে এলো
জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে হোটেল বেয়েরিশার হফে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া বৈঠকে গাজায় নিরপরাধ নারী-পুরুষের ওপর হামলা কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন যে যুদ্ধ কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।  শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। কিন্তু যুদ্ধ লিপ্ত দেশগুলোর জন্য তা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না এবং তাদের জনগণকে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।  এ সময় প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভোগ এবং তিনি নিজেও যে দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন তার স্মৃতি স্মরণ করেন। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বন্দিদশায় তার অমানবিক কষ্ট এবং তার একমাত্র পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মের কথা স্মরণ করেন। হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও জেলেনস্কির মধ্যে আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ স্পষ্টভাবে উঠে আসে। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং যুদ্ধের পর বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছেছেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধানমন্ত্রীর মিউনিখ ত্যাগ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সূত্র : বাসস
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৫

সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সভা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে। এটি হবে নতুন সরকারের প্রথম সচিব সভা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান গণমাধ্যমকে বলেন, কোনো নির্দিষ্ট এজেন্ডা ধরে নয়, প্রধানমন্ত্রী সচিবদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করবেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের নির্দেশনার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে করণীয় নিয়ে সরকারপ্রধান সচিব সভায় দিকনির্দেশনা দেবেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। একজন কর্মকর্তা জানান, ২০২২ সালের সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন, সেগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরা হবে সচিব সভায়। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে মন্ত্রণালয়-বিভাগুলোকে নির্দেশনা দেবেন। এ ছাড়া সামনে রমজান, তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণেও সংশ্লিষ্ট সচিবদের নির্দেশনা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ৮৫ জন সিনিয়র সচিব ও সচিব দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণত মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে সচিব সভা হয়, যেখানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সব সচিবরা অংশ নেন। মাঝে মাঝে প্রধানমন্ত্রীও সচিব সভায় অংশ নেন। সবশেষ ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর সচিব সভায় যোগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৩

সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে বসছে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ
জরুরি বৈঠক বসতে চলেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর এটি দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম বৈঠক।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  জানা গেছে, বৈঠকে সদ্যসমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি পদের নির্বাচন, বিএনপি ও তার মিত্রদের আন্দোলন মোকাবিলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একই সঙ্গে দেশের আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং দলের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা হবে বলে দলীয় সূত্র জানায়। এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৮

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি বৈঠকে মন্ত্রীরা
নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সব স্তরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রুত সময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় জরুরি সভায় বসেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা৷ রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এই জরুরি সভা শুরু হয়৷ এ সভায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি পরিস্থিতির সঙ্গে চাহিদা বিশ্লেষণ করে ঘাটতি চিহ্নিত করা এবং রমজানের আগে ঘাটতি মেটাতে পণ্য আমদানি সহজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বসেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সভায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি পরিস্থিতির সঙ্গে চাহিদা বিশ্লেষণ করে ঘাটতি চিহ্নিত করা এবং রমজানের আগে ঘাটতি মেটাতে পণ্য আমদানি সহজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। পাশাপাশি ঘোষিত মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায় নির্ধারণ করা হবে।  এ ছাড়া চাল, আটা, তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, ডিম ও পোলট্রি পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করা কারসাজির হোতাদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থার কঠোর দৃষ্টান্ত স্থাপনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৮

মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর যেসব নির্দেশনা
নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে আগামী পবিত্র রমজান মাসে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং একইসঙ্গে রমজান সংশ্লিষ্ট পণ্য যেটার চাহিদা বেড়ে যায় সেগুলো সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সে ব্যাপারেও কাজ করার জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে একটি নির্বাচনী ইশতেহার দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, ইশতেহারে ওই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে ভিত্তি করে তারা যেন এখনই কর্মপরিকল্পনা নেন। এবং সেই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে মনিটরিং করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।’ মাহবুব হোসেন বলেন, ‘কৃষি উৎপাদনের কথা তিনি বলেছেন। কৃষি উৎপাদন যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন। একইসঙ্গে কৃষিপণ্য সংরক্ষণের সংরক্ষণাগার এরইমধ্যে কিছু তৈরি করা হয়েছে আরও করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চারটি স্তম্ভের কথা আমরা জানি। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ। এই চারটি স্তম্ভকে ভিত্তি করে সব মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে যে, ওই মন্ত্রণালয় যে অংশের সঙ্গে জড়িত, সেই অংশটুকু যেন তারা পরিকল্পনা এবং সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন করে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কথা তিনি বলেছেন এবং জানিয়ে দিয়েছেন যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স থাকবে। এবং সবাইকে একই নীতি অনুসরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে।’ তিনি বলেন, ‘যে প্রকল্প প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে সেগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটি কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে, তা খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করতে এবং সম্ভাব্যতা যাচাই করে যেন প্রকল্প প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা হয় সেজন্য তিনি নির্দেশনা দেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি যে শূন্য পদগুলো আছে, সেগুলোতে নিয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেগুলো আছে সেগুলো যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা পায় সেটি মনিটরিং করার জন্য নির্দেশনা দেন তিনি।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নারী উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নে সাফল্যের যে ধারা তৈরি হয়েছে তা যেন কোনো অবস্থাতেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর দিতে বলেছেন তিনি। রপ্তানি বহুমুখী করণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান এবং সে বাজারে প্রবেশের জন্য কীভাবে সহায়তা করা যায় সে নির্দেশনাও তিনি দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে তিনটি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেছে। তা হলো- চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাতপণ্য এবং কৃষিজাত পণ্য। গার্মেন্টসকে যেভাবে সহায়তা করা হয়েছিল বিকাশে, প্রয়োজনে সেরকম সহায়তা দিয়ে তিনটি ক্ষেত্রে যেন বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিয়েছেন।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে, যাতে করে সেটি যেন কর্মমুখী হয়। ফ্রিল্যান্সিং যেন আরও বাড়তে পারে সেদিকে তিনি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। যুব সমাজকে খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে করে তারা মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকতে পারে।’ তিনি বলেন, আমাদের রীতি হচ্ছে- প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক যখন হয় তখন প্রধানমন্ত্রী তার কলিগদের অফিসিয়ালি একত্রে পান। তিনি তখন তার পক্ষ থেকে একটি প্রারম্ভিক বক্তব্য দেন। যেহেতু প্রথম মিটিং সে উপলক্ষে তিনি তার তরফ থেকে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়