• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৪
ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার গাবখান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ড. জহিরুল ইসলাম।  ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক তারাহ গুল নিঝুম গণমাধ্যমকে জানান, ঝালকাঠির গাবখান সেতু টোলপ্লাজায় সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক ৩টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে সাতজন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে আহতদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিলে সেখানে আরও ৭ জন মারা যান। তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা, যারা পঙ্গুত্বের শিকার হবেন তাদের জন্য ৩ লাখ টাকা এবং আহতদের জন্য ১ লাখ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্পেশাল অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলোর উদ্ধার কার্যক্রম চলমান আছে। দুর্ঘটনার তদন্তে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪০

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৪
ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষের নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জন দাঁড়িয়েছে। দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান মো. ইব্রাহীম (৩২)। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে অ্যাবলুম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে ঢাকা থেকে মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহন ও আলফাডঙ্গা থেকে ফরিদপুর শহরের দিকে আসা পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘনাস্থলেই ১১ জন মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান। নিহতরা সবাই পিকআপ ভ্যানের যাত্রী, চালক ও হেলপার। তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ নিতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। আলফাডাঙ্গা হয়ে বোয়ালমারী থেকে আসছিলেন। পিকআপে চালক হেলপারসহ ১৫ জন যাত্রী ছিলেন। নিহতরা হলেন বোয়ালমারী শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রাম রাকিব হোসেন মিলন (৪২), তার স্ত্রী সামিমা ইসলাম সুমি (২৫), তাদের বড় ছেলে আলভী রোহান (৭), ছোট ছেলে আলফাডাঙ্গা মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী আবু সিনান (৪) এবং প্রতিবেশী মৃত আব্দুল ওহাবের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৭০), পিকআপ চালক আলফাডাঙ্গা পৌরসভার কুসুমদি গ্রামের নজরুল মোল্ল্যা (৩৫), আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের জানাহারা বেগম (৫০), ভাতিজি প্রবাসীর স্ত্রী সোনিয়া বেগম ৩০), সোনিয়ার ১১ মাস বয়সী শিশু সন্তান নুরানী, সদর ইউনিয়নের চরবাকাইল গ্রামের তবি খান (৫৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের হিদাডাঙ্গা গ্রামের শুকুরন বেগম (৯০), তার মেয়ে মনিরা বেগম সূর্য (৫৫), প্রতিবেশী কহিনুর বেগম (৬০) এবং মো. ইব্রাহীম। এ দুর্ঘটনায় মিলনের মা মনোয়ারা বেগম ওরফে হুরি বেগম (৬৫) মুমূর্ষু অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মহিলাসহ ১১ জন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন নিহত হন।  এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়েই আমরা ছুটে এসেছি। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ৫ লাখ এবং আহতদের পরিবারের জন্য ৩ লাখ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। ফরিদপুরের জেলা পুলিশ সুপার মোরশেদ আলম বলেন, সড়কে আমাদের চলাচলে আরও সচেতন হতে হবে। তা না হলে থামবে না মৃত্যুর মিছিল। শুধু যাত্রীদেরই নয় মালিক ও শ্রমিকদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে। ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, মরদেহগুলোর সুরতহালের পরে পরিচয় শনাক্ত করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৩

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩
ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষের ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ জনে। নিহতদের মধ্যে ৫ জন একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন। এ দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তারা মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা (৩৫), তার স্ত্রী সুমী বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও হাবিব মোল্লা (৩), রফিক মোল্লার মা। নিহত আরও একজন হলেন শেখর ইউনিয়নের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম। বাকিদের নামপরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হন। ওই পিকআপ ভ্যানটি ভাড়া করে কয়েকজন ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। আরও পাঁচজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে হাসপাতাল পরিদর্শনে যান ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘খবর পেয়েই আমরা ছুটে এসেছি। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ৫ লাখ এবং আহতদের পরিবারের জন্য ৩ লাখ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।’ ফরিদপুরের জেলা পুলিশ সুপার মোরশেদ আলম বলেন, ‘সড়কে আমাদের চলাচলে আরও সচেতন হতে হবে। তা না হলে থামবে না মৃত্যুর মিছিল। শুধু যাত্রীদেরই নয় মালিক ও শ্রমিকদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে।’ এই ঘটনার কানাইপুরের দিগনগর গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে আসার পর বাসটির একটি চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে যায়। গাড়িটি আড়াআড়িভাবে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পিকআপ ভ্যানটি বাসটির মাঝামাঝিতে এসে আঘাত করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, ‘মরদেহগুলোর সুরতহালের পরে পরিচয় শনাক্ত করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।’
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৬

পঞ্চগড়ে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ঈদের দিনে ঘুরতে বের হয়ে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার জনে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার। এর আগে দুপুরে দেবীগঞ্জ পৌরসভার নতুনবন্দর এলাকায় আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনায় দুই কিশোরের মৃত্যু হয়।  নিহতরা হলেন দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের লোহাগাড়া সুপারি তলা এলাকার বাছের আলীর ছেলে কাউসার আলী (১৫) ও একই এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে সাব্বির (১৬)। এদিকে রাতে মৃত্যুবরণ করে দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খাঁ পাড়া এলাকার মজনুর ছেলে সাব্বির (১৭), একই এলাকার হযরত আলীর ছেলে বরকত (১৬)। রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মজনুর ছেলে সাব্বির ও হযরতের ছেলে বরকতের মৃত্যুর বিষয়টি তাদের পরিবার অবগত করেছে বলে জানান রিতু আক্তার। জানা যায়, ঈদের দিন দুপুর আনুমানিক ১টার সময় ঘোরাঘুরির উদ্দেশে মোটরসাইকেলে তিন কিশোর খাঁ পাড়া থেকে দেবীগঞ্জে আসছিল। অপর মোটরসাইকেলে তিন কিশোর কালীগঞ্জের লোহাগাড়া থেকে নীলসাগর এলাকায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নতুন বন্দর এলাকার দেবীগঞ্জ-সোনাহার সড়কে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ছয়জনকে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।  প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালীন প্রথমে কাউসার আলী নামে একজনের মৃত্যু হয়। বাকীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হলে সাব্বির (১৭) নামে একজনের মৃত্যু হয়। এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে সাব্বির ও বরকত নামে আরও দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।  দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:১৫

কলেরার প্রাদুর্ভাবে দ্বীপ ছেড়ে যাত্রা, ফেরিডুবিতে নিহত বেড়ে শতাধিক
আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশ মোজাম্বিকে ফেরিডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। এর আগে ফেরিডুবির এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৯০ বলে জানানো হয়েছিল। মূলত আফ্রিকার এই দেশটিতে দেখা দেওয়া কলেরার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে লোকগুলো অন্য কোথাও পালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোজাম্বিকের উত্তর উপকূলে ফেরি ডুবে ১০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ন্যুসি। সোমবার তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় অন্তত ২০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। মোজাম্বিকের মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট ইনস্টিটিউটের (ইন্ট্রাসমার) একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ১৩০ জন যাত্রী বহনকারী এই নৌযানটি আসলে একটি ওভারলোডেড ফিশিং বোট ছিল এবং এতে যাত্রী পরিবহনের লাইসেন্স ছিল না। সংস্থাটির প্রশাসক লোরেঙ্কো মাচাদো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, গত রোববার নামপুলা প্রদেশের লুঙ্গা থেকে মোজাম্বিক দ্বীপে যাচ্ছিল ফেরিটি। জোয়ারের ঢেউয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এটি ডুবে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।  নামপুলা প্রদেশের সেক্রেটারি অব স্টেটের অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যাত্রীরা কলেরা প্রাদুর্ভাবের কারণে পালিয়ে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং অন্তত ২০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ন্যুসি। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তের জন্য দেশটির পরিবহনমন্ত্রীকে দ্বীপে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।  উল্লেখ্য, গত বছর থেকে কলেরার প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন হয়েছে মোজাম্বিক এবং আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলো। মোজাম্বিকের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর থেকে দেশটিতে ১৫ হাজার ৫১ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩২ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে শুধু নামপুলা প্রদেশে গত রোববার পর্যন্ত ৫ হাজার ৮৪ জন লোক কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১২ জন মারা গেছেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৫

ফটিকছড়িতে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত বেড়ে ২
ফটিকছড়ির ভূজপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত আরও এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার নাম ইছমু আক্তার (৩৫)। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুজনে দাঁড়াল।  সোমবার (৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত ইছমু আক্তার ভূজপুরের পাইন্দং ইউপির বেড়াজালি গ্রামের ওমান প্রবাসী মো. ফোরকানের স্ত্রী। জানা যায়, রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ভূজপুর নাশন্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় সেদিন মারা যান ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদরাসার শিক্ষার্থী হাফেজ মো. শাকিল (২০)।   বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক। তিনি জানান, ফটিকছড়ির ভূজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইছমু আক্তার নামে এক নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১

সাভারে পাঁচ গাড়িতে আগুন, নিহত বেড়ে ৩ 
সাভারের হেমায়েতপুরে তেলের লরি উল্টে পাঁচটি গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় হেলাল হাওলাদার (৩০) নামে আরও এক দগ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার ছোটগরিচন্না গ্রামের জয়নুউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। দুর্ঘটনায় তার শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম।  এর আগে একইদিন ভোরে হেমায়েতপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোড়পুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় লরির পেছনে আটকে থাকা চারটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকার সেখানেই পুড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইকবাল হোসেন নামে এক ট্রাক শ্রমিকের। সঙ্গে দগ্ধ হন মিম (১০), আল-আমিন (৩৫), নিরঞ্জন রায় (৪৫), মিলন মোল্লা (২২), সাকিব (২৪), হেলাল হাওলাদার (৩০) ও নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে সাতজন ব্যক্তি। তাদের সবাইকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।  দগ্ধদের মধ্যে ছয়জনই ছিলেন তরমুজবাহী একটি ট্রাকে। ট্রাকটি বরগুনা থেকে গাজীপুরে যাচ্ছিল। তাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম ও হেলাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশু মিমসহ দুজনের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দগ্ধ অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭

সাভারে ৫ গাড়ির আগুনে নিহত বেড়ে দুই, তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক 
সাভারের হেমায়েতপুরে তেলের লরি উল্টে পাঁচটি গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে আরও এক দগ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হলো এ দুর্ঘটনায়। এ ছাড়া দগ্ধ বাকি ছয়জনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র।  এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হেমায়েতপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোরপুল এলাকায় একটি তেলের লরি ও পিকআপ ভ্যানের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তেলের লরিটি উল্টে দুর্ঘটনা কবলিত ওই দুই গাড়ি ছাড়াও পাশের আরও তিনটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই ইকবাল নামে একজনের মৃত্যু হয়। একটি সিমেন্টের ট্রাকে লোড-আনলোডের কাজ করতেন তিনি। এ ছাড়া এ ঘটনায় দগ্ধ হন আরও সাতজন। খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের ৩টি গাড়ি চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দগ্ধদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সেখানে পৌঁছানোর পরপরই মৃত ঘোষণা করা হয় নজরুল ইসলামকে। পেশায় তরমুজ ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি।  দগ্ধ বাকিদের নাম মিম (১০), আল-আমিন (৩৫), নিরঞ্জন (৪৫), মিলন মোল্লা (২২), সাকিব (২৪) ও হেলাল (৩০) বলে জানা গেছে। তারা কে কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন তা জানা না গেলেও তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।  দগ্ধ সবাইকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, হেমায়েতপুরে দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে ৭ জন এসেছে। তাদের মধ্যে নজরুল ইসলাম নামে একজন আনার পরেই মারা যায়। বাকি ৬ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। তবে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬

গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০
জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। অব্যাহত এই হামলায় উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ জনে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৮৮৯ জন। বুধবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় গাজা ভূখণ্ডে ৭৬ জন নিহত এবং ১০২ জন আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বলেছে, অনেকে এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গত সোমবার (২৫ মার্চ) পবিত্র রমজান মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব পাস হয়। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান এই হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। পানি, খাবার ও নিরাপদ স্থানের অভাবে উপত্যকাটির বাসিন্দারা মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১৭

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৬
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় লালন (২৪) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। শনিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, লালনের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। মৃত লালনের মামা শ্বশুর মো. আলআমিন জানান, একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করতেন লালন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার চরগিরিস গ্রামে। কালিয়াকৈর তেলিরচালা এলাকায় স্ত্রী সাবিনা খাতুন ও ১ মাস বয়সি মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। এই ঘটনায় লালনের নানি শাশুড়ি কমলা খাতুনও এর আগে মারা গেছেন। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর কোনাবাড়ী তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ ৩৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, তেলিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিক তার বাসার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার আনেন। সেটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। একপর্যায়ে এটিকে বাইরে রাস্তায় ফেলে দেন। সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন সিলিন্ডারে লেগে বিস্ফোরণ ঘটে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়