• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নিজের সিনেমার বেহাল দশা দেখে হতাশ পূজা চেরি
আসছে ঈদে মুক্তি পেয়েছে প্রায় ডজন খানেক সিনেমা। সেই তালিকায় রয়েছে পূজা চেরি ও আদর আজাদ অভিনীত ‘লিপস্টিক’। তবে সিনেমাটির নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন ছবির নায়ক-নায়িকাসহ কলাকৌশলীরা। স্টার সিনেপ্লেক্সে কোনো শো-ই পায়নি। নানা জটিলতার পর ব্লকবাস্টার, লায়ন সিনেমাসসহ আটটি হলে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।  নিজের সিনেমার এমন বেহাল দশা দেখে হতাশ পূজা। এর পেছনে নোংরা রাজনীতি দায়ী বলে মনে করছেন তিনি। বাংলাদেশে ভালো জিনিসের কদর নেই বলে মত তার। এক সাক্ষাৎকারে পূজা বলেন, আমরা নিজেরাই নিজেদের সিনেমার ক্ষতি করছি। এভাবে ভালো সিনেমার পথ রুদ্ধ হলে, কীভাবে আমাদের সিনেমা ঘুরে দাঁড়াবে? সিনেমায় নোংরা রাজনীতি ঢুকে গেছে। এমনিতেই হলের সংখ্যা কম, তার মধ্যে এই রাজনীতি। বাংলাদেশে ভালো জিনিসের কদর নেই। ‘লিপস্টিক’রাজনীতির শিকার উল্লেখ করে এ নায়িকা আরও বলেন, কেউ কেউ যখন নির্দিষ্ট করে কোনো কোনো হলে গিয়ে বা ফোনে তাদের সিনেমা মুক্তির জন্য হলমালিককে বলেন, আমার সিনেমার জন্য এই হল দিতেই হবে, হলমালিক দিতে বাধ্য। এমন ঘটনা এবার ঘটেছে। এভাবেই কোনো কোনো সিনেমা হল পেয়েছে। হতাশা ব্যক্ত করে পূজা বলেন, ভালো কাজ করেও তা দর্শকের কাছে পৌঁছে পারছেন না। এ ধরনের কাজ আর করা হবে কি না, জানি না। কিন্তু কম হল পাওয়ার কারণে ছবিটি সবাইকে দেখানো সম্ভব হচ্ছে না। আমার অভিনীত সিনেমা নিয়ে আগে এমনটি কখনোই হয়নি। মনটা ভালো নেই। এদিকে কিছুদিন আগে সিনেমা নিয়ে রাজনীতির শিকার হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সিনেমাটির নায়ক আদর আজদ।  সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে এতে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, জায়েদ খান প্রমুখ। ছবিটি পরিচালনা করেছেন  কামরুজ্জামান রোমান। 
২১ ঘণ্টা আগে

সেনবাগে সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে এলাকাবাসী 
সড়কের কোনো কোনো অংশ ভেঙে পড়ছে পুকুরে, কোথাও গাছের শিকড় গজিয়ে উঠছে সড়কের মাঝে, কোথাও আবার উড়ছে বালু আর ধুলো।  ২০ বছর আগে উপজেলা এলজিডি অফিস থেকে কয়েকজন লোক এসে রাস্তা মেপে গেছে । এরই মধ্যে অনেক নতুন সড়ক হলেও পুরাতন সড়কটির বেহাল দশা।  এটি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর উত্তরপাড়া-হাজীরহাট সড়কের চিত্র। একই চিত্র দৌলতপুর-নাজিরনগর ও ছিলোনিয়-মানিকপুর সড়কের। দীর্ঘ ২ দশকে সংস্কারের কোনো কাজ না হওয়ায় এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কগুলো চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের অসংখ্য স্থানে গর্তের কারণে বর্ষকালে একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। দূর থেকে মনে হয় সড়কটি পুকুর কিংবা ডোবা। একটু বৃষ্টি হলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে জমে যায় কাদাপানি, ফলে চলাচল করতে মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। গাড়িতে চলাচলে প্রতিনিয়ত গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে আহত হচ্ছেন যাত্রীরা। এ সড়ক দিয়ে বর্তমানে রিকশাভ্যানও যাত্রী ও মালামাল যেতে চায় না দুর্ঘটনার ভয়ে। গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয় যাত্রীদের। যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সড়কগুলো দিয়ে যাতায়াতকারীরা। বেহাল দশার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।  অটোচালক আবদুর রহিম বলেন, আমরা গরিব মানুষ গাড়ি চালিয়ে যা আয় করি, তার বেশির ভাগই সড়কের কারণে গাড়ি ঘন ঘন নষ্ট হয়ে মোরামতেই খরচ করতে হয়। স্কুলছাত্র কমারুল হাসান নাহিদ জানান, সড়কে গাড়ি যাওয়ার পর আর হাঁটা যায় না ধুলোবালুর কারণে। মনে হয় গ্রামে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে।   স্থানীয় বাসিন্দা ও ঢাকার ব্যবসায়ী লায়ন মো. জসিম উদ্দিন জানান, আমাদের যাতায়াতের একমাত্র পথটি এ সড়ক। এর করুণ দশা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেক বার যোগাযোগ করেছি কিন্তু কোনো ফল আসেনি। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে এলাকার মানুষের সীমাহীন দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।  এ ব্যাপারে স্থানীয় অর্জুনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রিপন জানান, তিনি বিষয়টি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করেছেন। এর আগে কয়েক বার এলজিইডি অফিস থেকে লোকজন এসে মেপে নিলেও কোনো কাজ হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শাহিনুর আলম জানান, সড়কগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। সংস্কারের জন্য আমাদের যে বরাদ্দ আসে সেগুলো উপজেলার এলজিইডির সড়কগুলোকে দিয়ে শেষ হয়ে যায়। ইউনিয়নের সড়কগুলো করার আর সুযোগ থাকে না।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৫

৭ বছরেও হয়নি বিএনপির সম্মেলন, বেহাল চেইন অব কমান্ড
সাত বছর পার হলেও বিএনপির সপ্তম জাতীয় সম্মেলন হয়নি। এতে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। বিএনপির ৮২টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অর্ধশতাধিক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। অধিকাংশ জেলায় আংশিক আহ্বায়ক কমিটি হলেও দীর্ঘদিনেও সম্মেলন ও পূর্ণাঙ্গ হয়নি। প্রবল হয়েছে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং। এ কারণে সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপির কর্মীদের সেভাবে রাজপথে নামতে দেখা যায়নি। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন করেছিল বিএনপি। গঠনতান্ত্রিকভাবে তিন বছর পরপর এই সম্মেলন হওয়ার কথা। তবে সাত বছর পার হলেও সপ্তম জাতীয় সম্মেলন হয়নি। সাত বছরে কেন্দ্রীয় কমিটির সভা হয়েছে মাত্র একবার। ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই সভার পর কেটে গেছে পাঁচ বছর। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির ১৯ পদের মধ্যে বর্তমানে শূন্য আছে পাঁচটি। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যানের ১৩টি, উপদেষ্টা ১৫টি, সম্পাদক ও সহসম্পাদকসহ প্রায় একশর মতো পদ শূন্য হয়ে আছে। আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির মূল শক্তি দুটি সহযোগী ও ৯টি অঙ্গসংগঠন। তবে এগুলোর সাংগঠনিক অবস্থাও বেহাল। চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ায় তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল গঠনতান্ত্রিকভাবে বিএনপির সহযোগী সংগঠন। আর অঙ্গসংগঠন হিসেবে রয়েছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল, ওলামা দল, জাসাস ও মহিলা দল। এসব সংগঠনের মধ্যে কয়েকটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকলেও বেশিরভাগের মেয়াদ নেই। সবচেয়ে করুণ দশা শ্রমিক দল, ছাত্রদল, মহিলা দল ও জাসাসের। জেলা-উপজেলা কমিটিরও একই অবস্থা। এতে স্থবির হয়ে আছে বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। ৮২টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অর্ধশতাধিক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। অধিকাংশ জেলায় আংশিক আহ্বায়ক কমিটি হলেও দীর্ঘদিনেও সম্মেলন ও পূর্ণাঙ্গ হয়নি। কমিটি গঠনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের তৎপরতা কিংবা কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের কারণে প্রবল হয়েছে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পুরোদমে দল পুনর্গঠন কাজ শুরু করেছিল বিএনপি। সেই সময় মূল দল ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি হালনাগাদের উদ্যোগ নিলেও তা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। ওই উদ্যোগের পর মাত্র ২০টির মতো জেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  জানান, তৃণমূল পর্যায়ে অধিকাংশ কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। মাঝেমধ্যে কমিটি করতে গেলে বিশেষ ‘সিন্ডিকেট’ তাতে হস্তক্ষেপ করায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ সময়েও জেলা শাখা ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কমিটি পুনর্গঠন না হওয়ায় মাঠ পর্যায়ের অনেক ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মী দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। অনেকে বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘এটা সত্য যে, দলের অনেক সাংগঠনিক জেলা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে। সেগুলো ঢেলে সাজানোর কাজ অচিরেই শুরু হবে।’ সম্মেলনের বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনীতির দুটি প্রধান বলয়। একটি আওয়ামী লীগ আরেকটি বিএনপি। ভুল-ত্রুটি সংশোধন করেই বিএনপিকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’  রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাস সিংহ রায় বলেন, বিএনপির কার্যক্রম এতটাই বিতর্কিত যে তারা জনসম্মুখে তাদের অবদান তুলে ধরতে ভয় পায়। বিএনপি দুবার দেশ শাসন করে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। তাদের কারণে বাংলাদেশ দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। উন্নয়নের বদলে দেশকে পিছিয়ে দেয়াই ছিল তাদের অর্জন। ভোট বর্জন করে বিএনপি নিজের দলের নেতাকর্মীদের কথাও উপলব্ধি করেনি, ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর ভরসা রাখতে পারছেনা নেতাকর্মীরা। তাই বার বার আন্দোলন ডাকলেও তাতে নিজ দলেরই সাড়া মিলছে না।’
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩২

ফের প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব, বেহাল জাতীয় পার্টি
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর চেয়ারম্যানের পদ ঘিরে দেবর জি এম কাদের ও ভাবি রওশন এরশাদের মধ্যকার কোন্দল বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে এসেছে। এরমধ্যে কয়েক দফায় এই বিরোধ তীব্র হতে দেখা যায়। পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার, সংবাদ সম্মেলন এবং চেয়ারম্যান ঘোষণা করার দৃশ্যও গণমাধ্যমে এসেছে। ফের দেবর-ভাবির এই দ্বন্দ্বের কারণে দলটি ভাঙনের মুখে পড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই দলটির মধ্যে কোন্দল দেখা দেয়। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা বলে হঠাৎ নির্বাচনে আসার ঘোষণা, সরকারি দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি ও টাকা নিয়ে ভাগ-বাটোয়ারা, মনোনয়ন দেওয়া, নির্বাচনে রওশন এরশাদের মূল্যায়ন না করা, তৃণমূল অস্থিরতা এবং ৬০০-এর বেশি নেতাকর্মী পদত্যাগসহ নানা ইস্যু নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছিল। অবশেষে সেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসলো। গত ২৮ জানুয়ারি হঠাৎ বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন রওশন এরশাদ। একই সঙ্গে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিয়ে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব দেন তিনি। যদিও রওশনের এই সিদ্ধান্তকে আমলে না নেওয়ার কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চুন্নু। দলটির এমন নাটকীয়তার মধ্যে আগামীতে আর রাজনীতি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি দলটির সাবেক মহাসচিব ও দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা। সংবাদ সম্মেলনে মুজিবুল হক চুন্নু জানান, দলের গঠনতন্ত্রে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদকে এমন কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাই রওশনের ঘোষণার কোনো ভিত্তি নেই। বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না জাতীয় পার্টি। জি এম কাদেরের নেতৃত্বে যে দল আছে সেটিই জাতীয় পার্টি। যদিও রওশন এরশাদের মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, বেগম রওশন এরশাদ দলের গঠনতন্ত্রের ২০-এর ১ ধারা অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর গঠনতন্ত্র মেনেই তাদেরকে (জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলটিতে বারবার এমন কোন্দোল আর নিতে পারছেন না তৃণমূল নেতাকর্মী। তারা জানান, জাতীয় পার্টিতে কী হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। নির্বাচনের আগ থেকেই সমস্য চলছিল। নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে খোঁজখবর না নিয়ে উল্টো সরকারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার তথ্যও আমরা জানতে পেরেছি। নির্বাচনের পর অনেক প্রার্থী তো এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছে। এখন দেখছি আবার পদ নিয়ে কাড়াকাড়ি। দলের এমন অবস্থা দেখতে আর ভালো লাগে না। এখন আর চিন্তাও করি না। দেখা যাক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, দলে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। জাতীয় পার্টি সাতবার ভেঙেছে, আরেকটা ভাঙন হলে আটবার হবে। এদিকে রোববার দুপুর থেকে জাতীয় পার্টিতে যখন প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল, ঠিক ওইদিন সন্ধ্যায় জি এম কাদেরকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং আনিসুল ইসলাম মাহমদুকে উপনেতা ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় পার্টি। দলটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই মারা যান।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়