• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
শ্বাস বন্ধ হয়ে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে : ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক
বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাপড়ের দোকান ছিল। ভবনের অন্যান্য ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট ছিল। যেগুলোতে আমরা গ্যাস সিলিন্ডার দেখেছি। যে কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়েছে এবং দাউদাউ করে জ্বলেছে। এছাড়া এই আগুনে দগ্ধ হওয়ার চেয়ে বেশিরভাগ মানুষ শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। রাজধানীর বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাত দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। ভবনের কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ছিল না, এমন অভিযোগ সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, দ্বিতীয় তলা ছাড়া, এই ভবনের প্রতিটি ফ্লোরের সিঁড়িতে ছিল সিলিন্ডার। যেটা খুবই বিপজ্জনক ব্যাপার। কারণ আগুন লাগলে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়, যা ভয়ংকর, বিপজ্জনক। ভবনটা মনে হয়েছে অনেকটা আগুনের চুল্লির মতো। তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখছি ভবনটি কতো বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এই ভবনে মাত্র একটি সিঁড়ি। আমরা এখনো উদ্ধার অভিযান ও তল্লাশি করছি। তিনি বলেন, আগুনে দগ্ধ না হয়ে মানুষ ছাপোকেশনে (শ্বাস বন্ধ) বা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন বা অবচেতন হয়ে গেছেন। প্রত্যেকটি অগ্নি দুর্ঘটনার পর তদন্ত হয়। এক্ষেত্রেও তদন্ত হবে। চুলা থেকে অথবা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানী বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণের আসার পর ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ ও অবচেতন অবস্থায় ৪২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবচেতন অবস্থায় উদ্ধার ৪২ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি চিকিৎসক নিশ্চিত করবেন। পরবর্তীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন জানান, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অবচেতন অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো ৪২ জনের মধ্যে ৪ শিশু ও ২১ নারী ছিলেন। বাকিরা পুরুষ। পাশাপাশি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। আবারো ভবনটি উপর থেকে নিচে, নিচে থেকে উপরে তল্লাশি করছি, কোনায় বা সিঁড়িতে কেউ পড়ে থাকতে পারেন বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। তিনি আরও বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের ১৩ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাব, বিজিবি আনসারসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।
০১ মার্চ ২০২৪, ০২:৫১

লাইসেন্স ছাড়া চলছে বেশিরভাগ হাসপাতাল-ক্লিনিক (ভিডিও)
ফ্রি স্টাইলে চলছে দেশের বেশিরভাগ বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অনেক প্রতিষ্ঠানের নেই অনুমোদন। যাদের আছে মেয়াদ শেষে তারাও নবায়ন করেন না। মানা হয় না শর্ত। আর এসব খবর সংগ্রহ করতে গেলে উল্টো সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় মালিক পক্ষ। দিনের পর দিন অনিয়ম চললেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে দুর্ঘটনা ঘটলে।  লাইসেন্সবিহীন হিসেবে কয়েকবার খবরের শিরোনাম হয়েছে রাজধানীর শনির আখড়ার লাইফ হাসপাতাল। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে এর ডায়গনস্টিক সেন্টার। লাইসেন্স এর খবর জানতে চাইলে ক্ষুব্ধ হন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। লাইসেন্স থাকলেও ছয় বছর ধরে নবায়ন না করার অভিযোগ ডেমরার মেডিহোপ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জানতে চাইলে প্রতিবেদককে আটকে রেখে হুমকি দিতে থাকে মালিক পক্ষ। যাত্রাবাড়ীর ইউনিক হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদও ফুরিয়েছে ৬ বছর আগে। মাতুয়াইলের আনোয়ার মেডিকেল। সাইনবোর্ড ছাড়া ফ্ল্যাট বাসায় চলে অস্ত্রোপচার। নেই অভিজ্ঞ নার্স। মালিকের কাছ থেকেই নার্সের কাজ শিখেছেন বলে জানান কর্মরতরা। লাইসেন্স নিয়ে অভিযোগ আছে মোহাম্মদপুরের পিপলস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক পরিচয় শুনেই চটে যান প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার।  লাইসেন্স এর আবেদন না করেই পরীক্ষা-নিরিক্ষা শুরু করে দিয়েছে কালশীর এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এ এইচ এস ডায়ালাইসিসি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সামনে রাখা হয়েছে ট্রেড লাইসেন্স ও জনপ্রতিনিধির ছবি। বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালের অরাজক অবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার ঘাটতি আর সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, যত প্যাথলজি আছে, হাসপাতাল আছে সব অটোমেশিন। অনুমোদন ছাড়া কিছুতেই শুরু করা যাবে না, এটা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া দ্রুত তাদের লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আর কেউ যদি অসাধুভাবে কোনো ক্লিনিক হাসপাতাল খুলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। তবে জরিমানা করে কোনো লাভ হবে না, জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই এর একটা উন্নতি হতে পারে।     স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে অবৈধ ক্লিনিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের দাবি সবার।    
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়