• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি ভর্তি নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রমে এক শ্রেণিতে যেন ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা না হয় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার চাঁপা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাভারের ব্র্যাক সিডিএম-এ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ‘ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম’ স্কিম কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতও হয়তো কাঙ্ক্ষিত মানে নেই। এনটিআরসিএ শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তব্যেরও রূপান্তর জরুরি উল্লেখ করে এরপর তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার এখনই সময়। এই ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে সহযোগিতা করবে। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেট বা অর্থ-সংস্থান কোনো বড় বাধা নয়। শিক্ষায় আগের চেয়ে বরাদ্দ ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে, আগামীতে আরও বাড়ানো হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তাদের অনুরোধ করব মূল্যায়ন নিয়ে জনমনে যে-প্রশ্ন রয়েছে, শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের মনে যে উদ্বেগ রয়েছে, আমাদের সবাইকে এই নতুন ভাবনা সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করা জরুরি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং স্কিম এর স্কিম পরিচালক অধ্যাপক মাহফুজ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব উন্নয়ন) এবং এসইডিপির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো- অর্ডিনেটর মোহাম্মদ খালেদ রহীম, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম প্রমুখ।  
৮ ঘণ্টা আগে

ঈদযাত্রায় বেশি মৃত্যু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়
গত বছরের তুলনায় এবারের ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়েছে। এবারের ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে সেফটি ফাউন্ডেশন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।  সংস্থাটি জানায়, গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় ঈদযাত্রায় ২৪০টি দুর্ঘটনায় ২৮৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৫ দিনে (৪ এপ্রিল-১৮ এপ্রিল) দেশে ৩৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে দেড় হাজার জন। ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় মানব সম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে তার আর্থিক মূল্য ১ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় ঈদযাত্রায় ২৪০টি দুর্ঘটনায় ২৮৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এ হিসাবে এ বছরের ঈদুল ফিতরে দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩৯ দশমিক ২০ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ২০ দশমিক ১৯ শতাংশ। তারা জানায়, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ৬৩, শিশু ৭৪। ১৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৬ জন, যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৬৮ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪১ জন। এ সময়ে তিনটি নৌ দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। ১৪টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগের ধারাবাহিকতা নেই। এটি আমাদের জীবনে নিত্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগের ধারাবাহিকতা নেই। সবকিছু চলছে দায়সারাভাবে। অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে সড়ক পরিবহন খাতের অব্যবস্থাপনার কারণে। এ অবস্থার উন্নয়নে টেকসই সড়ক পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪২

প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া : ডব্লিউএমও
জলবায়ু জনিত কারণে গত বছর সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে এশিয়া মহাদেশে। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা-ডব্লিউএমও। সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে বন্যা ও ঝড়ে। ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে বলা হয় বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির তুলনায় এশিয়ায় গড় তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত  ডব্লিউএমওর ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালে এশিয়ায় হাইড্রো-মেটিওরোলজিক্যাল ইভেন্টের সঙ্গে যুক্ত ৭৯টি বিপর্যয়ের খবর পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে বন্যা ও ঝড় হয়েছে। যাতে মারা গেছে দুই হাজারের বেশি মানুষ। ডব্লিউএমও মহাসচিব বলেন, ২০২৩ সালে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ বছর দেখেছে এশিয়ার অনেক দেশ। সেই সঙ্গে তাদের বছর জুড়ে খরা, তাপদাহ, বন্যা ও ঝড়ের মত চরম পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এই ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা এবং তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির তুলনায় এশিয়ায় গড় তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে বলেও ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে বলা হয়। সবচেয়ে বেশি গড় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পশ্চিম সাইবেরিয়া থেকে সেন্ট্রাল এশিয়ায়। তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পূর্ব চীন থেকে জাপানেও। প্রসঙ্গত, পানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ তথা বন্যা, খরা, তাপদাহ, অতিবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, আকস্মিক বন্যা, ঝড় ও অতিরিক্ত তুষারপাতকে হাইড্রো-মেটিওরোলজিক্যাল ইভেন্ট বলে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৭

কয়েক ঘণ্টায় ৮০ বারেরও বেশি কেঁপে উঠল তাইওয়ান
তাইওয়ানে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৮০ বারের বেশি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত থেকে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোররাত পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে এই সিরিজ ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনটি ছিল ৬ দশমিক ৩ মাত্রার। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাত থেকে শুরু করে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৮০টিরও বেশি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্রটির আবহাওয়া প্রশাসন। এরমধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পন ছিল ৬ দশমিক ৩ মাত্রার। কম্পনগুলোর কয়েকটির আঘাত দেশটির রাজধানী তাইপেইতেও অনুভূত হয়েছে।   তাইওয়ানের আবহাওয়া প্রশাসন বলছে, পূর্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত হুয়ালিয়েন কাউন্টি ছিল ভূমিকম্পগুলোর কেন্দ্রস্থল। চলতি মাসের শুরুর দিকে ওই একই এলাকায় ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। হুয়ালিয়েনের দমকল বিভাগ মঙ্গলবার ভোরে জানিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি হোটেল আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ঝুঁকে পড়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কারণ, কিছুদিন আগে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এটি বন্ধই ছিল। এর আগে, ২০১৬ সালে দক্ষিণ তাইওয়ানে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তারও আগে ১৯৯৯ সালে এই দ্বীপ ভূখণ্ডে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। দু’টি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত হওয়ায় প্রকৃতিগতভাবেই তাইওয়ান অত্যন্ত ভূমিকম্প প্রবণ।
৪ ঘণ্টা আগে

বেড়েছে বিদেশি ঋণের চাপ / ৯ মাসে সুদ পরিশোধ ১০০ কোটি ডলারের বেশি
বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ আরও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। গত জুলাই-মার্চ সময়ে বিদেশি ঋণের বিপরীতে ১০৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। একই সময়ে গত অর্থবছরে সুদ বাবদ ৪৮ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ। রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি করা সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ খরচ বেড়েছে। যা পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮৯ কোটি ডলার। গত ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলারের বেশি সুদ ও আসল পরিশোধ করা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার। বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ এসেছে এমন সময়ে, যখন দেশে কয়েক মাস ধরে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট চলছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ডলার-সংকটের এ সময়ে বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারণে রিজার্ভ ও বাজেটের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার স্বল্প মেয়াদের ঋণের কারণে ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। ইতিমধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের কিস্তিও শুরু হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধও শিগগিরই শুরু হবে।  আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে অন্য মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হলে চাপ আরও বাড়বে। অন্যদিকে ঋণের ছাড় আগের তুলনায় তেমন বাড়েনি। ইআরডি সূত্র বলছে, জুলাই-মার্চ সময়ে সব মিলিয়ে এসেছে ৫৬৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৩৬ কোটি ডলার।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৮

সৌদির চেয়েও ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেশি ঢাকায়
বৈশাখের খরতাপে পুড়ছে দেশ। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশব্যাপী জারি রয়েছে হিট অ্যালার্ট। অসহনীয় গরমে অসুস্থ হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে তীব্র দাবদাহের কারণে হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোকে সারা দেশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে শনিবার। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে; ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এদিন ছিল ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই যখন অবস্থা, তখন গরমের দেশ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু সৌদিই নয়, শনিবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কোনোটিরই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল না। আবহাওয়াভিত্তিক অ্যাপ ‘অ্যাকুওয়েদার’-এর তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (২০ এপ্রিল) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি জর্ডানের রাজধানী আম্মানের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি, ইরাকের বাগদাদের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি, লেবাননের রাজধানী বৈরুতের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি, কাতারের দোহারে তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি, তুরস্কের ইস্তাম্বুলের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে এদিন। এছাড়া ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে ২১ ডিগ্রি, বাহরাইনের রাজধানী মানামার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি, ইরানের তেহরানে ২৬ ডিগ্রি, সিরিয়ার আলেপ্পোতে ২৫ ডিগ্রি, তুরস্কের আঙ্কারায় ১১ ডিগ্রি, ইরাকের বসরাতে ৪০ ডিগ্রি ও সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।  সেইসঙ্গে সৌদির জেদ্দাতে ৩৩ ডিগ্রি, কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে ৩৬ ডিগ্রি, ওমানের মাস্কাটে ২৮ ডিগ্রি, ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে ২৫ ডিগ্রি এবং ইসরায়েলের তেলআবিবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ অন্য যেকোন সময়ের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে। এপ্রিলের পাশাপাশি মে মাসও উষ্ণতম মাস হতে যাচ্ছে এবার। মে মাসে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশের আবহাওয়া বিভাগ।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৫

সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ক্ষতি ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি : বিআরটিএ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশে বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি জিডিপি লস হয়, এটাকে যদি পার্সেন্টে হিসাব করা হয় তাহলে সেটি মোট জিডিপির ১ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি। আর এটা হয় শুধু সড়ক দুর্ঘটনার কারণে। এটা শুধু আর্থিক হিসাব। একটা কর্মক্ষম ব্যক্তি যদি কোনো পরিবারের মারা যায়, তাহলে তো পুরো পরিবার ধ্বংস।  শনিবার (২০ এপ্রিল) মহাখালী বাস টার্মিনালে বিআরটিএ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন,  চালকেরা স্বেচ্ছায় একটা পিঁপড়েও মারতে চায় না। কিন্তু নানা পারিপার্শ্বিক কারণে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। শুক্রবারও সারা দেশের ৬৪টি জেলায় আমরা ওভার স্পিড নিয়ন্ত্রণে ৪০৫টি মামলায় ১০ লাখের বেশি টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ এই অভিযান প্রতিদিন চলমান থাকবে।  নানা সীমাবদ্ধতার কারণে হার্ডকপি ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে হার্ড কপির জন্য কেউ মরিয়া যেন না হয়। এটা ওয়েল সার্কুলেটেড। ই ড্রাইভিং লাইসেন্সই মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স। এটা মোবাইলে প্রদর্শন করে গাড়ি চালানো যাবে। কেউ যদি মনে করেন পুলিশ এটা মানছে না, ই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখানোর পরও পুলিশ মামলা দিচ্ছে তাহলে নির্দিষ্ট করে সেই পুলিশের নাম ফোন নম্বর লিখে আমাদের জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব। কোনো পুলিশ সদস্য যদি বিষয়টি না জানেন তাহলে আইনের লোক হিসেবে সেটা তার ব্যর্থতা। সেটার জন্য ওই পুলিশ সদস্য দায়ী থাকবেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আপনাদের প্রস্তাবে ডোপ টেস্ট ডিজিটাল করার প্রস্তাব এসেছে। ডোপ টেস্ট নিয়ে প্রথমে আমরা কিছু সমস্যা ফেস করেছিলাম। এখন এটা নেই বললেই চলে। আমরা কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে একাধিক মিটিং করে একটা অ্যাপস প্রস্তুত করেছি এটা এখনো চালু হয়নি। চালু হলে বারবার অফিসে যেতে হবে না। ফিটনেসবিহীন গাড়ি পেলেই ডাম্পিং করার হুঁশিয়ারি দিয়ে নূর মোহাম্মদ বলেন, গাড়ির রুট পারমিট অবশ্যই আপ টু ডেট থাকতে হবে। সেটার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার আমরা করব। কোনোভাবেই সড়কে রুট পারমিটবিহীন ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে নামা যাবে না। এক্ষেত্রে চালকদের যত ধরনের সহযোগিতা দরকার আমাদের জানাবেন। সর্বোচ্চ সহযোগিতা আপনাদের করব। কিন্তু কেউ যদি ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে সড়কে নামেন, তাহলে আমরা ধরতে পারলেই সোজা ডাম্পিং স্টেশনে পাঠিয়ে দেব। এখানে কিন্তু জরিমানা করা হবে না, জরিমানা করে খুব একটা লাভ হয় না। প্রয়োজনে আমরা সময় দেব। ওই সময়ের মধ্যে যদি কাগজপত্র আপ টু ডেট করে না নেয়, ওই গাড়ি আমরা সিস্টেম থেকে ডিলিট করে দেব। বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা ট্রেনিংয়ের কথা বলেছেন, পেশাদারদের ট্রেনিং ব্যবস্থা চালু আছে। আর ব্যাপক ট্রেনিংয়ের জন্য আমরা চিন্তা করেছি টার্মিনালভিত্তিক ট্রেনিং দেব৷ আর এ ধরনের অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামও আমরা ঘন ঘন করব। যাতে চালক, যাত্রী থেকে শুরু করে সকল স্টেকহোল্ডাররা আরও বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার আবুল মোমিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কালাম প্রমুখ।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৫

যে কারণে গরম আর শীত বেশি চুয়াডাঙ্গায়
শীত ও গরমের আবহাওয়ায় আলোচনায় থাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা। কারণ, শীতের সময় হাড় কাঁপানো শীত আর গরমের সময় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয় এ জেলায়। এটি এ জেলার আবহাওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গরমে হাঁসফাঁস আর শীতে কাঁপাকাঁপি। কেন এমন হয়?  তাপমাত্রার এমন তারতম্যের বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গায় শীতের সময় বেশি শীত ও গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয় বেশ কয়েকটি কারণে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে ভৌগোলিক কারণ। চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার খুব কাছাকাছি। আর এ কারণেই শীতের সময় বেশি শীত ও গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয়। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলায় গাছপালা কমে যাওয়ায় উষ্ণতা বাড়ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াও অন্যতম প্রধান কারণ। এ জেলায় অপেক্ষাকৃত কম জলাভূমি রয়েছে। জলাভূমি বেশি থাকলে শীতের সময় তা শীত ধারণ করে ঠান্ডা কমিয়ে দিতে পারে। আর গরমের সময় জলাভূমির স্বল্পতার জন্য আর্দ্রতা ধরে রাখা যায় না। তাই বেশি গরম অনুভূত হয়। জামিনুর রহমান জানান, শীত ও গ্রীষ্ম উভয়েই উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশে আসে। অর্থাৎ ভারতের কাশ্মীর, দিল্লি—এসব এলাকা থেকে বাংলাদেশের দিকে আসে। আবার পশ্চিমবঙ্গের তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়ে এ জেলায়। পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা বাড়লে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রাও বাড়ে।  এদিকে, গত ১০ বছর জেলার তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তীব্র গরমেরও রেকর্ড রয়েছে এ জেলার। গত ১০ বছর জেলার তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৫ সালের ২২ মে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ২০১৬ সালে ১১ ও ২২ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ২০১৮ সালের ১৮ জুন ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং ২০২২ সালের ২৪ ও ২৫  এপ্রিল ওই বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২৩ সালের ১৯ ও ২০ এপ্রিল ওই তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত চারবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। আজ চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৯

গরমে ঘন ঘন হিট ক্র্যাম্প, যাদের ঝুঁকি বেশি 
গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এই অবস্থায় হিট ক্র্যাম্প বা গরমের কারণে পেশিতে টান পড়তে পারে। এর বেশকিছু কারণ রয়েছে। কিছু বিশেষ লক্ষণ দেখলে হিট ক্র্যাম্প টের পাওয়া যায়।  হিট ক্র্যাম্প বা গরমের কারণে পেশিতে টান লাগার কারণ- ডিহাইড্রেশন- গরমকালে শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। আর পানির সঙ্গে সঙ্গে ইলেক্ট্রোলাইটও বেরিয়ে যেতে থাকে। পানি কমে গেলে পুষ্টি উপাদান পরিবহনে বাধা আসে। ফলে পেশিতে টান লাগে। হিট ক্র্যাম্প হয়। আর্দ্রতা বেশি থাকলে- গরমের সঙ্গে আর্দ্রতাও বেশি থাকলে এই সমস্যা হতে পারে। কারণ এই সময় ঘাম হলেও তা শুকায় না। ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমতে পারে না। যা হিট ক্র্যাম্পের কারণ। বয়স- শিশু ও বয়স্কদের এই সময় হিট ক্র্যাম্পের ঝুঁকি বেশি। কারণ তাদের শরীর সহজে বাইরের উষ্ণতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। যার ফলে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এই তাপের কারণে ক্র্যাম্প হতে পারে। হিট ক্র্যাম্পের লক্ষণ- হঠাৎ করেই প্রচণ্ড পেশিতে টান লাগে। নিজের অনিচ্ছাতেই শরীরের কোনও অঙ্গ কেঁপে উঠতে পারে। প্রচণ্ড ঘাম হতে থাকে। ত্বক দিয়ে পানির মতো ঘাম বের হয় কিন্তু শুকায় না। গায়ের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। যেসব অঙ্গে বেশি হয়-  হাত, পা, কোমর, পেট হিট ক্র্যাম্প থেকে রেহাই পেতে গেলে কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। সেগুলো হলো- কিছুটা সময় ঠান্ডা জায়গায় টান টান হয়ে শুয়ে বা বসে বিশ্রাম নিন।  যে অংশে টান লেগেছে, সেখানে পেশি মালিশ করতে হবে। ভারী জামাকাপড় পরে থাকলে খুলে ঢিলে করে দিন।  একটি ভেজা রুমাল দিয়ে মুখ, হাত যতটা হয় মুছে নিতে পারেন। খুব পরিশ্রমের কাজ করলে তার থেকে বিরত থাকুন। ঘন ঘন পানি পান করতে হবে। শরীরে যেন পানির অভাব না হয়। কিছুটা ঠান্ডা পানি খেলে উপকার পাবেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৬

ইরান নাকি ইসরায়েল, কে বেশি শক্তিশালী
দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সরাসরি নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে তেহরান। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখন ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালায় কি না, তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। যদিও ইরানে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পায়নি ইসরায়েল তারপরেও আশঙ্কা কাটছে না। এদিকে দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। তবে এরই মধ্যে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে যেকোনো সময় মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ  সামরিকভাবে দুটি দেশই শক্তিশালী। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইরান সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরায়েলের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে আছে। র‍্যাংকিংয়ে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম। নিয়মিত ও রিজার্ভ সৈন্য ইসরায়েলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সৈন্য রয়েছে ইরানের। ইরানের নিয়মিত সেনা রয়েছে ১১ লাখ ৮০ হাজার। আর ইসরায়েলের নিয়মিত সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরায়েলের রিজার্ভ সৈন্য ৪ লাখ ৬৫ হাজার। যুদ্ধ বিমান ইরানের মোট সামরিক বিমান ৫৫১টি। আর ইসরায়েলের মোট সামরিক বিমান ৬১২টি। এর মধ্যে ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। ইরানের অ্যাটাকিং বিমান ২৩টি, ইসরায়েলের ৩৯টি। ইরানের পরিবহন বিমান ৮৬টি, ইসরায়েলের ১২টি। ইরানের প্রশিক্ষণ বিমান ১০২টি আর ইসরায়েলের ১৫৫টি। হেলিকপ্টার ইরানের হেলিকপ্টার রয়েছে ১২৯টি। আর ইসরায়েলের হেলিকপ্টার ১৪৬টি। ইসরায়েলের অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৪৮টি। আর ইরানের অ্যাটক হেলিকপ্টারের ১৩টি। ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরায়েলের চাইতে এগিয়ে রয়েছে ইরান। ইসরায়েলের ট্যাংক আছে ১ হাজার ৩৭০টি আর ইরানের ১ হাজার ৯৯৬টি। ইরানের সাঁজোয়া যান আছে ৬৫ হাজার ৭৬৫টি। আর ইসরায়েলের সাঁজোয়া যান আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি। রকেট আর্টিলারি আর্টিলারি সক্ষমতায়ও এগিয়ে রয়েছে ইরান। তাদের রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি। অন্যদিকে ইসরায়েলের ১৫০টি রকেট আর্টিলারি এবং ৬৫০টি সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি রয়েছে। নৌ শক্তি নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে ইরান। ইরানের ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ। অন্যদিকে ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা ৬৭টি। পাশপাশি সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। ইরানের সাবমেরিন রয়েছে ১৯টি। আর ইসরায়েলের মাত্র ৫টি সাবমেরিন রয়েছে। পারমাণবিক শক্তি স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সবশেষ তথ্যানুযায়ী, গত বছরের শুরুতে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫১২টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল। এই তালিকায় ইরানের নাম নেই। কিন্তু গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়