• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
অস্ত্রোপচারে বের হলো পায়ুপথে ঢুকে পড়া কুঁচিয়া
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবিশ্বাস্য ও দুর্লভ এক অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে গত ২৪ মার্চ। যা এ যাবৎকালের স্বরণীয় ঘটনা হিসেবে বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর পেট থেকে অপারেশন করে জীবন্ত মাছ বের করেছেন হাসপাতালের ডাক্তাররা। ওসমানী মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মিতিঙ্গগা চা বাগানের উপজাতি বাসিন্ধা ধনমুন্ডার ছেলে সম্ররামুন্ডা (৫৫)। তিনি একজন রেজিস্ট্রার কার্ডধারী জেলে। কাদার মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে তার পায়ুপথ দিয়ে ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) প্রবেশ করে পেটে। দুই দিন পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে সেই মাছ জ্যান্ত বের করা হয়। সম্ররামুন্ডা বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ ধরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় হাওরে মাছ ধরতে গেলে হঠাৎ কোমর সমান কাদায় আটকে যান। তখন তার দুই হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া মাছের একটি পানিতে পড়ে যায় এবং আরেকটি কাদায় পড়ে। কাদাতে পড়ে যাওয়া মাছ ধরতে গিয়ে তিনি অনুভব করেন তার পায়ু পথে কি যেন ডুকছে। তবে সেটিকে গুরুত্ব দেননি তিনি। পরে সম্ররা মুন্ডা সেখান থেকে উঠে বাড়িতে আসার পর তার পেটে প্রচুর ব্যথা অনুভব হয়। তার ছেলে জানান তার বাবা সম্ররামুন্ডা হাফ প্যান্ট পরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন। কাদায় আটকে পায়ু পথে মাছ ঢুকলেও তিনি বাড়িতে এসে এ ব্যাপারে কাউকেই কিছু বলেননি। তবে এক পর্যায়ে পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হলে ২৪ মার্চ রোববারে স্থানীয় হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওসমানীর চিকিৎসকগণ তার ব্যথার কথা শুনে এক্সরের মাধ্যমে পেটের ভিতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু দেখতে পান। কর্তব্যরত ডাক্তাররা সিনিয়দের সঙ্গে আলাপ করে সম্ররা মুন্ডাকে সন্ধায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। সেখানে প্রফেসর জানে আলমের নেতৃত্বে ৪ জন চিকিৎসক ২ ঘণ্টা অপারেশন চালিয়ে পেটের ভিতর থেকে একটি জীবন্ত কুঁচিয়া (জেল ফিস) মাছ বের করেন। এ ঘটনায় ডাক্তারা বিস্মিত হন। পরে পেটের ভিতর থেকে কুচিয়া মাছ বের করার ঘটনা জনসাধারণের মধ্যে জানাজানি হলে সিলেট জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। রোববার রাতে সিওমেকের সার্জারি ইউনিট-২ প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলমের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীর পেট থেকে মাছটি বের করা হয়। অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন সার্জারি ইউনিট-২ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. রাশেদুল ইসলাম ও ডা. তৌফিক আজিজ শাকুর।  এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেলের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী  জানান, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে জ্যান্ত ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) উদ্ধার করা হয়েছে। এটা একটা অপ্রত্যাশিত ও কঠিন অপারেশন ছিল যা আমাদের টিম ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে। রোগী পুরোপুরি সুস্থ আছেন। বর্তমানে সম্ররা মুন্ডা ওসমানী মেডিকেলের ১১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান তিনি। যদি রোগী অপারেশনে আসতে দেরি করতেন তাহলে তার মারা যাওয়ার আশংকা ছিল।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:৫৫

ঘানি টেনে তেল বের করা সেই দুদু মিয়া পেলেন গরু সহায়তা
বগুড়া সারিয়াকান্দির ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ছাইহাটা গ্রামের বৃদ্ধ দুদু মিয়াকে (৬২) গরু সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে এ সহায়তা প্রদান করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান।  তিনি এ উপজেলার নারচী ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। দুদু মিয়া ও তার স্ত্রী হালিমা বেগম দীর্ঘ ৯ বছর ধরে নিজেদের কাঁধে জোয়াল নিয়ে তেলের ঘানি টেনে সরিষা থেকে তেল বের করে অনেক কষ্টে সংসার চালাতেন। এ বিষয়ে গত ১৪ মার্চ আরটিভিতে সরাসরি ভিডিও চিত্র প্রকাশ করা হয়। দুদু মিয়ার আগে ছিল গোয়ালভরা গরু এবং বসতভিটাসহ বেশ কিছু কৃষিজমি। বেশ কয়েকবছর আগে তিনি বাঙালি নদী ভাঙনের শিকার হন। সামান্য জমি কিনে ছাইহাটা গ্রামে বসবাস শুরু করেন। গত কয়েকবছর আগে তার একমাত্র নাতনির দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার জন্য তিনি তার এ ভিটেমাটিও বিক্রি করেন। বিক্রি করেন তার তেলের ঘানি টানা সবগুলো গরু। পরে তিনি নিজেই গরুর বদলে তেলের ঘানির জোয়াল কাঁধে নেন। সারাদিন যা তেল পান তা বাজার বা গ্রামে বিক্রি করে চলতো তার সংসার। এ কাজে তার স্ত্রী হালিমা বেগম তাকে সহযোগিতা করতেন। তিনিও কাঁধে জোয়াল নিয়ে তেলের ঘানি টানতেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সংবাদে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান তাকে একটি গরু কিনে দিয়েছেন এবং তেলের ঘানিটি মেরামত করতে নগদ অর্থ প্রদান করেছেন। বৃদ্ধ দুদু মিয়া বলেন, ‘গরুডা পায়া হামি খুবই খুশি হছি। আল্লাহ যেন কর্নেল সাহেবের ভালোই করেন। আজ থেকে হামার ঘার থেকে জোয়াল নামল। হামার চির ভোগান্তির অবসান হলো। আর হামার নিজের কাঁধে জোয়াল টানা নাগবি নে।’ অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান বলেন, বৃদ্ধ দুদু মিয়াকে এ সহযোগিতা প্রদান করতে পারায় আমিও খুবই খুশি। এতে তার চির কষ্টের অবসান হয়েছে। বেশ কয়েকবছর ধরেই আমি গ্রামের অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৫

তারাবির নামাজ পড়তে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন যুবক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের রেললাইনের পাশ থেকে জুয়েল (২৮) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে শীতলপুর চৌধুরী ঘাটা এলাকাসংলগ্ন রেললাইন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।  নিহত জুয়েল একই এলাকার মো. মিয়ার ছেলে।  স্বজনরা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তারাবির নামাজ পড়তে মসজিদের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হন জুয়েল। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর তিনি ফিরে না আসায় মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। আজ সকালে স্থানীয়রা রেললাইনের পাশে জুয়েলের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তাদের খবর দেন। এরপর তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে জুয়লের মরদেহ দেখতে পান।  সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক রাজীব পোদ্দার গণমাধ্যমকে জানান, রেললাইন থেকে যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করেছেন। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে তার নাক, মুখ ও কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল। রেলের সঙ্গে ধাক্কায় মাথায় আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণের মাধ্যমে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।  তিনি আরও জানান, যুবকের মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। 
১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:২২

‘পুলিশ চুপ থাকলে আ.লীগ ঘর থেকেও বের হতে পারবে না’
পুলিশ চুপ থাকলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘর থেকেও বের হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহমুদুর রহমান বলেন, শুধু ঢাকা মহানগর পুলিশ চুপচাপ এবং নিরপেক্ষ থাকলে আওয়ামী লীগ ঘর থেকেও বের হতে পারবে না। কোনো সভাও করতে পারবে না। বিরোধীদলীয় নেতাদের চোখ রাঙিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে পারবে না।  তিনি বলেন, সাত জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নিজের দলকে ভেঙে তিন ভাগে ভাগ করেছে। এক দলের মধ্যে তিনটি মার্কা। এটি নিয়ে তারা নিজদের মধ্যে খুনাখুনি পর্যন্ত করেছে।  শেখ হাসিনার উদ্দেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কোনো ভোট হয়নি। কিন্তু আপনি বক্তৃতা করে বেড়ান ’৭৫-এর পর এরকম ভোট আর হয়নি। প্রধানমন্ত্রী এ রকম মিথ্যা কথা বললে তো পুরো আওয়ামী লীগের লোকরাও মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়। মান্না বলেন, এ সরকারের প্রতি রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে কারও কোনো বিশ্বাস এবং ভরসা নেই। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহাতের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ আগুনে পুড়ে মারা যায়নি। কারণ, লাশগুলোর শরীর পোড়া ছিল না। আগুনের ধোয়ায় বেশি মানুষ মারা গেছে। রেস্টুরেন্টের নিচতলায় সব অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে। প্রতিবাদ সভায় বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:২১

বেইলি রোডের আগুন / অন্যদের বের হওয়ার পথ করে দিয়ে পুড়ে মরলেন দুই রেস্টুরেন্ট কর্মী
রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে আগুন লাগার পর অন্যদের বের হওয়ার পথ করে দিলেও ভেতরে আটকা পড়ে মারা গেছেন এক রেস্টুরেন্টের দুইজন কর্মী। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০মিনিটের দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।  ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ ৩৫ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  মোহাম্মদ আলতাফ নামে এক রেস্টুরেন্ট কর্মী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে তার দুই সহকর্মী নিহত হয়েছেন। তারা অন্যদের ভবন থেকে বের হতে সাহায্য করেছিলেন। তাদের চেষ্টায় অন্যরা বের হয়ে যেতে সমর্থ হলেও তারা নিজেরা বাঁচতে পারেননি। আলতাফ আরও বলেছেন, ‘যখন সামনে আগুন লাগে এবং কাঁচ ভেঙে যায়, আমাদের ক্যাশিয়ার এবং ওয়েটার সবাইকে বের হতে সাহায্য করে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা দুজনই মারা যায়। আমি রান্নাঘরে যাই এবং একটি জানালা ভেঙে লাফ নিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাই।’ এদিকে, বহুতল ভবনের একটি ফ্লোরে থাকা কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেখানে। রেস্টুরেন্টে আসা শতাধিক মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকে। তাদের বাঁচাও বাঁচাও চিৎকারে সেখানে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভবনে আটকা পড়ে যায় খেতে আসা মানুষরা। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ১৩টি ইউনিট। তবে, এই সময়ের মধ্যেই দগ্ধ হন বহু সংখ্যক মানুষ। আগুনে পুড়ে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।    এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দিন জানান, আগুনের সূত্রপাত কোনও চুলা অথবা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে হতে পারে। কারণ ভবনটি খুবই বিপজ্জনক ছিল। ভবনের সিঁড়িসহ সব জায়গায় গ্যাস সিলিন্ডার ছড়ানো-ছিটানো ছিল।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১১:০৩

‘পিলখানার ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করা হবে’
পিলখানার ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের কবরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ফারুক খান বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা সশস্ত্র বাহিনীসহ পুরো দেশবাসীর জন্য একটি দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনা বিচারের আওতাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, বিচারকার্যের যে নিয়ম সেটা অনুসরণ করতে হবে। যতদূর জেনেছি, এই বিচারকার্য এগিয়ে চলেছে, অনেকটা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নিহতের পরিবার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই বিচার কার্যক্রম শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, যারা এই নির্মম ঘটনার সঙ্গে জড়িত, যারা দোষী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। আর এ ধরনের ঘটনা যেন বাংলাদেশে আর কখনো ঘটতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের বার্ষিক দরবার চলাকালে হলে ঢুকে পড়েন একদল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদের একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার। এ বিদ্রোহের অবসান হয় ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর। রক্ত বয়ে যায় পিলখানায়। পিলখানার ভেতরে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৫

‘আমি মনে করেছিলাম রাসেল ম্যাচ বের করে দিবে’
চলমান বিপিএলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থান নিয়ে রংপুরের সঙ্গে লড়াই করেছে কুমিল্লা। নিজেদের দশম ম্যাচে সিলেটের কাছে ১২ রানে হেরেছে লিটন-হৃদয়রা। এই ম্যাচে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জিতাতে পারেননি লিটন। ম্যাচ শেষে হারের কারণ জানিয়েছেন কুমিল্লার অধিনায়ক। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)  ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন লিটন দাস। ম্যাচের শেষ সময়ে পিচে ছিলেন রাসেল ও লিটন। তারপরও ম্যাচ হেরে যায় তারা। এ নিয়ে লিটন বলেন, আমার বিশ্বাস ছিল রাসেল ঐ ওভারে ম্যাচ কভার করে দিবে। হয় নাই! সব কিছু কি আপনি চাইলেও সব কিছু করতে পারবেন না।  তিনি বলেন, আমি যদি আউট হয়ে যেতাম হতেও তো পারত। হারলে নেগেটিভ পজিটিভ অনেক কিছু থাকে। অধিনায়ক হিসেবে আমি ঐ সময় বিশ্বাস করেছি আমার প্লেয়ার আমাকে ম্যাচ জেতাবে। পারেনি, পরের ম্যাচ জেতাবে। উইকেট একটু স্লো ছিল । আর গ্রিপ করছিল বিশেষ করে যারা বাঁহাতি তাদের খেলা ডানহাতি ব্যাটারের জন্য কঠিন ছিল।’ এই ম্যাচের আগে অনুশীলন করতে মাথায় আঘাত পায় মোস্তাফিজ। তাই এই ম্যাচে টাইগার পেসারের অভাবে ম্যাচ হেরেছেন কিনা এমন প্রশ্ন যায় লিটনের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, হারের কারণ কেন হবে। আমাদের কী একাদশে আর কোনো খেলোয়াড় নেই? ‘তবে একজন বাঁহাতি পেসার থাকলে হলে ভালো হতো। এটা নিয়ে বলে লাভ নেই। মোস্তাফিজেরও তো খারাপ দিন গিয়েছে। এই উইকেটেই গিয়েছে। তখন কী উত্তর দিতাম। আমার কাছে মনে হয় আমরা ১২ থেকে ১৬ ওভার স্পিন বোলিং খুব জঘন্য করেছি।’ দলের বোলিং লাইন নিয়ে লিটন আরও বলেন, আমরা খারাপ বল করেছি। দুজন নতুন ব্যাটসম্যান ছিল। আমাদের ওইখানে এভাবে রান দেওয়াটা উচিত হয়নি। যেহেতু আমাদের স্পিনাররা ভালো বোলিং করেনি, ওই জায়গায় একটু পিছিয়ে গিয়েছি। আমি আগেও বললাম, এটা ১৮০ রানের উইকেট নয়। ১৬০-১৬৫ রান হলে সহজ হতো। ’
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২

ভালোবাসা দিবসে ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর, বের হলেই স্বাস্থ্যঝুঁকি
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এদিনও ভালো নেই ঢাকার বাতাস। বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী আজ ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এদিন সকাল সাড়ে সাড়ে ১০টার পর ২৭৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। একইসময়ে ২৮৭ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানার আক্রা। ২৭৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। এরপর যথাক্রমে ২৬৫ ও ২১৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষ চার-পাঁচে আছে ভারতের দিল্লি-মুম্বাই। অর্থাৎ, শহরদুটির বাতাসও আজ অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়। তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৮

‘বই বের করার জন্য দুইটি প্রকাশনী আমার পেছনেও ঘুরেছে’
পরপর দুদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলা থেকে দুয়োধ্বনি দিয়ে ভাইরাল দম্পতি তিশা-মুশতাককে বের করে দেওয়া হয়। বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না অনেকে। সেইসঙ্গে পক্ষেও মতপ্রকাশ করেছেন একাংশ। এবার মুশতাক-তিশাকে নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান। সেইসঙ্গে জানানেল, তাকেও বই বের করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। জায়েদ খান বলেন, শুধু খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও তিশা দম্পতির সমালোচনা করলেই হবে না, আপনি খোঁজ নিন তাদের বই কারা বের করেছে। তারাও দোষী। কারণ, কেউ ভাইরাল হলেই এইসব প্রকাশনী তাদের বাড়ি বাড়ি চলে যায়, নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের বই প্রকাশ করান। তিনি আরও  বলেন, আমার পেছনে দুটা প্রকাশনী লেগে ছিল। তারা আমার বই বের করতে চায়। কিন্তু আমি স্পষ্ট না করে দিয়েছি। তারা আমার বই কেন বের করবে? আমি কি লেখক? আমি অভিনেতা, অভিনয় নিয়ে আমার কাজ। আমাকে কেন বই বের করতে হবে। কেন আমি তাদের ফাঁদে পা দেব। আজ যে খন্দকার মুশতাক কিংবা তিশা দম্পতির কথা বলছেন। তাদেরকে লেখক বানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে লেখার কথা তারা ভাবেই না।  প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। তারা ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেছেন বলে জানান। তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৫

ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে যা বললেন দীঘি (ভিডিও)
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে গিয়েছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও মডেল প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। মুঠোফোনে আর্থিক লেনদেনের অ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ায় সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। তারপর গণমাধ্যমের কাছে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঘটনাটি বিস্তারিত জানান।  দীঘি বলেন, গত পরশু ঘটেছে। আমি একটি কাজের জন্য বাইরে বের হয়েছিলাম। বাসায় ড্রাইভার না থাকায় সিএনজি করে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে আমার কাছে ফোন আসে। তখন আমাকে নানাভাবে বোঝানো হয়, আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। তো আমার অ্যাকাউন্টে যেহেতু টাকা রয়েছে, তাই আমি চাইনি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হোক। দীঘি বলেন, আমি সিএনজিতে থাকায় সেভাবে কিছু বুঝতেও পারছিলাম না। তাই অ্যাকাউন্ট যাতে বন্ধ না হয়। তাদের (প্রতারক) আমার পরিচয় দেই। তখন তারা সরি বলে জানায়, অ্যাকাউন্ট সচল রাখতে আমার হেল্প লাগবে তাদের। এই সময়ের মধ্যে তারা আমার ফোনে ওটিপি পাঠায়। আমিও সেটি দিয়ে দেই তাদের। আমি শুধু মনে রেখেছিলাম যে, আমার পিনকোড না দিলেই হয়। তিনি আরও বলেন, কিছুক্ষণ পর আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তারপর হঠাৎ অ্যাকাউন্ট চেক করি। তো দেখি আমার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। অ্যাকাউন্টে দেড় লাখ টাকার বেশি ছিল। এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। এরপর বুঝতে থাকি বিষয়টি। সবার পরামর্শে আমি শেরে বাংলানগর থানায় গিয়ে জিডি করি। দীঘি বলেন, শুরু থেকে ডিবিপ্রধান হারুনুর রশিদ ভাইয়ার কথা মনে পড়ছিল। মনে হচ্ছিল, তিনি হয়তো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এ কারণে এখানে আসা। তিনি আরও বলেন, ডিবিপ্রধান আমাকে পরদিন দেখা হলে বলেন, আমার আগের রাতে পাঠানো স্ক্রিনশট দেখেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তারা। আর পরদিন রাতে আমাকে জানান, আমার টাকা রিটার্ন করতে পেরেছেন। আগামীকাল আমাকে টাকাটা হ্যান্ডওভার করতে চান। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।  প্রসঙ্গত, প্রয়াত নায়িকা দোয়েল ও অভিনেতা সুব্রতর মেয়ে প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে চিত্রনায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় পি এ কাজল পরিচালিত সিনেমা ‘১ টাকার বউ’। সেই সিনেমায় কাজল চরিত্রে অভিনয় করে ৩৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী বিভাগে পুরস্কৃত হন দীঘি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়