• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিনা খরচে ২ লাখ বেকার তরুণকে ভাতাসহ সরকারি প্রশিক্ষণ
কারিগরি বিষয়ে দুই লাখ বেকার তরুণ পাবে সরকারি প্রশিক্ষণ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে এক্সেলারেটিং অ্যান্ড স্ট্রেংদেনিং স্কিলস ফর ইকোনমিক ট্রান্সফর্মেশন (ASSET) প্রকল্পে সারা দেশ থেকে কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবে দুই লাখ বেকার। জুলাই ২০২১ থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে, যা চলমান থাকবে ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত। ক্লাসে উপস্থিতির ভিত্তিতে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ ও যাতাযাত ভাতা।  প্রকল্পের উদ্দেশ্য- জানা গেছে, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত কম্পিটেন্সি স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে ৪ মাস বা ৩৬০ ঘণ্টা মেয়াদি সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে মোট দুই লাখ দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে দেশে ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে টেকনিক্যাল বা কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন জনবলের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। দেশের কর্মক্ষম তরুণ-তরুণী, প্রতিবন্ধী, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিতদের কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা। কারিগরি সেক্টরের বিভিন্ন শাখায় দক্ষতার সঙ্গে কাজে যুক্ত হতে পারে। প্রশিক্ষণের বিষয়, যোগ্যতা ও আবেদন- সারা দেশের বিভাগ ও জেলাভিত্তিক মোট ৮৬টি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি), বিটাক এবং নেকটার-এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এনএসডিএ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদিত আইসিটি, নির্মাণ, ইলেট্রিক্যাল, গার্মেন্টস, ড্রাইভিংসহ কারিগরি ট্রেডে বা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে আইটিবিষয়ক কোর্সগুলোতে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে এসএসসি বা সমমান পাস। অন্যান্য ট্রেড কোর্সভেদে ন্যূনতম যোগ্যতা দরকার হবে অষ্টম বা সমমান পাস। সব ট্রেডের ক্ষেত্রেই বয়স থাকতে হবে ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। আবেদন ফরম পূরণ করে পাসপোর্ট আকারের দুই কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদের কপিসহ আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।    প্রার্থী নির্বাচন ও প্রশিক্ষণের ধরন- ডিসেম্বর, এপ্রিল ও আগস্টে ভর্তির জন্য আবেদন আহবান করা হয়। আবেদন যাচাই-বাছাই করে লিখিত পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হতে পারে। বেকার, আদিবাসী, নারী, প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী কোর্সে ভর্তিতে অগ্রাধিকার পাবে। প্রশিক্ষণের যাবতীয় উপকরণ দেবে টিটিসি কর্তৃপক্ষ। থিওরিক্যাল এবং প্র্যাকটিক্যাল এই দুই পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন দুপুর ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত মোট চার ঘণ্টা ক্লাস হবে। প্রশিক্ষকরা ক্লাসের বুঝিয়ে দেওয়া লেসনগুলো ক্লাসেই মূল্যায়ন করবেন। প্রতি ব্যাচে ভর্তির সুযোগ পাবে ২০ জন। দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ ভাতা ও সনদ- প্রশিক্ষণে ভর্তি হওয়া একজন প্রশিক্ষণার্থী সম্পূর্ণ বিনা খরচে প্রশিক্ষণ পাবেন। বরং কোর্স ও লেভেল ভেদে নিয়মিত উপস্থিতি সাপেক্ষে সাধারণ প্রশিক্ষণার্থীকে প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা এবং নারী, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণার্থীকে প্রতি মাসে ২০০০ টাকা হারে প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিতির ভিত্তিতে দৈনিক ৮০ টাকা হারে যাতায়াত ভাতা পাবেন। প্রশিক্ষণার্থীদের উপস্থিতি (Facial Recognition Camera এবং Biometric) পদ্ধতির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। সম্মানী ও প্রশিক্ষণ ভাতা কোর্স শেষে ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। কোর্স শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মূল্যায়নের জন্য নেওয়া হবে পরীক্ষা। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দেওয়া হবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সনদ ও দক্ষদের চাকরি পাওয়ার সহায়তা করা হবে। সনদপ্রাপ্তদের সরকারি বিএমইটিতে নামও নিবন্ধিত হবে। প্রশিক্ষণের খোঁজখবর জানবেন যেখান থেকে- প্রশিক্ষণের বিষয়, যোগ্যতা ও ভর্তির দরকারি তথ্য পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জেলার টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি), বিটাক এবং নেকটার কেন্দ্র থেকে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও ভর্তি শাখা থেকে জানা যাবে সব তথ্য। অ্যাসেট প্রকল্প, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, এফ-৪/বি আগারগাঁও, প্রশাসনিক এলাকা, ঢাকা। ওয়েবসাইট : www.asset-dte.gov.bd কেন্দ্র তালিকা : ঢাকা বিভাগ- বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, বাংলাদেশ-জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), তেজগাঁও, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক)-এর টুল অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, দোহার, শরীয়তপুর, মাদারীপুরসহ মোট ২০টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও টিটিসি। চট্টগ্রাম বিভাগ- বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), চট্টগ্রাম এবং চাঁদপুরসহ ব্রাক্ষণবাড়িয়া, নোয়াখালী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙামাটি, লক্ষ্মীপুর মোট ১৩টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও টিটিসি। রাজশাহী বিভাগ- রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোরসহ মোট ৯টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, টিটিসি, জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নেকটার), বগুড়া এবং বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) বগুড়াসহ মোট ১১টি কেন্দ্র। খুলনা বিভাগ- বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা, মেহেরপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও টিটিসি এবং বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), বগুড়াসহ মোট ১২টি কেন্দ্র। বরিশাল বিভাগ- পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠিসহ মোট ছয়টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও টিটিসি। সিলেট বিভাগ- টিটিসি হবিগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজারসহ মোট পাঁচটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও টিটিসি। ময়মনসিংহ বিভাগ- ময়মনসিংহ, গৌরীপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর এবং জামালপুরসহ মোট ছয়টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও টিটিসি। রংপুর বিভাগ- কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধাসহ মোট ১৩টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও টিটিসি।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৮

বেকার থেকে তরুণ ফ্রিল্যান্সার মুশফিক 
তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ১৯ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার চেষ্টায় তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মুশফিক আর. রায়হান। প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়। এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী মুশফিক আর. রায়হান। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত। বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন মুশফিক আর. রায়হান। তিনি বলেন, দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। তিনি বলেন, এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।  
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়