• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি / শর্টসার্কিটের আগুন ছড়ায় জমে থাকা গ্যাসে
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আলোচিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত সম্পন্ন করেছে ফায়ার সার্ভিসের গঠিত কমিটি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে প্রতিবেদন জমাও দিয়েছে তারা।   ফায়ার সার্ভিসের ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভবনের নিচ তলায় থাকা ‘চা চুমুক’ কফি শপের ইলেকট্রিক কেটলির শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এর মাত্র তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মূলত ভবনে লিকেজ থেকে সৃষ্ট গ্যাস জমে থাকার কারণেই আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, তদন্তে পাওয়া গেছে যে হোটেলে যেখানে বসে মানুষ খাওয়া দাওয়া করতো, সেখানেও রাখা ছিল সিলিন্ডার। ভবনের একটিমাত্র সিঁড়ি, সেটাও স্টোর রুম বানিয়ে রাখা হয়েছিল। সিলিন্ডারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভর্তি করে রাখা ছিল সেখানে। এ ছাড়া ভবনের রুফটপও উন্মুক্ত ছিল না। মসজিদের পাশাপাশি অফিসসহ আরও কিছু মালামাল ছিল সেখানে। তদন্তে আরও উঠে আসে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) যে ধরনের নকশার অনুমোদন দিয়েছিল, সেটা পুরোটাই পাল্টে ওই ভবন নির্মাণ করেন মালিকরা। ২০০৩ এর আইন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস থেকে অগ্নিনিরাপত্তার কোনো ট্রেনিংই তারা নেননি। মোটকথা, যতগুলো অনিয়ম করা যায় সবগুলো অনিয়ম ওই ভবনে ছিল। ভেন্টিলেশন পর্যন্ত ছিল না ভবনটিতে।   গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৪৬ জন। এ ছাড়া অন্তত ২২ জন গুরুতর আহত হন। ভবনের নিচতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অনেক রেস্তোরাঁ, কফি শপ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিশেষ করে রেস্তোরাঁর সংখ্যাই ছিল বেশি। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হতো ভোজনপ্রেমীদের। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না ভবনটিতে।  ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, এ ধরনের ভবনে কমপক্ষে ৫০ হাজার গ্যালন পানি ধারণক্ষমতার ওয়াটার রিজার্ভার না থাকলে আমরা ছাড়পত্র দিই না। কিন্তু সেখানে পানির ক্যাপাসিটি মাত্র ১০ হাজার গ্যালন। পানি ছিল আরও কম। ভবিষ্যতে এ ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ২০০৩ এবং রাজউক থেকে অনুমোদন করা নকশা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি।  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৯

অতি অগ্নিঝুঁকিতে রাজধানীর যেসব রেস্তোরাঁ ও শপিংমল
রাজধানীর ৮৪টি রেস্তোরাঁ ও শপিংমল অতি অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ২৭টি রয়েছে খিলগাঁও এলাকায়। সম্প্রতি বেইলিরোডে রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর পাঁচ শতাধিক ভবন ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে এসব স্তোরাঁ ও শপিংমল চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। জানা গেছে, ৮৪টি ভবন ও প্রতিষ্ঠানকে অগ্নিনিরাপত্তায় অতিঝুঁকিপূর্ণ, ৪০৮টি ভবন ও প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ২টি ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ৮টি ভবন-প্রতিষ্ঠানে সতর্কতা বার্তা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব ভবনে যেকোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসব ভবনের মধ্যে খিলগাঁয়ে ২৭টি, মতিঝিল, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, বেইলিরোড, ওয়ারী, সদরঘাট, লালবাগ এলাকায় ২২টি, ধানমন্ডি মোহাম্মাদপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও ও মিরপুর এলাকায় ১৫টি ভবন ও প্রতিষ্ঠানকে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে। অন্যদিকে গুলশান, বনানী ও উত্তরাতে ২০টি ভবন ও প্রতিষ্ঠান অতিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত হয়েছে। গত ৫ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত ৫১৬টি শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, ভবন ও প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনিরাপত্তা পরিদর্শন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে জোন-১ এর মতিঝিল, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর ও বেইলিরোড এলাকায় ৬৩টি ভবন পরির্দশন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১০টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৩টি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া ওয়ারী, লালবাগ ও সদরঘাট এলাকায় ৭৭টি প্রতিষ্ঠান ও ভবন পরির্দশন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১২টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৬২টি এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৩টি ভবন চিহ্নিত করা হয়। জোন-২ এর আওতায় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেইট, কারওয়ানবাজার ও তেজগাঁও এলাকায় মোট ৯৯টি ভবন পরিদর্শন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ২টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৯৬টি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে একটি ভবন চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া শুধু মিরপুর জোনে ৭৪ প্রতিষ্ঠান ও ভবন পরিদর্শন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১৩টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৫৫টি এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৬টি চিহ্নিত করা হয়। জোন-৩ এর আওতায় গুলশান ও বনানী এলাকায় ৫৩টি ভবন ও প্রতিষ্ঠান পরিদশন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৯টি, ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৪১টি এবং ৩টি কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া উওরা এলাকায় ৭৬টি ভবন ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১১টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৫৫টি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১০টিকে চিহ্নিত করা হয়। জোন-৫ এর আওতায় খিলগাঁওয়ে ৭৪টি ভবন ও প্রতিষ্ঠান পরির্দশন করে ২৭টিকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৪৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এখানে কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে কোনো ভবন বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা হয়নি। এছাড়া জোন-১ এর এলাকা সমূহে পরিদর্শন শেষে ৫টি ভবন ও প্রতিষ্ঠান, জোন-২ এ দুইটি, জোন-৩ এ দুইটি এবং জোন-৫ এ একটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ব্যানার টানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া উইং কর্মকতা শাহজাহান শিকদার বলেন, রাজধানীজুড়ে অভিযান ও পরিদর্শন সবই চলমান রয়েছে। সরাসরি কোনো প্রতিষ্ঠান বা ভবন মালিককে শাস্তি দিতে পারি না। আমরা তালিকা প্রস্তুত ও স্পেশাল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অর্থদণ্ড ও আদালতের মাধ্যমে মামলা করতে পারি।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৪

বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নাটক
রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কথা মনে আছে তো? থাকারই কথা। যে ঘটনা পুড়িয়ে মেরেছে প্রায় ৪৬টি তাজা প্রাণ, তা কি ভোলা যায়! ২৯ ফেব্রুয়ারির সেই ভয়াবহ ঘটনা এবার উঠতে চলেছে টেলিভিশনের পর্দায়। অর্থাৎ, ঘটনাটি নিয়ে নাটক নির্মিত হয়েছে। নাম ‘একটি খোলা চিঠি’। ঈদের জন্য নাটকটি রচনা ও নির্মাণ করেছেন গুণী নির্মাতা রেজানুর রহমান। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশনা হাবিব ভাবনা। তাকে সাংবাদিক চরিত্রে দেখা হবে। তবে সেটা বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত নারী সাংবাদিক অভিশ্রতি শাস্ত্রীর চরিত্র কি না সেটি নিশ্চিত করেননি তিনি। ভাবনা গণমাধ্যমকে বলেন, এখনই এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। নাটকটি দেখলেই বুঝতে পারবেন। তবে ওই্ অগ্নিকাণ্ডে তো অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। স্বজন হারিয়েছেন। তাদের বেদনাই তুলে ধরা হয়েছে। এরইমধ্যে নাটকটির শুটিং শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক রেজানুর রহমান। নাটকটির গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের ছোট্ট একটি পরিবার। মধ্যবিত্ত এই পরিবারের প্রধান ব্যক্তি একজন স্কুল শিক্ষক। নীতিবান মানুষ। তার বড় মেয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের স্থানীয় প্রতিনিধি। ঢাকায় বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক মানুষের অসহায় মৃত্যু স্কুল শিক্ষক আলাল উদ্দিনকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। তার মতে এটি অগ্নিকাণ্ড নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তিনি আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। এমনই এক অস্থির মুহূর্তে এলাকার চেয়ারম্যান আলাল মাস্টারকে তলব করেন। চেয়ারম্যান একজন সংবাদকর্মীকে খুন করেছেন। এই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী আলাল মাস্টার। বেইলি রোডের ঘটনায় আলাল মাস্টার মামলা করবেন বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজে যে খুন করেছেন সেই মামলার সাক্ষী না হতে আলাল মাস্টারকে হুমকি দেন চেয়ারম্যান। কিন্তু আলাল মাস্টার অনঢ়। সত্যের পক্ষেই থাকবেন তিনি। চেয়ারম্যান এবার আলাল মাস্টারের মেয়ে সংবাদকর্মী গুলনাহারকে অপহরণ করেন। এভাবেই এগিয়ে যাবে নাটকটির গল্প। ভাবনা ছাড়াও নাটকটিতে অভিনয় করেছেন লুৎফর রহমান জর্জ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রওনক বিশাখা শ্যামলী, ফারুক হোসেন, মিন্টু সরদার, সুকর্ন হাসান, মনি কানচনসহ বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের শতাধিক নাট্যকর্মী। নাটকটি ঈদের আগের দিন সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিট একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে।
২০ মার্চ ২০২৪, ০০:৩৫

বেইলি রোডের ঘটনার পর গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা চান হাইকোর্ট
বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যুর পর রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে মোট কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আইজিপির কাছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করা বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জারিকৃত রুলের জবাব দিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, শ্রম ও কর্ম সংস্থান সচিব , আইন সচিব, আইজিপিকে চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে। এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) হোটেল ও রেস্তোরাঁয় হয়রানিমূলক অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মালিকরা। রিটের পর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হোটেল ও রেস্তোরাঁয় হয়রানিমূলক এলোমেলো অভিযান না করে আইন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আইন অনুযায়ী যারা রেস্তোরাঁ পরিচালনা করছেন তাদের হয়রানি করা কেন অবৈধ নয় তা-ও জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।  উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জন মারা যান। গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ওই ভবনের একটি তলা ছাড়া বাকি সব কটি তলায় রেস্তোরাঁ ছিল। 
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:২২

১১ দিন পর মেয়ের মরদেহ পেয়ে যা বললেন বৃষ্টির বাবা 
রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ ১১ দিন পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহ বৃষ্টির বাবা শাহাবুল আলম ওরফে সবুজ খানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মেয়ের লাশ বুঝে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহাবুল আলম সবুজ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে বৃষ্টি খাতুনের বাবা বলেন, আমি বাবা হয়ে ১১টা দিন মেয়ের লাশ রেখে কীভাবে ভাত খাই, কীভাবে ঘুমাই। আমার চোখে তো ঘুম আসে না। আল্লাহর কাছে লাখো লাখো শুকরিয়া যে ১১ দিন পার হলেও নিজের মেয়ের মরদেহ বুঝে পেলাম। প্রশাসন ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমার সন্তান আমার কাছে ফেরত দিয়েছে। আমি সন্তুষ্ট। কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরও বলেন, মেয়ের জন্য তার মা কান্না করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমার ছোট মেয়েরাও কান্না করছে। আমি যে ভোগান্তিতে পড়েছি, এমন ভোগান্তিতে কেউ যেন না পড়ে। আল্লাহ পাক আমাকে হেদায়েত দিয়েছেন, আমি আমার মেয়েকে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে ফিরে পেয়েছি। এজন্য আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ যেন আমার মেয়েকে জান্নাতবাসী করে, বেইলি রোডে যারা মারা গেছে, সবাইকে যেন আল্লাহ জান্নাতবাসী করে। বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহাঙ্গির হোসেন মাতুব্বর বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি আগুনের ঘটনার পরদিন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ শনাক্ত করেছিলেন তার বাবা সবুজ খান। তবে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা দাবি করেন, মৃতের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। মেয়েটি নিয়মিত মন্দিরে আসতেন। উৎপল সাহা রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এরপর বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মর্গ থেকে মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তিনি আরও বলেন, গতরাতে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা আবারও লিখিতভাবে আবেদন করেন, আমার কোনো দাবি নেই, ভুল বোঝার কারণে হয়েছে। মরদেহ প্রকৃত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হোক। বৃষ্টি খাতুনের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকশা থানার বনগ্রামে। সেখানে ব্র্যাক স্কুল থেকে পাস করে হাইস্কুলে ভর্তি হন তিনি। গ্রাম থেকে এসএসসি ও কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকায় ইডেন কলেজে ভর্তি হন বৃষ্টি।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৫

বেইলি রোড ট্রাজেডি / দায়ীদের খুঁজছে রাজউক 
রাজধানীর বেইলি রোডে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে অগ্নিকান্ডের শিকার গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন নিয়ে নির্মিত হলেও এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনিয়ম ঘটেছে বলে উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে। এখন এসব অনিয়মের জন্য দায়ী যারা, তাদের খোঁজ করছে রাজউকের তদন্ত কমিটি। রাজউক বলছে, নকশা অনুমোদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট (ব্যবহার সনদ) ছাড়া বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা পর্যন্ত কোন সংস্থার কোন কোন কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলা ছিল, সেটি নিরূপণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনে ব্যবসা পরিচালনার অনুমোদন–সংক্রান্ত নথিগুলো সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে চাওয়া হয়েছে। ওই নথিগুলো পেলে অবহেলা ও গাফিলতিতে জড়িতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের এই ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকার রমনা থানায় ২ মার্চ অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার ভবনটির ব্যবস্থাপক মুন্সি হামিমুল আলমসহ চারজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলাটি ইতোমধ্যে থানা-পুলিশ থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেন, সিআইডি আগুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের অগ্রগতি পরে জানানো হবে।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অকুপেন্সি সার্টিফিকেট ছাড়াই ভবনটিকে ফায়ার লাইসেন্স দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রেস্তোরাঁসহ অন্য দোকানগুলোকে ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছে। ঘটনা তদন্তে রাজউকের পাশাপাশি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংস্থাটির পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।  তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ আবদুল আহাদের কাছে। তিনি বলেন, রাজউকের অনুমোদন নিয়ে ভবন তৈরি করা হলেও ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি। তদন্ত চলছে। এখানে কার কী দায়দায়িত্ব ছিল, সেটি নিরূপণের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ অভিমত নেওয়া হবে। অবহেলা ও গাফিলতিতে জড়িতদের চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১১:২৫

কফির দোকান থেকে বেইলি রোডের আগুনের সূত্রপাত
রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আগুনের সূত্রপাতের তথ্য পেয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ‘চুমুক’ নামের চা-কফির দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দুই দোকান মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন। আগুন লাগার পর নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় দোকানের কর্মীরা।  ফায়ার সার্ভিসের সূত্রগুলোও বলছে একই কথা। তারা জানায়, চুমুক নামের দোকানটির চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। তদন্ত কমিটি এখন পর্যন্ত ১০ জনের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। আগামী সপ্তাহে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, সিআইডির কয়েকটি টিম এখন পর্যন্ত ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে। গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলেই আসল কারণ জানা যাবে। এর আগে, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। এ ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে গত ১ মার্চ রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান, ওই ভবনে ‘চা চুমুক’ দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং ভবন মালিকের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল। আসামিরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪২

বেইলি রোডে আগুনের সূত্রপাতের ধারণা পেয়েছে সিআইডি
রাজধানীর বেইলি রোড ট্রাজেডির ঘটনায় ইলেকট্রিক কেতলি ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। তিনি বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ফরেনসিক টিম। সেগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে স্পষ্ট হবে আগুনের নেপথ্যে কী ছিল কারণ। তবে অগ্নিকাণ্ডটি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস যখন সব কাজ শেষ করে আগুন নিভিয়েছে তখন সিআইডির একাধিক টিম সেখানে কাজ করেছে। সেখানে সিআইডির ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। সিআইডি প্রধান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যালের আলামতও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে সেখানে বিস্ফোরকজাতীয় কিছু ছিল কি না। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হবে আগুনের কারণ। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১২ জনকে। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সুরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডে আগুনের কারণ অনুসন্ধান করবে এবং কারা এর জন্য দায়ী, তা খুঁজে বের করবে। এ ছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে, তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে এ কমিটি।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৭

এবার সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁ সিলগালা
রাজধানীর বেইলি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুলতান’স ডাইন রেস্তোরাঁ সিলগালা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রেস্তোরাঁটি সিলগালা করেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন। সুলতান’স ডাইনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, তাদের সব কাগজপত্র রয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আপাতত রেস্তোরাঁটি সিলগালা করা হয়েছে। অন্যদিকে কাগজপত্র দেখাতে পারলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজউকের কর্মকর্তারা। এর আগে, এদিন সকালে বেইলি রোডের বন্ধ থাকা আরেক রেস্টুরেন্ট ‘নবাবী ভোজ’ সিলগালা করে দেওয়া হয়। অভিযানের শুরুতে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশে জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমলে নিয়ে যথাযথভাবে জরুরিভিত্তিতে সঠিকভাবে সংস্কারের কাজ চালু থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকিবে। এজন্য সবার নিকট আমরা দুঃখিত। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন বলেন, রাজউক নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। শুধু রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে না। যেখানে সমস্যা বা কোনো ব্যাত্যয় পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। ভয়াবহ এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অভিযানে নামে রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থা।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৯

বেইলি রোডের নবাবী ভোজ সিলগালা
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বেইলি রোডের নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁয় ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে রেস্তোরাঁটি সিলগালা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।  জানা গেছে, এদিন অভিযানের শুরুতে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশে জানায়, গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমলে নিয়ে যথাযথভাবে জরুরিভিত্তিতে সঠিকভাবে সংস্কারের কাজ চালু থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকিবে। এজন্য সবার নিকট আমরা দুঃখিত। প্রসঙ্গত, রাজধানীর বেইলি রোডের ওই ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। ওই ভবনের প্রায় প্রতিটি ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট ছিল। এতে বিশেষজ্ঞরা রাজধানীর বিভিন্ন ভবনে রেস্তোরাঁ তৈরি নিয়ে উদ্বেগ জানান। তারপরই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।  এদিকে সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে বেশকিছু রেস্তোরাঁ সিলগালা, ১৬ জনকে আটক এবং ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়