• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
আইনের জালেই অসাধু ব্যবসায়ীদের আটকাতে হবে
বাজারে দ্রব্যের দাম অস্বাভাবাবিক ভাবে বৃদ্ধি বা বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হলে ভোক্তাদের মনে প্রশ্ন জাগে দাম নিয়ন্ত্রণহীন বাজারে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে কেউ কি কাজ করছেন? ছুটিতে বাংলাদেশে ছিলাম, বাজার সদাই করতে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি বিষয়টি টের পেয়েছি। উপলব্ধি করেছি, দেশের মানুষ কেন কথায় কথায় বলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস। এ ব্যাপারে লন্ডনে ফিরে একটু লিখবো লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। অর্থনীতিতে বাজার দর, চাহিদা যোগান, অস্থিতিশীল বাজার নিয়ে অর্থনীতি বিশেজ্ঞরা লিখেছেন। আমরা ভোক্তারা নিত্যপ্রয়োনীয় দ্রব্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে থাকলে খুশি, অন্তত খেয়ে বাঁচি মরি। অনার্স ডিগ্রিতে অর্থনীতি পড়েছি, অর্থনীতি সম্পর্কে অর্জিত সম্যক জ্ঞান আমাকে তাড়া করেছে প্রশ্ন করতে, কেন আমাদের বাজার দর নিয়ন্ত্রণহীন বা কথিত নাভিশ্বাস। অর্থনীতি হলো, সামাজিক বিজ্ঞান যা পণ্য ও পরিষেবার উৎপাদন বণ্টন ব্যবহার অর্থনীতি বা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার তত্ত্ব ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে। বা যে বিজ্ঞান সম্পদের উৎপাদন, বণ্টন ব্যবহার শ্রম, অর্থ, কর ইত্যাদি সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করে। বা অর্থনৈতিক বিবেচনায়, যা পণ্য এবং পরিষেবা তৈরি, বিতরণ, বিক্রয় এবং ক্রয় নিয়ে কাজ করে। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামে আগুন। গরিব আছে সংকটে, মধ্যবিত্তরা দিশেহারা। দেশে ভোক্তা অধিকার কেমন কাজ করছে তা জানার চেষ্টা করেছি। ২০২০ সালের একটি পরিসংখ্যান দৃষ্টিকটু হয়েছে, যা পড়ে মনে হয়েছে কেন আমাদের বাজার নিয়ন্ত্রিণহীন। দেশে ভোক্তার অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। দেশের প্রায় ১৬ কোটি ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠানটির জনবল রয়েছে প্রায় ২০৮ জন। এর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ১০৮ জন। শুধু রাজধানীর ২ কোটি ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে মাত্র ৫ জন কর্মকর্তা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনবল না থাকায় প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কোনো অভিযান পরিচালনার পর ফলোআপ করা সম্ভব হয় না। এতে প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে ভোক্তা অধিকার। যার সুবিধা নিচ্ছে মুনাফাভোগী একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।  ২০২০ সালের বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে উৎসর্গ করা হয়েছিল, যার প্রতিপাদ্য- ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, সুরক্ষিত ভোক্তা অধিকার।’ এমন একটি বিশেষ দিবসকে জাতির জনকের নামে উৎসর্গ করার পাশাপাশি এই দিবসের সংশ্লিষ্টতা মানুষের জীবনকে যাতে অতিষ্ট করে না তুলে তার দায় দায়িত্বশীদের। উল্লেখিত রেফারেন্স পরিসংখ্যানটি ২০০০ সালের বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস থেকে সংগ্রহীত। জানি না জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ যাবত তাদের জনবল বৃদ্ধি করেছে কি না? আমার বিশ্বাস জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লোকবল সংযোজনসহ উত্থাপিত সমস্যার আশু সমাধান হয়েছে। অর্থনীতির ভাষায় চাহিদা এবং যোগান বলতে কোন একটি পণ্যের বা সেবার ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে বিদ্যমান বাজার সম্পর্ক বোঝায়। বাজারে কোন পণ্যের দাম এবং সরবরাহ কী-রূপ হবে তা চাহিদা ও যোগানের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক দ্বারাই নির্ধারিত হয়। সভ্য সমাজে কোন বিশেষ উপলক্ষ বা উৎসবকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমতে দেখা যায় বা স্থিতিশীল থাকে। ব্যতিক্রম শুধু আমাদের বাংলাদেশে। পবিত্র রমজান বা অন্য কোনো উৎসব উপলক্ষ সামনে রেখে আমাদের বাজারে দ্রব্যমূল্যের উল্লম্ফন শুরু হয়। আমাদের দাম বাড়ানোর কারণ অজুহাত মেলা। যুক্তরাজ্যে মাহে রমজানকে সামনে রেখে সুপার মার্কেটগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যে, যেমন- চাল, ডাল, তেল, আটা, ময়দা, সেমাই, ঘি, এসব পণ্য দ্রব্যগুলোতে বিশেষ মূল্যছাড়ের (discount) ব্যবস্থা থাকে। যেমন ধরেন, মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে ২০ কেজি ওজনের এক বস্তা বাসমতি চালের দাম ২০ পাউন্ড থেকে ৫০% মূল্যছাড় দিয়ে ১০ পাউন্ড রাখা হয়। আমাদের বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা উদ্বেগজনক। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, অসাধু ব্যবসায়ীদের তৎপরতায় ভোক্তারা প্রতিনিয়ত কেবল ঠকছেনই না; একইসঙ্গে তাদের সিন্ডিকেটবাজির কারণে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। দ্রব্যের দাম ক্রমাগত কেন বাড়ছে। এতে সরকারের ভূমিকা কি? আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার প্রভাব কতটুকু আর ব্যবসায়ী বা মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজি কতটুকু। দাম বাড়ার ফলে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এসব বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা গবেষণা হয়েছে কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। যে কোনো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করার দায়িত্ব সরকারের। আমাদের দেশে বাজার ব্যবস্থায় সর্বত্রই একধরনের সিন্ডিকেটের প্রভাব লক্ষণীয়। সিন্ডিকেট চক্র কিছুদিন পর পর যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তোলে। মজুত, সিন্ডিকেট বা কোনো অনৈতিক উপায়ে কেউ যাতে বাজারকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরকারের যথাযথ মন্ত্রণালয়কে নিতে হয়। দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের দাবিকে প্রাধান্য না দিয়ে সরকারকে সর্বোচ্চ যৌক্তিক অবস্থান নিতে হয়। দাম বাড়ানোর কারণগুলো যথাযথভাবে ভোক্তাদের অবহিত করতে হবে। যেসব ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে সময়ক্ষণে অনৈতিকতার কৌশলে বাজারকে অস্থিতিশীল করেন আইন সংশোধন করে কঠোর তাদের শাস্তির বিধান করতে হবে। পণ্যদ্রব্যের দাম নিজ থেকে বাড়ে না, বাড়ানো হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও আমাদের দেশে পণ্যের দাম অপরিবর্তিত। এমনকি দেশে বাম্পার ফলন হলেও পণ্যদ্রব্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে থাকে না। দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আমদানিকারক, ব্যবসায়ী, আড়তদার, চাঁদাবাজ, আন্তর্জাতিক বাজারের ভূমিকা থাকলেও সরকারি নীতি ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ভূমিকা উপেক্ষণীয়। সরকার এ ব্যাপারে কার্যকর কিছু করছে না। তাই সাধারন ভোক্তারা মনে করছি আমাদের বাজার নিমন্ত্রণ কাঠামো দুর্বল। সৎপথে থেকে ব্যবসা বাণিজ্য করে বড় মুনাফা সম্ভব নয় ইহা আমাদের সমাজে ব্যবসায়ীদের একটি ভ্রান্ত ধারণা। এসব ভ্রান্ত ধারণার জন্য আমাদের ব্যবসায়ীদের ইমেজও খুব একটা ইতিবাচক নয়। চোরাপথে পণ্যদ্রবই ক্রয়, শ্রমিক-কর্মচারীদের ঠকা, ভেজাল নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ ,ওজনে কম , মজুতদারি, দাম বাড়িয়ে ও ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে তাড়াতাড়ি বড়লোক হবেন এমন ধারণা শুরু থেকেই তাঁরা পোষণ করেন যা তাদেরকে অনৈতিকতার পথে প্ররোচিত করে। দেশে মানুষের আয় যে হারে বেড়েছে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। কারণ একটাই, তা হচ্ছে বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এই দাম বেড়ে যাওয়া নিয়েও আছে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য। সরকার দোষারোপ করেন ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীরা বলেন, উৎপাদন কম হওয়া,পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, চাঁদাবাজি, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণেই মূল্যবৃদ্ধির কারণ। অর্থনীতির সংজ্ঞা অনুযায়ী, বাজারে চাহিদা ও জোগানের ওপর দব্যমূল্য নির্ভর করে; কিন্তু এ সংজ্ঞা বাংলাদেশে ফেল করেছে। বাংলাদেশে অর্থনীতির কোন সংজ্ঞাই কাজ করছে না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের জন্য সীমিত পরিসরে শুধু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও জরিমানা করা হচ্ছে, যা পর্যাপ্ত না। আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক জনবল বাড়িয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে শক্তিশালী করতে হবে। নকল ও মজুদদারদের বিরুদ্ধে প্রান্তিক পর্যায়ে তদারকি করতে হবে। শহরে নিবিড় মনিটরিংয়ের কারণে ভেজালের আগ্রাসন অসাধু ব্যবসায়ীরা গ্রামগঞ্জে নিয়ে গেছে। এজন্য উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অফিস প্রয়োজন, যাতে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা যায়। তা না হলে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের প্রতারিত করেই যাবে। ব্যবসা করে ব্যবসায়ীরা মুনাফা করবে এটাই স্বাভাবিক। অর্থনীতি বলে, পণ্য দ্রব্যের দাম বাড়লে মানুষের চাহিদা কমে ,আর দাম কমলে চাহিদা বাড়ে। তবে এই সূত্র একটা বিশেষ সময়ে বাংলাদেশের অকার্যকর হয়ে পড়ে। যেমন ধরেন, রামাদান মাস এই সময়টাতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন যারা সময়ের সুযোগ নেয়। পাইকারি খুচরা আড়তদার যে সকল ব্যবসায়ী আছে তারা প্রায় সকলেরই লম্বা দাড়ি, দাড়ির মধ্যে আবার  কালার, নামাজ পড়তে পড়তে অনেকেরই কপালে কালো দাগ, তবে তাদের নীতি নৈতিকতাবোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে! ১৭ কোটি লোকের বসবাস এই দেশে। মন্ত্রী মহোদয় বাজারে গিয়ে বাজার দর মনিটরিং করবেন এটা কেমন করে সম্ভব বলুনতো? যুগোপযোগী ও যথাযথ আইন প্রয়োগ করুন, যে আইন আছে সেটাকে আমেন্ডমেন্ট করার প্রয়োজন হলে আমেন্ডমেন্ট করুন। আইনের জালেই অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে আটকাতে হবে। বাজারদর মনিটরিং ও অভিযোগ এর জন্য একটা হট লাইন নাম্বার দেওয়া হয়েছে। মহাজন কোন কোন পণ্যদ্রব্যে বেশি দাম নিয়েছেন recipt চেক করে ক্রেতা দোকানে থেকেই সরাসরি হটলাইনে ফোন দেবে, ভ্রাম্যমান আদালত instantly সেখানে চলে আসবে, ক্রেতার অভিযোগকে খতিয়ে দেখবে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর অনুরোধ করবেন। এই সময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বিষয়টি সমাধান হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত । অপরাধের ধরন বিবেচনায় প্রয়োজনে দোকানকে সিলগালা করে রাখবেন। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ সাপেক্ষে প্রত্যেকটি জেলায় ৪০/৫০ টা দোকানকে সিলগালা করতে পারলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা তারের মতো সোজা হয়ে আসবেন।  আমাদের দেশের লোকজন একটু কঠিন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, তাই আইনের প্রয়োগে একটু কঠিন tough হতে হয়।  লেখক : জার্নালিস্ট, ওয়ার্কিং ফর ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) লন্ডন। মেম্বার, দ্য ন্যাশনাল অটিস্টিক সোসাইটি ইউনাইটেড কিংডম।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৪

অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি হতে পারে যেসব রোগের ইঙ্গিত
অস্বাভাবিক ওজন বাড়তে থাকলে একেবারেই অবহেলা করবেন না। এভাবে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া বড় কোনও রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। হয়তো আপনার অজান্তেই শরীরে বাসা বেঁধেছে রোগ। আর সেই কারণেই শরীরে জমছে অতিরিক্ত মেদ। হাজার চেষ্টাতেও ঝরাতে পারছেন না ওজন। এরকম হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ অবহেলা করলে হয়তো অজান্তেই বিপদ ডেকে আনবেন আপনি। একধাক্কায় ওজন অনেকটা বেড়ে গেলে শরীরে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নজরে রাখুন যে সম্ভাব্য কী কী কারণে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। জেনে নিন কারণগুলো- >>> খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম না মানলে, বিশেষ করে যথেষ্ট পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খেলে অতি অবশ্যই আপনার ওজন দ্রুত বাড়তে পারে। >>> আপনি যেসমস্ত ওষুধ খান, সেই কারণেও ওজন বাড়তে পারে। নিয়মিত কিছু ওষুধ খেলে তার প্রভাবে ওজন বাড়তে পারে। >>> গবেষণা বলছে, ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করলেও পরোক্ষে ওজন বৃদ্ধি পায়। কারণ সিগারেট খাওয়ার দীর্ঘদিনের অভ্যাস ত্যাগ করলে অনেকেই তারপর হতাশায় ভোগেন। আর মানসিক অবসাদে বেশি পরিমাণ খেয়ে ফেলতে পারেন আপনি। কারণ অনেকেরই ধারণা রয়েছে গুড ফুড গুড মুড। এই প্রবাদ অনেকাংশে সত্যি হলেও অনিয়মিত পরিমাণে খাওয়াদাওয়া করলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। >>> অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার খেলেও ওজন বাড়তে পারে। তাই আপনার প্রতিদিনের মেনুতে থাকুক বাড়ির খাবার। >>> অনেক সময় বলা হয় টিভি দেখতে দেখতে বা কাজ করতে করতে খাবার খেলে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়ে যায়, যা ওজন বৃদ্ধি করে। >>> যাদের ইনসমনিয়া অর্থাৎ অনিদ্রা রোগ রয়েছে, তাদেরও ওজন বৃদ্ধি পায়। কারণ রাতে ঘুম ভাঙলে অনেকেরই ফ্রিজ খুলে খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে। এরকম অনিয়মিত ভাবে খাবার খেলে আপনার ওজন বাড়তে পারে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৬

‘যারা সরকার পরিবর্তন করতে চায়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে তারা যুক্ত’
বাজারে সিন্ডিকেট থাকার কথা স্বীকার করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা সরকার পরিবর্তন করতে চায়, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে তারাও যে যুক্ত, সেটিও কিন্তু সঠিক। তারা কারণে-অকারণে এই লোভাতুর সিন্ডিকেট দিয়ে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অজুহাতে।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংবর্ধনা, মেজবান ও মিলনমেলা-২০২৪ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অতীতে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করা হয়েছিল উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংকটের মুখে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলো। আবার যখন বাজার পেঁয়াজে সয়লাব হয়ে গেছে, তখন স্টোরেজ থেকে সেই পচা পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার সব ব্যবস্থা নেবে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আসছে। রোজার আগে কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকবে। কাজেই বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। কেবল পাইকারি বিক্রেতা নয়, খুচরা বিক্রিতাদের মধ্যেও একটু বেশি মুনাফা করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। আমরা এটির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন হতে বলেছি। সরকারও সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, একটি কোল্ড স্টোরেজের ভেতর থেকে দেড় লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনি ইশতিহারে বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলাম। দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সেটিই আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। আমরা এই সরকারের যাত্রার শুরু থেকে সেটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। আপনারা দেখেছেন, বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৪

‘বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে’
মানুষের অস্তিত্ব সুরক্ষায় বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে ‘দ্য আনঅ্যাভয়েডবল মাস্টার রিস্ক? অ্যাড্রেসিং ক্লাইমেট ওভারস্যুট’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, যদি ২০২৫ সালের মধ্যে নিঃসরণ শীর্ষে পৌঁছায় ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক হয়ে যায় এবং ২০৫০ সালের মধ্যে আমরা ‘নেট জিরো’ অর্জন করতে পারি, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এখনো এড়ানো যাবে এবং আমরা তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করতে পারবো। তিনি বলেন, তবে এর জন্য দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, অতিক্রমণ এবং ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে এরই মধ্যে যে বিপর্যয়কর বাস্তবতা চলছে তা আরও খারাপ করে তুলবে এবং আইপিসিসি স্পষ্টভাবে বলেছে যে অনেক ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে না। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিদ্যমান সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে, যা জাতীয় শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করছে। তিনি বাংলাদেশের জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে খরা বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করেন। পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে সহায়তা করার জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। আমাদের কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারণ এবং সৌর বিকিরণ পরিবর্তনের মতো অ-পরীক্ষিত প্রযুক্তির দিকে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয় এবং এর পরিবর্তে আমাদের প্রশমন, প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধান, বনায়ন ইত্যাদি কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করা উচিত। প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন কোস্টারিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং জলবায়ু ওভারস্যুট কমিশনের কমিশনার, কার্লোস আলভারাডো কুয়েসাদা, পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার এবং ইউরোপীয় সবুজ চুক্তির জন্য ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট মারোস শেফকোভিচ।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৫

উৎপাদন বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দেওয়া হবে : কৃষিমন্ত্রী 
ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নতুন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। কৃষকদের উন্নতির জন্য সাধ্যের মধ্যে যা যা করার, তা করা হবে বলেও জানান তিনি।  কৃষিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম দিন রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।  মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে তো উৎপাদনটাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি উৎপাদন না করতে পারি তাহলে বাজার কীভাবে দখল করব, মূল্য কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব, কীভাবে ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই চেইনকে কার্যকর করব। সেজন্য, সকল সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফসলের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জমিকে আবাদের আওতায় আনতে কাজ করব। সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট সব জায়গায় থাকে। তাদের কীভাবে ক্র্যাশ করতে হবে, সেটার পদ্ধতি বের করতে হবে। কাউকে গলা টিপে মারার সুযোগ নেই আমাদের। কর্মের মাধ্যমে এগুলোকে কন্ট্রোল করতে হবে। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বারোপ করা হবে। সিন্ডিকেট অবশ্যই দুর্বল হয়ে যাবে।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব সরকার। কৃষক ও কৃষির আরো উন্নতির জন্য যা প্রয়োজন, আমাদের ক্ষমতার মধ্যে যা আছে তা করব। মন্ত্রী বলেন, কৃষি একটি বড় মন্ত্রণালয়। এখানে কাজের পরিধিও বেশি। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, উদ্যোক্তারা সবাই মিলে যদি কাজ করি, এ শক্তি কিন্তু বড় শক্তি, এর রেজাল্টও কিন্তু আমরা পাব। কৃষিক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জও আমরা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো। ফসলের উৎপাদন আরো বৃদ্ধিতে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য কর্মকর্তাদের এসময় নির্দেশ দেন মন্ত্রী।  কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তারা ও মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৮টি সংস্থার প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।  
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়