• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভাষানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু
রাজধানীর মিরপুরে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম মেহেরুন্নেসা (৬৫)। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল ভোরে মিরপুরের ভাষানটেক থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী-শিশুসহ ছয় জনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে মেহরুন্নেসা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা যান। তার শরীরের ৪৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি। এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে মিরপুরের ভাষানটেক ১৩ নম্বর কালবার্ট রোড এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন সূর্য বানু (৩০), লিজা (১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৯) ও মো. লিটন (৫২)। এরমধ্যে সূর্য বানু ৮২ শতাংশ, লামিয়া ৫৫ শতাংশ, মো. লিটন ৬৭ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ এবং সুজনের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। জানা গেছে, পরিবার নিয়ে ওই বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন ফার্নিচার ব্যবসায়ী লিটন মিয়া। শুক্রবার ভোরে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। এতে নারী-শিশুসহ ওই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়। পরে তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৮

বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
মাদারীপুরের কালকিনিতে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে মোদাসসের শিকদার (৪৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সিডিখান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনচর দৌলতখান গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোদাসসের শিকদার বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চিঠিরচর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন। আহতরা হলেন একই এলাকার হারুন ঢালী ও দাদন ঢালী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আড়িয়াল খাঁ নদের পাশে নতুনচর দৌলতখান এলাকায় বসে হাতবোমা বানাচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় একটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোদাসসের শিকদার। হারুন ঢালী ও দাদন ঢালী নামের আরও দুজন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর মর্গে পাঠায় পুলিশ। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলাউল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২১:৩০

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৬
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় লালন (২৪) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। শনিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, লালনের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। মৃত লালনের মামা শ্বশুর মো. আলআমিন জানান, একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করতেন লালন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার চরগিরিস গ্রামে। কালিয়াকৈর তেলিরচালা এলাকায় স্ত্রী সাবিনা খাতুন ও ১ মাস বয়সি মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। এই ঘটনায় লালনের নানি শাশুড়ি কমলা খাতুনও এর আগে মারা গেছেন। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর কোনাবাড়ী তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ ৩৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, তেলিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিক তার বাসার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার আনেন। সেটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। একপর্যায়ে এটিকে বাইরে রাস্তায় ফেলে দেন। সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন সিলিন্ডারে লেগে বিস্ফোরণ ঘটে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৯

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৫
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কোনাবাড়ী এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে নাদিম (২২) নামে দগ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনের ঘটনায় ১৫ জন মারা গেলেন। শনিবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, নাদিম নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৫৫ শতাংশ ফ্লাইম বার্ন ও ইন হ্যালেনশান ইনজুরি হয়েছিল। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউর ১৮ নম্বর বেডে মৃত্যু হয় তার। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত নারী শিশুসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর কোনাবাড়ী তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ ৩৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, তেলিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিক তার বাসার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার আনেন। সেটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। একপর্যায়ে এটিকে বাইরে রাস্তায় ফেলে দেন। সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন সিলিন্ডারে লেগে বিস্ফোরণ ঘটে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৩

চালকলের বয়লার বিস্ফোরণে শিশুসহ নিহত ২
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ধানের চাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও চালকলের মালিক জাহাঙ্গীর আলম (৩৭)। অপরজন চাতালে কর্মরত মহিলা শ্রমিক গোপাল নগর গ্রামের পাখি খাতুনের শিশু সন্তান তারেক হোসেন (৫)। জানা গেছে, কাশিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের ধানের চাতালে চালকলের ধান সিদ্ধ করার সময় ব্রয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় চাতালের মালিক জাহাঙ্গীর আলমের শরীর ছিন্নবিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।  অপরজন চাতালে কর্মরত নরী শ্রমিক পাখি খাতুনের শিশু সন্তান তারেক হোসেনের গায়ে বয়লার বিস্ফোরণের পর বয়লারের টুকরা পরলে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়। আমিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মরতরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৭

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সবশেষ কমলা খাতুন (৬৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, কমলা খাতুনের শরীর ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর কোনাবাড়ী তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ ৩৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, তেলিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিক তার বাসার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার আনেন। সেটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। একপর্যায়ে এটিকে বাইরে রাস্তায় ফেলে দেন। সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন সিলিন্ডারে লেগে বিস্ফোরণ ঘটে।
২০ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৮

গাজীপুরে গ‍্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১১
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হলো। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবশেষ তাওহীদ নামে সাত বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, তাওহীদের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে ১৭ জন রোগী ভর্তি আছে। সবার অবস্থাই সংকটাপন্ন। এর আগে, একই ঘটনায় শনিবার তাওহীদের ছোট বোন তায়েবা (৩) মারা যায়। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর কোনাবাড়ী তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ ৩৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, তেলিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিক তার বাসার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার আনেন। সেটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। একপর্যায়ে এটিকে বাইরে রাস্তায় ফেলে দেন। সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন সিলিন্ডারে লেগে বিস্ফোরণ ঘটে।  
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:৪২

গাজীপুরে গ‍্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১০
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ জনে। সোমবার (১৮ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে রোববার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা ৬৫ থেকে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ঘটনা এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হলো। সবশেষ মৃত্যুবরণ করা চারজন হলেন জহিরুল ইসলাম (৪০), মোতালেব (৪৫), সোলায়মান (৯), রাব্বি (১৩)। তার সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে, গত ১৫ মার্চ থেকে রোববার পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাইবা (৩), আরিফুল ইসলাম (৩৫), মহিদুল (২৪), মনসুর আলী ও সোলাইমান মোল্লা মারা যান। গত ১৩ মার্চ গাজীপুরের কালিয়াকৈরের তেলিরচালা এলাকায় শফিকুল ইসলাম খানের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে নারী, পুরুষ ও শিশু মিলিয়ে ৩৪ জন দগ্ধ হন।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৮

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু
গাজীপুর কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হলো। রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বশেষ নার্গিস খাতুন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।  ২৫ বছর বয়সী ওই নারী সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। তিনি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার কোনাবাড়ী এলাকায় থাকতেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, নার্গিস খাতুনের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে এই ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুসহ আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল। এর আগে, রোববার ভোরে আরিফুল ইসলাম ও পৌনে ৭টার দিকে মহিদুল নামে দুইজনের মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর কোনাবাড়ী তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ ৩৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, তেলিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিক তার বাসার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার আনেন। সেটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। একপর্যায়ে এটিকে বাইরে রাস্তায় ফেলে দেন। সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন সিলিন্ডারে লেগে বিস্ফোরণ ঘটে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২১:০৭

গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু
গাজীপুর কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাটিতে মারা গেলেন মোট পাঁচজন। রোববার (১৭ মার্চ) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। তাদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম (৩৫) গার্মেন্টস কর্মী ও মইদুল (৩০) কারখানার গোডাউনে কাজ করতেন। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, আরিফুলের শরীরের ৭০ শতাংশ আর মইদুলের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আরিফুলের স্ত্রী সুমি আক্তার জানান, তাদের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামে। বাবার নাম আ. রাজ্জাক বিশ্বাস। পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈরে থাকতেন তিনি। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গার্মেন্টে চাকরি করেন। এদিকে মৃত মইদুলের ভাগিনা মো. আকাশ জানান, মইদুলের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বেড়াখোলা গ্রামে। বাবার নাম সাবেত খা। কালিয়াকৈরে একটি গোডাউনে কাজ করতেন তিনি। এর আগে, শুক্রবার সকালে সোলাইমান মোল্লা (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয় এবং শনিবার সন্ধ্যায় তায়েবা (৩) নামে দগ্ধ এক শিশু ও ভোরে মনসুর (৩২) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়। তারা সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর কোনাবাড়ী তেলিচালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে নারী-শিশুসহ ৩৭ জন হাসপাতালে আসেন। এর মধ্যে ৩৪ জনকে ওই রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এলাকাবাসী জানান, তেলিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিক তার বাসার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার আনেন। সেটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। একপর্যায়ে এটিকে বাইরে রাস্তায় ফেলে দেন। সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন সিলিন্ডারে লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রাস্তায় ও আশেপাশে থাকা ৩৫ জন দগ্ধ হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১২:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়