• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
দেশে চলমান তাপপ্রবাহ কমার খবর নেই আবহাওয়া অফিসের। বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর। তবে তাপপ্রবাহ আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইনে ক্লাস চালু হতে পারে। আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তাপপ্রবাহজনিত ছুটি। তবে সিলেবাস শেষ না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই চিন্তা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। জানা গেছে, দুয়েক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে আগের মতো ছুটি চান না অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।  ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ছুটি বাড়ালে সিলেবাস শেষ করতে সমস্যায় পড়তে হবে। এ অবস্থায় একেবারে ছুটি না দিয়ে অনলাইনে ক্লাস বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ছুটির বাড়ানোর বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে ক্লাস বন্ধ না রেখে অনলাইন কিংবা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ভেতর রাখা যায়, সেই চিন্তা চলছে। তবে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আগামী রোববার থেকে ক্লাস খুলছে নাকি ছুটি বাড়ছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। যদি তাপপ্রবাহ না কমে তবে অনলাইন ক্লাস চালুর ভাবনা রয়েছে। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথাও বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে

মেজর মান্নানসহ ৭ জনের জামিন বাতিলের বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানসহ সাতজনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তাদের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (২২ এপ্রিল) শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে দুদকের আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। অর্থ আত্মসাতের এ মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন পাওয়া অন্যরা হলেন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক পরিচালক আ ন ম জাহাঙ্গীর, রইস উদ্দিন, রোকেয়া ফেরদৌস, ডিএমডি ইনামুর রহমান, পরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ফখরে ফয়সল। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পরস্পর যোগসাজশে মেসার্স টেলিকম সার্ভিস এন্টারপ্রাইজের রাজিয়া সুলতানার নামে বিআইএফসি হতে মোট ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯২ টাকা ‍ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তর ঘটিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ মামলায় গত ৭ মার্চ অভিযুক্ত সাতজনকে জামিন দেন মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ। পরে সেই জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৭

বেনজীরের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চান ব্যারিস্টার সুমন
সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান দাবি করেছেন। এ সময় তিনি হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এ নিয়ে এক আবেদন জমা দেন তিনি। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে আবেদন করেছি। সবাইকে আল্লাহ বাঁচাইছে, ‘বেনজীর সাহেব বেশিদিন সময় পাননি। আর কিছুদিন সময় পেলে গোপালগঞ্জ কিনে নিতেন। পুলিশে যারা অসৎ হবেন বেনজীর সাহেবকে আদর্শ ধরে নেবেন।’ দুদক চেয়ারম্যান বরাবর করা আবেদনে বলা হয়, ৩৪ বছর পর ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর বেনজীর আহমেদ অবসরে যান। অবসরের পর বেনজীর আহমেদ চাকরিকালীন স্ত্রী ও মেয়ের নামে অনেক সম্পদ গড়েছেন। যা তার জ্ঞাত-আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আবেদনে আরও বলা হয়, বেনজীর ও তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ এবং কন্যাসন্তান তাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে বেনজীর তার পদের অপব্যবহার করে উল্লিখিত সম্পত্তি অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন। আবেদনে তিনি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, কন্যা ফারহিন রিশতা বিন্তে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের অবৈধ সম্পদ বিষয়ে তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করছি। পরে সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আসেছে। এটার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ইনকোয়ারির ব্যবস্থা না দেখে আমি দুদকের দ্বারস্থ হয়েছি। দুদক আমলে না নিলে হাইকোর্ট আছে মন্তব্য করে সুমন বলেন, সাবেক আইজিপির এতো সম্পদ দেখে সৎ পুলিশ অফিসার খুব বেশি ফ্রাস্ট্রেটেড হবেন। সৎ নাগরিকদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এটা যদি সত্য হয়, যারা অসৎ আছে তারা প্রতিযোগিতায় নামবে, আমরা সবাই বেনজির হতে চাই। এর জন্য মনে হয়েছে এটা দেশের জন্য ভয়ানক বিষয়। এটা ইনকোয়ারি হওয়া দরকার। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন ২০ এপ্রিল। ভিডিওতে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করে বলেন, এসবের দালিলিক প্রমাণ দিতে পারলে প্রমাণদাতাকে সেই সম্পদ বিনামূল্যে দিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৭

ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরুর বিষয়ে বৈঠক
রাজধানীর ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের (বিআরপি) কাজ দ্রুততার সঙ্গে পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে ভূমিমন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ভূমিমন্ত্রী বিআরপি প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। এদিকে গত ৬ এপ্রিল নিজ নির্বাচনী এলাকা ভাষানটেক পরিদর্শন করে বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করা হবে না বলে জানিয়েছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। এ দিন বস্তিবাসীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় আমি ভাষানটেক বিআরপি প্রকল্প নিয়ে আপনাদের কথা দিয়েছিলাম সকল বস্তিবাসীকে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভাষানটেক বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী দ্রুত বিআরপি প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৮

ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধের বিষয়ে যা জানাল ইরান
ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবিটি নাকচ করে দিয়েছে ইরান। তেহরানের জানিয়েছে, ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা হয়নি, তিনটি ড্রোন এসেছিল সেগুলো আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। হামলার প্রতিশোধের বিষয়ে ইরান জানিয়েছে, অবিলম্বে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা নেই তাদের। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইসরায়েলের হামলার খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ইরানি কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই ইরানের। এই ঘটনাটি বিদেশি কোনো উৎস থেকে হয়েছে কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বাইরে থেকে কোনো আক্রমণের সম্মুখীন হইনি এবং চলমান আলোচনা হামলার চেয়ে অনুপ্রবেশের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। তবে এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি  ইসরায়েল। এদিকে একজন ইরানি বিশ্লেষক দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেছেন, ইসফাহানে বিমান প্রতিরক্ষা দিয়ে যে মিনি ড্রোনগুলোকে গুলি করা হয়েছিল, সেগুলো ইরানের ভেতর থেকেই অনুপ্রবেশকারীরা উড়িয়েছিল। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসফাহান শহরের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইরান। একই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছিল। এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল। এর আগে, ইরান বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৬

হামলার বিষয়ে তুরস্ককে আগেই জানিয়েছিল ইরান : রয়টার্স
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অভিযানের বিষয়ে ইরান তুরস্ককে আগেই জানিয়েছিল। আঙ্কারার মাধ্যমে ওয়াশিংটন তেহরানকে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল। দামেস্কের কনস্যুলেটের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের মাটিতে এ হামলা চালানো হয়। রোববার (১৪ এপ্রিল) তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। সূত্রটি জানায়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের পরিকল্পিত অভিযানের বিষয়ে ইরান এরই মধ্যে তুরস্ককে আগাম অবহিত করেছে। সূত্রটি আরও জানায়, আঙ্কারার মাধ্যমে ওয়াশিংটন তেহরানকে বার্তা দিয়েছে যে, যেকোনো পদক্ষেপ অবশ্যই নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকতে হবে। তুরস্ক গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের নিন্দা জানালেও ওই অঞ্চলে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুর্কি সূত্রটি জানিয়েছে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ইরানি অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সম্ভাব্য পরিস্থিতি সম্পর্কে আঙ্কারাকে অবহিত করা হয়েছে বলে রোববার জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।  মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ সপ্তাহের শুরুতে ফিদানকে জোর দিয়ে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি কোনো পক্ষের জন্যই লাভজনক নয়। কী ঘটতে যাচ্ছে তা ইরান আমাদের আগেই জানিয়ে দিয়েছে। ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠকের সময় সম্ভাব্য অগ্রগতির বিষয়টিও উঠে আসে এবং তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের মাধ্যমে ইরানকে জানিয়েছিল যে এই প্রতিক্রিয়া অবশ্যই নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে হতে হবে। এর জবাবে ইরান বলেছে, দামেস্কে তাদের দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলার জবাবে এই প্রতিক্রিয়া হবে এবং তারা এর বাইরে কিছু করতে যাবে না। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইরান বিস্ফোরক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা ইসরায়েলের মাটিতে প্রথম সরাসরি হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়। হামলার পর ইসরায়েলি সেনার মুখপাত্র বলেন, ইরান ৩০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলেও এর ৯৯ শতাংশই প্রতিহত করা হয়েছে। গত ১ এপ্রিল দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়। কনস্যুলে হামলায় ইরানের ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ড ফোর্সের ৭ অফিসার নিহত হন। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরে এসব যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং আঞ্চলিক সংঘাত বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। তুরস্কের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস ঈদুল ফিতরের ছুটিতে তুরস্কের এমআইটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ইব্রাহিম কালিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতা চেয়েছিলেন। তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে, যদিও সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫১

মুক্তিপণের বিষয়ে কথা না বলতে অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে : জাহাজের মালিকপক্ষ
কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, আমি উদ্ধার প্রক্রিয়া হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মনোনীত প্রতিনিধি। আমাদের সঙ্গে ওদের কনফারেন্সিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। সেই অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আমি আপনাদের সঙ্গে কিছু শেয়ার করতে পারব না। কারণ এটা আমি সই করেছি। রোববার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কেএসআরএমের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে তিনি এসব কথা বলেন। মেহেরুল করিম বলেন, উদ্ধার প্রক্রিয়ায় আমরা আমেরিকান নিয়ম মেনেছি এবং ইউকে (যুক্তরাজ্য) ও সোমালিয়ার নিয়ম মেনেছি। ফাইনালি কেনিয়ার নিয়মও মেনেছি। সবার সঙ্গে আমাদের অ্যাগ্রিমেন্ট করা আছে এ বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। তবে আমি আবার বলি, আমরা সবকিছু আইন মেনে করেছি। এদিকে উদ্ধারের পরপরই জাহাজ মুক্ত করতে দস্যুদের কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে এবং কীভাবে এসব টাকা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন ওঠে। তবে এ বিষয়ে জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর উড়োজাহাজ থেকে ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে ওঠে দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে তারা আশেপাশে কেউ আটক করছে কি না সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজটি থেকে দস্যুরা নেমে যায়।   নানা উৎকণ্ঠার পর অবশেষে মুক্ত হয়েছেন সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক। বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।  গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫১

জলদস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ার বিষয়ে কোন তথ্য জানা নেই নৌপ্রতিমন্ত্রীর
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক চাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক মুক্ত হয়েছেন। জলদস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ার বিষয়ে কোন তথ্য তার জানা নেই বলেও জানয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, টাকা-পয়সা কিংবা মুক্তিপণের সঙ্গে আমাদের কোনো ইনভলমেন্ট নাই। টাকা দিয়ে জাহাজ ছাড়িয়ে আনা হয়েছে, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখাচ্ছেন, এ সব ছবির কোনো সত্যতা নেই। ছবিগুলো কোথা থেকে আসতেছে, কীভাবে আসতেছে- সেটা আমরা জানি না। আমরা তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করেছি দীর্ঘদিন। এখানে মুক্তিপণের কোনো বিষয় নেই। আমাদের আলাপ-আলোচনা এবং বিভিন্ন ধরনের চাপ আছে। সেই চাপগুলোও এখানে কাজে দিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা যতটুকু হয়েছে আমাদের ডিপার্টমেন্ট অব শিপিং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ইউরোপিয়ান নেভাল, ভারতীয় নৌ-বাহিনী, সোমালিয়ান পুলিশ। আমি সোমালিয়া পান্টল্যান্ড পুলিশকে ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আন্তর্জাতিক মেরিটাইমের যে উইংগুলো রয়েছে, তারা আমাদের খুবই সহায়তা করেছে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জলদস্যুরা একেবারে সর্বশক্তিমান, ব্যাপারটা তো এমন নয় তো। তারা ভীষণ চাপের মধ্যে ছিল, সোমালিয়ান পুলিশের বিরাট একটা চাপ ছিল। জলদস্যুরা একটি দেশের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে, এটা তারা (সোমালিয়ান পুলিশ) উপলব্ধি করছে, সেই উপলব্ধি থেকে তারা খুবই সজাগ ছিল এবং জলদস্যুদের তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য তারা খুবই তৎপর ছিল। একটা চরম পর্যায়ে গিয়েছিল, সেই কারণেই তারা সেখান (জাহাজ) থেকে নেমে গেছে। চাপটা এত ছিল, তারা যখন জাহাজটা নিয়ন্ত্রণে নেয় সেখানে ২০ জন ছিল জলদস্যু, গতকালকে তারা যখন জাহাজ ছেড়ে যায় ইতিমধ্যে প্রায় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজে অবস্থান নিয়েছিল। মূল ভূখণ্ডে তাদের কী পরিমাণ চাপ ছিল, সেটা বুঝতে হবে।  তিনি আরও বলেন, গতকালকে সবাই একসঙ্গে সেখান (জাহাজ) থেকে চলে গেছে। দুই নটিক্যাল মাইলের মধ্যে তাদের ঘিরে ফেলা হয়েছিল। অন্যান্য ফ্লিকগুলো (বিভিন্ন বাহিনী) অবস্থান করছিল যখন তারা চলে যায় সেই মুহূর্তে। তারা বুঝতে পেরেছিল তাদের জীবন নিরাপদ না। আমাদের সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর সেই মুহূর্তে তাদের সঙ্গে কথা বলে ফ্লিকগুলোকে একটু দূরে দিয়ে তাদের যেতে সহায়তা করেছে। আমি জানি না ভুল ভূখণ্ডে যাওয়ার পর জলদস্যুদের কি অবস্থা হয়েছে। নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, যতগুলো মেইল করেছি সেগুলো এক জায়গায় করলে বড় একটা বাস্কেট ভরে যাবে। প্রতি মুহূর্তে আমাদের করেসপন্ডেন্ট রাখতে হয়েছে। আমরা এত তৎপর এবং এত সিরিয়াস ছিলাম- এটা সবাই উপলব্ধি করেছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটতে পারে সেজন্য সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর পদক্ষেপ নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৫

ইসরায়েলে হামলার বিষয়ে ইরানকে সতর্ক করলেন বাইডেন
ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালিয়ে দেশটির দুই জেনারেলসহ অন্তত সাতজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর প্রতিশোধ নিতে শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাতে পারে ইরান। ইতোমধ্যে শতাধিক ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। তবে শিগগিরই ইসরায়েলে হামলা না করতে ইরানকে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। বাইডেন বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, ইরান শিগগিরই ইসরায়েলে হামলা করতে পারে। তবে তেহরানকে শিগগিরই হামলা না করতে সতর্ক করছি। তিনি বলেন, আমরা ইসরায়েলকে রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সবসময় ইসরায়েলকে সমর্থন করব। তাদের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো ধরনের সহায়তার জন্য সবসময় প্রস্তুত। তাই ইরান কখনও সফল হবে না। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে নিহত হন দেশটির শীর্ষস্থানীয় দুই সামরিক কর্মকর্তাসহ ৭ জন। এরপর সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, এই কর্মকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। এ ঘটনার পর ইরান ও ইসরায়েল-দুই দেশ ভ্রমণে নিজেদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরায়েলের জনগণও।  মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, নিজ কর্মীদের বৃহত্তর জেরুজালেমের বাইরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তেল আবিব ও বির শেভা এলাকা এ সতর্কতার আওতামুক্ত থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অন্যান্য ফ্রন্ট থেকে চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমাদের সাধারণ একটি নীতি আছে: যারা আমাদের আঘাত করবে, আমরা তাদের আঘাত করব।’ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, শিগগিরই বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে ইরান। এ হামলায় শতাধিক ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কাও রয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনাগুলোতে এ হামলা হতে পারে। তা ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য ‘চ্যালেঞ্জের’ হবে। ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানায়, দক্ষিণ অথবা উত্তর ইসরায়েলে ইরানের সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আবিব। তবে তেহরান এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। এর আগে পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়, সরাসরি ইসরায়েল অথবা ইসরায়েলের স্বার্থ রয়েছে এমন স্থাপনায় ইরানের হামলা আসন্ন। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলের সেনাদের ঘাঁটি ও অবস্থান লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা করছে ইরান। তারা এও জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তে ইরান হামলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পারে। ইসরায়েলে যে ইরান হামলা চালাবে এটির সত্যতা রয়েছে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি। তবে হামলার তীব্রতা কেমন হবে সে ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান তিনি। সূত্র : বিবিসি, সিএনএন
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৩

সৌদিতে ঈদের নামাজ আদায়ের বিষয়ে নির্দেশনা
সৌদি আরবে সূর্যোদয়ের ১৫ মিনিট পর পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। এ বিষয়ে সৌদি আরবের ইসলামবিষয়ক মন্ত্রী আব্দুললতিফ বিন আবদুল আজিজ আল শেখ বলেন, দেশটিতে উম্ম আল-কুরা দিনপঞ্জি অনুযায়ী সূর্যোদয়ের ১৫ মিনিট পর পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে হবে। নির্দেশনায় বলা হয়, খোলা মাঠে এবং মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে হবে। তবে যেসব মসজিদের পাশে খোলা মাঠ কিংবা ঈদগাহ আছে, সেসব মসজিদের ভেতরে পবিত্র ঈদের নামাজ আদায় করা যাবে না। মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে এবং আরামে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পারেন, তাই আগে থেকে সংশ্লিষ্ট মাঠ ও মসজিদ পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করা, প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ প্রাথমিক প্রস্তুতির ওপর নির্দেশনায় গুরুত্বারোপ করা হয়। সূত্র : সৌদি গেজেট
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়