• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ক্রেতা সেজে সাত কোটি টাকার বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করল পুলিশ
পঞ্চগড়ে ক্রেতা সেজে সাত কোটি টাকা মূল্যের কষ্ঠি পাথরের বিষ্ণুমূর্তি সহ চোরাচালান চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে দেবীগঞ্জের বানুরহাট এলাকা থেকে মূল্যবান ওই বিষ্ণুমূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।  আটককৃতরা হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলার বন্দিরাম এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে শাহীন শাহ (৪০), তেঁতুলিয়া উপজেলার কৃষ্ণকান্তজোত এলাকার আমানত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৮) ও একই উপজেলার একরামুল হকের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫৫)। ডিবি পুলিশ জানায়, কষ্টি পাথরের মূর্তি বিক্রি চক্রের সদস্যদের ধরতে কয়েক মাস ধরে কাজ করছিল পুলিশ। এমনকি পুলিশ ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করে বিক্রেতাদের সাথে। কথা মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জ উপজেলার বানুরহাট এলাকার ওষুধ বিক্রেতা শাহীন শাহের ফার্মেসিতে ওই বিষ্ণুমূর্তিটি ব্যাগে করে দেখাতে নিয়ে আসে তেঁতুলিয়ার হাবিবুর ও শহিদুল। তাদের দাবি, মূর্তিটি তারা পাথরের সাইটে পেয়েছে। পুলিশের সাথে দরদাম ঠিক হয় ৫ লাখ টাকা। এদিকে আগেই ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বাজার এলাকায় ওৎ পেতে থাকে। ব্যাগে করে মূর্তিটি আনা মাত্রই কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ আরও জানায়, কষ্টি পাথরের মূর্তিটির ওজন ১৭ কেজি। উচ্চতায় ২৯ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ১১ ইঞ্চি। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা। পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, ওষুধ বিক্রেতা শাহীন দীর্ঘদিন ধরে এই মূর্তি বিক্রি চক্রের সাথে জড়িত। আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় কয়েক মাস ধরে তার ওপর নজরদারি করি। এক পর্যায়ে ক্রেতা সেজে আজ তাদের হাতেনাতে আটক করি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।  
০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়