• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘মা সমতুল্য রওশনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন জিএম কাদের’
মা সমতুল্য রওশন এরশাদের সঙ্গে জিএম কাদের বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত এবং রওশন এরশাদের মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে জাতীয় মহিলা পার্টির নেতাদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মামুনুর রশীদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের (জাতীয় পার্টি) সঙ্গে লীলাখেলা খেলেছেন জিএম কাদের। তাকে পাবনার মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। সভায় রওশনপন্থি জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, জাতীয় পার্টি কার ও কার কাছে আছে এটা ৯ মার্চ সম্মেলনের মাধ্যমে সারাবিশ্বকে জানিয়ে দেওয়া হবে। মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, জাতীয় মহিলা পার্টির যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন, রওশনপন্থি জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৫

রাজনীতিই ছাড়লেন ইমরানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা দুই দলীয় প্রধান
জাতীয় নির্বাচনে হতাশাজনক ফল করায় পাকিস্তানের তিনটি রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রধান পদত্যাগ করেছেন। সেই সঙ্গে রাজনীতি না করারও ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা দুই দলীয় প্রধান। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তাদের পদ ছাড়ার খবর জানিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।  প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তানের (আইপিপি) প্রধান জাহাঙ্গীর তারিন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্লামেন্টারিয়ানের (পিটিআই-পি) কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পারভেজ খটক ও জামায়াতে ইসলামীর আমির সিরাজুল হক। দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তারা। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর তারিন ও পারভেজ খটক রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।  তারা দুজনই ইমরান খানের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু প্রতিকূল সময়ে ছেড়েছেন ইমরান খানের হাত। তাদের জন্যই ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর পিটিআইকে রাজনীতির মাঠ থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। দল ছেড়ে তারা গড়েছেন নিজের দল। কিন্তু তাতেও হয়নি লাভ। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে হয়েছে শোচনীয় পরাজয়। দলের প্রার্থীরা হেরেছেন, এমনকি নিজেরাও হেরেছেন। এমন ভরাডুবির পর শুধু দলীয় প্রধানের পদ নয়, এবার রাজনীতিও ছাড়ার ঘোষণা দিলেন তারা।   নির্বাচনী প্রচারের সময় পারভেজ খটক জোর গলায় দাবি করেন, তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আর পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও জয়ের পর তার সঙ্গে জোট করবেন। কিন্তু তার ভরাডুবি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসার আশার দুরাশাই থাকল। উল্টো প্রভাবশালী এই নেতা এখন নিজেই ছাড়লেন রাজনীতি। অপর নেতা চিনি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর তারিন নির্বাচনের আগে পিটিআই ছেড়ে গঠন করেন ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি)। তবে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তার দলও চরমভাবে পরাজিত হয়। তিনি নিজেও হেরেছেন মুলতানে পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীর কাছে। এ ছাড়া নিজের জন্মস্থান লোধরানেও হেরেছেন পিএমএল-এন প্রার্থীর কাছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে জাহাঙ্গীর তারিন বলেন, নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে তিনি শুভাকাঙ্ক্ষী ও নিজের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আইপিপির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি রাজনীতি থেকেও বিদায় নিচ্ছি। তবে দেশের সমৃদ্ধির জন্য ব্যক্তিগত পর্যায়ে কাজ করে যাব। এ বিষয়ে পাকিস্তানের সিনিয়র সাংবাদিক লায়েক আলি খান বলেন, খাইবার পাখতুনখোয়ায় যে দলগুলো ইমরানের সমালোচনা করেছিল, সেগুলোকেই জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে দলছুট খট্টকের অপমানজনক পরাজয় হয়েছে। নির্বাচনে ইমরানের সঙ্গী নেতারা রাজনৈতিকভাবে প্রতাপশালী প্রার্থীদের হারিয়ে দিয়েছেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়