• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ জন
আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং প্রকাশক সংস্থা 'আলপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স' সম্প্রতি বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ২৪ জন। শিক্ষকদের পাশাপাশি ২ জন শিক্ষার্থীও এ তালিকায় রয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানের এই সূচকটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এ বছর সর্বমোট স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ২০৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষক। গবেষকদের তালিকায় গবির স্থান পাওয়া শিক্ষকরা হলেন ফার্মেসী বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোখলেছুর রহমান সরকার, বিভাগটির শিক্ষক ড. পিযুষ কুমার পাল, মো. সেলিম হোসেন, মো. গোলাম মোস্তফা ও অনন্ত কুমার দাস। রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিলয় কুমার দে ও সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শামীম মাহবুব। বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক মো. এখলাস উদ্দিন দিপু, মো. ইউসুফ আলী। কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক তানিয়া আক্তার, শায়লা রহমান, শরীফ আহমেদ, শাহরিয়ার হাসান, আতিকুর রহমান এবং শিক্ষার্থী সামিরা আক্তার টুম্পা ও মো. আকিফুল ইসলাম ফাহিম। ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষক ডা. মো. রুকনুজ্জামান। ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষক বি এম জুয়েল রানা , সেলিনা আক্তার, মো. হাফিজুর রহমান। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এস এম ফাহাদ এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এস মৃদুল কান্তি সাহা। এছাড়া মেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শাহ্ সুলতান মাশরাফি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিডিসিপ্লিনারি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা সহকারী সোহেল হোসেন এতে স্থান পেয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এ সাফল্যে আমরা আনন্দিত। তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। আশা করি, এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে গবেষণার মান আরও বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত ৫ বছরের এইচ-ইনডেক্স, আই-১০ ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়। ১২টি ক্যাটাগরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো- কৃষি ও বনায়ন, কলা, নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞান।  
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩১

বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বাকৃবির ৩৯২ জন গবেষক
আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং প্রকাশক সংস্থা 'অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স' সম্প্রতি বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৩৯২ জন গবেষক জায়গা করে নিয়েছেন। জানা যায়, প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাঙ্কিং-২০২৪-এ বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় বাংলাদেশের ২০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। এর মধ্যে বাকৃবির বিভিন্ন বিভাগের ৩৯২ জন গবেষক এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। এতে বিশ্বের ২১৯টি দেশের ২২ হাজার ৭৬৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯৩ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পেয়েছে। র‍্যাঙ্কিং তালিকায় এ বছর দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাকৃবির অবস্থান চতুর্থ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাঙ্কিং হিসেবে আঞ্চলিক (এশিয়া) পর্যায়ে বাকৃবির অবস্থান ৮শ ৪৯তম ও বিশ্বে ২ হাজার ৪৪৩তম। এ বছরের তালিকায়ও বাকৃবি গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম রফিকুল ইসলাম। তিনি এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফরেস্ট্রি বিষয়ে গবেষণা করে বর্তমানে বাকৃবির সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কে স্থান পেয়েছেন। এ ছাড়া প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে বাকৃবির অবস্থান পঞ্চম। বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা ১০ জনের অন্য গবেষকরা হলেন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম জহিরুদ্দিন, জেনেটিক্স ও প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যানিম্যাল ব্রিডিং অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের লেকচারার মো. রফিকুল ইসলাম, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, এনাটমি অ্যান্ড হিস্টোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, অ্যাগ্রোনমি বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রহমান সরকার, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তানভীর রহমান, ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা আলী রেজা হোসাইন ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হান্নান। এ বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণামুখী। এখানকার গবেষকবৃন্দ বিশ্বসেরায় জায়গা করে নেবে, এটি খুব স্বাভাবিক বিষয়। তাদের গবেষণার সুফল আজকে জাতি ভোগ করছে। এটি সবাই এখন স্বীকার করে। সামনে আরও গবেষণার মাধ্যমে দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় আমাদের গবেষকবৃন্দ ভূমিকা রাখবেন। তখন বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকাটি আরও বড় হবে বলে আমি মনে করি। উল্লেখ্য, প্রকাশিত এই তালিকায় বাংলাদেশের সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র; বাংলাদেশ, সেরা কোম্পানি হিসেবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং সেরা হাসপাতাল হিসেবে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল স্থান করে নিয়েছে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৭

বিশ্বসেরা গবেষক সংখ্যায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তম নোবিপ্রবি
বিশ্বসেরা গবেষক সংখ্যায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে উপকূলের বিদ্যাপীঠ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। শনিবার (৬ জানুয়ারি) আলপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‍্যাঙ্কিংয়ের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গবেষক সংখ্যায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  (৬৬৫), দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়  (৫০৩),তৃতীয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৯২),৪র্থ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৭৮),৫ম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (২৩৭), ৬ষ্ঠ খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (২০৯), সপ্তম নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  (১৯৮) অষ্টম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৮), নবম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৪) এবং দশম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৩)। নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান বলেন, বিশ্বসেরা র‍্যাঙ্কিংয়ে নোবিপ্রবি শিক্ষকেরা স্থান করে নেওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং এটা অনেক সম্মান ও গৌরবের বিষয়। তাই শিক্ষকদের শিক্ষকতার পাশাপাশি গবেষণা কাজে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার জন্য আহ্বান করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় ল্যাবসহ বিভিন্ন সুবিধা বাড়ানো হলে এই সংখ্যা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদী। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, এটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান করে নেওয়া সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা গবেষণার জন্য ফান্ড বাড়িয়েছি।তার সুফলও পাচ্ছি। আগামীতে এ ধারা অব্যাহত রাখতে গবেষকদের আরও বেশি গবেষণায় মনোযোগী হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিদার-উল-আলম বলেন,  আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বেশ এগিয়ে যাচ্ছেন। গবেষণার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে আমরা তাদের বিভিন্নভাবে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি। এর ফলে গবেষকরা গবেষণার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। এখন তার সুফল আমরা পাচ্ছি। নোবিপ্রবিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়