• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যেসব ওয়েবসাইটে ঢুকলে বিপদ নিশ্চিত
কারণ ছাড়াই আমরা অনলাইন শপিং, অ্যাডাল্ট সাইট, বেটিং সাইটসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢুকি। আর এসব সাইটে আপনার জন্য ওত পেতে আছে ভয়ংকর ম্যালওয়্যার। তবে সবচেয়ে বেশি ম্যালওয়্যারের শিকার হন ব্যবহারকারীরা পাইরেসি ওয়েবসাইট থেকে। রোববার (২৪ মার্চ) ‘ইন্ডিয়ান স্কুল অব বিজনেস’ এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাইরেসি সাইটে ঢুকলে ম্যালওয়্যারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৫৯ শতাংশ, প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েবসাইট থেকে ৫৭ শতাংশ ও জুয়ার বিজ্ঞাপন থেকে ৫৩ শতাংশ। আর বিনোদন সেক্টরে ডিজিটাল প্রাইরেসি দেশের সাংস্কৃতিক পণ্যগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। এর মধ্যে সিনেমা, গান, টিভি শো, বই, সফটওয়্যার এবং অন্যান্য কপিরাইট নেওয়া সৃজনশীল কাজ রয়েছে। এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পাইরেসি সাইটের মালিকদের আয়ের নতুন উৎস হয়ে উঠেছে কম্পিউটার বা মোবাইলে ম্যালওয়্যার হামলা। আর ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা এ হামলার বেশি শিকার হচ্ছেন। এসব সাইটে না ঢোকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:২২

বরই খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা, অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ দল
তিন দিনের ব্যবধানে বমি ও জ্বর হয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর কারণ জানতে রাজশাহীতে পৌঁছেছে আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞ দল। রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের রিপোর্ট বলছে তারা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। ফলে কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে কি না, তা যাচাই বাছাই ও নমুনা সংগ্রহের জন্য আইইডিসিআরের একটি দল রাজশাহীতে গেছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম আহমেদ। রামেক পরিচালক বলেছেন, রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আইইডিসিআরের একটি বিশেষজ্ঞ দল রাজশাহীতে এসেছে। এরই মধ্যে দলটি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা মৃত দুই শিশুর বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তারা আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য চারঘাটে যাবেন। সেগুলো বিশ্লেষণের পর জানা যাবে কীসের কারণে তারা মারা গেছেন।  পরিচালক আরও জানান, মৃত শিশুর দুই বাবা-মা হাসপাতালে সুস্থ আছেন। তাদের অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি। ওই দুই শিশুর বাবা মঞ্জুর হোসেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক। তারা ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই ছিলেন। ছোট মেয়ের মৃত্যুর পর গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন। তাদের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ছোট মেয়ে মারিশার জ্বর আসে। বিকেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মাইক্রোবাসে মারা যায়। মৃত্যুর পর মা-বাবা লক্ষ্য করেন, মারিশার গায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ উঠেছে। ওই দিন রাতেই তাকে দাফন করা হয়। এক দিন পর শুক্রবার বড় মেয়ে মাসিয়ার একই লক্ষণসহ জ্বর আসে। সে-ও ছোট বোনের মতো বমি করছিল আর ঘন ঘন পানি খাচ্ছিল। লক্ষণ বুঝতে পেরে মা-বাবা দেরি করেননি। রাজশাহীর সিএমএইচে ভর্তি করেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৮

পক্ষপাতে দুষ্ট যখন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল
মানবাধিকার সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়ে বড় ধরনের সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগী হতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের একদল বিশেষজ্ঞ। এই বিশেষজ্ঞ দল কিন্তু বাংলাদেশের প্রতি সুনজর রেখে যে এই আহ্বান জানিয়েছেন তা কিন্তু নয়। তারা বরং ক্ষণে ক্ষণে এই কাজ করে। এই কাজ তারা করবে এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু এর মধ্যে অস্বাভাবিকতা কোথায়? অস্বাভাবিকতা হলো, এই বিশেষজ্ঞ দল সব দেশেই কি এই ধরনের আহ্বান জানান? এর উত্তর দেওয়ার আগে আমরা একটু পেছনে ফিরতে চাই।  যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সেই সময় কালো মানুষদের ওপর কুকুর লেলিয়ে দিয়েছিল সাদা মানুষ। এই প্রতিবেদন যখন প্রচারিত হয়েছিল তখন আমি বেশ হতবাক হয়েছিলাম। আমার মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছিল, এই সময়েও যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশেও এই ঘটনা ঘটে! পরে জানলাম, এটি তাদের দেশের স্বাভাবিক ঘটনা। এবং শুধু যে স্বাভাবিক তা নয়, এই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিজেও বন্ধ করতে পারেননি। ওবামা নিজেও একজন কালো মানুষ, এই লড়াই তারও। এই যে বর্ণবাদী চিন্তা বা মানসিকতা যুক্তরাষ্ট্রের মানুষদের, তারা কি নিজেদের দেশে কালো মানুষদের অধিকার বা মানবাধিকার এখনো নিশ্চিত করতে পেরেছে? উত্তরটা দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। জর্জ ফ্লয়েডের কথা কি কারও মনে আছে? জর্জ ফ্লয়েড যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তাকে দিনের আলোয় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে একজন সাদা রঙের পুলিশ হত্যা করেছিল ২৫ মে ২০২০। এটা মনে করলেই কেমন যেন হতাশা জাগে মনে। বর্ণবাদ এখনো প্রবল সেই দেশে। বর্ণবাদের বাইরে গিয়ে এইবার ফিরি স্কুলের শিশুদের বিষয়ে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিশুদের স্কুলে আততায়ী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা সবচেয়ে জঘন্য ঘটনার মধ্যে অন্যতম। এই ঘটনাগুলো সবচেয়ে বেশি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে। এগুলো কি মানবাধিকার কমিশন বা জাতিসংঘ দেখে না? আশা করি এর উত্তরও দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এইবার ফিরি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। জাতিসংঘ যখন বাংলাদেশের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছে ঠিক সেইসময় ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের যুদ্ধ প্রবল থেকে প্রবল আকার ধারণ করেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ দেখেছে কীভাবে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা করে শিশুসহ অসংখ্য নারী, পুরুষদের হত্যা করেছে।  জাতিসংঘ কি এইখানে সরব ছিল? যদি কার্যকরভাবে জাতিসংঘ সরব থাকে তবে এত এত হত্যাকাণ্ড হয় কীভাবে? ইসরায়েলি বাহিনীর নিধনযজ্ঞে কেউ দাঁড়াতে পারেনি। জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস বা যুক্তরাষ্ট্র তো নাই-ই। তারা গোটা পৃথিবীকে পায়ে ঠেলে দিয়ে হত্যাযজ্ঞের উৎসবে মেতে ছিল। গোটা পৃথিবী ছি ছি করলেও ইসরায়েলি বাহিনী তা কি শুনেছে? তাদের দেশের কি মানবাধিকার ছিল? শুধু কি ইসরায়েল, সৌদি আরবে যখন নারীদের বিভিন্নভাবে হেয় করা হয় বছরের পর বছর বা আফগানিস্তানে তালেবানরা যখন মেয়েদের পড়া বন্ধ করে তাদের ঘরে বন্দি করে রাখতে চায় তখন কি জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস বা যুক্তরাষ্ট্র সরব থাকে? তাদের উচ্চারণ কি ইসরায়েল, সৌদি আরব বা আফগানিস্তানের কানে পৌঁছায়? না।  আরও বড় উদাহরণ হলো, মিয়ানমারের এত বড় জনগোষ্ঠী নিয়ে যে বাংলাদেশের নাভিশ্বাস, এই শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরানোর বিষয়ে জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস বা যুক্তরাষ্ট্র কেউই জোরালো ভূমিকা পালন করতে পারেনি। বরং এইক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুরুতেই বলছিলাম, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল সব দেশেই কি এই ধরনের আহ্বান জানান? উত্তর হলো, না। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল সেইসব দেশেই নিজেদের খেয়াল খুশি মতো মানবাধিকার সুরক্ষা বা মানবাধিকার বিষয়ক বক্তব্য দেয় বা সেইসব দেশে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় যেখানে তারা আসলে কথা বলে আরাম পায় বা তাদের সুযোগ দেওয়া হয়। যদি তাই না হয় তবে বর্ণবাদ ইস্যু যুক্তরাষ্ট্রে এখনো ভয়াবহ আকার ধারণ করতো না, ইসরায়েলি বাহিনী কবেই জাতিসংঘের আহ্বানে যুদ্ধ থামিয়ে দিত। এইসব কিছুই হয়নি। তা যে হবে তাও অমূলক। কারণ জাতিসংঘ ঠিকভাবে কাজ করে না। তাই জাতিসংঘের সেই বিশেষজ্ঞ দলের প্রতি আহ্বান, যদি মানবাধিকার ইস্যুতে সরব থাকেন তবে সবদেশেই সরব থাকবেন। বেছে বেছে পক্ষ নিয়ে মানবাধিকার সুরক্ষার কথা বলে আসলে শোভন নয়। এতে বরং জাতিসংঘের ওপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাবে। সূত্র: গণমাধ্যমকর্মী
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৭

বিএনপির সঙ্গে ইইউ নির্বাচনি বিশেষজ্ঞ দলের বৈঠক
বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল। ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া দেড় ঘণ্টার এ বৈঠক শেষ হয় সন্ধ্যায়।বৈঠকে বিএনপি পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও বিএনপি মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ। ইইউ নির্বাচনি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সদস্য ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড (ইলেকশন এক্সপার্ট), আলেকজান্ডার ম্যাটাস (ইলেকটোরাল এনালিস্ট), সুইবেস শার্লট (ইলেকটোরাল এনালিস্ট) এবং রেবেকা কক্স (লিগ্যাল এক্সপার্ট)। কারিগরি বিশেষজ্ঞ দলটি ২৯ নভেম্বর একটি বিশেষ ফ্লাইটে দুই মাসের মিশনে বাংলাদেশে আসেন বিশেষজ্ঞ দলের চার সদস্য। শুরুতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করে। এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশে এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না বলে জানায় ইইউ। চিঠিতে ইইউ জানায়, বাংলাদেশে নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ নেই। তাই বাংলাদেশে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর মতো তহবিল না থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। নির্বাচন দেখতে বিভিন্ন সংস্থার ৮৭ জন পর্যবেক্ষক ইতোমধ্যে আবেদন জানিয়েছে। এ ছাড়া ৩৪ দেশ ও চারটি সংস্থার ১১৪ জন পর্যবেক্ষককে ভোট দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়