• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই অভিনেত্রীর বিলাসবহুল বাড়ি
বর্তমানে বিভিন্ন জায়গাতেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এতে কারও দোকান পুড়ে যাচ্ছে তো কারও বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। এবার আগুনে পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বৃটিশ মডেল-অভিনেত্রী কারা ডেলেভিনের বিলাসবহুল বাড়ি।  গত ১৪ মার্চ সকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত কারা ডেলেভিনের  বিলাসবহুল বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।  যুক্তরাষ্ট্রের একটি গণমাধ্যমে জানায়, বাড়িটির পেছনে প্রচন্ড আগুনের শিখা দেখতে পান ফায়ারকর্মীরা। দুতলা বাড়িটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯৪ জন কর্মী ২ ঘণ্টা কাজ করেন। কিন্তু ততক্ষণে কারা ডেলেভিনের বাড়ির ছাদের পুরো অংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেসময় যুক্তরাজ্যে ছিলেন এই অভিনেত্রী।    ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কারা ডেলেভিন লেখেন, ‘আজ আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। আমি এটি বিশ্বাস করি না। চোখের পলকে মানুষের জীবন বদলে যায়।’      স্টুডিও সিটিতে অবস্থিত কারা ডেলেভিনের বিলাসবহুল এই বাড়িটি। ২০১৯ সালে বাড়িটি কেনেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম পেজ সিক্স জানায়, বাড়িটির মূল্য ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।  প্রসঙ্গত, মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়েও দক্ষ কারা ডেলেভিন। আলোচিত সুপারহিরো সিনেমা ‘সুইসাইড স্কোয়াড’ অভিনয় করেছেন তিনি। প্রখ্যাত ফরাসি পরিচালক লুক বেসোঁর সিনেমাতেও দেখা গেছে তাকে।  সূত্র : সিএনএন    
১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫১

রাজধানীতে কুকুর-বিড়ালের বিলাসবহুল হোটেল!
যত বিচিত্র মানুষ, ততই বিচিত্র তাদের শখ-আহ্লাদ। মানুষের এই বিচিত্র শখেরই যেন প্রতিনিধিত্ব করছে রাজধানী ঢাকার কিছু বিলাসবহুল হোটেল। তবে, হোটেলগুলো মানুষের থাকার জন্য নয়। পোষা কুকুর-বিড়াল থাকে সেখানে।   এমনই একটি হোটেল ফারিঘর। কী নেই মিরপুরের চিড়িয়াখানা এলাকায় অবস্থিত অভিজাত এই প্যাট হোটেলটিতে! আপনার শখের পোষা প্রাণীটার আরামের জন্য এসি আর হিটারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে হোটেলটিতে। প্রতিবেলায় তাদের সামনে হাজির করা হয় রুচি অনুযায়ী স্বাস্থসম্মত সব খাবার। প্রতিদিন নিয়ম করে গোসল করানো হয় শ্যাম্পু দিয়ে। আপনার পোষা প্রাণীটির সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যও আছে সুব্যবস্থা।   এতসব সুবিধা থাকায় হোটেলটি পরিচিতি পেয়ে গেছে কুকুর-বিড়ালের ফাইভস্টার হোটেল হিসেবে। প্রায় এক বছর ধরে সেখানে থাকছে প্যান্ডা নামের একটি পোষা বিড়াল। তার মালিক ডাক্তার মাইমুনা সিফা। বর্তমানে তিনি আছেন ইউরোপের কোনও একটি দেশে। বিদেশে যাওয়ার পর প্যান্ডার দেখভাল করতেন তার বাবা-মা। কিন্তু তাদের অসুস্থতার কারণে যত্নআত্মিতে ঘাটতি পড়ে যায় প্রিয় প্রাণীটির। এরপর বিড়ালটিকে হোটেলে পাঠায় সিফা। প্যান্ডার প্রিয় খাবার মুরগির মাংস। প্রতিদিন ৩ বেলা সেদ্ধ করে দিতে হয় মাংস। মাসে ১২ কেজির মতো মাংস লাগে প্যান্ডার। ৪২০ টাকা কেজি দরে তার পেছনে খাবারে খরচ হয় ৫ হাজার টাকার মতো। বছরে ৬০ হাজার টাকার কিছু বেশি। তাছাড়া প্যান্ডার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ চিকিৎসা বাবদ খরচ হয় আরও কিছু টাকা। প্রতিমাসে বিদেশ থেকে প্যান্ডার জন্য মাসিক হোটেল ভাড়া পাঠায় তার মালিক ডা. সিফা। হোটেলে বিড়াল রাখতে প্রতিদিনের জন্য ভাড়া গুণতে হয় ৭শ টাকা। কিন্তু প্যান্ডার জন্য ছাড় দিয়ে ভাড়া প্রতিদিন ৪০০ টাকা। সেই হিসেবে বিড়ালের জন্য বছরে প্রায় দেড় লাখ টাকা রুম ভাড়া পরিশোধ করেছেন ডাক্তার সিফা। নিয়মিত ফোন করে প্রিয় বেড়ালের খোঁজখবরও রাখেন তিনি। পশু হলেও হোটেলে আদর-সোহাগের কমতি নেই প্যান্ডার। ফারিঘরের ম্যানেজার তোয়ানুর রাহা জানান, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে এই প্যাট হোটেলে আছে প্যান্ডা। ও হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে পুরাতন গেস্ট এবং সবচেয়ে লম্বা সময়ের গেস্ট। এই হোটেলে বিড়াল রাখতে চাইলে প্রতিদিনের জন্য ভাড়া গুনতে হবে ৭শ টাকা । তবে প্যাকেজে ৭ দিনের বেশি রাখতে তার জন্য ছাড় দিয়ে রাখা হয় ৫৭০ টাকা করে। ১৫ দিনের বেশি সময় রাখলে তার জন্য ভাড়া ৫০০ টাকা করে। এক মাসের বেশি সময় কেউ রাখলে তার জন্য ৪শ টাকা হোটেল ভাড়া দিতে হয়। প্যান্ডা যেহেতু এক বছর ধরে আছে তার জন্য ৪০০ টাকা হারে ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন তার মালিক ডা. সিফা। প্যান্ডার মতো আরও অন্তত ৩৬টি পোষা প্রাণী আছে ফারিঘর নামে মিরপুরের এই প্যাট হোটেলে। তাদের দেখাশোনা করেন হোটেল ম্যানেজার তোয়ানুর রাহা।  তিনি জানান, বিড়াল বা কুকুরকে বিদেশে নিতে দেশ ভেদে ভ্যাক্সিনেশনের পাশাপাশি লাগে বিশেষ পাসপোর্টও। সেই জটিলতা এড়াতেই অনেকে তার হোটেলে রেখে যান প্রিয় প্রাণীটি। রাহা জানান, তাদের হোটেলে প্রতিটি বিড়ালের জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পৃথক কেবিন। বিশেষ আদর আপ্যায়নের সঙ্গে আছে ক্যাট ট্রি, কুশন ও লিটারের ব্যবস্থা। কুকুরের জন্য বিছানা বালিশ তো আছেই, আবার প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্যও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। অবশ্য, এই হোটেলে শুধু থাকার ব্যবস্থা আছে বিড়াল বা কুকুরের জন্য। খাবার দিয়ে যেতে হয় প্রাণীটির মালিককে। কারণ প্রতিটি বিড়াল বা কুকুর আলাদা আলাদা খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত। কেউ প্যাকেট ফুড খায়, কেউ ড্রাই ক্যাট বা ডগ ফুড খায়। কেউ পাউচ খায়। কেউ মাছ খায় কেউ মাংস খায়।  যে যে খাবারে অভ্যস্ত তাকে সেই খাবার দিতে হয়; না হয় তাদের ফুড পয়জনিং হতে পারে। বমি হতে পারে। হোটেল কর্তৃপক্ষের মতে, যত্নের কুকুর-বিড়ালকে রাখার জায়গা না থাকায় এতদিন সমস্যায় পড়তে হতো প্রাণীপ্রেমীদের। তবে, ফারিঘরের মতো হোটেল গড়ে ওঠায় এখন স্বস্তি এসেছে কর্মব্যস্ত মানুষের। সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় নিজেদের পোষা প্রাণীকে হোটেলে রেখে যান অনেকে। মিরপুরের চিড়িয়াখানা সড়কে কয়েক বছর ধরে গড়ে ওঠা এমন হোটেলের চাহিদাও দিনে দিনে বাড়ছে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৭

বিলাসবহুল গাড়ি আর প্লেনেও ব্যবহার হয় বাংলাদেশের পাট
বিলাসবহুল গাড়ি, উড়োজাহাজ, টেক্সটাইল, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের পাট ব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন  কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিজেআরআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং জেনোম গবেষণা কেন্দ্রের সাফল্য ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনারে এ তথ্য দেন তিনি। এ সময় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ পাটজাত পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি করতে পাট নিয়ে আরও গবেষণা করতে দেশের বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের বড় সম্পদ। পাট বাংলাদেশের লাভজনক পণ্য। এক সময় নারায়ণগঞ্জকে বলা হতো প্রাচ্যের ডান্ডি। বাঙালি বিজ্ঞানীদের অত্যন্ত মেধাবী হিসেবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে পাটের জিন রহস্য বা জেনোম কোড উদ্ভাবিত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বাংলাদেশের পাট ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বের বিলাসবহুল বিভিন্ন ব্রান্ডের গাড়ি, উড়োজাহাজ, টেক্সটাইল, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন খাতে। এ সময় পাটখড়ির ছাই বা চারকোলকে গুরুত্বপূর্ণ রফতানি পণ্য অভিহিত করে বাংলাদেশ থেকে চারকোল রফতানি এবং চারকোল থেকে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদনে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি এবং জানান, বাংলাদেশে পাটের উৎপাদন ৩৩ লাখ বেল বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের পাটশিল্পের উন্নয়নে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে এর বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি বিজ্ঞানীদের প্রতি পাটবীজে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে পাটবীজের জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়। উন্নতমানের পাটবীজ উৎপাদন ও উদ্ভাবনে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজেআরআইর মহাপরিচালক আব্দুল আউয়াল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রমুখ।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়