• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ / বিরল মহাজাগতিক ঘটনা দেখল কোটি মানুষ
কোটি কোটি মানুষ সোমবার উত্তর আমেরিকার পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হলেন। মহাজাগতিক এ বিরল ঘটনায় এদিন বিশালকার সূর্যকে ঢেকে ফেলে তুলনামূলক ক্ষুদ্রাকার চন্দ্র। এক পর্যায়ে দিনের আলো নিভে গিয়ে চারদিক ঘন অন্ধকারে ঢেকে যায় আর হাজার হাজার মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়ে। বিরল এ দৃশ্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছে। খবর বিবিসি ও এপির। সোমবার উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে দেখা গেছে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। দেশ তিনটির ১৫৫ মাইল প্রশস্ত কিন্তু ৪০০০ মাইলেরও বেশি লম্বা ফিতার মতো একটি ভূখণ্ডজুড়ে কয়েক কোটি মানুষ বিরল এই দৃশ্য উপভোগ করেছেন। মেক্সিকোর মাজাতলান শহরের উষ্ণ বালুর সৈকত থেকে শুরু হয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বিপুল জলরাশির ওপরের আকাশ অন্ধকার করে দিয়ে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সমুদ্র তীরে গিয়ে শেষ হয় এই বিশেষ প্রাকৃতিক ঘটনা। পেছেনে রেখে যায় বিস্ময়াবিভূত কয়েক কোটি প্রত্যক্ষদর্শীকে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আগেই জানিয়েছিল, এই তিন দেশে ৩ কোটি ১৬ লাখ মানুষ এই সূর্যগ্রহণ উপভোগ করতে পারবে। বিবিসি জানিয়েছে, মেক্সিকোর স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূলের মাজাতলান শহরের কাছ থেকে প্রথম এই সূর্যগ্রহণ দেখা যেতে শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে মনে হচ্ছিল চাঁদের কিনারাটি সূর্যকে একটু স্পর্শ করেছে মাত্র, কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূর্যকে ‘গ্রাস’ করতে শুরু করে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটি আর শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি ঢেকে দিলে হঠাৎ করেই অন্ধকার নেমে আসে। এ সময় উল্লাসে ফেটে পড়েন সূযগ্রহণ দেখতে জড়ো হওয়া হাজার হাজার মানুষ। চাঁদের কিনারা দিয়ে সূর্যের আলোকচ্ছটা (করোনা) বের হওয়ায় এক অপার্থিব দৃশ্য তৈরি হয়। এরপর আসে ‘ডায়মন্ড রিং’ এর বিরল মুহূর্ত। এ সময় হঠাৎ তাপমাত্রা কিছুটা নেমে যায়, প্রাণীরা চুপ হয়ে যায়, পাখিরা ওড়াউড়ি করে বাসায় ফেরার তোড়জোড় শুরু করে। দিনের আকাশেই তারা দেখা যেতে শুরু করে।     মেক্সিকোর উপকূলীয় শহর থেকে সূর্যগ্রহণের পথ এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। টেক্সাস অঙ্গরাজ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। সূর্যগ্রহণের সময় কয়েকশ মার্কিন জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৩টা ১৩ মিনিটে দেশটির মধ্যপশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ওহাইও অন্ধকারে ঢেকে যায়। এখানে আতশবাজি ফুটিয়ে উল্লাস করে সূর্যগ্রহণ দেখতে আসা লোকজন। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় শহর নিউ ইয়র্কে কয়েকশ মানুষ ম্যানহ্যাটনের আকাশচুম্বি ভবন অ্যাজ এর একটি উঁচু বড় বারান্দায় বসে সূর্যগ্রহণ উপভোগ করে। অবশ্য শহরটি থেকে পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যায়নি। ঈদের চাঁদের মতো সূর্যের একটি অংশ দৃশ্যমান হয়ে ছিল, এ সময় অপার্থিব এক মৃদু আলোতে ছেয়ে যায় পুরো শহর।  যুক্তরাষ্ট্র থেকে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের দিক দিয়ে সূযগ্রহণ কানাডায় প্রবেশ করে। এখানে সীমান্তের উভয়পাশে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে গ্রহণ উপভোগ করে। তবে এখানে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ কিছুটা বিঘ্ন ঘটালেও পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় মেঘ সরে যায়।  এরপর কানাডার মন্ট্রিয়েল শহর হয়ে সূর্যগ্রহণ এগিয়ে যায় আরও উত্তর দিকে। মন্ট্রিয়েলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাঠে একসঙ্গে ২০ হাজার মানুষ পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ উপভোগ করে। এই পূর্ণ গ্রাস সূর্যগ্রহণ শেষ দেখা যায় কানাডার পূর্ব উপকূলের নিউফাউন্ডল্যান্ডের ফোগো দ্বীপ থেকে। ফেলে আসা পথের বিভিন্ন এলাকার তুলনায় এখানে অপেক্ষাকৃত কম মানুষ বিরল এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে জড়ো হয়েছিলেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮

বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ চলছে, দেখুন সরাসরি
বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ চলছে। উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে মহাজাগতিক এই দৃশ্য সরাসরি দেখা যাচ্ছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) মেক্সিকোর স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১১টা (বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১১টা) থেকে বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। এরপর চাঁদের ছায়া ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হবে এ সূর্যগ্রহণ।   সূর্যগ্রহণের সময় রাত হওয়ায় বাংলাদেশ বা এশিয়ার অন্য জায়গা থেকে এটি দেখা যাবে না। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে ৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ সরাসরি উপভোগের সুযোগ পাবেন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ।    আরটিভির মাধ্যমে বিরল এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখুন সরাসরি-
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২২

যেভাবে দেখবেন বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ
ক্যালেন্ডারের পাতায় ৮ এপ্রিল ২০২৪। এ দিন বছরের প্রথম ও বিরল সূর্যগ্রহণ দেখবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডাবাসী। পাশাপাশি প্রযুক্তির কল্যাণে ৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ সরাসরি উপভোগের সুযোগ পাবেন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ। ইতোমধ্যে যেসব জায়গায় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, নিউইয়র্ক, ভার্মন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও মেইন অঙ্গরাজ্যের পাশাপাশি মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত সৈকত শহর মাজাটলানের কাছে দর্শকরা ভালোভাবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ উপভোগ করতে অন্যান্য দেশ থেকেও জড়ো হচ্ছেন। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশাবলের মতে, ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী আগামী ৮ এপ্রিল দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাসা এই ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ৮ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দেখা যাবে। এই ঘটনার লাইভ স্ট্রিম নাসার ইউটিউব চ্যানেলে ও নাসাপ্লাস ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করবে। একইসঙ্গে জানা যায়, এবারের সূর্যগ্রহণটি ৭ দশমিক ৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে; যা ঘটে সুদীর্ঘ ৫০ বছরের মধ্যে একবার। এর আগে, সর্বশেষ ১৯৭৩ সালে এরকম দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। 
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০২

শিশুদের বিরল রোগের ‌‌‘জিন থেরাপি’ বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধ
মেটাক্রোম্যাটিক লিউকোডিস্ট্রফি বা এমএলডি নামক অতি বিরল রোগের জন্য নতুন একটি জিন থেরাপির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার পাইকারি মূল্য ৪ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার। এটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওষুধ। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গত সোমবার ওষুধটির অনুমোদন দেয়।  এমএলডি একটি বিরল এবং মারাত্মক রোগ যা সাত বছরের কম বয়সী শিশুদের আক্রান্ত করে। এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা কখনও কখনও হাঁটতে এবং কথা বলার ক্ষমতা হারাতে শুরু করে। ওষুধটির প্রস্তুতকারক সংস্থা অরচার্ড থেরাপিউটিকসের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া প্রতি এক লাখ শিশুর মধ্যে একটি শিশু এমএলডি নামক বিরল রোগে আক্রান্ত হয়। বছরে এই সংখ্যা ৪০ শিশুর কম। অরচার্ড থেরাপিউটিকসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডা. ববি গ্যাসপার বলেছেন, এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ওষুধ। এটিতে শিশুদের বিধ্বংসী রোগকে প্রতিরোধ করার সক্ষমতা রয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২১:০৫

বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব
আগামী ৮ এপ্রিল বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব। তবে, পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। বিরল এ সূর্যগ্রহণের ফলে ওইদিন মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে দিন হবে রাতের মতো অন্ধকারাচ্ছন্ন। তাই ৮ এপ্রিল শত শত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।  মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  নাসা বলছে, আগামী ৮ এপ্রিল স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে প্রথম সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ৫৪ বছর পর এমন সূর্যগ্রহণ হওয়ায় নাসার বিজ্ঞানীরা এটিকে ‘বিশেষ’ বলে বর্ণনা করেছেন। এর আগে ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল, আবার হতে পারে ২০৭৮ সালে। তবে বিরল এই সূর্যগ্রহণ নিয়ে কিছু উদ্বেগও রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, সূর্যগ্রহণের সময় সরাসরি সূর্যের দিকে তাকানোর ফলে চোখের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, নিউইয়র্ক, ভার্মন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার এবং মেইন অঙ্গরাজ্য থেকে পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।  এদিকে সূর্যগ্রহণ ঘিরে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ‘দুর্যোগ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় পণ্য মজুত রাখারও পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিন চলাচলের সময় ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থীদের বিশেষ চশমাও দেওয়া হবে।
২২ মার্চ ২০২৪, ০৮:১২

বিরল সূর্যগ্রহণ দেখবে বিশ্ব, দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার
আগামী ৮ এপ্রিল বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একই সঙ্গে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে দেখা যাবে না এটি। যুক্তরাষ্ট্রসহ তিন দেশে দিনকে রাতের মতো অন্ধকার দেখাবে। বিরল এক সূর্যগ্রহণের ফলে মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানুষ দেখবে এমন দৃশ্য। ওই দিন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার। প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দিন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে এ দৃশ্য দেখা যাবে। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একইসঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে এর দর্শন মিলবে না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের সূর্যগ্রহণ খুবই বিরল। পূর্ণ সূর্যগ্রহণের তারিখে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের মতো আকাশ অন্ধকার হয়ে যাবে। মূলত, সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ এলে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। নির্দিষ্ট সময় সূর্যকে সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করে ফেলে এটি। এতে সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। ফলে আকাশ হালকা অন্ধকার হয়ে যায়। সে সময়কে ভোর বা সন্ধ্যার মতো মনে হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৮

সুন্দরবনে জেলের জালে বিরল প্রজাতির মাছ
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিরল প্রজাতির একটি সামুদ্রিক জাভা ভোল মাছ। শুকুর আলী নামের ওই জেলের জালে এ মাছ ধরা পড়ে। মাছটির দাম চাওয়া হচ্ছে পাঁচ লাখ টাকা। তবে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত মাছটির দাম উঠেছে তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এ বিষয়ে জেলে শুকুর আলী বলেন, বনবিভাগ থেকে পাস নিয়ে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সুন্দরবনের ফিরিঙ্গি এলাকার একটি খালে জোয়ারের সময় খাল পাটা দিয়েছিলাম। পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদীর ফিরিঙ্গি এলাকা থেকে ২৫ কেজি ৩৬০ গ্রাম ওজনের মাছটি ধরা পড়ে। সন্ধ্যায় মাছ নিয়ে ঘাটে পৌঁছালে ব্যবসায়ীরা মাছটি কিনতে এসেছিলেন। সেখানে নিলামে দাম উঠেছে তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তবে এটির দাম আরও অনেক বেশি। তিনি আরও বলেন, এখানকার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে তারা মাছটির সঠিক মূল্য বলছেন না। এটি খুলনায় নিয়ে গেলে আরও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো। এজন্য এখনও মাছটি বিক্রি করিনি।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৭

মৌলভীবাজারে পাওয়া গেল বিরল প্রজাতির মাকড়সা! 
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পদ্মছড়া চা বাগানের শ্রমিক লাইনের একটি বাড়িতে দেখা মিলল বিরল প্রজাতির ক্রেব স্পাইডার মাকড়সা।  জানা যায়, উপজেলার মাধবপুর চা বাগানের ফাঁড়ি পদ্মছড়া চা বাগানের শ্রমিক লাইনে অবস্থিত বুলবুল আহমেদের বাড়ি থেকে মাকড়সাটি পাওয়া যায়। গত শনিবার রাতে বিরল প্রজাতির মাকড়সাটি প্রথম দেখতে পান বাড়ির মালিক বুলবুল আহমেদ। পরে মাকড়সাটিকে ধরে একটি কৌটাতে সংরক্ষণ করে লাউয়াছড়া বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে খবর দেন তিনি।  খবর পেয়ে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাড়ির মালিক বুলবুল আহমেদ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।  পরে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা বিরল প্রজাতির মাকড়সা দেখে বন্যপ্রাণী বিভাগে এ মাকড়সার ছবি পাঠিয়ে মুঠোফোনে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শ্রীমঙ্গলের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।  এ সময় তিনি জানান, এ মাকড়সাটির নাম হচ্ছে ক্রেব স্পাইডার। এটি বাংলাদেশের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে বিচরণ করে থাকে। এ মাকড়সাকে কোনো গাছের ডালে উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।  এ দিন বিকেলে বুলবুল আহমেদ ও তার মা জয়গুণ বেগম বিরল মাকড়সাটিকে কাঁঠাল গাছে উন্মুক্ত করেন।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৫

পঞ্চগড়ে বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার
পঞ্চগড়ে একটি বাড়ি থেকে বিরল প্রজাতির একটি গন্ধগোকুল নামের প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে।   শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বন বিভাগের কর্মীরা জেলা শহরের মসজিদ পাড়া এলাকা থেকে প্রাণীটিকে উদ্ধার করেন। আশরাফুল নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থাকা কবুতরের খাঁচা থেকে প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হয়। পর ওই প্রাণীটিকে জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয়রা ও বন বিভাগের কর্মীরা বলছে, আশরাফুলের বাড়ির সকল সদস্য বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়। পরদিন শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে কবুতরের খাঁচায় একটি ভিন্ন প্রাণী দেখতে পান। এর মাঝে প্রাণীটি দুইটি কবুতরকে মেরে রেখে আরও দুইটি কবুতর খেয়ে নেন। এর মাঝে খাঁচায় আটকা পড়লে আজব প্রাণী আটক হওয়ার বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমবারের মত প্রাণীটিকে দেখতে অনেকই ভিড় জমান ওই বাড়িতে। এদিকে বিকেলে খবর পেয়ে পঞ্চগড় বন বিভাগের কর্মীরা প্রাণীটিকে উদ্ধার করে রাতে সদরের লাঠুয়াপাড়া এলাকায় একটি জঙ্গলে প্রাণীতে অবমুক্ত করে। বন বিভাগের কর্মীরা বলছে, প্রাণীটির নাম গন্ধগোকুল। আর এটির ওজন প্রায় ৮ কেজি হলেও লম্বায় আড়াই ফিট ও উচ্চতায় দুই ফিট। এ বিষয়ে বাড়ির মালিক আশরাফুলের স্ত্রী মনোয়ারা বলেন, আমরা ঘুমাইছিলাম। এর মাঝে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি খাঁচার ভেতর দুইটি কবুতর মরে পরে আছে। আর দুটিকে খাচ্ছে প্রাণীটি। এরকম প্রাণী আগে দেখিনি, আমরা দেখে অবাক। আশরাফুলের ছেলে জানান, শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি কবুতরের খাঁচার ভেতর এই আজব প্রাণীটি। খাঁচায় থাকা চারটি কবুতরের মধ্যে দুইটিকে খেয়ে ফেলে দুইটি কবুতরকে মেরে ফেলে রেখেছে। পরে প্রাণীটির সম্পর্কে এলাকার মানুষের কাছে জানার চেষ্টা করি আমরা। এর মাঝে বন বিভাগ খবর পেয়ে খাঁচা থেকে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে। তবে বন বিভাগের লোক আসার পর আমরা জানতে পারি এটির নাম গন্ধগোকুল। পঞ্চগড়ের সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ মধুসুদন বর্মন জানান, এই বিরল প্রজাতির প্রাণীটি প্রায় বিলুপ্ত। খবর পেয়ে আমরা বিকেলে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে প্রাণীটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদরের লাঠুয়াপাড়া এলাকায় একটি বনে অবমুক্ত করি। মূলত এটি অরক্ষিত এবং নিশাচর প্রাণী হওয়ায় প্রাণীটিকে আবার প্রকৃতির মাঝে ছেড়ে দেওয়া হয়।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১০

মহেশপুর সীমান্ত থেকে বিরল প্রজাতির ৪০ কচ্ছপ উদ্ধার
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে বিরল প্রজাতির ৪০টি কচ্ছপ উদ্ধার করেছে ৫৮ বিজিবি। রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মাটিলা সীমান্ত থেকে কচ্ছপগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পরিচালক এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কিছু বিদেশি প্রজাতির কচ্ছপ ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে আসা হবে; এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মহেশপুর উপজেলার মাটিলা সীমান্তে ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহল দল মাটিলা বিওপি এলাকায় মাঠের মধ্যে অবস্থান নেয়। এ সময় পাচারকারী বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তার ফেলে যাওয়া একটি বাজারের ব্যাগ থেকে ৪০টি বিদেশি প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়।  উদ্ধার কচ্ছপগুলো বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সংরক্ষণ বিভাগ, বয়রা খুলনায় জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়