নির্বাচনে সহায়তায় দুর্গম পাহাড়ে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট বাক্স ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট জনবল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ভোটকেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দ্বারা উড্ডয়ন কার্যক্রম পরিচালনা চলমান এবং সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে বুধবার থেকে নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন শুরু করেছে সশস্ত্র বাহিনী।
আরও পড়ুন : টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী!
আইএসপিআর জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনী ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী বুধবার থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে “ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার” এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা, মেট্রোপলিটন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থান ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীসমূহ এলাকাভিত্তিক মোতায়েন করা সম্পন্ন হয়েছে। সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন : ঘোড়ায় চড়ে ভোট চাইলেন সাঈদ খোকন
সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সাথে এবং উপকূলীয় ৪টি উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারের সহায়তায় দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্র সমূহে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা প্রদান করবে। এ ছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩০