• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ জানালেন সাবিনা ইয়াসমিন
ফের দেশের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, নিয়মিত চেকাপের জন্যই সিঙ্গাপুরে গেছেন এই গায়িকা। তাই বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন সাবিনা।     বর্তমানে সিঙ্গাপুরেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাবিনা। সেখান থেকেই একটি অডিওবার্তায় শারীরিক অবস্থা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।   সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আপনারা ২০০৭ সালে আমার অসুস্থতার কথা জানেন। এরপর থেকে প্রতিবছর নিয়মিত চেকাপের জন্য সিঙ্গাপুর যেতে হয় আমাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবার চেকাপে এসে আমার দাঁতের একটা সমস্যা দেখা যায়। চিকিৎসক আমাকে সেটা রিমুভ করতে বলেন। তারই প্রেক্ষিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আমার ছোট একটি সার্জারি সম্পন্ন হয়।   গায়িকা আরও বলেন, চিকিৎসকের সঙ্গে আমার পরবর্তী অ্যাপয়েন্টমেন্ট আগামী ১৫ মার্চ। ততোদিন পর্যন্ত আমি চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণেই থাকব। অ্যাপয়েন্টমেন্টের পর চিকিৎসক যেভাবে বলবেন, সেভাবেই চলব। চিকিৎসা শেষে আপনাদের দোয়ায় দেশে ফিরে আসব, ইনশাআল্লাহ।   এসময় সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সাবিনা বলেন, সবার প্রতি অনুরোধ— অযথা কেউ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াবেন না। যেটা আমার ভক্তদের জন্য কষ্টের কারণ হয়।  ২০০৭ সালে প্রথম ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত হন সাবিনা। তখন দেশ-বিদেশ মিলিয়ে সবার উদ্যোগে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন এই গায়িকা। এরপর থেকে নিয়মিতই চেকআপের মাধ্যমে ভালো আছেন তিনি। গত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে গান গাইছেন সাবিনা। দীর্ঘ সংগীত জীবনের ক্যারিয়ারে ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়াও শিল্পকলার সংগীত শাখায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত করা হয়েছে। সাবিনার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে— ‘সব সখীরে পার করিতে’, ‘এই পৃথিবীর পরে’, ‘মন যদি ভেঙে যায়’, ‘ও আমার রসিয়া বন্ধুরে’, ‘জীবন মানেই যন্ত্রণা’, ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’, ‘সব ক’টা জানালা খুলে দাও না’, ‘ও আমার বাংলা মা’, ‘মাঝি নাও ছাড়িয়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ’, ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’সহ প্রভৃতি। সাবিনা ইয়াসমিন শেষ প্লেব্যাক করেছেন কবরী নির্মিত ‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমায়।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৭

গ্রামীন ব্যাংকের স্পষ্ট ব্যাখ্যার পরেও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ইউনূস সেন্টার
বাংলাদেশে গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণসহ সাতটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মধ্যকার দ্বন্দ্ব স্পষ্ট করেছে গ্রামীণ ব্যাংক। ১৭ ফেব্রুয়ারি ডাকা সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীন ব্যাংক স্পষ্ট করে বলেছে কেনো এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা কোন ব্যক্তির নয়। এরপরেও ১৮ ফেব্রুয়ারি আবারও ইউনূস সেন্টার বিবৃতি দিয়ে পাল্টা বক্তব্য হাজির করায় বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করছেন বিশ্লেষকরা।  অধ্যাপক ইউনূস অভিযোগ করেছেন যে, প্রতিষ্ঠানগুলো ‘জবরদখল’ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, 'তাদের টাকাতেই ওইসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে' দাবি করে গ্রামীণ ব্যাংক বলছে, আইন মেনেই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এখন আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বশেষ ঘটনা প্রবাহের শুরু গত সপ্তাহে। গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অধ্যাপক ইউনূস সংবাদ সম্মেলন করে তার প্রতিষ্ঠানে 'জবর দখলের' অভিযোগ করেন। পাল্টা জবাব হিসেবে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, অধ্যাপক ইউনূসের দাবি সঠিক নয়। এর আগে, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবনের ঢুকে পড়ে এবং তারা মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ দাবি করেছেন, চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও গ্রামীণ ব্যাংকসহ বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোেত ড. ইউনূসের কোনো মালিকানা বা অংশ নেই। ‌‌ ‘সব প্রতিষ্ঠানই তৈরি করা হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায়, এসব প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের’; শনিবার সাংবাদিকদের বলেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল মজিদ। গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো প্রতিষ্ঠানে ড. ইউনূসের মালিকানা নেই বলে ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে ইউনূস সেন্টার বলেছে, ড. ইউনূস নিজেই বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকসহ তাঁর সৃষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানে তাঁর কোনো শেয়ার বা মালিকানা নেই। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক ব্যতীত তাঁর প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর ২৮ ধারা অনুসারে গঠিত। যার কোনো ধরনের মালিকানা থাকে না। গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণে ড. ইউনূস আর চেয়ারম্যান নেই, নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বক্তব্য হচ্ছে, গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকমের জন্মলগ্ন থেকে ড. ইউনূস চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত আছেন।  গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণে ড. ইউনূস আর চেয়ারম্যান নেই, নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বক্তব্য হচ্ছে, গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকমের জন্মলগ্ন থেকে ড. ইউনূস চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত আছেন। প্রতিষ্ঠান দুটির শুরুতে তাদের আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনে চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমতা গ্রামীণ ব্যাংকের হাতে ছিল। পরে প্রতিষ্ঠান দুটি পরিচালনার সুবিধার্থে কোম্পানি আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী গ্রামীণ কল্যাণের আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনের ৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। সেটি ২০১১ সালের ২৫ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংকের যুক্তি অপেক্ষাকৃত গ্রহণযোগ্য এবং তারা তাদের যুক্তির অংশ হিসেবে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নিবে। ড. ইউনূস একভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানা চাইতে পারেন কিনা প্রশ্নে ব্যাংকের চেয়ারম্যান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এটা অসম্ভব। তিনি নিজেও সেটা জানেন। এখানে যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বলা হচ্ছে তার কোন মালিকানা থাকে না। উনি নিজেকে কেনো এখনও চেয়ারম্যান দাবি করছেন সেটাও আমাদের বোধগম্য নয়। গ্রামীন ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার বলেন, কমপ্রিহেন্সিভ অডিট করছি। সেখানে খুব চাঞ্চল্যকর বিষয় উঠে আসছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ড. ইউনূস যখন ব্যাংকের এমডি ছিলেন সেই সময় বোর্ডের মাধ্যমে। এটার মালিকানা তিনি নিজে ব্যক্তি হিসেবে কীভাবে দাবি করতে পারে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৩

ক্রমাগত বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি
কখনও জাতিসংঘের চিঠিকে মিথ্যা দাবি করে, কখনও সংসদে ৬৪৮ এমপি রয়েছে দাবি করে বিএনপি নেতারা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। ডিজইনফরমেশন ছড়ানোর অভিযোগে তাদেরকে অভিযুক্ত করা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, রাজনীতির মাঠে যেটা ঘটেনি সেটা উল্লেখ করে তথ্যবিভ্রাট করা উচিত না। বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছে। এখন যখন সরকার গঠন হয়ে গেছে তখন তারা ভুল রাজনীতির অংশ হিসেবে অসত্য তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।   বর্তমান সংসদে ৬৪৮ জন শপথ নেওয়া এমপি রয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জনসহ মোট ৬৪৮ জন শপথ নেওয়া এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। তাদের এমন একটা ইস্যু উত্থাপন মোটেও ‘সোজা পথে’ দেখতে পাচ্ছেন না বিশ্লেষকরা। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এটি নিয়ে কথাও বলেছেন। তিনি জানান, এখন দেশে ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য (এমপি) রয়েছেন বলে যে আলোচনা চলছে, তা নীতি-নির্ধারকরা চাইলে সংবিধানের আলোকে স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক।  তিনি আরও বলেন, সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল।   এদিকে টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি চিঠি লেখেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। অথচ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া চিঠির সত্যতা নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতারা। তাদের দাবি, চিঠির ভাষায় নানা অসঙ্গতি দেখা রয়েছে। এসব অসঙ্গতির জবাব চায় দলটি। তারা বিশ্বাসই করতে চাননি যে জাতিসংঘ বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি লিখতে পারে। তাদের সেই দাবির অসত্যতাও এরই মধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে।  গত ২২ জানুয়ারি জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করেন এবং শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া চিঠির বিষয়ে জানতে চান। জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব শেখ হাসিনার কাছে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। প্রথা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানরা পুনর্নির্বাচিত হলে মহাসচিব এরকম চিঠি পাঠান।   বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘের মত সংস্থার চিঠি নিয়ে এ ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করে নিজেদের দৈন্য প্রকাশ করেছে বিএনপি। মহাসচিবের চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকারের মধ্য দিয়ে বিএনপির রাজনীতি আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।  একের পর এক ইস্যু তৈরি করতে গিয়ে জনগণের আস্থার জায়গা থেকে বিএনপি সরে যাচ্ছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জিয়া রহমান বলেন, তারা নির্বাচনের পরে দল গোছানো এবং জনগণের ইস্যুতে কথা বলার জায়গা তৈরি না করে সরকারের বিরোধিতা ও নেতিবাচক ইমেজ তৈরির চেষ্টায় নানা কূটচাল দিচ্ছে। এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এটা অনেকটা অন্যের নাক কেটে নিজের যাত্রাভঙ্গের মত। এভাবে তারা যদি ক্ষমতায় আসার পরিবেশ তৈরি করতে পারবে বলে মনে করে, সেটাও হবে ভুল ধারণা।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৩

গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট নিয়ে বিভ্রান্তি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আসনটিতে ভোট হওয়া নিয়ে দুই রকমের তথ্য সামনে আসছে।  শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আসনটিতে ভোট স্থগিত করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। বলা হয়, নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় আসনটির ভোট স্থগিত হয়েছে। এদিকে খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট স্থগিত করা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। গাইবান্ধা-৫ আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ফারজানা রাব্বী বুবলী (ট্রাক), শামসুল আজাদ শীতল (ঈগল পাখি), বিকল্প ধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), এনপিপির ফারুক মিয়া (আম) এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার। তবে গত ৩ জানুয়ারি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন আতাউর রহমান।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়