• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বান্দরবানে হামলা চালানোর কারণ নিয়ে কুকি-চিনের বিবৃতি
দেশের তিন পার্বত্য জেলায় আতঙ্কের নাম কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি ব্রাঞ্চে নজিরবিহীন ডাকাতির ঘটনা ঘটায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি। এরপর থেকেই কেএনএফকে নিয়ে পাহাড়ে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে প্রথমবার মুখ খুললো বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বিবৃতিতে ব্যাংক ও থানায় হামলা চালানোর কারণ জানিয়েছে তারা। কেএনএফের বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, দু’পক্ষের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি সংলাপের বৈঠকে স্বাক্ষরিত শর্ত অনুযায়ী কাজ করেনি সরকার। সংগঠনটির অভিযোগ, বন্দিদের (যারা কেএনএফের সদস্য নয় এবং নিরীহ গ্রামবাসী) এক মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চার-পাঁচ মাস পরেও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। কেবল আর্মি ক্যাম্প থেকে বন্দি মেয়েটিকে (জেলে থাকা অবস্থায় যার গর্ভপাত হয়েছিল) মুক্তি দেওয়া হয়েছে।  যে ক্যাম্পগুলো সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল, সেগুলো সরানো হয়নি। বরং সেখানে ক্যাম্প ও চেকপোস্ট বসিয়ে নিরীহ মানুষকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হচ্ছে। রুমা সেনানিবাসের অধীন সানসাং পাড়া ক্যাম্পে দুই নিরীহ লোক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দ্বিতীয় শান্তি আলোচনাতেও সরকারি প্রতিনিধি ও শান্তি কমিটি কোনো উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৩

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জামায়াতের বিবৃতি
রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই চাল, ডাল এবং তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রোববার (১০ মার্চ) সংগঠনটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এ বিবৃতি দিয়েছেন। এতে বলা হয়, রমজান মাস শুরুর আগেই চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। একইসঙ্গে সরকারের ভুল নীতি ও দলীয় লোকদের সিন্ডিকেটের কারণে তারা বাজার নিয়ন্ত্রণেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকার ইসলামে নিষিদ্ধ মদের ওপর শুল্ক ফ্রি করে খেজুরের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে ইফতারের সবচেয়ে প্রচলিত খাদ্য খেজুরের মূল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে সাহরি ও ইফতার করে রোজা পালন করতে পারে এর জন্য আমরা সিন্ডিকেট ও মজুতদারি বন্ধের দাবি জানাই। বিবৃতিতে পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় দিনের বেলায় হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা বন্ধ করে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে অশ্লীল পোস্টার ও বিলবোর্ড অপসারণ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত, যানজট দূরীকরণ, ঈদের এক সপ্তাহ আগেই শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ রাখতে আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিরত থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল বন্দি ও আলেম-ওলামাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
১১ মার্চ ২০২৪, ১২:১৮

প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে বিবৃতি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি একটি বহুতল ভবনের নয় তলা থেকে প্রীতি উরাং নামের ১৫ বছরের এক শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়। নিহত শিশু ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় গৃহশ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিল। প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও ন্যায়বিচার চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ২৫ বিশিষ্ট নাগরিক।  বুধবার (৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এই দাবি জানান। এতে বলা হয়, প্রীতি উরাং নিহত হওয়ার পর স্থানীয়রা প্রীতিকে হত্যা করা হয় অভিযোগ করে এলাকায় বিক্ষোভ করে। ৭ ফেব্রুয়ারি প্রীতি উরাং এর বাবা লোকেশ উরাং মোহাম্মদপুর থানায় সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী বর্তমানে কারাগারে আছেন। ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসার ৭ বছর বয়সী অপর এক শিশু গৃহশ্রমিক ফেরদৌসী একইভাবে একই ভবনের ৯ তলা থেকে পড়ে প্রাণে বাঁচলেও তাকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হলেও আসামি সৈয়দ আশফাকুল হক এবং তার স্ত্রী মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, একই বাসায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পরপর দু’শিশুশ্রমিকের হতাহতের ঘটনা উদ্বেগজনক। হত দরিদ্র প্রান্তিক চা শ্রমিকের পরিবারের পক্ষে সমাজের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করা অতি দূরূহ ব্যাপার। এই ঘটনায় সঠিক ও প্রভাবমুক্ত তদন্ত ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজের দৃষ্টি থাকা প্রয়োজন। আমরা প্রীতি উরাংয়ের মত্যুর ঘটনায় সুষ্টু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- মানবাধিকার কর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত। এছাড়াও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি এস.এম.এ সবুর, মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম. এম. আকাশ, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ হাসেম, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ, সংস্কৃতি কর্মী এ কে আজাদ, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অ্যাডভোকেট জীবনানন্দ জয়ন্ত, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফারহা তানজীম তিতিল, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কোষাধ্যক্ষ মেইনথিন প্রমীলা, কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশের (ইনসাব) সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কবির, লেখক ও গবেষক প্রিসিলা রাজ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) সভাপতি গৌতম শীল।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৯

রমজানে আল-আকসায় নামাজ পড়া নিয়ে ইসরায়েলের বিবৃতি
প্রতি বছর রমজানে আল-আকসায় নামাজ আদায় করেন মুসলিমরা। কিন্তু গত বছর অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়। ফলে আল-আকসায় নামাজ পড়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। তবে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। এতে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে রমজানের প্রথম সপ্তাহে যত সংখ্যক মুসল্লি আল-আকসা আসতেন, এ বছরও তাতে কোনো ব্যতিক্রম হবে না। তবে প্রতি সপ্তাহে জেরুজালেম ও আল-আকসা এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে, ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক ইতামার বেন গিভির বলেছিলেন, ‘আসন্ন রমজানে আল-আকসায় পশ্চিম তীরের মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত হবে না।’ তবে তার এমন প্রস্তাবে সায় না দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, অতীতের মতো এবারও রমজান মাসে মুসল্লিদের আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশাধিকার দিতে আমরা ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পশ্চিম তীরে উত্তেজনা ছড়ালে তা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের হামলায় ৩০ হাজার ৬০০ এর বেশি ফিলিস্তিনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ও আহতদের মধ্যে একটি বড় অংশই নারী-শিশু ও কিশোর-কিশোরী। সূত্র : এএফপি
০৬ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৮

‘সম্পূর্ণ অসত্য’ খবর ঠেকাতে মেসির ভিডিও বিবৃতি
দুই সপ্তাহ আগে মেজর লিগ সকার প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে লিওনেল মেসিকে খেলানো হয়নি। বিষয়টি স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। ইনজুরির কারণে মেসিকে খেলানো না হলেও রাজনৈতিকভাবে চীনকে খাটো করার কারণেই এমনটি করা হয়েছে বলে দাবি উঠেছে। আটবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মেসির জন্য চাইনিজ সমর্থকদের মধ্যে অন্য ধরনের এক উত্তেজনা কাজ করে। কিন্তু গত ৪ ফেব্রুয়ারি হংকং একাদশের বিপক্ষে প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচটিতে ইন্টার মায়ামির বেঞ্চে মেসিকে দেখে সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হন। এই ম্যাচের প্রায় ৪০ হাজার টিকেট নিমিষেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এমনকি এক হাজার হংকং ডলার ব্যয় করেও ৩৬ বছর বয়সী মেসির খেলা দেখতে অনেকেই মাঠে ছুটে এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রিয় ভক্তকে দেখতে না পেয়ে মায়ামি কোচ জেরার্ডো মার্টিনো ও মালিক ডেভিড বেকহ্যামকে উদ্দেশ করে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন। তারা টিকেটের অর্থও ফিরিয়ে দিতে আয়োজকদের কাছে দাবি জানান।  মেসির অনুপস্থিতিতে অনেকেই চীনকে খাটো করার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। কয়েকদিন পর জাপানে প্রীতি ম্যাচে ৩০ মিনিটের জন্য মাঠে নেমেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। কিন্তু সব সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে এক ভিডিও বার্তায় মেসি বলেছেন, সবাই জানে আমি সবসময়ই প্রতি ম্যাচে খেলতে চাই। এমন যদি আগে থেকে জানা থাকতো যে মূল দলে আমি থাকতে পারছি না, তবে হয়তো-বা হংকং সফরে দলের সঙ্গে যেতাম না। এখানে রাজনৈতিক কোনো কারণই নেই। ভিডিওতে মেসি আরও বলেছেন, চীনের সঙ্গে তার অত্যন্ত ভালো ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। শুধু ইনজুরিই তার না খেলার মূল কারণ। অ্যাবডাক্টর পেশির ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি তিনি। মেসির এই ভিডিও বার্তা পোস্টের সঙ্গে সঙ্গেই সমর্থকরা দ্রুত তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ মেসিকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে অনেকেই আবার মেসির না খেলার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৩

মিয়ানমার ইস্যুতে ৯ দেশের যৌথ বিবৃতি
মিয়ানমারে সাধারণ জনগণের ওপর অব্যাহত সহিংসতা এবং সেনাবাহিনীর দমন নীতির তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৯টি দেশ যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে । সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে জনগণের ওপর হামলা বন্ধ করতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। খভর ভয়েস অব আমেরিকার যৌথভাবে বিবৃতি দেওয়া দেশগুলো হলো ইকুয়েডর, ফ্রান্স, জাপান, মাল্টা, দক্ষিণ কোরিয়া, স্লোভেনিয়া, সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে বলা হয়, বেসামরিক মানুষের ওপর চলমান সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর এলোপাথাড়ি বিমান হামলার নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে রাখাইন রাজ্যের অবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সে অঞ্চলে অবিলম্বে মানবিক সাহায্য দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।  এ ছাড়া মিয়ানমারে নির্যাতনের জেরে বাংলাদেশে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গারা যাতে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, সম্মানের সঙ্গে ফিরতে পারে, তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। তিন বছর আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। বর্তমানে দেশটির এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের মানবিক সাহায্য প্রয়োজন। ২৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত। এদিকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর তীব্র লড়াই চলছে। তাদের এই সংঘাতের মধ্য থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল এই লড়াইয়ে মিয়ারমার ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে জান্তা সেনারা। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১১৭ জন সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০১

‘নিরপরাধ’ ড. ইউনূসকে বিবৃতি আনতে শত কোটি খরচ করতে হয় কেন?
২০০৬ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তখন থেকে ভাবা হয়েছিল তিনি বুঝি দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরে সেই ধারণা ভেঙে যায়। একজন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ, তিনি দেশের অর্থনীতি নিয়ে কাজ করবেন, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত দেবেন সেই জায়গায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে শ্রম আদালতে। কারা মামলা করেছে? শ্রমিকরা। এটা খানিকটা পীড়া দেয়। সেই পীড়ার আকার আরও বড় হয় যখন জানা যায়, এই যেন এত এত বিদেশি ড. ইউনূসের পক্ষে বলছেন, পৃথিবীর এত এত জায়গায় ড. ইউনূস সম্পর্কে ইতিবাচক কলাম লেখা হচ্ছে সবকিছুর পেছনে অর্থ জড়িত। অর্থাৎ কেউই বিনামূল্যে বা নিজ থেকে প্রণোদিত হয়ে ড. ইউনূস সম্পর্কে লেখেননি বা বলেননি। ড. ইউনূস ‘অন্যায় আচরণের শিকার’ এমন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছিলেন বিশ্বের ৪০ বিশিষ্ট ব্যক্তি, যা গত ৭ মার্চ মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ভাবা যায়? তারা একজন অর্থনীতিবিদের জন্য নিজ থেকে প্রণোদিত হয়ে লিখবেন। তা না হয়ে, সেই লেখা বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রবাদ আছে, ধর্মের ঢোল বাতাসে নড়ে। ড. ইউনূসের যদি নিষ্ঠাবান কেউ হতেন তবে তার যে নেটওয়ার্ক, সেই নেটওয়ার্কের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন অর্থনীতিবিদরা স্বেচ্ছায় কথা বলবেন, প্রতিবাদ করবেন। কিন্তু তা ঘটেনি। ঘটেছে উল্টো। ড. ইউনূস বিশ্বের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাধ্য করেন তার পক্ষে লিখতে, কথা বলতে এবং বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিতে। এটা জানার পর কি আর মনে হবে একজন অর্থনীতিবিদ, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি আসলেই দেশের সম্মান বয়ে এনেছেন? অবশ্যই না। চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটন পোস্টের এ-৭ নম্বর পৃষ্ঠায় ড. ইউনূসের বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়। ড. ইউনূসের পক্ষে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনটি ছিল ৫ কলাম ১৯ ইঞ্চি। সাদাকালো পাতায় প্রতি কলাম ইঞ্চি বিজ্ঞাপনের জন্য তারা ৮০৭ ডলার চার্জ করে। ফলে এর পেছনে খরচ হয়েছে কমপক্ষে ৭৬ হাজার ডলারের বেশি, অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৫ লাখ টাকারও। এটি শুধু বিজ্ঞাপন প্রকাশের খরচ। বিজ্ঞাপন বানাতে অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করতে আলাদা টাকা দিতে হয়েছে। যে বিজ্ঞাপনী সংস্থা এ বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছে, অর্থাৎ যারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ম্যানেজ করেছে, তাদের ফি আলাদা। এইভাবে হিসাব করলে ওয়াশিংটন পোস্টে ড. ইউনূসের যে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে তার মোট খরচ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় কোটি টাকার বেশি। কোটি টাকা খরচ করে ড. ইউনূস দুটা বিষয় পরিষ্কার করলেন। প্রথমত, মানুষ হিসেবে তিনি আসলে অসৎ। দ্বিতীয়ত, বাইরের দেশে ড. ইউনূসের মতো একজন ব্যক্তি যেভাবে দেশকে তুলে ধরলেন তাতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হলো। এবার ফিরি সেই বিবৃতি প্রসঙ্গে। বিশ্বের ৪০ বিশিষ্ট ব্যক্তি যে বিবৃতি দিয়েছেন তা কিন্তু বিজ্ঞাপন আকারেই প্রকাশিত হয়েছে। এই যে বিজ্ঞাপন আকারে তা প্রকাশিত হলো। এর খরচ আসলে কত? ধারণা করা হচ্ছে এই বিবৃতিতেও প্রায় কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কারণ ২৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটন পোস্টের প্রকাশিত বিজ্ঞাপন আর গত বছরের ৭ মার্চ মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন কিন্তু এক নয়।  বিশ্বের ৪০ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের রাজী করাতেও নিশ্চয় বিশাল অংকের টাকা খরচ করতে হয়েছে। টাকার অংকের হিসাবে এই ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের রাজী করাতেই কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার কথা এবার সেই বিবৃতি লেখা, ডিজাইন, এজেন্সি ম্যানেজ করা, বিজ্ঞাপনদাতার সাঙ্গে আলাপ করা, বিজ্ঞাপন দেওয়া সব মিলিয়ে এই অংক আমাদের ধারণারও বাইরে। প্রসঙ্গ ছিল ‘নিরপরাধ’ ড. ইউনূসকে বিবৃতি আনতে শত কোটি খরচ করতে হয় কেন? কেন খরচ করতে হয় তা নিশ্চয় এখন পরিষ্কার হলো। বিশ্বজিৎ দত্ত, গণমাধ্যমকর্মী
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭

জাতিসংঘের বিবৃতি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪
এ বছর ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ২২৩টি আসনে জিতে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণমাধ্যমে এই মুহূর্তে চলছে নির্বাচন পরবর্তী নবগঠিত সরকার কে কেন্দ্র করে মিশ্র আলোচনা।  বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সংস্থার বিবৃতিসমূহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় প্রত্যেকেই যার যার মতো করে সংবাদ ও মতামত উপস্থাপন করে যাচ্ছে। যে যেভাবেই বিশ্লেষণ করুক না কেন বাংলাদেশ নামক সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এই নির্বাচন ছিল সাংবিধানিক ধারা অক্ষুণ্ণ রেখে জাতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং নানামুখী সংকটের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যার মাধ্যমে পুরো জাতি একটি সংকটময় পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এবারের এই নির্বাচন নিয়ে নানা মহলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করলেও বাংলাদেশের ইতিহাসে এত অধিকসংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়লাভ করা এবারেই প্রথম। এই নির্বাচনের আলোচিত নানা ঘটনাসমূহের মধ্যে একটি হচ্ছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা। তবে ইতিপূর্বেও নানা কারণ দেখিয়ে বেশ কিছু নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেনি। এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কারণ হিসেবে তারা দলীয় সরকারের পরিবর্তে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে তারা আগ্রহী। কিন্তু বাংলাদেশের সাংবিধানিক ভিত্তি মোতাবেক দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ রয়েছে।  এসব ঘটনার পাশাপাশি অতি সম্প্রতি মানবাধিকার সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়ে বড় ধরনের সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগী হতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের একদল বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বলেছেন, বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসেছে। দেশটিতে বিদ্যমান দমনমূলক পরিস্থিতি থেকে সরে এসে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি ও সংলাপের পথে ফিরতে ওই সংস্কার করতে হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার—বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর আক্রমণ, হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানোর ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।’  এবারে আসা যাক জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণে, তারা বেশকিছু বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যার মধ্যে ছিল মানবাধিকার সুরক্ষা, নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা, বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বর্জন করার মতো বিষয়গুলো। তবে যে বিষয়টি লক্ষণীয় তা হলো বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারা বজায় রাখার ব্যাপারে কোন কিছুই তারা বলেননি। মজার ব্যাপার হলো জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার এই উদ্বেগের তীরের লক্ষ্যবস্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্ধারিত হয়ে থাকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর দিকেই। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ তথাকথিত উন্নত বিশ্বের নেতৃত্বে ইরাক, কুয়েতে, লিবিয়া, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ড ইতিপূর্বে সংঘটিত হয়েছে সে ব্যাপারে কোন মন্তব্য বা বিবৃতি নেই বিশ্ব বিবেকখ্যাত জাতিসংঘ বা তাদের সহযোগী সংস্থার। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও নির্বিচারে নিরীহ নারী ও শিশু হত্যার ব্যাপারে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রদান করেছে অনেকটা লোকদেখানো বাংলা সিনেমার শেষ দৃশ্যে সকল মারামারি শেষ হলে পুলিশ এসে যেভাবে বলে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না ব্যাপারটা অনেকটা সেরকম। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো ব্যাপারে জাতিসংঘের ভূমিকা অনেকটা যাত্রাপালার বিবেক চরিত্রের মতো যার আগমন হয় সব কিছু শেষ হয়ে যাবার পরে। এবারের নির্বাচনে বিএনপি সহ কয়েকটি দল অংশগ্রহণ না করার ফলে তাদের সমর্থক কিছু সংখ্যক ভোটার ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকে। অথচ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি আশানুরূপ না থাকার জন্য হরতালের নাম দিয়ে শান্তিপ্রিয় জনগণের মনে ভীতি সঞ্চারের জন্য ভোট গ্রহণের আগমুহূর্তে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে নিরীহ মানুষকে হত্যার মতো জঘন্যতম নিন্দনীয় কাজ করতেও দ্বিধাবোধ করেনি নির্বাচন বিরোধীরা। এ ব্যাপারে কিন্তু জাতিসংঘ তাদের প্রদেয় বিবৃতিতে কোনরূপ মন্তব্য করেনি। কিন্তু জাতিসংঘের ভূমিকা হবার কথা ছিল একবারেই নিরপেক্ষ। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে এ ব্যাপারে তারা বিবৃতি দিলেও কেন ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে সে ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে বলেছেন, ‘নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর আক্রমণ, হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানোর ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।’ কিন্তু নিরীহ সাধারণ জনগণ যে প্রাণ হারালো সে ব্যাপারে তারা কিন্তু অনেকটাই নির্বিকার। তবে জাতিসংঘের এ ধরণের একপাক্ষিক মনোভাব নতুন কিছু না। তারা সর্বদাই প্রথম বিশ্বের উন্নত দেশগুলো পক্ষে থাকে এবং তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ডসমূহ টিনের চশমা পরে পর্যবেক্ষণ করেন আর পক্ষান্তরে তৃতীয় বিশ্বেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর ব্যাপারে বরাবরই প্রেসক্রাইবড বিবেকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু এতকিছুর পরেও প্রতিবেশী দেশ ভারত, রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করায় এরই মধ্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকেও অভিনন্দনের এ ধারা এবং নির্বাচন নিয়ে তাদের সন্তোষ প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক তার আপন মহিমায়। সেই সাথে জাতিসংঘও সকলের প্রতি সাম্যের দৃষ্টি নিয়ে সত্যিকারের বিশ্ববিবেক হিসেবে ভূমিকা রাখুক এটাই হোক আমাদের প্রত্যাশা। লেখক : সহকারী অধ্যাপক, শিক্ষা বিভাগ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৮

ভুল তথ্যের ভিত্তিতে জাতিসংঘের হাইকমিশনারের বিবৃতি : আইনমন্ত্রী
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বিবৃতি দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি তার সঙ্গে কথা বলব। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব আইনমন্ত্রী এ কথা। নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, এমন কোনো বড় ঘটনা বা মধ্যম ঘটনাও ঘটেনি, যেটিকে কেউ মনে করবে অনেক সহিংসতা হয়েছে। আর বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক কারণে কারাগারে যেতে হয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং মামলা চলমান। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের কর্মী ও সংখ্যালঘুদের ওপর যে অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছিল, সেই মামলাগুলো ম্যাচিউরড হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় বেশকিছু মামলা রয়েছে। এসব মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন হচ্ছে।  তিনি বলেন, সারাদেশে যত মামলা রয়েছে, তার বিচারকার্য আদালত পরিচালনা করছেন। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫০

নির্বাচন নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। শ‌নিবার (১৩ জানুয়া‌রি) ছয় আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি নি‌য়ে নি‌জেদের অবস্থান জা‌নি‌য়ে‌ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃ‌তি‌তে বলা হয়, বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সদ্য অনুষ্ঠিত অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক বিবৃতি বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।   অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন দেশ প্রশংসা করেছে এবং নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য।  বিবৃ‌তি‌তে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মোট ১,৫৩৪ জন প্রার্থী এবং ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এ নির্বাচনে কোনো কোনো জায়গায় বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ভোট প্রদানের হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি ছিল। তবে শহর এলাকায় তুলনামূলকভাবে কম ভোটার উপস্থিতির কারণে সারাদেশে গড় ভোটের হার ছিল ৪১.৮ অর্থাৎ প্রায় ৪২ শতাংশ।  বি‌বৃ‌তি‌তে আরও বলা হয়, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির সহিংসতা এবং নির্বাচন বানচাল করার হুমকি সত্ত্বেও, হাতে গোনা কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের দিনটি ছিল শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর। আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক, যারা সক্রিয়ভাবে মাঠ থেকে নির্বাচনের প্রতিবেদন করেছেন, তারা তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার এর সত্যতা প্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি জা‌নি‌য়ে বিবৃ‌তি‌তে বলা হ‌য়ে‌ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংযম এবং আইনি সীমানা মেনে সহিংসতার ঘটনাগুলোর মোকাবিলা করেছেন। রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নির্বাচন বানচালের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, আগুন দিয়েছে, মানুষকে হত্যা ও আহত করেছে এবং জনজীবন ব্যাহত করেছে তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপগুলো প্রয়োজনীয় ছিল। তাই এই যৌথ বিবৃতি বিভ্রান্তিকর, একতরফা এবং অগ্রহণযোগ্য। গণতন্ত্র বিরোধী ও নির্বাচন বিরোধী শক্তি যারা নির্বাচনকে বানচাল করার অপচেষ্টা করেছিল তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য এটি বিবৃতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে জারি করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান। এদিকে গতকাল শুক্রবার একটি যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিয়ে নতুন করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ছয়টি নাগরিক সংগঠন। সংস্থাগু‌লোর বিবৃ‌তি‌তে বলা হয়, এই নির্বাচন যথাযথ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক- কোনোটিই হয়নি। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসমূহ ও আন্তর্জাতিক নির্বাচনী মানদণ্ড মেনে এই নির্বাচন হয়েছে কিনা, সে বিষয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। যৌথ বিবৃতি দেওয়া সংগঠনগুলো হলো  এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল), ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন (সিআইভিআইসিইউএস), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ), এশিয়ান ডেমোক্রেসি নেটওয়ার্ক (এডিএন), ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রোজেক্ট (অস্ট্রেলিয়া) ও অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন)।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়