• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রাজধানীতে বাথরুম থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
রাজধানীর ভাটারা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৪ মার্চ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। শনিবার ভাটারার খাপাড়ার এক পাকা বাথরুম থেকে এই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রকিব হোসেন মুন্না (৩২), রাশেদুজ্জামান খান রাজু (৩৫), মো. শারিকুল ইসলাম খান (৪৫), মো. আজিম পাটোয়ারী (৩৪), মো. মাহবুব খান (৩৫), মৃত আক্কাস খানের ছেলে শরীফ খান (৩৩) ও মো. সোহরাব খান (৩৩)। বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ ভাটারার জোয়ারসাহারার খাপাড়া এলাকায় ডিওএইচএস সোসাইটির রিক্সার নম্বর প্লেটকে কেন্দ্র কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনার জের ধরে আসামিরা মোন রুবেল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এই সময় আসামি মো. রাশেদুজ্জামান খান রাজু প্রকাশ্যে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। অপর অস্ত্রধারী আসামি রকিব হোসেন মুন্না হত্যার উদ্দেশ্যে মো. রুবেল হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তার ডান পায়ের উরুতে লেগে গুরুতর জখম হয়। পরে অস্ত্রধারী তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।  এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় ঢাকা মহানগরসহ গাজীপুর জেলা, মাদারীপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থনে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খাপাড়ায় একটি পারিবারিক কবরস্থানের বিপরীতে লোহার গেটের ভেতর পাকা বাথরুমের তালা ভেঙে তল্লাশি করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ১টি বিদেশি রিভলভার, ১টি বিদেশি শর্টগান, ১টি পুরাতন রিভলবার যাহার যন্ত্রাংশ খোলা ও ভাঙা, ১টি ৯এমএম পিস্তল; যা পুরাতন ও ভাঙা, ৭৫ রাউন্ড গুলি, ২ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ২১০ রাউন্ড গুলির খোসা, ৫টি পুরাতন ম্যাগাজিন, ৪০গ্রাম বারুদ সদৃশ পদার্থ, ৬০ পিস বিভিন্ন অস্ত্রের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৭

কোম্পানীগঞ্জে নতুন কূপে বিপুল গ্যাসের সন্ধান
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নে শাহজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের তিন নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। রোববার (১০ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দলপুর-৩ কূপের প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মো. আল হেলাল। তিনি বলেন, এ কূপে পরীক্ষামূলক ডিএসটি টেস্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন চলছে লোয়ার জোনের টেস্ট। কূপটির মোট ৩ হাজার ৩৮৫ মিটার গভীরে খনন করা হয়েছে। যার মধ্যে লোয়ার জোনের ৩ হাজার ৪১ মিটার থেকে ৩ হাজার ৪৬ মিটার এবং তিন হাজার ৫৭ মিটার থেকে ৩ হাজার ৬৪ মিটার পর্যন্ত টেস্ট কার্যক্রম চলছে। এর পরই অপর দুটি জোনের টেস্ট কার্যক্রম চলবে। ডিএসটি টেস্টের পরেই এখানে মোট মজুতের পরিমাণ জানা যাবে। কূপের খনন অধিকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আগামী ঈদুল ফিতরের আগেই দেশবাসীকে একটি সুখবর দিতে পারবো বলে আশা করছি। কারণ আমরা যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়ার আশায় কূপটি খনন করেছি তার চেয়েও বেশি গ্যাস আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২০-২৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত তথ্য দেশবাসীকে জানানো হবে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের পাশে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সুন্দলপুর-৩ প্রকল্পটি খনন শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। শনিবার (৯ মার্চ) এখানে আগুন প্রজ্বলনের মাধ্যমে খননকাজ শেষে এখন চলছে ডিএসটি টেস্ট। এ পরীক্ষা শেষে জানা যাবে এখানে কী পরিমাণ গ্যাস মজুত রয়েছে। ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রটির ১ নম্বর কূপ উৎপাদনের যাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এরপর একই গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপেরও খনন করা হয় এবং গ্যাস উত্তোলন করা হয়। বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্রটির আওতাধীন পার্শ্ববর্তী চরকাঁকড়া এলাকায় তৃতীয় কূপ খননে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেলো।
১১ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৯

ক্যান্সারে আক্রান্ত হাবিপ্রবির সোহেলকে বাঁচাতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন
যে সময়টাতে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর দিকে তাকিয়ে থাকে দেশ এবং পরিবার। পড়াশোনা করে তিনি হাল ধরবে পরিবারের, অংশগ্রহণ করবেন দেশ বিনির্মাণে। কিন্তু কই আর এসব হলো। তার নিজের জীবনটাই আজ যে বিপন্ন! তিনি নিজেই নিজের চিকিৎসার অর্থ সহায়তার জন্য তাকিয়ে আছেন পরিবারের দিকে, দেশবাসীর দিকে।  বলছিলাম দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অর্থনীতি ১৯ ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী সোহেল রানার কথা। তার বাসা দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ উপজেলায়।  মেধাবী এই শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছেন দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে। জানা গেছে, গত ২ বছর যাবৎ সোহেল রানা (Ewing Sarcoma) ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রথম দিকে প্রায় দেড় বছর দিনাজপুরে আসল রোগ নির্ণয় না হওয়ায় তার সঠিক চিকিৎসা হয়নি। পরবর্তীতে ছয় মাস আগে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আরিফুর রহমান বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান তার ক্যান্সার (Ewing Sarcoma) হয়েছে।  এ যাবৎ সোহেল রানার পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং কেমোথেরাপি বাবদ প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এখন চিকিৎসক অপারেশন ও অপারেশন পরবর্তীতে ১১টি কেমোথেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তার সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। তার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এ বিশাল অঙ্কের অর্থ বহন করা সম্ভব  না। তার বাবা পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তি। সোহেল রানা আক্ষেপের সুরে বলেন, আমার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ার কারণে আমার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। তাই আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-বান্ধব, ছোট ভাই-বোন, বড় ভাই-বোনদের নিকট এবং দেশবাসীর নিকট অর্থনৈতিক সাহায্য এবং দোয়া প্রার্থনা করছি। আপনাদের সহযোগিতায় আল্লাহ তায়ালা হয়তো আমাকে আবারো আপনাদের মতো স্বাভাবিক জীবন দান করতে পারেন। সোহেলের বন্ধু স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, এই তো সেদিন ২০১৯ সালে আমরা ক্যাম্পাসে আসলাম। শহরে মেসে থাকার সুবাদে সোহেলের সঙ্গে বাসে কিংবা অটো করে ক্লাসে যাই। প্রায় শুক্রবার রাতে খিচুড়ি খাওয়া দাওয়া করি। সোহেলের বিভিন্ন খুনসুটিতে চায়ের আড্ডাগুলো কতই না জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠতো। কিন্তু সবই এখন স্বপ্নের মত লাগছে। তিনি আরও বলেন, সোহেল ধর্মীয় চেতনার হওয়ায় অনেক নম্র ভদ্র ছিল। সর্বোপরি আমাদের সবার সঙ্গেই অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা রইলো- সোহেল যাতে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারে। সোহেলের দিকে শুধু তার মা-বাবা, বন্ধু, ভাই-বোনেরা তাকিয়ে নেই। তার দিকে তাকিয়ে আছে তার স্ত্রী এবং এক বছরের ফুটফুটে মেয়ে আফিয়া। সোহেল দুবছর আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যেই সোহেল রানা আজ অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সেই সোহেলই হতে পারেন ভবিষ্যৎ দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ। তাই আসুন সোহেল রানাকে বাঁচাতে আমরা এগিয়ে আসি সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে। সোহেল রানা ফিরে পাক জীবন, বন্ধুরা ফিরে পাক তার বন্ধুকে, মা-বাবা ফিরে পাক সন্তানকে, স্ত্রী ফিরে পাক স্বামীকে, কন্যা ফিরে পাক তার বাবাকে। আফিয়ার সকাল কাটুক বাবার কোলে ঘুরে বেড়িয়ে।  ভূপেন হাজারী বোধহয় সোহেল রানাদের মতো মানুষদের দুর্দশার কথা ভেবেই বলেছিলেন- ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য! একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু!’  সোহেল রানাকে সহোযোগিতা করতে নিচের দেওয়া ব্যাংক একাউন্ট মোবাইল নাম্বারে টাকা পাঠান :  ব্যাংক একাউন্ট Account Name:Sohel Rana Account Number: 1721050083398(DBBL) বিকাশ/নগদ: 01575026752 / 01796839158 রকেট: 01797868118 ব্যাংক একাউন্ট Account Name: Md Aktarul Islam   Account Number: 1721050068148 (DBBL) / 5074010016205 (Rupali Bank Ltd.) যেকোনো তথ্যের প্রয়োজনে মো. আক্তারুল ইসলাম অর্থনীতি বিভাগ (১৯ ব্যাচ) হাবিপ্রবি। মোবাইল: 01575026752 / 01611078939 অথবা  স্বপন চন্দ্র রায় মোবাইল: 01516079350
০৫ মার্চ ২০২৪, ০১:১৮

বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জাল রুপি ও টাকাসহ গ্রেপ্তার ১
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরতলির রুস্তমপুর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জাল রুপি ও জাল টাকাসহ জাল নোট প্রস্তুতকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৯।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শ্রীমঙ্গলের র‌্যাব-৯ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুল মুকিত নাফিজ প্রেস বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানান। র‌্যাব কমান্ডার জানান, গত সোমবার রাতে র‌্যাব-৯, সিপিসি-২ শ্রীমঙ্গল কোম্পানির একটি বিশেষ টিম অভিযান চালায়। শ্রীমঙ্গল উপজেলার রুস্তমপুর গ্রাম থেকে ভারতীয় ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ জাল রুপি এবং বাংলাদেশি ৬৯ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকার জাল নোটসহ যুগেন্দ্র মল্লিক (৪১) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আরও জানান, যুগেন্দ্র মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা তৈরি করে আসল টাকা বলে মানুষের কাছে বিক্রি করে আসছিল। এই চক্রের অন্যান্য সদস্য এবং জাল নোট প্রস্তুতের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, গ্রেপ্তার যুগেন্দ্র মল্লিকের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা করা হয়েছে। জব্দ জাল নোট ও অন্যান্য আলামত শ্রীমঙ্গল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।  
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৯

টেকনাফে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্রসহ আরসা কমান্ডার আটক
কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার গান গ্রুপ কমান্ডার উসমান প্রকাশ মগবাগিকে (৩০) দুই সহযোগীসহ আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি ও ককটেল বোমা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে লাল পাহাড়ে ‘আরসার আস্তানা’য় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।  আটক অপর দুই সদস্য হলেন- মো. নেছার (৩৩) ও ইমাম হোসেন (২২)। তারা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে গহীন পাহাড়ে আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সদস্যরা আস্তানা গড়ে তুলে দীর্ঘদিন ধরে নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। খবর পেয়ে র‌্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে আস্তানাটি তল্লাশি করে ২২টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, শতাধিক তাজা গুলি এবং চারটি হাতে তৈরি ককটেল বোমা উদ্ধার। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী মাস্টার খালেদের মাধ্যমে আটককৃত উসমান আরসায় যোগ দেন। উসমান মিয়ানমারে বসবাসরত অবস্থায় সে দেশের সেনাবাহিনীর সোর্স হিসেবে একসময় কাজ করতেন। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আরসায় যোগ দেন। উসমান ক্যাম্পে ১০টি গান গ্রুপের শীর্ষ কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। একইভাবে উসমানের সহযোগী নেছার আরসার গান গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তিনি দেশি বোমা ও মাইন তৈরিতে বিশেষজ্ঞ। নেছারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি দল ইতোমধ্যে পাঁচ শতাধিক মাইন-বোমা তৈরি করেছে। 
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১৪

শরীয়তপুরের তিনটি আসনেই বিপুল ভোটে জয়ী নৌকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুরের তিনটি আসনে নৌকা প্রতীকে ইকবাল হোসেন অপু, এ কে এম এনামুল হক শামীম ও নাহিম রাজ্জাক বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। শরীয়তপুর-১ (শরীয়তপুর সদর-জাজিরা) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবাল হোসেন অপু। নির্বাচনে তিনি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গোলাম মোস্তফা ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৮ ভোট। আরও পড়ুন : ঝিনাইদহের তিনটিতে নৌকা, একটিতে স্বতন্ত্র বিজয়ী   শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। নির্বাচনে তিনি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮২৭ ভোট। আরও পড়ুন : জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত   শরীয়তপুর-৩ (ভেদরগঞ্জ-ডামড্যা-গোসাইরহাট) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিম রাজ্জাক। নির্বাচনে তিনি ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আব্দুল হান্নান জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে ৪ হাজার ৪১৯ ভোট পেয়েছেন। এর আগে, রোববার সকাল ৮টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। ভোটগ্রহণ শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, শরীয়তপুর -১ আসন ৫৭ দশমিক ৩৫, শরীয়তপুর -২ আসন ৫১ দশমিক ২৭ ও শরীয়তপুর -৩ আসন ৫৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাররা তাদের ভোট দিয়েছেন। কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২২

ঢাকা-১৯ / বিপুল ভোটে হারলেন নৌকার এনাম, জিতলেন স্বতন্ত্র সাইফুল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনে (সাভার-আশুলিয়া) স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ট্রাক প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। ২৯২ কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ ঈগল প্রতীকে ৭৬ হাজার ২০২ ভোট পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত ডা. এনামুর রহমান (ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী) নৌকা প্রতীকে ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছেন। মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৫০টি। টানা দু’বারের এমপি ডা. এনামুর রহমান আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ট্রাক মার্কার প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের থেকে ২৮ হাজার ৩১০ ভোট কম পেয়েছেন। সাইফুলের চেয়ে ৮ হাজার ২১০ ভোট কম পেয়েছেন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটাধিকার প্রয়োগের পর রাতে সাভার উপজেলা চত্বরে ফল প্রকাশ করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ।  এ ছাড়া এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরও সাতজন। তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন। ঢাকা-১৯ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৪৬৮ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৫। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার সংখ্যা ১৩ জন। এসব ভোটারদের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৬৫০ জন।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০

ফরিদপুর-৩ / বিপুল ভোটে জয়ী এ. কে. আজাদ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদ। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৬ জন প্রার্থী। ১৫৪ কেন্দ্রের মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার ৮২৪, বাতিল ভোট ২ হাজার ২০০, সর্বমোট প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ১৩ হাজার ২৪টি। আর প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৫২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।  এছাড়া আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের মুঈদ হোসেন আরিফ (ডাব), তিনি পেয়েছেন ৪৪১ ভোট, জাতীয় পার্টির এস, এম, ইয়াহিয়া (লাঙ্গল), তিনি পেয়েছেন ৫৮৩ ভোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের গোলাম রাব্বানী খাঁন (নোঙ্গর), তিনি পেয়েছেন ২৯২ ভোট। আর বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. দেলোয়ার হোসেন একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৩২১ ভোট।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৬

পঞ্চমবারের মতো কৃষিমন্ত্রী বিপুল ভোটে জয়ী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কায়ছারুল ইসলাম রাত সাড়ে ৯টায় এ আসনের সব কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) জেলা রিটার্নিং অফিসারের দেয়া বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে আব্দুর রাজ্জাক ১ লাখ ৭৪ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হক পেয়েছেন চার হাজার ১৭৮ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আলী পেয়েছেন তিন হাজার ৬৭৪ ভোট এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ফারুক আহমেদ পেয়েছেন এক হাজার ৭৪২ ভোট। আব্দুর রাজ্জাক এ আসন থেকে পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।  টাঙ্গাইল-১ আসনে মোট ১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৩৪ ভোট গৃহীত হয়েছে। যা মোট ভোটের ৪৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।  বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার পদ ছেড়ে রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালেও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন। ২০১৮ সালে বিজয়ী হওয়ার পর কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:২০

বিপুল ভোটে জয়ী কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (হাতঘড়ি)। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (হাতঘড়ি) প্রতীক পেয়েছেন প্রাপ্ত ভোট ৮১ হাজার ৯৫৫। পরাজিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম (ট্রাক গাড়ি)। তার প্রাপ্ত ভোট ৫২ হাজার ৯৮৬।  এ নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৭জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও জাফর আলম এমপি। অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির হোসনে আরা (লাঙ্গল), তার প্রাপ্ত ভোট ৭৭৩। বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির হাজী বশিরুল আলম (হাতুড়ি), তার প্রাপ্ত ভোট ৫৩৭। ইসলামী ফ্রন্টের বেলালউদ্দিন (মোমবাতি), তার প্রাপ্ত ভোট ৬৯১। স্বতন্ত্র প্রার্থী কমরুদ্দিন আরমান (কলারছড়া), তার প্রাপ্ত ভোট ১৮০। তানভির ছিদ্দিকী তুহিন (ঈগল), তার প্রাপ্ত ভোট ২৪৪। এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগে তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হয়। স্থগিত কেন্দ্র তিনটি হলো- চরন্দ্বীপ ভুমিহিন সমবায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর ২৫), দক্ষিণ ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর ৭৪), মরনঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর ৮০)। এদিকে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ভোট ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে বিকেল ৩টা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম এমপি। জাফর আলম অভিযোগ করেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে বিজয় করতে আনসার ও পুলিশ সদস্যরা প্রভাব খাটিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেন। তার বিজয় তারা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি স্থানে তার লোকজনকে মারধর করা হয়েছে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়