• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘লবণাক্ত হয়ে যেতে পারে ঢাকার চারপাশের জমি’
বৈশ্বিক জলবায়ু বিপর্যয়ের চরম ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। যার প্রভাব দেশের সব অংশেই লক্ষ্যনীয়। চলমান পরিস্থিতিতে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে সমুদ্রের অংশ হয়ে যেতে পারে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলা। এমনকি লবণাক্ত হয়ে যেতে পারে ঢাকার চারপাশের জমিও।   শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এক সংলাপে এসব আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত। এ সময় জাতিসংঘের সংস্থা ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন তিনি।  ১৯৫টি দেশ একমত হওয়ার পর আইপিসিসি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জানিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত সতর্ক করেন, ১০০ বছর নয়; আগামী ৫০ বছরের মধ্যেও সৃষ্টি হতে পারে এমন পরিস্থিতি।  ‘উপকূলের জীবন ও জীবিকা: সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক এই জাতীয় সংলাপের আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) নামক একটি সংগঠন। সংলাপে রাজশাহী থেকে সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব-এই সারির মধ্যাঞ্চল লবণাক্ত হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আইনুন নিশাত। তিনি বলেন, ঢাকা শহর খুব উঁচু। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই শহরের উচ্চতা ২৫ ফুট। তাই পানিতে তলিয়ে না গেলেও লবণাক্ত হয়ে যাবে ঢাকা শহরের চারপাশ। আর কামরাঙ্গীরচর বা জিঞ্জিরার উচ্চতা পাঁচ থেকে ছয় ফুট। তাই পানিতে তলিয়ে চলে যেতে পারে এসব এলাকা। লবণাক্ততা একটি গুরুতর সমস্যা উল্লেখ করে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের সম্মতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে লবণাক্ততা সমস্যার শুরু। উজান থেকে পানি আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে লবণাক্ততা বাড়তে শুরু করেছে। অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, নদী পানির সঙ্গে পলিমাটিও নিয়ে আসে। সরকার নদী খননের নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করছে। এসব টাকা কোনো কাজে আসবে না। কারণ, খনন করার পর আবার পলি এসে দু-এক বছরের মধ্যে তা ভরাট হয়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, প্রকৃতি বদলাচ্ছে। আমাদের এই প্রকৃতিকে বুঝতে হবে। ষড়ঋতুর বাংলাদেশ আজ চার ঋতুতে পরিণত হয়েছে। আষাঢ়েও এখন বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায় না। ফলে জীবন-জীবিকায় সংকট বাড়ছে। তাই উপকূলের মানুষ ভালো নেই। আগামীতে উপকূলে জলোচ্ছ্বাস ও দুর্যোগ বাড়বে। যার প্রভাবে ৫০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে যশোর থেকে গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ থেকে চাঁদপুর ও চাঁদপুর থেকে ফেনী- এসব অঞ্চলের দক্ষিণাংশ সমুদ্রের অংশ হয়ে যাবে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি বাড়াতে হবে।  আসন্ন এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নদী ও পরিবেশ বাঁচানোর তাগিদ দিয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নদীর পার দখল করে প্রস্তুত করা স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। নদী দখল করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যাবে না। নদী বাঁচাতে হবে। পরিবেশ বাঁচাতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ধরা’র সহ-আহ্বায়ক শরমীন মুরশিদ বলেন, নদী হলো পাবলিক প্রোপার্টি। এই নদীতে বাঁধ দেওয়া হচ্ছে কার সিদ্ধান্ত? নদীতে বর্জ্য ফেলা আইন করে বন্ধ করতে হবে। উপকূল রক্ষায় গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উপকূলের কম্যুউনিটির মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টা এমএস সিদ্দিকী বলেন, মানুষই যদি না থাকে তাহলে উন্নয়ন দিয়ে কী করবো। মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বাঁচাতে হবে নদী ও পরিবেশকে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। রোমান ক্যাথলিক চার্চ ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি’ক্রুজের সভাপতিত্বে ও ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র সদস্য সচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় জাতীয় সংলাপে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একুয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ আলী এবং ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভের গবেষণা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল ফারুক।
৩১ মার্চ ২০২৪, ০২:০৮

শিডিউল বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে মেট্রোরেল
বিদ্যুতের ঘাটতি ও সিগন্যাল সিস্টেমে ত্রুটির কারণে শিডিউল বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে পড়েছে মেট্রোরেল। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শিডিউল অনুযায়ী মেট্রোরেল পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কারওয়ান বাজার মেট্রোরেল স্টেশনে দায়িত্বে থাকা এএসআই মাহদি হাসান জানিয়েছেন, মেট্রোরেলে বিদ্যুতের ঘাটতি হওয়ার কারণে আজকে এমনটা হয়েছে। এই সমস্যার স্থায়িত্ব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ২ মিনিটেও ঠিক হতে পারে আবার ২ ঘণ্টাও লাগতে পারে।   আরও জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ট্রেন চলাচল শুরুর পর চারটি ট্রিপ শেষে শিডিউলের এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে মেট্রো চলাচল স্থগিত করা হয়নি। মেট্রোরেলের একজন নিয়মিত যাত্রী নাসিমা খাতুন। তিনি জানান, সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে শাহবাগ যাওয়ার জন্য মিরপুর-১০ স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেন আসে ৮টা ১৩ মিনিটে। কিন্তু যাত্রীর উপচেপড়া ভিড়ের কারণে তিনি তাতে উঠতে পারেননি। পরের ট্রেনটি আসে আরও ১০ মিনিট পর। এর আগে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শেওড়াপাড়া বা কাজীপাড়া এলাকায় মেট্রোর তারে ঘুড়ি জড়িয়ে পড়ায় মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক গণমাধ্যমকে জানান, দুপুর দেড়টার দিকে মেট্রো চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে সমস্যার সমাধান করে চলাচল শুরু হয়।   এর আগে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশনে সমস্যার কারণে মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কারণ হিসেবে সিগন্যাল সিস্টেমে অসুবিধার কথা বলেছিলেন ডিএমটিসিএলের জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া। এদিকে রাজধানীতে মেট্রোর যাত্রার পর বিদ্যুৎ লাইনে তার পড়া এবং ফানুস আটকে থাকাসহ বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েকবার চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে।    
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৭

প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে কাজ করছে ঝিনাইদহের সামাজিক বনায়ন
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ এলাকার খালের পাড়ে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন বাগান। এখানে রোপণ করা হয়েছে চিকরাশি, জারুল, অর্জুন, খয়ের, সোনালু, বাবলা, শিমুল, শিশু, মেহগনি, নিম, বহেরা, হরিতকিসহ প্রায় ১৮টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সবুজায়নের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর ও উন্নত হয়েছে সেই সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহের উৎস হিসেবে কাজ করছে এই বাগানটি। আরও পড়ুন : রাজধানীতে বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে   জানা যায়, যশোর সামাজিক বন বিভাগ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে জিকে প্রধান সেচখালের ডাউটিয়া ব্রিজ হতে লাঙ্গলবাঁধ বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অন্তত ১০ হাজার গাছের চারা রোপণ করেছে। গাছগুলো দেখভাল করেন ওই এলাকার ৫৭ জন উপকারভোগী। যার মধ্যে পুরুষ ৫২ জন ও মহিলা ৫ জন। সংশ্লিষ্টরা জানায়, আগামী ১০ বছর পর গাছগুলো বিক্রি করে বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৫৫ শতাংশ লভ্যাংশ উপকারভোগী সদস্যের মাঝে সমভাবে প্রদান করা হবে। এ ছাড়া ভূমি মালিক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকেও সামাজিক বনায়নের নীতিমালার আলোকে লভ্যাংশ প্রদান করা হবে। উপকারভোগী সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রোপিত গাছের পাহারার কাজে সহযোগিতা করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সুজন মিয়া বলেন, এই খাল পাড়ে আগে কোন গাছ ছিলো না। সামাজিক বন বিভাগ এখানে গাছ রোপণ করেছে। এতে যেমন এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক তেমনি এই এলাকার খাল পাড়ের ভূমি ধস থেকেও রক্ষা পাবে। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, জিকে সেচ খালের পাড়ে অন্তত ১৮ জাতের গাছ রোপণ করা হয়েছে। গাছ স্থানীয় লোকজন পরিচর্যা ও পাহারা দিচ্ছে। এভাবে যদি গাছ বাড়তে থাকে তাহলে বন বিভাগের এ ধরনের বনায়ন কর্মসূচির কারণে পতিত এ জায়গায় অচিরেই বৃক্ষ সম্পদে পরিণত হবে। আরও পড়ুন : মোটরসাইকেলে পিকআপের ধাক্কা, ছাত্রলীগ কর্মী নিহত   ঝিনাইদহ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, লাঙ্গলবাঁধ এলাকার খালের পাড়ে সৃজিত বাগানটি এলাকায় দৃষ্টিনন্দন অবস্থার সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখ-পাখালির কলরবে বাগানটি পরিপূর্ণ। বাগানটি ভূমিক্ষয়, বাঁধ সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে সহায়তা করছে। স্থানীয় কৃষক ও পথিকগণ গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিয়ে থাকেন। বাগানটি আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়ন সাধন করছে। শৈলকুপা উপজেলায় বন বিভাগের এ ধরনের বনায়ন কর্মসূচি চলমান থাকবে।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১৪

ঘন কুয়াশায় ঢাকার আকাশ থেকে ফিরে গেল তিন ফ্লাইট
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার আকাশ থেকে আজ ফিরে গেছে তিনটি ফ্লাইট। রানওয়ে দেখতে সমস্যা হওয়ায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামতে না পেরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট তিনটি ডাইভার্ট হয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কলকাতা বিমানবন্দর ও মুম্বাইয়ের মহারাজা বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এ ছাড়া শাহজালাল বিমানবন্দরগামী ১২টি ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটরাডার পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রিয়াদ থেকে আসা সাউদিয়া এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট রাত ২টা ১০ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে পরে এটি চলে যায় ভারতে; অবতরণ করে মুম্বাইয়ের মহারাজা বিমানবন্দরে। একই কারণে রাত ৩টার পর কুয়েত সিটি থেকে আসা জাজিরা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান শাহজালালের বদলে নামে ভারতের কলকাতায় এবং সিঙ্গাপুর থেকে আসা ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট অবতরণ করে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এছাড়া ঘন কুয়াশাসহ বিভিন্ন কারণে শাহজালাল বিমানবন্দরগামী ১২টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের রিয়াদ, কুয়ালালামপুর, গুয়াংজু, দুবাই, শারজাহ, দোহা, সিঙ্গাপুর, মাসকাট ও কুয়েত সিটি থেকে আসা এসব ফ্লাইট ১ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে অবতরণ করে। এছাড়া তিনটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে দেরিতে ছেড়েছে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়