• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত ওমান-আরব আমিরাত
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ভারী বৃষ্টিতে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ভারী বৃষ্টিপাত ও এর জেরে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দেশটিতে ভ্রমণ ও চলাচলও ব্যাপকভাবে ব্যহত হচ্ছে। এখনও এ দুর্যোগের ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশ দুটি। দেখা গেছে, ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টিতে রানওয়েতে পানি ঢুকে যাওয়ায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত অধিকাংশ বিমানবন্দর থেকে কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করা যায়নি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) থেকে সীমিত আকারে শুরু হয়েছে ফ্লাইট পরিষেবা। গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়ক-মহাসড়কও চলাচলের উপযোগী করতে কাজ শুরু করেছে আমিরাতের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর। সেসব সড়কে জমে থাকা পানি সরাতে ওয়াটার পাম্প ব্যবহার করছেন দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত থেকে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত মুষলধারে বর্ষণ হয় মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, সোম-মঙ্গলবার রাতে পুরো আমিরাতে ২৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা গড়ে দেশটির দুই বছরের মোট বৃষ্টিপাতের সমান। গত ৭৫ বছরে এমন প্রবল বর্ষণ আমিরাতে দেখা যায়নি বলেও উল্লেখ করেছে আবহাওয়া দপ্তর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ফুটেজ গুলোতে দেখা গেছে, রাজধানী আবুধাবি, বাণিজ্যিক কেন্দ্র দুবাই, শারজাহসহ বিভিন্ন অঞলের সড়ক পানিতে ডুবে গেছে, গ্যারেজ, দপ্তর এবং অ্যাপার্টমেন্ট-বাড়িঘর, শপিং মলগুলোর নিচ তলায় ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় আমিরাতের অধিকাংশ সড়ক ও হাইওয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের বিশৃঙ্খল অবস্থা এখনও কাটেনি। বৃষ্টি পরবর্তী দুবাইয়ের যেসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে— রাস্তাগুলোতে কোমর সমান পানিতে ডুবে আছে বাস ও গাড়িগুলো। রোববার (১৪ এপ্রিল) উপসাগরীয় অঞ্চলের অপর দেশ ওমানে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। ব্যাপক এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটিতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার পরের দিন সোমবার রাত থেকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় আমিরাতে। দুবাইয়ের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক (এমিরেত) সরকার এক নির্দেশনায় সড়ক থেকে পানি না সরা পর্যন্ত চাকরিজীবী এবং শিক্ষার্থীদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে জরুরি পরিষেবা কর্মীদের এই নির্দেশনার বাইরে রাখা হয়েছে। আমিরাতের জনগণ ব্যাপকভাবে ইন্টারনেট ও অনলাইন পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল। বৃষ্টির কারণে এই পরিষেবা ব্যাপকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) থেকে ফের স্বাভাবিক হওয়া শুরু হয়েছে ইন্টারনেট-অনলাইন। মধ্যপ্রাচ্যের মরু আবহাওয়ার দেশ আমিরাতে বছরের অধিকাংশ সময়ে আবহাওয়া গরম ও শুষ্ক থাকে। গ্রীষ্মকালে দেশটিতে তাপামাত্রার পারদ অনেক সময় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্তও ওঠে। সেখানে সোম-মঙ্গলবার রাতে যে পরিমাণ বর্ষণ হয়েছে, তা দেশটির জলবায়ুর ইতিহাসে বিরল ঘটনা। আমিরাতের জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এই দুর্যোগের প্রধান কারণ। এদিকে, ওমানে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঘোষিত মৃতের সংখ্যার মধ্যে অন্তত নয়জন স্কুলছাত্রী এবং তাদের ড্রাইভার রয়েছেন। মূলত তাদেরকে বহনকারী গাড়িটি গত রোববার সামাদ আ’শানে বন্যার পানিতে ভেসে যায়। দেশটির ন্যাশনাল কমিটি ফর ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দল এখনও নিখোঁজ দুই ব্যক্তিকে খুঁজছে। এদিকে বেশ কয়েকটি প্রদেশের খারাপ আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলবার সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রশাসনিক কর্মীদের ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এছাড়া একই কারণে দেশটির অন্যান্য অংশে দূরে থেকেই কাজের সুযোগও এদিন দেওয়া হয়েছিল। এমনকি বাসিন্দাদেরও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছিল যদি তারা মনে করে যে, তারা বিপদে পড়েছে বা কর্তৃপক্ষ তা করতে নির্দেশ দেয়। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকা থেকে নাগরিকদের বের করে আনার জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আশ শারকিয়াহ উত্তর প্রদেশে পুলিশ ও সৈন্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা
১২ ঘণ্টা আগে

ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আরব আমিরাত, সতর্কতা জারি
ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, এতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে বাসিন্দাদের সতর্ক করছে দেশটির পুলিশ।  শনিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকেই আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, রাস আল খাইমাহ, ফুজাইরাহসহ সব জায়গায় অঝোরে ঝরেছে বৃষ্টি। এ খবর জানিয়েছে আল আরাবিয়া। দেশটির জাতীয় জরুরি বিভাগের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন সকালে দেশটির আকাশ পুরো মেঘে আচ্ছন্ন হওয়ার পরপরই নামে অতিবৃষ্টি। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বজ্রপাত হয়েছে আল আইন ও আজমানে। রোববার (১০ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া খারাপ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টি, বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে  বাসিন্দাদের আবহাওয়া সতর্কবার্তা পাঠিয়ে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হয়েছিলো।   এতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকতে যাওয়া থেকে বিরত থাকা, নৌযানে চলাচল না করা, বন্যা প্রবণ এলাকায় ঘুরতে না যাওয়া এবং গাড়ি চালাতে সতর্কতা আরোপের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  গত সপ্তাহে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর বৃষ্টির ব্যাপারে সতর্কতা দিয়েছিল। গত মাসেও আরব আমিরাতে ভয়াবহ বৃষ্টি এবং বজ্রপাত হয়। 
০৯ মার্চ ২০২৪, ২০:০৬

তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দিনাজপুর, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৭ 
টানা শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুর।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।  এটি আজ সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় এ অঞ্চলে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।  এ দিকে গতকাল রোববার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তাপমাত্রার হিসেবে দিনাজপুরে গতকাল রোববার ও আজ সোমবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। কিন্তু তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করলেও সোমবার সকাল থেকে দেখা মিলেছে সূর্যের। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, আজ সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৮ ভাগ। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সূর্যের দেখা মিললেও বাতাস বইছে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২২

মেহেরপুরে শীতে বিপর্যস্ত জীবন, তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি 
তীব্র শীতে কাঁপছে মেহেরপুর। অব্যহত রয়েছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। গতকালের চেয়ে কমেছে তাপপাত্রা।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর অঞ্চলে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তামপাত্রা রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।  এদিকে শৈতপ্রবাহের কবলে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রী আর কর্মীজীবী মানুষের কষ্টের যেন সীমা নেই। সকাল ৯টা পর্যন্ত মেলেনি সূর্যের দেখা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ। প্রতিদিনের আয়ে ভাটা পড়েছে তাদের। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিনপাত করতে হচ্ছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে কোল্ড ইঞ্জুরি ও ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিয়েছে মাঠ ফসলে। বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও সমাধান মিলছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৪

দিনাজপুরে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন, তাপমাত্রা ৭.৩ ডিগ্রি
দিনাজপুরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে জনজীবনে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।  এদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া খুব বেশি মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।  দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, জেলায় বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২২

টানা শৈত্যপ্রবাহে কুড়িগ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত
কুড়িগ্রামে কয়েক দিনের টানা শীতের প্রভাবে মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। মাঘের এ হাড় কাঁপানো শীতে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জেলাবাসী। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জানায়, সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পরে তা আরও কমে সকাল ৯টায় দাঁড়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে জেলায় আজও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। কিন্তু দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললে মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা যায়। তবে রোদের উত্তাপ তেমন না থাকায় ঠান্ডা রয়েই গেছে। এদিকে বৃহস্পতিবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফের বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।  অন্যদিকে, প্রচণ্ড ঠান্ডায় বিঘিন্ত হচ্ছে চলতি বোরো মৌসুমের আবাদের প্রস্তুতি। কৃষকরা বোরো বীজতলা নিয়ে শংকিত রয়েছেন। জেলার ৯ উপজেলার অনেক এলাকায় দীর্ঘ ৬ দিন যাবত ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহসহ ঠান্ডার কারণে বীজতলায় হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। এ ছাড়াও আলু খেতের গাছের গোঁড়ায় লেট ব্লাইট রোগের আক্রমণ হওয়ায় গোড়া পচন ধরে গিয়ে চিন্তায় ফেলেছে কৃষকদের।  সদরের কাঁঠালাবাড়ি এলাকার আলু চাষি আব্দুর রহিম জানান, শীতের ঘন কুয়াশা ও হিমের কারণে আলুর গোড়া পচনে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে এ রোগ থেকে খেত রক্ষা করা যায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছি। এদিকে অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রকোপে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া অনেক মানুষ প্রচণ্ড কুয়াশা ও শীতকে উপেক্ষা করে জমিতে কাজে যাচ্ছেন। টানা শৈত্যপ্রবাহে ঘরে কয়েক দিন ধরে থাকায় ও কাজে যেতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে এসব মানুষ। উপায়ন্তর না দেখে তারা জমিতে কাজ করতে যাচ্ছেন। শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম বলে অভিযোগ শীতার্ত মানুষের। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যে সরকারিভাবে ৬৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শিশুদের জন্য আলাদা শীতের কাপড়সহ শুকনো খাবারও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বেসরকারিভাবেও অনেকেই শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন। সম্প্রতি ৪টি সংসদীয় আসনে নির্বাচিত এমপিদের বরাদ্দ একহাজার করে ৪ হাজার কম্বল এসেছে। তা তাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা মোতাবেক ৯ উপজেলায় বণ্টন করা হবে বলেও জানান তিনি।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৮

কনকনে শীতে বিপর্যস্ত সিরাজগঞ্জ, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
ঘন কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাস আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের মানুষের জনজীবন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের আকাশে রোদের দেখা মিললেও বুধবার (২৪ জানুয়ারি) কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে পুরো সিরাজগঞ্জ। যার ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় সিরাজগঞ্জের মোট ১৬৭১টি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মোট ৫৮৪টি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ও ৯টায় সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মঙ্গলবার ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। আজ ভোর থেকেই কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে সিরাজগঞ্জের পথঘাট। দশ হাত পর পর কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহগুলো চলাচল করছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এ কারণে কনকন শীতে শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে। সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষরা। বাঘাবাড়ি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, সকাল ৬টা ও ৯টায় এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আট থেকে দশের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ফলে আজ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে।  তিনি বলেন, আকাশে সূর্য থাকলেও কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও মিলতে পারে।  তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের চেয়ে অনেকটা বেশি। তবে যেহেতু রোদের দেখা মিলছে না এবং চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে তাই শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।  মাসজুড়েই এমন শীত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।  সিরাজগঞ্জের জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আফসার আলী বলেন, জেলায় কয়েকদিন হলোই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে রয়েছে। এতে ছোট ছেলেমেয়েদের খুব কষ্ট হয়। যেহেতু তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা আছে তাই জেলার মাধ্যমিক স্তরের সর্বমোট ৫৮৪টি (দাখিল মাদরাসাসহ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরাও স্বস্তিতে রয়েছেন। 
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১০

শীতে কাঁপছে দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন
চলতি বছর পৌষ মাস থেকেই জেঁকে বসেছে শীত। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল উত্তরের জনপদ। পর্যায়ক্রমে যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। উত্তরের জনপদের পাশাপাশি শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রাজধানীও। গত কয়েকদিনে সুর্যের দেখা মেলেনি রাজধানীর আকাশে। ঢাকার আকাশ ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। সোমবার (২২ জানুয়ারি) ছিল বাংলা মাঘ মাসের ৮ম দিন। সকাল হয়ে বেশ খানিকটা সময় পার হরেও রাজধানীর আকাশে দেখা নেই সূর্যের, দুপুরের দিকে সুর্যের দেখা মিললেও ঠান্ডা কমেনি। সারাদেশে কুয়াশা, ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে আকাশ। শহর কি গ্রাম সর্বত্র হিমেল হাওয়ার সঙ্গে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এক কথায় শীতে কাঁপছে সারা দেশ। সোমবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত খোলা থাকলেও সড়কে মানুষের উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম। তবে সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ। তাদের শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে বের হতে হচ্ছে। আর মানবেতর জীবনযাপন করছেন ছিন্নমূল মানুষেরা। খোলা আকাশের নীচে শীতে কষ্ট করছেনে এসব অসহায় মানুষ। রাজধানীর রমনা পার্ক এলাকায় থাকেন ঝিনুক তারা (ছদ্ম নাম)। বয়স আশির কাছাকাছি। বাড়ি টাঙ্গাইল। এক সময় গ্রামে স্বামী-সংসার ছিল তার। এখন আপন বলতে পৃথিবীতে কেউ নেই। জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া এক সংগ্রামী নারী। রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে সিদ্ধেশরী কলেজের সামনে শীতে কাঁপছিলেন এই বৃদ্ধা। কথা হয় তার সঙ্গে। আরটিভি নিউজকে তিনি বলেন, পেটের জ্বালা, এখন শীতের জ্বালা। এত বেশি শীত, মনে হয় পেটের চেয়ে এখন শীতের জ্বালা বেশি। এই শীতে ঘরে সাধারণ কম্বলের নিচে থাকা দায়। সেখানে এই বয়সে রাস্তায় টিকে থাকা কঠিন। প্রকৃতির দয়ায়ই হয়তো বেঁচে আছে ঝিনুক তারারা। নাদের সরদার। বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনিতে। রাজধানীর বাংলামটরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আরটিভি নিউজতে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে মনে হয় এমন শীত পড়েনি। হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাপরেও অফিসের কাজে বের হতে হচ্ছে। কি আর করার। তবে সরকারিভাবে দুই একদিন ছুটি দিলে ভাল হতো। এর আগে সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ভিকারুননিসানুন স্কুলের সামনে অপেক্ষমাণ অভিভাবক রিয়াজুল ইসলাম আরটিভিকে বলেন, সকাল শিফটের ক্লাস শুরু হয় সাড়ে সাতটায়। সকাল বেলা খুব বেশি ঠান্ডা থাকে। বাচ্চাদের খুব কষ্ট হয়। স্কুল বন্ধ থাকলেই মনে হয় ভাল হতো। অন্যদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই মহাসড়কের দূরপাল্লার যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। রাতের বেলা বন্ধ থাকছে নৌ পথে ফেরি চলাচল। তীব্র শীতে রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ বছর শীতের প্রকোপ বেশি বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। চলতি মাসের শুরু থেকে হাড় কাঁপানো শীতের পর গত দুদিন রোদ উঠে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছিল। কুয়াশার দাপটও তেমন একটা দেখা যায়নি। কিন্তু রোববার (২১ জানুয়ারি) দিনগত রাত থেকে উত্তরের হিমেল বাতাসে ফের জেঁকে বসেছে শীত। ইতোমধ্যে দেশের ২২ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এরমধ্যে চার বিভাগে দেওয়া হয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রাও সামান্য কমবে। ঘন কুয়াশার দাপটও দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে। অর্থাৎ সোমবার দিনগত রাত থেকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে। এ ছাড়া একই সময়ে যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সোমবার দিন-রাতে তাপমাত্রা প্রায় একইরকম থাকলেও মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৪০ জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৩

কনকনে ঠান্ডায় লালমনিরহাটের জনজীবন বিপর্যস্ত
হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় কাঁপছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের মানুষ। গত কয়েকদিনের কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। রাত থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে পুরো এলাকা। শীতে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।  শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে দেখা যায়, কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।  লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লালমনিরহাটে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালসহ পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে মানুষ। এদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, চরম বিপাকে রয়েছেন শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও তিস্তা-ধরলা নদী পাড়ের হাজার হাজার হতদরিদ্র মানুষ। প্রচণ্ড শীতে চরম বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। ঠান্ডা নিবারণের শীতবস্ত্র নেই তাদের। সকালে আগুনে শরীর গরম করে অনেকে কাজে বের হচ্ছেন। 
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫২

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন
ঘন কুয়াশা নেই তবে মেঘলা আকাশে বৃষ্টির আশংকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি। এদিকে মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রী। তবে দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান মাত্র ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি। এদিকে গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি। সূর্যের দেখা না পাওয়ায় এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছে বিপাকে। সকাল থেকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে যানবাহন।   আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে আগামি দিনগুলোতে।  এদিকে, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। উত্তর-পশ্চিম থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিম বাতাসে এ জনপদের জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ জেলার নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। শীত নিবারণের চেষ্টায় উষ্ণতা পেতে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে খড়কুটো দিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে তাদেরকে। মঙ্গলবার ভোর থেকে কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে বৃষ্টি মতো কুয়াশা ঝরায় দিনের আলোয় বিভিন্ন যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ। বেলা বাড়লেও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকতে দেখা গেছে জেলার চারপাশ। জেলার পৌর শহরের আলমগীর হোসেন নামের একজন দিনমজুর বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। কাজে বের হতে পারছি না। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আজ সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মূলত হিমালয়ের একেবারে কাছে অবস্থিত হওয়ায় এ জেলায় শীতের তীব্রতা একটু বেশি।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়