• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন যারা
আগামী ৮ মে  প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।  প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬টিসহ মোট ১ হাজার ৮৯১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এরমধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় তাদের মধ্যে ৭ জন চেয়ারম্যান, ৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান, ১০ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইসি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান, দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান, পাবনার বেড়া উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান, নাটোরের সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরের নারী ভাইস চেয়ারম্যান, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বাগেরহাট সদর উপজেলার তিনটি পদ, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার তিনটি পদ, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার তিনটি পদ ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলার তিনটি পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ মার্চ প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তবে পরে দুটি উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৫ এপ্রিল, যাচাই-বাছাই ১৭ এপ্রিল এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিল। অন্যদিকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।   
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৫

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন সেই দেলোয়ার
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। ফলে সিংড়ার রাজনীতিতে একেবারে অপরিচিত মুখ দেলোয়ার হোসেন পাশা হঠাৎ করে ঢাকা থেকে এলাকায় এসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েই নির্বাচিত হয়ে গেলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৫

উপজেলা নির্বাচন / বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তারা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে সারাদেশের ১৫০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) থেকে প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা। সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর, নোয়াখালীর হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় তিনজনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। সোমবার (২২ এপ্রিল) তিন পদে অন্য সব প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন প্রার্থী বিজয়ের পথে রয়েছেন। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. সেলিম মিয়া ও ফাহিমা আক্তার নামে দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে ফাহিমা আক্তার সোমবার (২২ এপ্রিল) প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএম আতাউর রহমান (আতাহার) ও মো. মনিরুজ্জামান মনির মনোনয়নপত্র দালিখ করলেও মো. মনিরুজ্জামান মনির প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে বিএম আতাউর রহমান (আতাহার) একক প্রার্থী হওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ের পথে। একইভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আয়শা সিদ্দিকা ও শিফাতুন হক অহনা দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও শিফাতুন হক অহনা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে এই পদেও আয়শা সিদ্দিকা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, শেষ দিনে শিবচর উপজেলায় কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যে কারণে তিন পদে তিন জন প্রার্থী থাকায় ভোটগ্রহণ হবে না। তিনজনই বিজয়ের পথে। তবে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া না গেলেও তারাই মূলত নির্বাচিত। এদিকে এদিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় এভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন প্রার্থীর জয়কে ‘সাজানো নাটক’ বলছেন স্থানীয় ভোটাররা। সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন প্রতিদ্বন্দ্বী ৩ প্রার্থীর হঠাৎ সরে যাওয়ায় এবং ভোটদান থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আক্ষেপ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, পাতানো নির্বাচন থেকে ঘরের তিন প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে না শিবচরে। এমন পাতানো নির্বাচন থেকে প্রার্থীদের সরে আসতে হবে। এতে জনগণের সঙ্গে প্রার্থীর সম্পর্ক ও জবাবদিহিতার জায়গা নষ্ট হচ্ছে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তারা হলেন-স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। সোমবার (২২ এপ্রিল) আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে মুশফিকুর রহমান বলেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। ফলে তার পক্ষে মাঠে দৌড়ঝাঁপ করে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরেও যেতে হবে। তাই তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী। ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন। এদিকে মুন্সীগঞ্জ সদরে মনোনয়ন দাখিলকারী চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই। যদিও ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরও একজন করে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন কিন্তু তারা পরে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী ছিলেন গতবারের উপজেলা চেয়ারম্যান আনিস উজ্জামান। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন করে প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও পরবর্তীতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও অপর একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫১

রোজায় বিনা পয়সায় যে হোটেল সেহরি-ইফতার করায়
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে নয় বছর ধরে ফ্রিতে সেহরি এবং ইফতার করাচ্ছেন রফিক হোটেলের মালিক রফিকুল ইসলাম। প্রতিদিন এক থেকে দেড় শ’ রোজাদার এখানে সেহরি এবং ইফতার করেন। অনেক টাকার মালিক না হলেও সারা বছর যা আয় করেন সেখান থেকে কিছু টাকা সঞ্চয় করে রমজান মাসজুড়ে তিনি সেহরি ও ইফতার করান। বছরের এগারো মাস ব্যবসা করলেও রমজানের এক মাস মেহমানদারি করেন তিনি।   বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রফিক হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, সেহরি খাওয়ার ভিড় চোখে পড়ার মতো আক্কেলপুরের কলেজ বাজারের কাঁচা মালপট্টিতে রফিকের হোটেলে। ভেতরে ঢুকে দেখা গেল সবাই হাতে প্লেট নিয়ে যে যার মতো করে টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছেন। তখন মালিকসহ বয়রাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। খালি নেই কারও হাত। হোটেলজুড়ে চলছে জমজমাট সেহরিপর্ব। আবার খাবার খেয়ে টাকা না দিয়েই চলে যাচ্ছেন সবাই। টাকা না দিয়ে সেহরি খাবেন সবাই এটাই রোজার একমাস ধরে রফিক হোটেলের নিয়ম। এই নিয়মটি তিনি গত নয় বছর থেকে ধরে রেখেছেন। হোটেলটি তেমন একটা বড় নয়। মালিকও তেমন অবস্থাশালী নয়। তিনি বছরের এগারো মাস হোটেলের খাবার বিক্রি করেন। এই আয় দিয়ে তিনি পুরো বছর সংসার চালান। পাশাপাশি রমজান মাসে জনসাধারণকে টাকা ছাড়াই সেহরি ও ইফতার খাবারের জন্য টাকা জমা করেন। প্রতি বছর রোজার শুরু থেকে শেষদিন পর্যন্ত তিনি রোজাদারদের টাকা ছাড়াই সেহরি ও ইফতারি খাওয়ান। প্রতিদিন সেহরিতে ১ শত ২০ এবং ইফতারে দেড় শ’ রোজাদার ব্যক্তিদের সেহরি ও ইফতারি করান রফিক। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হোটেল মালিকের নাম রফিকুল ইসলাম রফিক। তিনি ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করেন। আক্কেলপুর পৌরশহরেই তার বসবাস। তার হোটেলের নামও রফিক হোটেল। তিন ২০১৬ সাল থেকে নয় বছর ধরে পৌর শহরে রফিক হোটেলে রমজান মাসে নিয়মিত টাকা ছাড়াই সেহরি ও ইফতার করাচ্ছেন রোজাদার জনসাধারণদের। কলেজ হাটে আসা সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যবসায়ীরা, হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে আসা স্বজনরা এই হোটেলে টাকা ছাড়াই নিয়মিত সেহরি ও ইফতারি খাচ্ছেন। হোটেল মালিক রফিকুল নিজে এবং তার হোটেলের কর্মচারীরা মিলে ইফতারি ও সেহরির খাবার পরিবেশন করেন। সেহরির খাবারে ছিল গরুর মাংস, মাছ, ভাজি, ডাল এবং এক গ্লাস দুধ দিয়ে সমাপ্ত হয় সেহরি পর্ব। আর ইফতারিতে থাকে মাংসের বিরিয়ানি, ছোলা বুট, বুন্দা, মুড়ি, পিঁয়াজু, বেগুনি সাথে এক গ্লাস শরবত। রোজাদারেরা তৃপ্তি সহকারে সেহরি ও ইফতার করছেন। হোটেলের অভ্যন্তর ছাড়িয়ে বাহিরে হাটের জায়গায় ডেকোরেটরের কাপড় বিছিয়ে ইফতার করানো হয়। সেহরি খেতে আসা আক্কেলপুর উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোশফেকুর রহমান বলেন, চাকরির সুবাদে আমি এখানে একা থাকি। সারা বছর হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হয়। আর রমজান মাসে সেহরি খাওয়া নিয়ে খুব চিন্তায় থাকতে হতো। রফিক আমাদের বিপদের বন্ধু। সেহরি খেয়ে টাকা দিতে চাইলেও সে  টাকা নেয় না। সকলকে ফ্রিতে ইফতার এবং সেহরি খাওয়ানোই তার ইচ্ছা। পার্শ্ববর্তী নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলাহাট এলাকার বাসিন্দা রিফাত হোসেন শাওন বলেন, হাসপাতালে রোগী নিয়ে এসেছি। রাতে সেহরি খাওয়ার জন্য হোটেল খুঁজতে এসে এই হোটেলে আসি। এখানে অনেক ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। খাবার পরে বিল দিতে এসে জানতে জানতে পারলাম তিনি টাকা না নিয়ে সেহরি খাওয়ান। তার এই কার্যক্রমে আমাদের মতো অনেক বিপদগ্রস্ত লোকের উপকার হয়। কথা হয় কাঁচা সবজি ব্যবসায়ী ইয়াছিন আলী সাথে, তিনি বলেন, খুব সকালে কাঁচা মাল কিনতে বাজারে আসতে হয়। প্রতি রমজান মাসে পুরোমাস বিনা পয়সায় সেহরি ও ইফতার করান রফিক। বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই আমিও মাল কিনতে এসে এখানে সেহরি খাই।  আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আলাউদ্দিন মণ্ডল নামের এক কর্মচারী বলেন, আমি রাত্রিকালীন রোগীদের সেবা দিয়ে থাকি। শেষ রাতে বাসায় গিয়ে সেহরি খাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। রফিক হোটেল থাকায় বাড়ি না গিয়ে এখানেই সেহরি খাই। এখানে মাংস, ভাজি, ডিম, ডাল এবং দুধ দিয়ে সেহরি করানো হয়। এতে আমরা অনেক উপকৃত। তার জন্য দোয়া করি।  আক্কেলপুর পৌর সদরের বাসিন্দা শাদমান হাফিজ বলেন, অনেক লোকের মাঝে ইফতার করতে ভালো লাগে। তাছাড়া এতে বরকত আছে। তাই আমিও ইফতার করতে এখানে এসেছি।  বগুড়ার দুপচাঁচিয়া এলাকার শামিম বলেন, ব্যবসায়ীক কাজে এখানে এসে ইফতারের সময় হওয়ায় রফিক হোটেলে গিয়ে ইফতার করেছি। আমার কাছে ইফতারির টাকা নেয়নি। আমার মতো অনেকেই ইফতার করেছেন। হোটেলের মালিক কারও কাছে টাকা নেন না।  হোটেল মালিক রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, রমজান মাসে খাবারের হোটেলগুলো বন্ধ থাকে। এতে ইফতারি ও সেহরির সময় রোজাদারদের অনেক কষ্ট হয়। বছরের এগারো মাস আমি হোটেল ব্যবসা করি। যা আয় হয় তার থেকে কিছু টাকা জমিয়ে রেখে রমজান মাসে সকল রোজাদারদের ইফতার করানোর চেষ্টা করি। ২০১৬ সাল থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেছি। এ কাজে আমার হোটেলের কর্মচারীরা সহযোগিতা করে। তারাও এই মাসে কোন পারিশ্রমিক নেয় না। মূলত পরকালের মুক্তি এবং মহান আল্লাহর সন্তোষটির উদ্দেশ্যেই আমি এই কাজ করি।  আক্কেলপুর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম পল্টু বলেন, জয়পুরহাট জেলার মধ্যে রফিক হোটেলের মালিক রফিকুল ইসলাম তার হোটেলে নয় বছর ধরে টাকা ছাড়াই সেহরি ও ইফতার করিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এর মাধ্যমে বাহির এলাকা থেকে আগত রোজাদাররা অনেক উপকৃত হন। এটি একটি মহৎ কাজ। রফিক গরিব হলেও তার মন অনেক বড়।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:১২

বিনা অভিজ্ঞতায় চাকরি দিচ্ছে কেয়ার বাংলাদেশ
জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সাহায্যকারী সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশ। ‘ডেভেলপমেন্ট ট্রেইনি’ পদে জনবল নেবে সংস্থাটি। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের নাম: কেয়ার বাংলাদেশ পদের নাম: ডেভেলপমেন্ট ট্রেইনি পদের সংখ্যা: ০৩ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক অভিজ্ঞতা: প্রযোজ্য নয় বেতন: ২০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী বয়স: নির্ধারিত নয় কর্মস্থল: ঢাকা, গাইবান্ধা, বাগেরহাট (শরণখোলা) আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির ক্যারিয়ারবিষয়ক ওয়েবসাইট https://career.carebangladesh.org এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সময়সীমা: আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৯ মার্চ, ২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।   
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩২

ট্রেনে বিনা পয়সায় করতেন ভ্রমণ, হজ করে এসে রেলওয়েকে দিলেন ১০ হাজার টাকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার এক বাসিন্দা বিভিন্ন সময়ে বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ করেছেন এমনটি জানিয়ে নিজের ‘দেনা শোধ’ করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। মানিক ভূঁইয়া (৫৫) নামে ওই ব্যক্তি একজন ইতালি প্রবাসী। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে টিকিট কাউন্টারে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ টিকিট কালেক্টরের (টিসি) কাছে ১০ হাজার টাকা জমা দেন তিনি।  এ ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে অঙ্গনে আলোচনা সৃষ্টি হয়।  জানা যায়, মানিক ভূঁইয়া আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।   এ বিষয়ে মানিক ভূঁইয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৯৯৭ সাল থেকে মানিক ভূঁইয়া ইতালিতে বসবাস করেন। প্রবাসে যাওয়ার আগে তিনি বড় বাজারে অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্রের ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি তিনি হজ পালন করে দেশে ফেরেন। অনুশোচনার জায়গা থেকেই তিনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে এ টাকা দিয়েছেন। এ দিকে সোমবার সন্ধ্যায় তার সঙ্গে টাকা দিতে যাওয়া দেবগ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা আল-আমিন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, মানিক ভূঁইয়া দেশে থাকাকালীন ব্যবসা করার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ভৈরবসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। কখনও ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন কখনও কাটতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে তিনি অনুশোচনায় ভুগছিলেন। এর থেকে এখন তিনি একসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। তার ধারণা, এর মধ্য দিয়ে স্বচ্ছভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩০

সংরক্ষিত আসন / বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হলেন যে ৫০ নারী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনে ৫০ প্রার্থীর সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। কোনো প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় সবাইকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তাদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গেজেট প্রকাশ করা হবে। এদিন সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুনিরুজ্জামান তালুকদার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিজয়ীদের মধ্যে ৪৮ জন আওয়ামী লীগের ও ২জন জাতীয় পার্টির। যেহেতু সোমবার সরকারি ছুটির দিন, তাই মঙ্গলবার প্রার্থীদের নামে গেজেট ঘোষণা হবে। সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপিরা হলেন ১. রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়) ২. দ্রৌপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও) ৩. আশিকা সুলতানা (নীলফামারী) ৪. রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) ৫. কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর) ৬. জারা জেবিন মাহবুব (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ৭. রুনু রেজা (খুলনা) ৮. ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট) ৯. ফারজানা সুমি (বরগুনা) ১০. খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা) ১১. ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী) ১২. উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ) ১৩. নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা) ১৪. মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট) ১৫. পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ) ১৬. আরমা দত্ত (কুমিল্লা) ১৭. লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা) ১৮. মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা) ১৯. বেদৌরা আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ) ২০. শবনম জাহান (ঢাকা) ২১. পারুল আক্তার (ঢাকা) ২২. সাবেরা বেগম (ঢাকা) ২৩. শাম্মী আহমেদ (বরিশাল) ২৪. নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা) ২৫. ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর) ২৬. ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ) ২৭. সাহেদা তারেক দীপ্তি (ঢাকা) ২৮. অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা) ২৯. শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা) ৩০. মাসুদা সিদ্দিক রোজী (নরসিংদী) ৩১. তারানা হালিম (টাঙ্গাইল) ৩২. শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল) ৩৩. মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর) ৩৪. অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল) ৩৫. হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা) ৩৬. নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ) ৩৭. ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষ্মীপুর) ৩৮. আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর) ৩৯. কানন আরা বেগম (নোয়াখালী) ৪০. শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম) ৪১. ফরিদা খানম (নোয়াখালী) ৪২. দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম) ৪৩. ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙ্গামাটি) ৪৪. সানজিদা খানম (ঢাকা) ৪৫. নাছিমা জামান ববি (রংপুর) ৪৬. নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী) ৪৭. ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম) ৪৮. রুমা চক্রবর্তী (সিলেট) জাতীয় পার্টি মনোনীত এমপিরা হলেন ১. সালমা ইসলাম (ঢাকা) ২. নুরুন নাহার (ঠাকুরগাঁও)
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৭

বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ,৩৬৩ যাত্রীকে জরিমানা
বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের দায়ে ৩৬৩ যাত্রীকে জরিমানা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) লালমনিরহাট-বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পাটগ্রাম রেলস্টেশন হতে পার্বতীপুরগামী কমিউটার ট্রেনে  যাত্রীদের টিকেট চেক করা হয়। এ সময় টিকিট ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ করার দায়ে ৩৬৩ যাত্রীকে জরিমানা করা হয়। তাদের নিকট হতে ১০ হাজার ৬৫০ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়। পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নুর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনে ভ্রমণরত যাত্রীদের টিকিট যাচাই করা হয়। এ সময় যেসব যাত্রী টিকিট ছাড়া ভ্রমণ করছিল তাদের নিকট হতে গমন ইচ্ছুক জায়গার টিকিটের টাকা হিসাব করে আদায় করা হয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৫

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মসিক কাউন্সিলর হলেন ফরহাদ
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ আলম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।         তিনি বলেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ফরহাদ আলমসহ দুইজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। পরে ফরহাদ আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসবাল হোসেনের প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণা হয়। পরে ওই প্রার্থী আর আপীল আবেদন করেনি। ফলে আজ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ফরহাদ আলম।    এ বিষয়ে ফরহাদ আলম বলেন, এনিয়ে আমি টানা তিনবার কমিশনার ও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। বিগত দুইবার ভোটে হলেও এবার বিনাপ্রতিন্দ্বন্দ্বীতায় হয়েছি। তবে ভোট হলে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ থাকে। কিন্তু নির্বাচন না হওয়ায় এবার নিজেকে যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছি না। তবে এলাকাবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার পাশে থাকার জন্য। আগামীতেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে কাজ করতে চাই।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৮

টি-টোয়েন্টিতে বিনা উইকেটে সংগ্রহ ২৫৮ রান
টি-টোয়েন্টিতে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লো ক্রিকেটের নবাগত দল জাপান। তাণ্ডব চালিয়ে বিনা উইকেটে ২৫৮ রান তুলে বিশ্ব রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন জাপানের দুই ওপেনার লাচলান ইমামোতো লাকে ও কেন্দেল কাদোওয়াকি ফ্লেমিং। আইসিসি স্বীকৃত হংকংয়ে বসেছে তিন দল হংকং, জাপান ও চীনকে নিয়ে ‘ইস্ট এশিয়া কাপ’। এতে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চীনের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ২৫৮ রান তুলেছে দলটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিনা উইকেটে পুরো ইনিংস খেলার ২১৩ রানের রেকর্ড ছিল। ২০২২ সালে ছয় দল নিয়ে আয়োজিত টুর্নামেন্ট ভাল্লেত্তা কাপে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে জিব্রাল্টারের দুই ওপেনার অবিনাশ পাই ও লুইস ব্রুস এ জুটি গড়েন। এবার সেই রেকর্ডে টপকে ২৫৮ রানের জুটি গড়লেন জাপানের লাকে ও ফ্লেমিং। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই এখন যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে দেরাদুনে ২০১৯ সালে উদ্বোধনী জুটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩৬ রানের জুটি গড়েছিলেন আফগানিস্তানের হজরতউল্লাহ জাজাই ও উসমান গনি। এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে দ্বিতীয় এক জুটিতে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। জাপানের লাকে-ফ্লেমিং জুটি ছক্কা মেরেছেন ২৩টি। এর আগে ২০২৩ সালে এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ব্যাটসম্যানরা সর্বোচ্চ ২৬টি ছক্কা মেরেছিলেন। ম্যাচে লাকের ৮ চার ও ১২ ছক্কায় ৬৮ বলে ১৩৪ এবং ফ্লেমিংয়ের ৩ চার ও ১১ ছক্কায় ৫৩ বলে ১০৯ রানে ভর করে ২০ ওভারে ২৫৮ রানের পাহাড় দাঁড় করা জাপান। জবাব দিতে নেমে ১৬.৫ ওভারে ৭৮ রানে গুটিয়ে যায় চীন, হেরেছে ১৮০ রানে। ম্যাচসেরার পুরস্কার দুজনকেই যৌথভাবে দেওয়া হয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়